নারীর গান শ্রমের গান— এক অনন্য দলিল
সুচেতনা মুখোপাধ্যায়
"নারীর গান শ্রমের গান"
চন্দ্রা মুখোপাধ্যায়
প্রকাশক- তবুও প্রয়াস
প্রকাশক- কলকাতা বইমেলা, ২০২২
সে এক অন্যরকম সময়। সত্তরের শেষ থেকে আশির দশক। ঘরে-বাইরের সব কাজ সামলে সুরে সুরে বলা শ্রমজীবী মেয়েদের কথা-কথকতা খুঁজতে বেরোলেন এক ইস্কুল দিদিমণি। নাম তাঁর চন্দ্রা মুখোপাধ্যায়। সফরের গোড়াতে, সেসময় তাঁকে তখন পথ দেখাচ্ছেন সঙ্গীত শিক্ষক মৃণাল বড়ুয়া অপার বাংলার নারীগান সংগ্রহের পথিকৃৎ গৌরীপুরের রাজকন্যা নীহার বড়ুয়া, দিকপাল নাট্যব্যক্তিত্ব খালেদ চৌধুরী আর আরো নানা গুণীজন।
সমগ্র অস্তিত্ব জুড়ে নারীবাংলার হারাতে বসা শ্রমগান সংগ্রহ ও সংরক্ষণের জেদি স্বপ্ন আর হাতের খাতাকলমকে সম্বল করে এরপর দিদিমণি পেরিয়ে যেতে থাকলেন একের পর এক নদী-পাহাড়-জঙ্গল। বাংলার দক্ষিণ-পশ্চিম, কখনো বা পূব-উত্তর আর মাঝ অঞ্চলের অজস্র ক্ষেতখামার-আলপথ-বিলমাঠ পেরিয়ে আসা দিদিমনির পথে নদী পুকুর খাল পড়ল, যেখানে গান গেয়ে মাছ, গেঁড়ি-গুগলি ধরছেন জেলেনিরা আর গানের জলে ভরা কলস কাঁখ থেকে নামিয়ে পুইনক্যা-হেলেঞ্চা-কলমির শাকঝোঁপে নিজেদের গান গাইছেন বউরা। পড়ল পাহাড়ের কোলে বসা ক্ষেত, যেখানে টুসু-ভাদু-জাওয়া-করমের সুরে ধান রুইছেন-ধান কাটছেন কিসানীরা। ক্ষেতের ওপার জুড়ে গাঁ বসত। চন্দ্রা দিদিমণির কাছে সে তো আদ্যোপান্ত গানের আরেক বিপুল পৃথিবী! যেখানে অগণিত অনামী খেটে খাওয়া মেয়ে তাঁদের জীবন-জীবিকা-ঘর গেরস্থালির অনন্ত ঝুটঝামেলার মাঝে গানের হাল ধরে বেঁচে চলেছেন সেই কোন অজানা সময় থেকে।
শিলচর থেকে পুরুলিয়া। কোচবিহার থেকে ঝাড়গ্রাম। গোয়ালপাড়া থেকে বর্ধমান। প্রথমে খাতা কলম,সুরে-স্বরে,স্মৃতিতে তুলে এনে আর নব্বই দশকের শেষ থেকে “সদ্য কেনা ছোট ক্যাসেট রেকর্ডার” সমেত সুদীর্ঘ তিনটি দশক জুড়ে চন্দ্রা মুখোপাধ্যায় পৌঁছে গেছেন গাঁ-দেহাতের মাটিলেপা ঘর দালানের বুকে। শ্রীহট্ট-রংপুর-ফরিদপুর-ঢাকা থেকে ছিন্নমূল মেয়েদের হাত ধরে গানে গানে ভেসে আসা নারীজীবন ও মননের অফুরান কথা মালদা-মুর্শিদাবাদ-বাঁকুড়া-নদীয়া হয়ে হুগলি-হাওড়া আর দুই চব্বিশ পরগনার গ্রাম-গ্রামান্তর আর উদ্বাস্তু কলোনির গলিপথে যে বিষন্ন বাঁকে ঠাঁই নিয়েছে, সেই সমস্ত ঠিকানায় অজস্রবার গান খুঁজতে-শুনতে-শিখতে-বুঝতে গেছেন তিনি। আর শহুরে সংস্কৃতি-দ্রুত বদলাতে থাকা সময়ের গ্রাসে নারীর শ্রমগানের মহতী ঐশ্বর্য্য চিরতরে তলিয়ে যাওয়ার আগে সেসব সংগ্রহ করে এনে আগামী প্রজন্মের জন্য সংরক্ষণ করে রেখেছেন সন্তানসম যত্নে।
