বামপন্থা ও গণতন্ত্রের কথোপকথন
[বিশ্ব]
পাঁচই অগাস্টের কোটাবিরোধী রক্তক্ষয়ী ছাত্র আন্দোলন তখন সফল হয়েছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে গোপনে আশ্রয় নিয়েছেন ভারতে। মহম্মদ ইউনুস বিদেশ থেকে এসে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন। সেই সময়, সেপ্টেম্বর মাসের শেষে, একটি গ্রন্থের প্রকাশ অনুষ্ঠানে এসে মনটা চঞ্চল হয়ে ওঠে। একটা অস্বস্তি কাজ করে ভিতরে ভিতরে। দীপ হালদার ও অভিষেক বিশ্বাসের ইংরেজি বই “বিয়িং হিন্দু ইন বাংলাদেশ” (হার্পার কলিন্স, ২০২৩), এর বাংলা অনুবাদ ‘বাংলাদেশের হিন্দু হিন্দুর বাংলাদেশ’ (আশাদীপ) বইটির আনুষ্ঠানিক প্রকাশ অনুষ্ঠানে কথা বলছিলেন স্বরূপপ্রসাদ ঘোষ। স্বরূপবাবুর রাজনৈতিক অবস্থান কারো অজানা নয়। সেই অবস্থান থেকে পরিসংখ্যান সহ ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে পূর্ব পাকিস্তান ও পরে বাংলাদেশ থেকে আগত হিন্দুদের ভারতবর্ষের অঙ্গরাজ্য পশ্চিমবঙ্গে চলে আসার বিবরণে তাঁর বিদ্রূপ বিচ্ছুরিত হচ্ছিল পশ্চিমবঙ্গের বাম মনোভাবাপন্ন মানুষদের প্রতি। তিনি বরাবরই স্পষ্টভাবে ধর্মবিষয়ে বামেদের উদারনীতিবাদের সমালোচনা করে বলে যাচ্ছিলেন। খারাপ লাগছিল ঠিকই, কিন্তু আমরা কি অস্বীকার করতে পারি বাস্তবকে? পারি না। পারি না ততক্ষণই, যতক্ষণ আগুনের আঁচ আমাদের গায়ে না লাগে।
আজ বাংলাদেশের পরিস্থিতি অত্যন্ত অন্ধকারময়। আগুনে পুড়ে যাচ্ছে হিন্দুদের ঘরবাড়ি, দেবালয়, সবকিছু। এমনকি ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময়াকৃষ্ণ পর্যন্ত আজ কট্টরপন্থী মৌলবাদীদের জালে কারাবন্দি। তাঁর জামিনের আবেদন করার জন্য যে আইনজীবী ছিলেন তাঁকে আহত করা হয়েছে। কট্টরবাদী আইনজীবীরা সোচ্চারে জানিয়েছেন যে, তাঁর পক্ষে যে আইনজীবী সওয়াল করতে আসবেন তাঁকে গণপিটুনি দেওয়া হবে। এই হল বর্তমান পরিস্থিতি।
কিন্তু এর কোনও লক্ষণ কি আগে লক্ষ্য করা যায়নি? যে বইটি নিয়ে কথা বলছিলাম, সেই বইটিতেই এক জায়গায় পাই:
“জিয়াউর রহমানই হোক বা লেফটেন্যান্ট জেনারেল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, ১৯৭৮ সাল থেকে কারও শাসনকালেই বাংলাদেশে হিন্দুরা স্বস্তিতে থাকতে পারেননি। এরশাদের শাসনকালে ইসলামকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এর ফলে মৌলবাদীরা সংখ্যালঘুদের দমন করতে আরও উৎসাহিত হয়।...”
