বামপন্থা ও গণতন্ত্রের কথোপকথন

[শিল্প]

[শিল্প]

প্রান্তরের গান, জাগরণের গান

সুশান্ত চট্টোপাধ্যায়

photo

তাঁর লেখা পড়তে পড়তে মনে হয় তিনি যেন আমাদের মুখোমুখি বসে আছেন আর শান্তশ্রীমন্ডিত প্রশান্ত মুখে আমাদের সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন, উস্কে দিচ্ছেন আমাদের শ্রেয়োবোধের চিন্তা চেতনাকে। তিনি গদর। অন্ধ্রপ্রদেশের জননাট্যমণ্ডলীর প্রাণপুরুষ। তাঁর প্রকৃত নাম গুমড়ি বিট্‌ঠল রাও। আমাদের সামনে খোলা তাঁর লেখা ‘সীমাহীন গানের খনি' যার মধ্যে তিনি উজাড় করে দিয়েছেন তার সমস্ত ভালোবাসা, বিশ্বাস, আর অভিজ্ঞতার এক অফুরন্ত ভান্ডার।
সত্তরের দশকে নকশালবাড়ি আন্দোলন সারা ভারতবর্ষ জুড়ে যে স্পন্দন সৃষ্টি করেছিল তারই অভিঘাতে সৃষ্টি হয়েছিল শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি ভাবনার এক প্রতিবাদী ধারা। পশ্চিমবঙ্গে চল্লিশের দশকের গণনাট্য সঙ্ঘের কথা মনে রেখেও বলা যায়, সত্তরের এই প্রতিবাদী শিল্প সংস্কৃতির ধারা ছিল স্বভাবত স্বতন্ত্র। অনুরাধা রায় তাঁর ‘চল্লিশের দশকের বাংলায় গণসঙ্গীত আন্দোলন' গ্রন্থে দেখিয়েছেন কীভাবে কমিউনিস্ট পার্টির শাখা সংগঠন হিসেবে ভারতীয় গণনাট্য সংঘের গানের স্কোয়াডগুলি গণআন্দোলনের শরিক হয়েছিল। কিন্তু গদরের বইটি পড়তে পড়তে এক ভিন্নতর অভিজ্ঞতার জগতে প্রবেশ করি আমরা, যাদের কাছে গদরের রাজনীতি, কাজের ক্ষেত্র এবং ভাষা অজানা। কিন্তু গদরের কথা শুনতে শুনতে আমাদের অভিজ্ঞতার জগৎ ধীরে ধীরে প্রসারিত হতে থাকে। গান কীভাবে হাতিয়ার হয়ে উঠতে পারে? গদর বলছেন ‘জননাট্যমণ্ডলীর সাংস্কৃতিক ওঠা-নামার যদি বিশ্লেষণ করা যায় তাহলে সব সময় অর্থাৎ আইনি খোলামেলার সময়ই হোক বা নিষেধের সময়ই হোক গান সব সময়ই হাতিয়ারের মতো আমাদের হাতে ছিল। গানের এই হাতিয়ার ব্যবহার করেই আমরা শত্রুর সব রকমের শিল্পরূপকে ল্যাজে গোবরে করে দিয়েছি। দীর্ঘকালীন যুদ্ধের সময় গানের হাতিয়ারের সাহায্যে শত্রুর উপর কিভাবে আক্রমণ চালিয়ে যাবেন, এ বিষয়ে সব সময় চিন্তা করা উচিত। প্রতিটি শহিদের রক্ত থেকে একটি রক্তিম গান লিখে প্রত্যেক ঘরে যদি পৌঁছে দেওয়া যায়, তাহলে এই গান শোক কমিয়ে আনবে। ধৈর্য এনে দেবে এবং সংগ্রামের গল্প বলবে। শহিদদের রক্ত যে ব্যর্থ হবে না গান এই ভরসা দেবে। শুধু এই নয়, সে এটাও বলবে যে আমি কেবল গানই নয়, শোকের বিরুদ্ধে তাক করা বন্ধুকের গুলি। জননাট্যমণ্ডলীর গান এই সত্য প্রমাণ করেছে। এই জন্যই বলছি গান আজ আমাদের শিল্পরূপ, আমাদের হাতিয়ার।’
