বামপন্থা ও গণতন্ত্রের কথোপকথন
[শিল্প]
দেওয়ালের দিকে একদৃষ্টে তাকিয়ে আছে সুমনা। না কিছুই মনে হচ্ছে না। তাকাতে তাকাতে চোখ ব্যথা করে। বিরক্তি আসে। রাগ হয়। এ কিরে বাবা গতকালকেই তো তিনটে হয়েছিল। আজ আর নেই। বেমালুম নেই। খাট থেকে পৃথুলা শরীরটাকে বেশ কষ্ট করে নামান সুমনা। কোমরের অস্ট্রিওআর্থারাইটিসের ব্যথাটা আবার বেশ জানান দিচ্ছে। এখন আর ডাক্তারের কাছে যান না। ঐ পুরনো প্রেস্ক্রিপশনের ওষুধগুলো কিনে আনে আর লাবণ্যকে ডেকে কিছু দিন ফিজিওথেরাপি করিয়ে নেয়। বেশ আরাম হয়। মেয়েটা বলে, “মাসীমা তুমি মাঝে মাঝে ফিজিওথেরাপিটা করালে পারো তো, তাতে ব্যথাটা আয়ত্তের ভেতরে থাকে”। কিন্তু ব্যথাতে কাতর না হলে কে কবে তার মূল্য বুঝেছে! তবে স্বভাব কৃপণ সুমনার কাছে ব্যাঙ্কের মূলধনে টান পড়াটাও একটা ইস্যু। স্বামীর রেখে যাওয়া প্রফিডেন্ট ফান্ড আর গ্রাচুইটি বাবদ কিছু টাকা ব্যাঙ্কে মূলধন হিসেবে আছে আর তার পেনশন। মূলধনে ভুলেও হাত ছোঁয়ান না সুমনা। বরং পেনশন থেকে কিছু টাকা সেভিংসে সঞ্চয় করেন। একমাত্র মেয়ে তার এই কৃপণ স্বভাবের জন্য তিতিবিরক্ত হয়ে কমতে কমতে এখন সুতোর মতো সম্পর্ক রাখে। না রেখে কি করবে কোনও সময় হাত থেকে জল গলে না। এমনকি পুজোর সময় পর্যন্ত সাড়ে তিন হাজার টাকা ধরিয়ে দেয়। এখন কি আকাঁড়া বাজার অথচ উনি সেই পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার মতো সাড়ে তিন হাজার টাকা থেকে আর উঠছেনই না। যেন একেবারে ফিক্সড ডিপোজিট। ওর ভেতর বুলটি, জামাই আর নাতি পাপু সবার টাকা আছে। ভূভারতে কেউ কখনও শুনেছে জামাই ষষ্ঠীতে জামাইকে শাশুড়িমা লুঙ্গি দেয়! কিন্তু সুমনা দেন। একদিন বুলটির সঙ্গে পরিমলের বাজার করা নিয়ে ঝগড়া হতে শান্ত স্বভাবের মুখচোরা পরিমল দাঁতমুখ খিঁচিয়ে, অঙ্গভঙ্গি করে বলেছিল, “তোমার মা যে প্রতি জামাইষষ্ঠীতে আমাকে লুঙ্গি দেয় তা আমি কি লুঙ্গি পরে লুঙ্গি ড্যান্স করবো?” বুলটি ঠিক যতটা ফোঁস করেছিল ততটাই ফণা নামিয়ে গর্তে সেঁধিয়ে যায়। উল্টে পরিমলের জন্য আদা চা করে আনে। আর সব রাগ গিয়ে পড়ে ঐ নিরীহ বস্ত্রখণ্ডগুলোর উপর। আলমারি থেকে যে কটা ছিল নামিয়ে ন্যাতা, পাপোস, জানলার গ্রীল মোছা বানিয়েও বাকিগুলো কাজের মাসিকে দিয়ে দেয়। স্বামীকে খুব আদুরে গলায় বলে, “শোনো, আজ থেকে তুমি আর লুঙ্গি পরবে না। পাজামা, ফতুয়াতে তোমাকে খুব ইন্টেলেকচুয়াল দেখায়। তুমি তাই পরবে। আমি আজকেই তোমার জন্য আরও কতগুলো ফতুয়া আর পাজামা কিনে এনে দেবো”। ঝগড়া হলে সাধারণত পরিমলকেই মেটাতে হয় আজ উল্টো সুরে গান বাজছে দেখে পরিমল অবাক হলেও খুশি হয়। মা’কে ফোন করে বুলটি বেশ কড়া গলায় বলে দেয়, “তুমি জামাইষষ্ঠীতে আর কখনও ওকে লুঙ্গি দেবে না”। সুমনার এতে কোনও হেলদোল হয় না। বাড়ি ডেকে জামাইষষ্ঠীর