বামপন্থা ও গণতন্ত্রের কথোপকথন

[সম্পাদকীয়]

[সম্পাদকীয়]

ফিরে যেতে হবে মূলত রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত অর্থনীতির রাস্তায়

ফিরে যেতে হবে মূলত রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত অর্থনীতির রাস্তায়

সম্পাদকীয়, ১৬ এপ্রিল, ২০২০

photo

দিনমজুরের কাজ করতেন মঞ্জু যাদব। লকডাউনে রোজগার বন্ধ। পাঁচটি বাচ্চার মুখে খাবার তুলে দিতে না পারার হতাশায় তাদের গঙ্গায় ছুড়ে ফেলে দিলেন তিনি। মর্মান্তিক এই ঘটনা ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের ভাদোহির জাহাঙ্গিরাবাদ গ্রামে। ১১ বছরের রাহুল মুসাহরের কথা আমরা আগেই জেনেছি। বিহারের ভোজপুরের এই কিশোর লকডাউনে অনাহারে মারা গেছে। সে তার বাবার সঙ্গে ছাঁট সংগ্রহের কাজ করত। এই মূহুর্তে এই দেশ সহ সারা বিশ্বের শ্রমজীবী জনতা সবচেয়ে বিপদের মুখে। যাদের অক্লান্ত মেহনত সভ্যতাকে সচল রাখে, এগিয়ে নিয়ে যায়— তারা আজ সব থেকে বিপন্ন। এই দেশের ৪৫ কোটিরও বেশি শ্রমশক্তির ৯৩ শতাংশ অসংগঠিত ইনফর্মাল ক্ষেত্রে কাজ করেন। দেশের মাত্র ৭ শতাংশ শ্রমশক্তি সংগঠিত সরকারি-বেসরকারি ক্ষেত্রে কাজের মহার্ঘ্য সুযোগের অধিকারি— যাদের রয়েছে মাস মাইনে, বেতন কাঠামো, সবেতন ছুটি, মেডিকেল ফেসিলিটি, প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্র্যাচুইটি, পেনশন আরও অনেক কিছু। যাদের একটা অংশ লকডাউনে ঘরে বন্দি থেকেই কম্পিউটার-ল্যাপটপে কাজ চালিয়ে যেতে পারছেন এবং আর একটা অংশ এই সংকটকালে নিজেকে ও নিজের পরিবারকে বিপন্ন করে জরুরি পরিষেবা চালু রাখতে (অনেক ক্ষেত্রেই প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছাড়াই) ঘরের বাইরে দেশ ও জনগণের সেবায় ব্রতী। এরা কিন্তু কাজ করে বা না করে বেতন পাবেন। লকডাউনে কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দেশের অসংগঠিত শ্রমজীবী মানুষের রোজগার বন্ধ। হাজার হাজার পরিযায়ী শ্রমিক শিশু, পরিবার সহ শত শত মাইল ভুখা পেটে পায়ে হেঁটে গ্রামে ফিরছেন বা ফেরার চেষ্টা করছেন। রাজধানী দিল্লি, সুরাত, বান্দ্রা সহ বিভিন্ন শহর থেকে সহায়-সম্বলহীন এই শ্রমশক্তির মর্মান্তিক প্রত্যাবর্তন আমাদের মনকে বেদনাতুর করেছে। দেশের অসংগঠিত শ্রমশক্তির একটা বড় অংশ পরিযায়ী শ্রমিক। কৃষির সংকট ও নগরায়ণে কৃষি ও গ্রাম থেকে উচ্ছেদ হয়ে, এমন কি শিল্প থেকে উচ্ছেদ হয়ে লক্ষ লক্ষ মানুষ বড় শহরে, বহু দূরে ভিন রাজ্যে পাড়ি জমাচ্ছেন কাজের সন্ধানে— এরাই পরিযায়ী শ্রমিক। অসংগঠিত শ্রমশক্তির অপরাপর অংশের মতো এদেরও ছিল না কাজের নিশ্চয়তা, বেতন কাঠামো, সবেতন ছুটি বা মেডিকেল ফেসিলিটি ও অবসরকালীন নিরাপত্তা। মালিক, সরকার ও ঠিকাদারের প্রয়োজন ও মর্জিতে নিরাপত্তাহীন সস্তা শ্রমশক্তি হিসেবেই তারা নিয়োজিত। বিদেশ-বিভুইয়ে লকডাউনে সব থেকে বিপর্যস্ত অবস্থা এই পরিযায়ী শ্রমিকদের। উত্তরপ্রদেশের বেরিলিতে শিশু-বৃদ্ধ সহ শ্রমিকদের একটা দলকে রাসায়নিক ছিটিয়ে জীবাণুমুক্ত করার দৃশ্য দেখে আমরা শিউরে উঠেছি। আর যে অসংগঠিত শ্রমিকরা নিজ ভূমের কাছাকাছি কাজ করার মতো সৌভাগ্যের অধিকারি ঘরে ফেরার জন্য দীর্ঘ পথযাত্রা থেকে তারা রেহাই পেলেও