গান আর কবিতা কীভাবে হাতিয়ার হয়ে উঠেছিল সত্তরের দশকে তার একটি বিবরণ পাই সুমন্ত বন্দ্যোপাধ্যায়ের Thema Book of Naxalite Poetry গ্রন্থে। তিনি লিখছেন The political events of those turbulent decades of the 1960s and 1970s—the shooting down of young revolutionaries in the streets of Calcutta, the latter's retaliation against police, the pitched battles in the countryside of Andhra Pradesh, Bihar, Orissa and Punjab the killings of police custody and the jail-breaks—have so engrossed the attention of posterity, that it is necessary to remind people that hand in hand with those political happenings there flourished a rich crop of literature poems and songs composed by participants themselves as well as sympathetic observers, some published in obsure little magazines, many remembered by word of mouth and still sung in villages. To understand India today, it is essential to listen to these poets—both middle class writers of the cities and the more earthly poets of the villages'. (১৯৬০ এবং ১৯৭০ এর অশান্ত দশকের রাজনৈতিক ঘটনাবলি - তরুণ বিপ্লবীদের রাস্তায় গুলি করে হত‍্যা - পরবর্তী সময়ে পুলিশের বিরুদ্ধে প্রত‍্যাঘাত সৃষ্টি করেছিল। অন্ধ্রপ্রদেশ, বিহার,উড়িষ্যা, ও পাঞ্জাবে সংগঠিত লড়াই সংগ্রাম - পুলিশ কাস্টডিতে হত‍্যা এবং জেলগারদ ভাঙা উত্তর প্রজন্মকে বিভোর করে রেখেছিল। হাতে হাত মিলিয়ে জনসাধারণের মধ‍্যে এইসব রাজনৈতিক ঘটনাবলিকে ছড়িয়ে দেবার তাগিদ থেকে সাহিত্যের প্রচুর ফসল ফলেছিলো সেসময়। যারা সক্রিয়ভাবে এই আন্দোলনে জড়িত ছিলেন এবং যারা তাদের সমর্থক তাদের লেখা কবিতা ও গান হারিয়ে যাওয়া অনেক লিটল ম‍্যাগাজিনে প্রকাশিত হয়েছিল বা গ্রামে গ্রামে মুখে মুখে ছড়িয়ে গিয়েছিল। আজকের ভারতবর্ষকে জানার জন‍্য এইসব কবিদের - শহুরে মধ‍্যবিত্ত লেখকদের এবং মাটির কাছাকাছি থাকা কবিদের লেখাগুলি অনুধাবন করা দরকার।) সুমন্ত বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই ক্ষীণতনু গ্রন্থে ইংরেজি অনুবাদে আমরা পেয়েছিলাম এমনই কিছু গান আর কবিতার ইংরেজি অনুবাদ। সুব্বারাও পাণিগ্রাহী, চেরবান্দারাজু, শ্রীরঙ্গম শ্রীনিবাস রাও (শ্রীশ্রী), পি. ভারভারা রাও, সচ্চিদানন্দ, কে. জি. শঙ্কর পিল্লাই প্রমুখের কবিতার অনুবাদ। এরই