শ্রমজীবী নারীর রচিত-গীত হাজার হাজার গান সংগ্রহের তাঁর এই প্রায় অসম্ভব উদ্যমে-উদ্যোগে নিজেদের গান নিয়ে সামিল হয়েছেন খেটে খাওয়া অনামী গ্রামীণ মেয়ের দল, বয়স্কা উদ্বাস্তু নারীরা, বাংলার নানা প্রান্তের সাংস্কৃতিক কর্মীবৃন্দ, লোকগান সংগ্রাহক, গবেষকরা সহ আরো অনেকে। তারপর একসময় সংগৃহীত গানগুলিকে একটি বইয়ের অবয়বে গেঁথেছেন চন্দ্রা মুখোপাধ্যায়। বইটির নাম তিনি রেখেছেন, “নারীর গান - শ্রমের গান”, যা প্রকাশিত হয়েছে ২০২২ এর কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলার শেষলগ্নে। ‘তবুও প্রয়াস’ প্রকাশনা সংস্থা থেকে।
বইয়ের শুরুতেই নিজস্ব ‘কথামুখ’ এবং প্রথমতম অধ্যায় ‘নারী শ্রম সঙ্গীত’-এ তাঁর আলোচিত বিষয় ও লেখনীর শুদ্ধ তারটি বেঁধে দেন লেখিকা। প্রথমেই তিনি পাঠককে দাঁড় করান কিছু মৌলিক প্রশ্নের মুখোমুখি। পুরুষতান্ত্রিক সভ্যতার গোড়া থেকেই ‘‘নারীশ্রমকে দেখেও না দেখার প্রবণতা” চলে এসেছে গোটা দুনিয়াজুড়ে। তাই শ্রমিকদের রচিত-গীত “শ্রমসঙ্গীত”-এর ধারণাও দীর্ঘদিন সীমাবদ্ধ থেকেছে পুরুষদের কর্মসঙ্গীতের গন্ডিতে। স্বাভাবিকভাবেই ধান রোয়া, সন্তানকে ঘুমপাড়ানো, মুড়িভাজা, বিক্রিবাটা বা ঝাঁটপাটের মতো দৈনিক মেয়েলি কাজ সম্পৃক্ত গানকে শ্রমগানের স্বীকৃতি বা মর্যাদা দেওয়ার কথা মনেও আসেনি শুরুর শ্রমগান সংগ্রাহকদের। কথামুখ ভাগে পেট্রিয়ার্কির এই খামতিগুলিকে লেখিকা তাঁর ঋজু কলমে যেমন ব্যাখ্যা করেন, তেমনই নারীর শ্রমগানের ঐতিহ্য ও শ্বাশ্বত প্রাসঙ্গিকতাকেও উজাগর করেন সযতনে।
পুরুষতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থায় মেয়েদের কাজের যেমন শেষ নেই, তেমনি হিসেব নেই তাঁদের কষ্টেরও। আর কেউ জানুক না জানুক, বুঝুক বা না বুঝুক, কিচ্ছু পরোয়া না করে অনাদিকাল থেকে তাঁরা কখনো আত্মকথনের ঢংয়ে, কখনো বা সমবেত স্বরে, কখনো বিষাদে-কখনো আনন্দে বেঁধেছেন-গেয়েছেন তাঁদের জীবনযুদ্ধের