তাদের জন্যেও অপেক্ষা করছে একই অন্ধকার ভবিষ্যত। কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায়, উপার্জন বন্ধ। হাতের সঞ্চয়ও শেষ। কি করে শিশু পরিবার নিয়ে বাঁচবেন? খাবেন কি? এদের কাছে খাবার পৌঁছে দেবেন কে? এদের কাছে মাস্ক পৌঁছে দেবেন কে? বার বার হাত ধোয়ার জন্য সাবান আর জল তারা পাবেন কোথা থেকে? এ তো তাদের কাছে বিলাসিতা। যে দেশে বিশুদ্ধ পানীয় জলের অভাবে প্রতি বছর মারা যান প্রায় ২ লক্ষ মানুষ। যে দেশের ৬০ কোটি মানুষ ‘নিকৃষ্ট জল সঙ্কটে’ ভোগে, সেই দেশে সব থেকে প্রান্তিক মানুষ এই শ্রমিক পরিবারের কাছে জলও বিলাসিতা। এদের বেশির ভাগই এক-দেড় কামরার ঘরে গাদাগাদি করে মনুষ্যতর জীবনে থাকতে বাধ্য হন। ঘরের মধ্যে তিন ফুটের শারীরিক দূরত্ব বাজায় রাখা তাদের পক্ষে অসম্ভব। প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর বহু প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও রোগভোগে এদের জন্য নেই কোনও কার্যকরি স্বাস্থ্য প্রকল্প। এই শ্রমিক শ্রেণীই আবার জাতি-বর্ণে-ধর্মে সব থেকে পিছিয়ে থাকা তপশিল জাতি, আদিবাসী, অন্য পিছিয়ে থাকা বর্ণ, সংখ্যালঘু মুসলমান, খ্রিস্টান। লকডাউনের জেরে আগে থেকেই চলতে থাকা মন্দা সর্বগ্রাসী রূপ নেবার সম্ভাবনা। অসংগঠিত ও পরিযায়ীদের একটা বড় অংশ কাজ হারাবেন। সংখ্যাটা ১০ কোটি ছাড়িয়ে যেতে পারে। কাজ হারাবেন সংগঠিত ক্ষেত্রে কর্মরত বহু মানুষ। বিশ্বব্যাঙ্ক আইএমএফ থেকে অর্থনীতির বিশেষজ্ঞরা সেই আশঙ্কার কথাই শোনাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী দ্বিতীয় দফায় লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করেছেন। দেশব্যাপী অসংগঠিত ও পরিযায়ী শ্রমিক তাদের পরিবারের সামনে অনাহার অর্ধাহারের কালো ছায়া দীর্ঘতর হবে। মন্বন্তরের কথা আমরা ইতিহাসের পাতায় পড়েছি। ব্রিটিশ রাজত্বে মন্বন্তর বারে বারে দেখা গেছে। ব্রিটিশ ভারতে মন্বন্তরে অনাহারে মৃত্যুর কারণ যত না ছিল খাদ্যের অভাব, তার থেকেও বড় কারণ ছিল বন্টন ব্যবস্থায় অসাম্য। মজুতদাররা কালোবাজারির জন্য খাদ্যদ্রব্য গুদামজাত করে রেখেছিল। ঔপনিবেশিক শাসকের ঔদাসিন্য লক্ষ লক্ষ মানুষকে অনাহারে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছিল। মৃণাল সেন ‘আকালের সন্ধানে’ ছবিতে ১৯৪৩ সালের মন্বন্তরের রূঢ় বাস্তবকে আমাদের চোখের সামনে তুলে ধরেছিলেন। স্বাধীন ভারতে উড়িষ্যার কালাহান্ডিতে অনাহারে মৃত্যু আমাদের সভ্যতাকে লজ্জা দেয়। আজ করোনার করাল গ্রাসের মুখে লকডাউনে আমাদের সামনে আকালের ছায়া। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলিকে লকডাউনের পর্বে তো বটেই তার পরেও অন্তত তিন মাস এই মানুষদের খাদ্যের জোগান দিতে হবে। ফুড কর্পোরেশনের গুদাম সহ সরকারি ও বেসরকারি গুদামে মজুত করা চাল–ডাল–গম বিলিয়ে দিতে হবে দরিদ্র ও শ্রমজীবী সাধারণের মধ্যে। খাদ্য পৌঁছে দেবার সঙ্গে সঙ্গে করোনা মোকাবিলায় চিকিৎসা ও সুরক্ষার দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে। দরিদ্র ও শ্রমজীবী মানুষের কাছে মাস্ক পৌঁছে দিতে হবে। ডাক্তার, নার্স, চিকিৎসা কর্মীদের সুক্ষার জন্য ভাইরাস প্রতিরোধক মাস্ক, গ্লাভস, পোষাক দিতে হবে। করোনা আক্রান্তদের চিহ্নিত করতে ব্যাপক পরিমাণে পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। প্রয়োজনীয় সংখ্যক কিট সরবরাহ করতে হবে। আক্রান্তদের চিকিৎসা সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে করতে হবে। সরকারি হাসপাতালের সঙ্গে বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে সেই নির্দেশ দিতে হবে। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার এ ওকে দোষ দিয়ে পার পেতে পারবে না। বামপন্থী দলগুলিকে এই কাজে পথ দেখাতে হবে। কেরালায় বাম-গণতান্ত্রিক সরকার করোনা মোকাবিলায় অসংগঠিত ও পরিযায়ী শ্রমিকদের রক্ষা করতে যে ভাবে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন, রাজ্যের সমস্ত দরিদ্র ও শ্রমজীবী মানুষের কাছে খাবার পৌঁছে দেবার ব্যবস্থা করেছেন, পরিযায়ী শ্রমিকদের ‘অতিথি’র মর্যাদা দিয়ে তাদের জন্য আশ্রয়ের ব্যবস্থা করেছেন, রাজ্যের প্রায় সমস্ত মানুষের কাছে মাস্ক পৌঁছে দিয়েছেন, করোনা আক্রান্তদের চিহ্নিত করতে ব্যাপক পরিমাণ টেস্টের ব্যবস্থা করেছেন এবং আক্রান্তদের হাসপাতালের চিকিৎসার সব দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন— তা সারা ভারতে এমন কি সারা বিশ্বে প্রশংসিত হচ্ছে। কেরালা সরকারের পক্ষে এই অনুসরণীয় ভূমিকা নেওয়া সম্ভব হয়েছে শ্রমজীবী মানুষের অভিমুখী অর্থনৈতিক নীতি ও জনস্বাস্থ্য নীতির জোরে এবং এই সব কাজ চালানোর জন্য জরুরি ভিত্তিতে ২০ হাজার কোটি টাকার ত্রাণ প্যাকেজ ঘোষণা করে সংবেদনশীল তৎপরতার কারণে। কেরালা সরকারকে অনুসরণ করে ভারত সরকার ও সমস্ত রাজ্য সরকারকে করোনা মোকাবিলায় একই রকম জনস্বাস্থ্য নীতি ও শ্রমজীবী সুরক্ষা নীতি গ্রহণ করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ করতে হবে। কেন্দ্রীয় সরকার এখনও পর্যন্ত পরিযায়ী ও অসংগঠিত শ্রমিকদের সুরক্ষা করার জন্য কোনও প্যাকেজ ঘোষণা করেননি। শ্রমিকদের দেখভালের দায়িত্ব রাজ্যগুলির কাঁধে ছেড়ে দিয়েছেন। ছোট-মাঝারি-ইনফর্মাল ক্ষেত্রকে বাঁচাতে কোনও আর্থিক প্রকল্প ঘোষণা করেননি। স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর জন্য মাত্র ১৫ হাজার কোটি টাকা বারাদ্দ করেছেন। যদিও বড় শিল্পপতিদের নানা সংগঠন কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে ১৫ লক্ষ কোটি টাকার স্টিমুলাস প্যাকেজ দাবি করেছে। সরকার তাদের দাবিকে গুরুত্ব দিতে সর্বদা প্রস্তুত। কর্পোরেটদের অনাদায়ী ঋণ মকুব, কর্পোরেট ট্যাক্স ছাড়, ব্যাঙ্ক ঋণের সুদ কমিয়ে তাদের স্বার্থের সুরক্ষা তো চলছেই। শ্রমজীবী মানুষজনের এই দুর্বিসহ পরিস্থিতেই তাদের ন্যূনতম অধিকারগুলিকে সংকুচিত করতে অর্ডিন্যান্স জারি করে সংশোধিত শ্রম কোড চালু করার তোড়জোড় চালাচ্ছেন। এই রকম পরিস্থিতিতে বিরোধী দলগুলিকে যোগ্য ভূমিকা পালন করতে হবে। সরকারকে বাধ্য করতে হবে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপগুলি এবং আর্থিক বরাদ্দ করতে। বেসরকারি সংস্থাগুলিকেও কেবল মানুষের সেবার কাজের পাশাপাশি সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করার জন্য জনমত গড়ে তুলতে এগিয়ে আসতে হবে। সংবাদ মাধ্যমকেও এই