পাশাপাশি মনে পড়ছে আরও একটি সংকলনের কথা Voices of Emergency (An All India Anthology of Protest Poetry of the 1975-77 Emergency)। কিন্তু বাংলা ভাষায় যখন চেরবান্দারাজুর ‘ঢেউয়ে ঢেউয়ে তলোয়ার' কবিতা সংকলনটি প্রকাশিত হল এবং ‘আমাদের যেতে হবে' কবিতাটির সঙ্গীতরূপ পরিবেশন করলেন প্রবীণ শিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায় তখন আমাদের চেতনার ভিতরে রূপান্তর ঘটে গেল এবং আমরা অনুধাবন করতে পারলাম হেমাঙ্গ বিশ্বাস, সলিল চৌধুরী, বিনয় রায় প্রমুখের ধারার বাইরে এই গানের স্বাতন্ত্র্য্য।
গদরের এই বই আমাদের সঙ্গে অনর্গল কথা বলে যায়। আমাদের নিভৃতচারী প্রশ্নের উত্তরও দিয়ে চলে সহজে। গদর বলছেন ‘মনে করুন, কোনও বাদ্যযন্ত্র আমরা বাজাতে জানি না বা কোন বাদ্যযন্ত্র পাওয়া যাচ্ছে না। তখন হাততালিই হবে আমাদের বাজনা।' কথা বলতে বলতে গদর একটি আশ্চর্য উচ্চারণ করেন, বলেন—‘গান জীবনের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে থাকা এক শিল্প। মানুষের দুঃখে সুখে, অশ্রুতে কাজ করার সময়, বিশ্রামের সময় গান তাকে সাহায্য করে। তার জন্য কোন মঞ্চের প্রয়োজন হয় না। . . . ক্ষেতে কাজ করার সময়ের গান, হাল বাঁধার গান, লাঙ্গল চালানোর গান, বীজ ছড়ানোর গান, ধান পোঁতার গান, ফসল কাটার গান, বোঝা বাঁধার গান, বোঝা তুলে নিয়ে যাওয়ার গান, ঝাড়াইয়ের সময়ের গান, গাড়িতে বোঝাই-এর সময়, নতুন চালের সময় নবান্নের গান, নৈবেদ্য দেওয়ার গান। এইভাবে গান এগোয়।’
তাঁর অন্তর্ভেদী অবলোকন আমাদের মনে পড়িয়ে দেয় মার্কসবাদী নন্দনতাত্ত্বিক জর্জ টমসনের কথা : A labour song or work song is a directive accompaniment to some manual labour, collective or individual, such as rowing, heaving, hauling, reaping, spinning, etc. It falls into two parts-refrain and improvisation... (শ্রমের গান আসলে কায়িক শ্রমের ক্ষেত্রে উদ্দীপক যন্ত্রানুষঙ্গের সহযোগের মতো - সঙ্ঘবদ্ধ বা একক - যেমন বৈঠা বাওয়া, দড়ি ধরে টান মেরে ভারী কিছু তোলা, জাল টেনে মাছ ধরা, ধান বোনা, তাঁত বোনা ইত‍্যাদি...) গদরের এই অনুভবের সঙ্গে আমরা সাদৃশ্য খুঁজে পাই রবীন্দ্রনাথের। ‘রক্তকরবী' নাটকে ঠিক একইভাবে জীবনের সঙ্গে, শ্রমের সঙ্গে, ভালোবাসার সঙ্গে গভীরভাবে লগ্ন হয়ে আছে গান।