গান। অযুত রকম সে সব গানের বিষয়, ভাষা বৈচিত্র্য আর সুরও। জনম থেকে মরণ, বিবাহ থেকে বিরহ, উৎসব থেকে প্রসব, ঘাটের আড্ডা থেকে ঘরোয়া কুটকাচালি, নবান্ন থেকে দারিদ্র-অনাহার; সবই ছন্দে-সুরে ধরে এসেছেন গ্রামবাংলার মেয়েরা। ছন্দে-সুরে ধরে এসেছেন ভোরের মাটি লেপন, জ্বালানি সংগ্রহ, কোটা বাছা, রান্নাবান্না, কাচা ধোওয়া, ধান ভানা, কাঁথা সেলাই, হাটবাজার, বিক্রিবাটা, সন্তান পালনের মতো তাঁদের উনকোটি কাজের ফিরিস্তি।
প্রতি অধ্যায়ে লেখিকা পাঠককে নিয়ে চলেন আশ্চর্য নানা গানসফরে। সে সফর যতখানি নারীগানের, ঠিক ততখানিই নারী জীবনেরও। ‘‘চাষবাস খেতখামার’’, ‘‘শস্য থেকে খাদ্য’’, “আহার্যের সন্ধান”, “জল আনা”, “ঘর সামলানো- হেঁসেল সামলানো”; এমন হরেক নামের অধ্যায়ে ভোর থেকে মাঝরাত্তির পর্যন্ত নিজেদের হাজারো কাজ - হাজারো বিপত্তি - হাজারো যাতনার কথা গানে গানে বলে চলেন খাটুনে মেয়েরা। সমস্ত কাজ-বিপত্তি-যাতনার মাঝেও মেয়েরা
নিজেদের সৃজনের জগতে কতখানি নিমগ্ন থেকেছেন আর জীবনে বুনে নিয়েছেন সুর, উপরোক্ত অধ্যায়গুলি পড়লে-জানলে এবং পরবর্তীতে ভাবলে সত্যিই বাকরহিত হতে হয়!
বিষয়ভিত্তিক নানা পর্বে বইয়ে বিবৃত নারীগানকে বিভাজিত করে সেগুলি সম্পর্কে সাবলীল ভাষায় নাতিদীর্ঘ প্রাক-কথন লিখেছেন লেখিকা। আর লিখে দিয়েছেন, প্রত্যেক গায়িকার নাম, সাকিন সহ গানটি সংগ্রহের সাল তারিখ… সমস্ত কিছু। স্বরলিপি লিপিবদ্ধ করলে বইটি বিপুলবপু হয়ে পড়তো বলে তিনি এই বইতে সেগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করেননি। তবে যদি বইটির এই আলোচনা আর অবশ্যই বইটি পড়ে আগামীর পাঠক আগ্রহী হন, তবে লেখিকার নিজস্ব ইউ টিউব চ্যানেল গীদালিতে
(লিঙ্ক: https://youtube.com/@geedali8907)
গিয়ে লেখিকার নিজ কন্ঠে অজস্র নারীশ্রমগান শোনার বিরল অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে পারেন।
.........
“মুল্লের বাড়ি ধান বাহিনতে পাও লাইগ্যা যায়
দেন বাবু টাকা/সিধা দেন বাড়ি চইলহা যাই
বাড়িতে আছে অচল মানুষ/কাঁচাছেলা
আসতে পাবো নাই...”
কাঞ্চন ও ফিরোজা বেওয়া/ সরলপুর/মুর্শিদাবাদ/২৬.১২.১৫
.........
“আমরা মাঠে মাঠে যাবো রে
কতই মাছ পাবো।
কী দিয়ে মাছ রান্দবো রে
আমায় তেঁতুল এনে দিও...”