অস্বাভাবিক সময়ে জনসাধারণের জরুরি প্রয়োজনগুলি সম্পর্কে সরকারকে অবহিত করার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব নিতে হবে। আশার কথা, সংবাদ মাধ্যমের একটি সংবেদনশীল অংশ যোগ্য ভূমিকা পালন করছেন। করোনা বিদ্ধস্ত পৃথিবী বিশ্ব মানবতাকে ইতিহাসের ইতিবাচক অর্জনগুলিকে ফিরে দেখার সুযোগ এনে দিয়েছে। ধনতন্ত্র এক নিদারুণ বৈষম্যমূলক ব্যবস্থা। এই বৈষম্যমূলক ব্যবস্থা রোগ-মারির বিরুদ্ধে সংগ্রামকে কঠিন করে তোলে। যে দেশে বৈষম্য যত তীব্র সেই দেশ করোনা মোকাবিলায় ততো কঠিন পরিস্থতির মুখে পড়েছে— লক্ষ লক্ষ মানুষ সংক্রমিত হচ্ছেন, হাজারে হাজারে মানুষ মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়ছেন। সুস্থ হয়ে ওঠার হার ততো কম। আক্রান্তরা প্রধাণত নিম্নবিত্ত শ্রমজীবী ও কালো মানুষ। একদা সোভিয়েত রাশিয়া বা গণ প্রজাতান্ত্রিক চীন ‘সকলের জন্য স্বাস্থ্য’ নীতি গ্রহণ করেছিল এবং রাষ্ট্র পরিচালিত গণ স্বাস্থ্য ব্যবস্থা গড়ে তুলে রোগ-মারির বিরুদ্ধে সংগ্রামে উল্লফন ঘটিয়েছিল। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও সারা বিশ্বের জন্য ‘সকলের জন্য স্বাস্থ্য’ নীতি ঘোষণা করেছিল। বিশ্বব্যাপী সমাজতন্ত্রের আন্দোলনের চাপে এবং নিজ নিজ দেশের মানুষকে সমাজতন্ত্র থেকে দূরে রাখতে ধনতান্ত্রিক শাসকরা দেশে দেশে সরকার পোষিত স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ব্যবস্থা গড়ে তোলে। কিন্তু সোভিয়েত পতনের পর নয়া উদারনীতির পথ ধরে আমেরিকা-ইউরোপ, আমাদের দেশ ক্রমাগত অর্থনীতিকে বাজারের হাতে ছেড়ে দিয়েছে এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে মুনাফার জন্য খুলে দিয়েছে। আমেরিকা-ইউরোপের মতো আমাদের দেশেও তীব্র বৈষম্য সৃষ্টি হয়েছে। আমেরিকার গর্ব ছিল ‘সকলের জন্য স্বাস্থ্য’ প্রকল্প। ট্রাম্প প্রশাসন সরকারি স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বরাদ্দ কাটছাঁট করে আমেরিকার স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে আমূল বেসরকারিকরণের দিকে ঠেলে দিয়েছে। ইতালি, স্পেন, ব্রিটেন, ফ্রান্সের সেই একই রাস্তা নিয়েছে। এই অবস্থায় কিউবা, ভিয়েতনাম, চীন তাদের গণস্বাস্থ্য ব্যবস্থা ও মূলত রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত অর্থনীতির জোরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের বিরুদ্ধে কার্যকরি সংগ্রাম গড়ে পৃথিবীকে পথ দেখাচ্ছে। আজকের সময়ে গণতন্ত্রকে হতে শ্রমজীবী সাধারণের স্বার্থের অভিমুখি হতে হবে। অর্থনীতিকে বাজারের হাতে ছেড়ে দেওয়ার বিপরীতে আবার ফিরে যেতে হবে মূলত রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত অর্থনীতির রাস্তায়। গড়ে তুলতে হবে রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত সকলের জন্য শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। বৈষম্য দূর করতে এগুলি হলো প্রাথমিক পদক্ষেপ। যে শাসকরা শ্রমজীবী সাধারণের স্বার্থের বিপরীতে দাঁড়াবেন তারা আজ হোক কাল ইতিহাসের আস্থাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হবে।

Copyright © 2021 - 2022 Shramajeebee Bhasha. All Rights Reserved.