শিল্প-সাহিত্যে পেটি বুর্জোয়া শ্রেণীর ভূমিকা কী হবে বা তাদের জন্য কী গান লেখা হবে— এই সব আপাত জটিল এবং বহু বিতর্কিত বিষয় নিয়ে গদরের অনুভবী উচ্চারণ: ‘নকশালবাড়ির সংগ্রাম থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত বহু পেটি বুর্জোয়া ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করতে করতে জীবন উৎসর্গ করেছেন। এই অংশের উপর লেখা গান খুব কম। এই অংশ থেকে আসা লোকেরাও কৃষক শ্রমিকদের উপরই গান লেখেন। কিন্তু নিজেদের শ্রেণীর বা নিজেদের জীবন নিয়ে ভালো গান লিখতে পারেননি। এই অংশের উপর অন্য সাহিত্যিক আঙ্গিকে লেখা হয়েছে কিন্তু তত ভালো গান লেখা হয়নি। এই দূরত্ব দূর করতে হবে। এই শ্রেণী থেকে আসা লেখকদের দিয়ে গান লেখানোর চেষ্টা করতে হবে।’ ভাবলে বিস্মিত হতে হয় যে, এই জরুরি অথচ বিতর্কিত বিষয়টি নিয়ে কী গভীরভাবে আত্মানুসন্ধান করেছেন তিনি। কোনও বিতর্কিত বিষয় থেকে তিনি সরে যান না, বরঞ্চ অত্যন্ত স্পষ্টভাবে তীক্ষ্ণ বিশ্লেষণের মাধ্যমে তিনি তাঁর বক্তব্যকে প্রতিষ্ঠিত করেন। জননাট্যমণ্ডলীর সিনেমায় অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য বিশেষভাবে প্রণিধানযোগ্য। তিনি স্বীকার করে নেন ‘সিনেমা একটি অত্যন্ত শক্তিশালী শিল্পরূপ এবং শোষক শ্রেণীর অধীনে কাজ করে চলেছে’। কিন্তু জননাট্যমণ্ডলীর সিনেমায় অংশগ্রহণের বিতর্কের জবাবে তিনি জানান:
১। আমরা যে সিনেমায় অংশগ্রহণ করব, প্রথমে তার স্ক্রিপ্ট দেখা দরকার।
২। সেই সিনেমার সঙ্গে আমাদের পরোপুরি জড়িয়ে যাওয়া ঠিক নয়, গান পর্যন্তই নিজেদের সীমিত থাকা দরকার
৩। জননাট্যমণ্ডলীর ব্যানারের নিচে তার প্রদর্শন হওয়া উচিত নয়।
লোকগীতির কাছাকাছি লেখা হিন্দি সিনেমার গানের সুর কীভাবে জননাট্যমণ্ডলীর গান উঠেছে তারও উদাহরণ দিয়েছেন গদর:
হম কালে হ্যায় তো ক্যা হুয়া
দিলওয়ালে হ্যায়
হম তেরে তেরে তেরে
চাহ নেওয়ালে হ্যায়
এই গানটির অনুসরণে জননাট্যমণ্ডলীর গান
সত্যকে জানো রে আমার মজুর ভাই
তুমি কোমর বেঁধে চলতে থাক আমার কিষাণ ভাই
ভগবানকে বানিয়েছ তুমি ভাই আমার
মন্দিরে রেখেছ তুমি ভাই আমার
ভগবানের জন্যে মন্দিরে যখন গেলে ভাই আমার
তোমাকে মন্দিরে ঢুকতে দিল না ভাই আমার।
লক্ষ করবার বিষয় এটাই যে হিন্দি চলচ্চিত্রের লোকসুরে নির্মিত ভালোবাসার গান জননাট্যমণ্ডলীর গানে সত্যকে অনাবৃত করার গানে রূপান্তরিত হয়েছে। এরই পাশাপাশি গদর গভীর নিষ্ঠায় বিন্যস্ত করেছেন বুর্জোয়া গান আর জনগণের গানে বৈশিষ্ট্যগুলি। বুর্জোয়া গানে (১) প্রথমে আসে সুর (২) এরপর তাল বাজে (৩) গায়ক তার সঙ্গে মিলিত হয় (৪) শেষে বিষয় আসে। আর জনগণের গানে (১) সুর-তাল বা তাল-সুর একই সঙ্গে আসে (২) পরে বিষয় আসে।