মনোয়ারা ও শেফালি বিবি নলহাটি/বীরভূম/১.১৩.১৪
.........
“বাপের ঘরে ছিলাম পুষা পাখিটির মতো
শ্বশুরঘরে পোড়া হাঁড়ি মাজে আমার গা হইল কালো”
গেনু
বাউরি/করকটা/বাঁকুড়া/১৬.৪.২০০৩
.........
“... হাতে নিলো কুলাডেলি মাথায় নিলো মাছ
যায় যায় ডুমুনি আমার গৌরীপুরের হাট...।”
নীহার
বড়ুয়া/গোয়ালপাড়া/১৯৮৮
.........
“সে জমিতে বুনবো আমরা পঞ্চরত্ন ফুল হে
নয়ন যত্ন ফুল হে
সেই ফুল তুলে আমরা থানের সেবা করব হে
গাছের সেবা করবো হে।”
রূপালি, মাধবী, সুপ্রিয়া ঘোষ/
ভগবানগোলা/মুর্শিদাবাদ/০২.১০.১৫
.........
“চলো সাধ খাওয়াতে যাই
সাধ খাওয়াতে কী কী লাগে রাই…।”
সরস্বতী, সবেদা মাহাতো/
সন্দেশখালি/দক্ষিণ ২৪পরগনা/১৬.০৪.১৪
.........
“এ পাড়ার বউ-ঝি তোরা মাছ নিবি নাকি লো
মাছ তো ধারে দিবো না
বাড়িতে আছে ছেল্যার বাবা দিবে গঞ্জনা..।”
হিরণ্ময়ী,তরু, বিরজা দেবনাথ
নদীয়া/ কুমিল্লা/২০০০
.......
পাশ্চাত্যশিক্ষিত শহুরে বলিয়ে-কইয়ে-লিখিয়ে মেয়েদের আধুনিক নারীবাদী ডিসকোর্সের বহুকাল আগে থেকে বাংলার অগণিত অনক্ষর শ্রমজীবী মেয়ের রচিত-গীত এমন আশ্চর্য বৈচিত্রময় নারীগানে গানে থৈ থৈ হয়ে আছে চন্দ্রা মুখোপাধ্যায়ের বইখানি।
একজন চাকরিজীবী-সংসারী মেয়ে হিসেবে রোজ অক্লান্ত কাজ করে চলা হোক বা পুরুষপ্রধান সামাজিক কাঠামোয় নিয়ত নানা অসাম্য আর বঞ্চনা সইতে বাধ্য হওয়া আমাদের মতো মেয়েদের কাছেও ব্যক্তিগতভাবে এই বইটির পাঠ বড় এক আবেগী অভিজ্ঞতা হয়ে ওঠে! বাংলার ডোমনি, কাটুনি, বেদেনি, রাঁধুনি, ছাতপিটানি, পরিচারিকা বা দাইয়ানীদের পেশাগত গান কত বিচিত্রসুন্দর হতে পারে, প্রথমবার এত বিশদে বোঝায় এই বই। গীদালির দল আর মেয়ে পুরোহিতদের গীত মনস্কামনা পূর্তির শতেক আনন্দগীত কেমন সুন্দর হয়, শেখায় এই বই। বহুপরিচিত ষষ্ঠী-মনসা-টুসু-ভাদুগানের জগতে বহুকাল ধরে বসত করা তিস্তাবুড়ি, ঘাটো, ঘান্টুই ব্রতগান যেমন অবাক করে ; তার চেয়েও বেশি হতবাক হতে হয়, যখন জানি, গাঁদেহাতের নারীরা মুড়িভাজা-চিঁড়েকোটা-বড়ি দেওয়া তো বটেই, চা-পরোটা করা নিয়েও গান বেঁধেছেন-গান গেয়েছেন।