পাট অনেক দিনই চুকিয়ে দিয়েছে। ঐ একটা লুঙ্গির মাধ্যমে সেটা বজায় ছিল। সেটাও গেল বলে মনে মনে শান্তি পেলেন সুমনা। লুঙ্গি বাবদ টাকাটা পেল্লাই এক মাটির ঘটে খুচরো পয়সা করে ভরে রাখতে শুরু করেন। আর এই ঘটনাটাতে বুলটি আরও ক্ষেপে গিয়ে পরিমলের দিকে ঢলে পড়ে। পরিমল অবশ্য মনে মনে লুঙ্গিকে ধন্যবাদ জানায়। বারবার ফিসফিস করে উচ্চারণ করে, “জয় লুঙ্গি বাবার জয়”।
দীর্ঘদিন একা থাকেন সুমনা। খুব ঠেকে না গেলে তার কখনও অসুবিধা হয়েছে বলে কেউ শোনেনি। আর তার ঐ একমাত্র অস্ট্রিওআর্থারাইটিসের দাহ ছাড়া কেউ তাকে কাবু করতে পারে না। আর এই থাকাটা তার ভেতরে এমন ভাবে চাড়িয়ে গেছে যে কেউ এসে দু’রাত থাকলে তিনি যেন হাঁপিয়ে ওঠেন। সারাক্ষণ মনে হয়, “কতক্ষণে এই আপদ বিদায় হবে!” এমনকি এখন মেয়ের ক্ষেত্রেও মনে হয়। আর এই মনে হওয়াটা নিয়ে সুমনার মধ্যে বিন্দুমাত্র অপরাধ বোধ নেই। আরে বাবা এত কষ্টে তার বানানো গোলাপ গাছের কুড়িগুলো যদি পাপু পটাপট ছেঁড়ে, ফুলের পাপড়িগুলো চারদিকে ছড়িয়ে রাখে কার সহ্য হয়। হোক নাতি তা বলে মাথায় তুলে নিয়ে নাচতে হবে নাকি! নাতি আছো নাতির জায়গায়। বছর দুই আগে সুমনার অনেক সাধের রেড ভেলভেট গোলাপ গাছটার দফারফা করেছিল পাপু। সুমনা পরিষ্কার মেয়েকে বলে, “তোরা ছেলেকে মানুষ করতে পারিসনি। অসভ্য তৈরি হচ্ছে”। মায়ের মুখে এমন কথাতে বুলটি যত না কষ্ট পেয়েছিল তার থেকে বেশি অবাক হয়েছিল। সাত বছরের ছেলের গালে ঠাস ঠাস করে দুই চড় লাগিয়ে ছেলে মানুষ করা কাকে বলে মা’কে দেখিয়ে ছিল। তবে এক সপ্তাহ থাকবে বলে এসে দু’ দিনের মাথাতেই সেই বিকেলে ফিরে গিয়েছিল। পরিমলকে বলেছিল, “ভেবে দেখলাম, অতদিন থাকলে পাপুর পড়াশোনার ক্ষতি হবে”। বুলটির এমন বিচক্ষণতায় পরিমল যৎপরোনাস্তি খুশি হয়।
প্রেশার, সুগার, কোলেস্টরল কোনও উৎপাতই সুমনার এ বয়স পর্যন্ত নেই। জ্বরজারিও খুব একটা হয় না। ঐ সকালবেলা ফুল তোলার বাতিক, শীতকালে একটু কাবু করে দেয়। তখন ঠান্ডা লেগে যায়। জ্বর হয়। তবে সহজে ডাক্তারখানাতে যান না তিনি। গেলেই তো গুচ্ছের খরচ। আর ডাক্তাররাও হয়েছে তেমন, গেলে পরেই এই টেস্ট আর সেই টেস্ট করো লিখে দেবে। যত্তসব। আর সব একেবারে গলাকাটা ফীস। বেশিরভাগ টোটকাতেই সেরে যায় জ্বর। আর মুখের রুচি ফেরানোর জন্য উঠোন জুড়ে শিউলিফুলের গাছটা কি করতে আছে! চালের গুঁড়ো দিয়ে বড়া করে খেলেই ক’দিন মুখের তেতো ভাব কোথায় চলে যায়। সুমনার এ হেন স্বভাবের জন্য এলাকাতে যে তাকে যা বলেই ডাকে তার সামনে কিপটে শব্দটা যোগ হয়ে গেছে। এই যেমন কিপ্টে পিসি, কিপ্টে মাসি, কিপ্টে দিদা, কিপ্টে ঠাকুমা নামটা ক্রমশ ছড়িয়ে যাচ্ছে। এটা যে তার কানে আসেনি তা না। কিন্তু দৃঢ়চেতা স্বভাবের সুমনার এতে কিচ্ছু যায় আসে না। কিন্তু সেদিন যখন