অন্ধ্রপ্রদেশের জননাট্যমণ্ডলীর প্রাণপুরুষ গদর, যার প্রকৃত নাম গুমড়ি বিট্‌ঠল রাও জন্মেছিলেন অন্ধ্রপ্রদেশের মেদক জেলার তুপরান গ্রামে। তাঁর ক্ষেতমজুর মা আর রাজমিস্ত্রির সন্তান ছিলেন তিনি। তাঁর বাবা আম্বেদকরবাদী ছিলেন। পড়াশোনায় ভালো ছাত্র গদর ১৯৬৭ সালে ওসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সুযোগ পান। আর ওই সময়ই নকশালবাড়ির স্ফুলিঙ্গ থেকে দাবানল ছড়িয়ে পড়ে দিকে দিকে, শ্রীকাকুলামে তা ছড়িয়ে পড়ল। গদর তাঁর মুক্তির পথ খুঁজে পেলেন। ১৯৬৮ সালে সিকান্দারাবাদের চলচ্চিত্র নির্মাতা নির্দেশক নরসিংহ রাও ‘আর্ট লাভার্স’ নামে শিল্পী ও বুদ্ধিজীবীদের একটি সংস্থা গঠন করেন। এই নরসিংহ রাও গৌতম ঘোষের পরিচালনায় 'মা ভূমি' নামে তেলেঙ্গানার কৃষক আন্দোলনের উপর একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। গদর তাতে সঙ্গীত পরিবেশন করেন। ১৯৭৩ সালে জননাট্যমণ্ডলীর জন্ম হয়। সেই থেকে জননাট্যমণ্ডলী আর গদর সমার্থক হয়ে গেছে। কানাড়া ব্যাঙ্কের করণিক হিসেবে ১৯৭৫ সালে যোগ দিয়েও শেষ পর্যন্ত ১৯৮৪ সালে চাকরি ছেড়ে দেন। ভারভারা রাও গদর সম্পর্কে একটি রচনায় ১৯৮৬ সালে স্ত্রী বিমলাকে পদ্যে লেখা একটি চিঠির উল্লেখ করেছেন যা আমাদের প্রতি মুহূর্তের বাস্তবতাকে মূর্ত করে তুলেছে : কিন্তু/না, এই নীরবতা থাকবে না চিরকাল/মেঘের আড়ালে সূর্য/ছাইচাপা আগুনের বল/এ এক ঘুমন্ত সাগর/সময় হলে/অই আগুন আর সমুদ্র/ঢেউয়ে ঢেউয়ে হবে তলোয়ার’—।
রাজনৈতিক ইতিহাসের বিশ্লেষকরা অনেকেই গদরকে মনে করেন শেখ নজরের যোগ্য উত্তরসূরী। শেখ নজর অন্ধ্রপ্রদেশে বামপন্থী আদর্শের বীজ বপন করেছিলেন। কিন্ত গদর অতিবামপন্থী আদর্শে বিশ্বাসী হয়ে পড়েন। মহারাষ্ট্র, বিহার, ওড়িশা, ঝাড়খন্ডে ও পশ্চিমবঙ্গেও গদর তাঁর কাজের ছাপ রেখেছেন।
২০০৪-এ অন্ধ্র সরকারের সঙ্গে নকশালপন্থীদের আলোচনায় জনযুদ্ধ গোষ্ঠীর দূত হয়ে কাজ করেছিলেন গদর, ভারভারা রাও ও কল্যাণ রাও। তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রের দাবিতেও তাঁর ভূমিকা ছিল। জীবনের শেষপর্বে অবশ্য বিপ্লবের পথে আর আস্থা রাখতে পারেননি গদর। ২০১৮-তে জীবনে প্রথমবার ভোট দেন। নতুন দল গঠনের কথাও ঘোষণা করেন। ২০২৩-এর ৩ অগস্ট ৭৪ বছর বয়সে তাঁর প্রয়াণ। কিন্তু আমাদের কাছে গদর মানে জেগে থাকা, জেগে ওঠার গান, জাগরণের গান।

Copyright © 2021 - 2022 Shramajeebee Bhasha. All Rights Reserved.