‘নারীর গান শ্রমের গান’ পড়ে শেষ করার পর এক ঘোর লেগে থাকে। আসলে এ বইটি খেটে খাওয়া নারীর সুরকাহন মাত্র তো নয় বরং গানের এ বই তাঁদের আর্থসামাজিক, সাংস্কৃতিক তথা জাতিতাত্ত্বিক ইতিহাসের এক অনন্য সাক্ষরও বটে। ভাবি, ভিতরে কতখানি আত্মবিশ্বাসী সংস্কারমুক্ত ও স্পষ্টবাক হলে পরে তবে, গঙ্গাকে রাজহাঁসের ডিম দিয়ে গানে গানে নিমন্ত্রণ করা যায় বা গান বাঁধা যায় রজোদর্শন, প্রসব, আঁতুড়ের কষ্ট নিয়ে তা উপলব্ধি করে ঔপনিবেশিক সংস্কৃতিপুষ্ট সীমিত চেতনার সব হিসেব গুলিয়ে যায়। আর বুঝি, সমস্ত অপ্রাপ্তি হাড়ভাঙা নিয়ত খাটনি স্বত্ত্বেও দেশে দেশে খেটে খাওয়া মেয়েরা এমন করে গান বেঁধে, গান গেয়ে এগিয়ে চলার ধক রাখেন বলেই, তাঁদের হাড়-মাংস-রক্তে-ঘামে তৈরি এই সমাজ, দেশ, গোটা দুনিয়াটা সমস্ত অন্ধকার সত্ত্বেও হয়ত কখনো রসাতলে তলিয়ে যাবে না।
“নারীর গান শ্রমের গান” বইটির মতো এক সর্বার্থে ব্যতিক্রমী গ্রন্থ প্রকাশ করে ‘তবুও প্রয়াস’ প্রকাশনা সংস্থা নিশ্চিতভাবে এক ধন্যবাদার্হ কাজ করেছেন। বইতে উল্লিখিত সকল নারীগানের গবেষক, সংগ্রাহক, রচয়িত্রী, গায়িকাদের কাছে পাঠকদেরও ঋণের শেষ নেই। সর্বোপরি রয়েছেন লেখিকা চন্দ্রা মুখোপাধায় স্বয়ং। কোনওরকম প্রাতিষ্ঠানিক সহায়তা বিনে এত দশক ধরে এগিয়ে চলা তাঁর নিরবিচ্ছিন্ন মহতী প্রয়াসের মূল্যায়ন কোনও পুরস্কার-সম্মাননা-ধন্যবাদজ্ঞাপন বা কৃতজ্ঞতা স্বীকারের মাধ্যমেই বাঙালির পক্ষে কি করে ওঠা সম্ভব? বইয়ের শেষ ক’লাইনে এক উদ্বাস্তু পল্লীর ঘরোয়া গান সমাবেশে আগত বর্ষীয়ান মহিলাদের প্রণাম জানিয়ে লেখিকা লেখেন, “নানা উদ্বাস্তু পল্লীর বয়োজ্যেষ্ঠা মহিলারা একে একে নিজেরাই এসে জড়ো হয়েছেন, ফেলে আসা দেশের গানের সুরে সুর মেলাবেন বলে…”। কেবলই কি তাঁরা বা তাঁদের মতো আরো অনেকেই আমাদের প্রনম্যা? তাঁদের গানজীবনের কথা যিনি নিজের গোটাজীবন দিয়ে আমাদের কাছে এনে দিলেন, সেই মানুষটির কাছে “কতটা প্রণত হলে” তাঁর অতিক্রান্ত পথের একটু ধুলো মাথায় ছোঁয়াতে পারা যাবে, সত্যিই জানা নেই আমার! বাঙালি নারীর শ্রমগানের নিমগ্ন গবেষক, স্বপ্নদর্শী লেখিকা, সহজ সুরের সাধিকা চন্দ্রা মুখোপাধ্যায়কে তাঁর তুচ্ছ এক পাঠিকার সশ্রদ্ধ প্রণাম।