কতগুলো কমবয়সি ছেলেমেয়ে ভূদেববাবুর কাছ থেকে পড়ে ফেরার পথে সুমনার বাড়ির সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় গলা তুলে, “কিপটে বুড়ি” বলে চেঁচায় তিনি বেজায় চটে যান। কিপ্টে শব্দটাকে তিনি বেশ আদর করেই মেনে নিয়েছিলেন কিন্তু তার সঙ্গে বুড়ি শব্দটাতে তাকে মা বগলা বানিয়ে দেয়। সোজা ভূদেব স্যারের বাড়ি গিয়ে নালিশ ঠোকেন। ভূদেব স্যার তাকে কথা দেয়, তার ছেলেমেয়েরা এমনটা আর করবে না। সুমনাকে অনেক দিন ধরে চেনেন ভূদেব স্যার তাই বৌকে বলেন, “জেঠিমাকে গাছের পাকা পেঁপে কেটে দাও”। সুমনা খুব সন্তুষ্ট মনে পাকা পেঁপে খান। ওনার বাড়ি পেঁপের গাছ দুটো গত বছরের ঝড় ফণিতে উপরে পড়ে গেছে বলে আক্ষেপ করেন। ভূদেব স্যারের বৌকে বলেন, “দাও তো বৌমা, কতগুলো দানা। বাড়িতে গিয়ে ছড়িয়ে দেই। ভাল জাতের পেঁপে”। ভূদেব স্যারের বৌ ডাস্টবিনের বালতি ঘেঁটে পেঁপের দানা বের করে কাগজে মুড়িয়ে দিয়ে হেসে বলে, “এই নিন জেঠিমা”। আর মনে মনে দাঁত কিড়মিড় করে বলে, “কিপ্টে বুড়ি”।
ক্রমশ এই নামটা ছড়িয়ে যেতে থাকে। এক পাড়া থেকে আর এক পাড়া। আর বাড়ির সামনে দিয়ে কে যে কখন “কিপ্টে বুড়ি” বলে চলে যাচ্ছে তা আর গোনা যাচ্ছে না। শেষ পর্যন্ত সুমনা একটা লাঠি রাখতে বাধ্য হন। শব্দটা শুনলেই তেড়ে যান লাঠি নিয়ে। কিন্তু ততক্ষণে সে পগারপার। আর না পেরে তিনি ক্লাবে জানান। কিন্তু ক্লাবের ছেলেরা ব্যাপারটাকে আমলই দেয় না। যা তিনি কখনই করেন না সেই কাজটাই করে ফেলেন। মেয়েকে ফোন করে ঝরঝর করে কেঁদে ফেলেন ফোনে। খুব অনুযোগের সুরে বলেন, “জানিস আমাকে এখানে সবাই কিপ্টে বুড়ি বলছে”। বুলটি মুখে কিছু না বললেও মনে মনে বলে, “ঠিকই তো বলছে”। কিন্তু মা’কে উদাস ভাবে জানায়, “তা এতদূর থেকে আমি কি করবো বলো? তেমন হলে তুমি বরং পুলিসে যাও”। কথাটা যে মায়ের মনে এত ধরবে তা ঘুণাক্ষরেও বুলটি বোঝেনি। সত্যি সত্যি একদিন সুমনা রীতিমত টোটো রিজার্ভ করে থানাতে গিয়ে হাজির হন। বয়স্ক মানুষ দেখে পুলিস বেশ সহযোগিতা করে আইসির ঘরে ডেকে আনে। আইসি তখন একটা মার্ডার কেস নিয়ে হাবুডুবু খাচ্ছে। তবু বেশ রুচিসম্মত পোশাক পরা সুমনাকে দেখে বলে, “বলুন মাসীমা কী সমস্যা? ছেলে দেখে না?” সুমনা আইসির ঘরটার চারদিকে তাকান। এই প্রথম তিনি থানাতে এসেছেন। তাই একটু ভাল করে দেখছেন। হঠাৎ নজরে পড়ে দেওয়ালের গায়ে লটকানো ক্যালেন্ডারটাতে দু মাস আগের পাতাটাই লতপত করছে। সুমনা আইসিকে বলেন, “ক্যালেন্ডারের পাতাটা বদলে দেবে তো”। বলে নিজেই পাতা ওল্টানোর জন্য উঠে দাঁড়ান। একজন কনস্টেবল হাইহাই করে ওঠে, “আপনি বসুন, আপনি বসুন। আপনার কী দরকার স্যারকে বলুন”। কনস্টেবল ক্যালেন্ডারের পাতা উল্টে দেয়। আইসির চোখেমুখে বিরক্তির ভাব স্পষ্ট। কোনও ভনিতা না করে সুমনা বলতে শুরু করে, “আমাকে সবাই কিপ্টে বলছে। কিপ্টে বুড়ি, কিপ্টে পিসি, কিপ্টে মাসি, কিপ্টে ঠাকুমা, কিপ্টে দিদা। এতে আমার মনের শান্তি নষ্ট হচ্ছে। রাতদিন মনে হচ্ছে কে যেন আমার কানের কাছে ঢোল পেটাচ্ছে, কিপ্টে, কিপ্টে”। আইসির মুখ থেকে ফস করে বেরিয়ে আসে, “আপনি কি সত্যি কিপ্টে?” রেগে ওঠেন সুমনা, “হিসেবি হওয়া আর কিপ্টে কি এক?” আইসি কনস্টেবলকে ইশারা করে। কনস্টেবল বলে, “আসুন মাসীমা, স্যার শুনেছেন একটা ব্যবস্থা হবে”।
সুমনা খুব খুশি মনে বাড়ি চলে আসেন। কিন্তু কিভাবে যেন রটে যায় তিনি থানাতে নালিশ জানাতে গিয়েছিলেন। আর তারপর থেকে শুধু ছেলে ছোকরার দল না বড়রাও বলতে শুরু করে। রীতিমত সুমনাকে নিয়ে ছড়া বাঁধা হয় -
“কিপ্টে মাসি কিপ্টে পিসি
ফোকলা দাঁতে কিসের হাসি
কিপ্টে বুড়ি, থুরি থুরি
খায় কেবল জল মুড়ি
কিপ্টে দিদা, কিপ্টে ঠাকমা
চোখে পরে কালো চশমা
এইবেলা ট্যাঁক খোলো
নতুবা তোমার সব গেলো”।
অদ্ভুত ভাবে সুমনা কেমন চুপ করে গেছেন। কিপ্টে ডাকে আর লাঠিশোঁটা নিয়ে তেড়ে যান না। নিজের মনে বিড়বিড় করে সকলের শাপ শাপান্তও করেন না। গাছের পেয়ারা গুনে রাখেন না। সকাল বেলা ফুল চুরি হলে পাড়া মাথায় তোলেন না। এমন বদলে সবাই ভাবে বুড়ি বেশ জব্দ হয়েছে। বুড়িকে আরও জব্দ করার জন্য কি করা যায় ভাবতে ভাবতে কারা যেন অভিনব এক উপায় বের করে। একদিন সকালে ফুল তুলতে উঠে সুমনা দেখেন, তার ঘরের বাইরের দেওয়াল, পাঁচিল জুড়ে অপটু হাতে তার ছবি এঁকে কিপ্টে বিশেষণে ভূষিত করা। পাশের বাড়ির নির্মল এসে বলে, “কাকিমা একবার চুনকাম করিয়ে নাও”। সুমনা হেসে বলেন, “না থাক”। নির্মল ঘরে এসে বৌকে বলে, “সত্যি কিপ্টে”।
সুমনা আজকাল ভূদেব স্যারের বাড়ি থেকে আনা পেঁপের দানা ছড়িয়ে যে গাছ দুটো জন্মেছে, মায়া ভরা চোখে দেখেন। শিশু গাছ দুটো বাতাস হলে যেন হাত পা নেড়ে খেলা করে। বুলটিকেও একদিন ফোন করে বলেন, “তোদের খুব দেখতে ইচ্ছা করছে। এবার পুজোতে পাঁচ হাজার টাকা দেব। আলমারিতে রেখে দিয়েছি। পরিমলকে জামাইষষ্ঠীতে জামা প্যান্টের পিসও আলমারিতে কিনে রেখেছি”।
ঠিকে কাজের বৌটা এসে ভেতর থেকে দরজা বন্ধ দেখে ভাবে, বুড়ির বোধ হয় শরীর-টরির খারাপ। নতুবা তো কাকভোরে ওঠে। অনেকক্ষণ ধরে দরজা পিটিয়ে, ডেকে সাড়া না পেয়ে ভয় পেয়ে যায়। পাশের বাড়ি থেকে জীবনকে ডেকে আনে। জীবনও প্রথমে ডাকাডাকি করে। তারপর বলে, “দরজা ভাঙতে হবে”।
ঘরে ঢুকে সবাই আঁতকে ওঠে। সুমনা সিলিং ফ্যানে কাপড় গলায় বেঁধে ঝুলছেন। মেঝেতে চেয়ার একটা উল্টে পড়ে আছে। খাটের উপর দুটো উইল। একটাতে বুলটির নাম লেখা। সুমনার সম্পত্তির অর্ধেকটা দানপত্র করা আর বাকিটা সুমনাদের শহরে “আলোর দিশা” নামে যে অনাথ আশ্রমটা আছে তাদেরকে। এই প্রথম সকলের সুমনাকে কারও আর কিপ্টে ভাবতে বা বলতে ইচ্ছা করে না।