১৯৯০ সালের অক্টোবরে হওয়া হিন্দু-নির্যাতন সম্ভবত এরশাদের ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম ঘোষণার ফল। তুলনামূলকভাবে আওয়ামী লিগ সরকার যতদিন সরকারে ছিল (১৯৯৬-২০০১) এবং (২০০৮-২০২৩) এই শান্তি বজায় ছিল। কিন্তু তাহলেও ২০২১ সালে দুর্গাপুজোর সময় যা ঘটে যায় তাতে অনুভব করা যায় অশান্তির আগুন ধিকি ধিকি করে জ্বলছে। ৫ অগাস্টের পর তা আগ্নেয়গিরিতে পরিণত হয়েছে।
১ ডিসেম্বর ২০২৪ ‘দ্য হিন্দু’ পত্রিকায় কল্লোল ভট্টাচার্য একটি গুরুত্বপূর্ণ নিবন্ধ লেখেন “হোয়াট উইল বি ফলআউট অফ বাংলাদেশ ইভেন্টস?” ওই নিবন্ধে তিনি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রসঙ্গের কথা উত্থাপন করেছেন। বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ সংস্কার বিষয়ে ইউনুস সরকারের বিশেষ আগ্রহের ও উদ্দেশ্যের কথা বলেছেন। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অ্যাটর্নি জেনারেল মহম্মদ আসাদুজ্জামান ১৯৯১ সালে গৃহীত ও স্বীকৃত বাংলাদেশের সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী যা ধর্মনিরপেক্ষতা (Secularism) গ্রহণ করা হয়েছিল তার মেয়াদকাল পুনর্বিবেচনার জন্য উদ্যোগী হন। মনে করা যেতে পারে ১৯৭২ সালের বাংলাদেশ গণপ্রজাতন্ত্রী সরকারের সংবিধানে এই ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ (Secularism) স্থায়ীভাবে স্থান পেয়েছিল। ইউনুস সরকারের সংস্কারের প্রথম অ্যাজেন্ডা এই বিষয়টি। আসাদুজ্জামান বলেন, ভৌগোলিকভাবে যেখানে ৯০ শতাংশ জনগণ মুসলমান সেখানে সাম্যবাদ ও ধর্মনিরপেক্ষতা এই দেশ ও জাতির প্রকৃত চরিত্রকে প্রকাশ করে না। এই মন্তব্যটি যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।
স্বাভাবিকভাবেই হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী সংখ্যালঘুদের বিতাড়ন শুরু হয়েছে। আর এরই অনুষঙ্গে লুঠপাট, খুন, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ চলছে। একই কারণে চিন্ময়কৃষ্ণের কারাবাস।
আমরা যদি পিছন ফিরে তাকাই ইতিহাসের দিকে, ভাবতে চেষ্টা করি কেন বাংলাদেশের জন্ম হয়েছিল, কেন হিন্দু-মুসলমান সবাই একসঙ্গে ভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছিলেন, কেন ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের মতো ব্যক্তি যিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলির সামনে স্পর্ধাভরে উর্দুর পাশাপাশি বাংলাভাষার স্বীকৃতির জন্য দাবি তুলেছিলেন এবং ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে প্রাণ বিসর্জন দিয়েছিলেন, তাহলে অনুভব করা সহজ হবে যে, পাকিস্তানের স্বৈরশাসনের বজ্রকঠিন মুঠি থেকে বাংলাদেশ গঠনের নেপথ্যের কারণগুলি। ভাষা ছাড়াও যে বিষয়টি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ ছিল তা হলে অর্থনৈতিক বঞ্চনার। প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ রেহমান সোবহান তাঁর “বাংলাদেশের অভ্যুদয় -একজন প্রত্যক্ষদর্শীর ভাষ্য” গ্রন্থে লিখেছিলেন:
“বাঙালি জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের মূলে ছিল আপেক্ষিক বঞ্চনার অনুভূতি পূর্ব বাংলার বাঙালিদের স্বায়ত্তশাসন অর্জনের সংগ্রাম এ বিশ্বাসকে ভিত্তি করে অগ্রসর হয় যে, বাঙালিদেরকে নিজেদের অর্থনৈতিক ভাগ্য নির্ধারণের জন্য প্রয়োজনীয় রাজনৈতিক ক্ষমতা না দেওয়াতেই অঞ্চলটি আপেক্ষিক বঞ্চনার শিকার হয়েছে।”
বাহান্নর ভাষা আন্দোলন থেকে যে দেশের স্বপ্নের বীজতলা তৈরি হয়েছিল ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে তা পূর্ণতা পায়। কিন্তু এরই পাশাপাশি স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি যা প্রকৃত প্রস্তাবে কট্টর মৌলবাদী ভাবনার ধারকবাহক, সেই ধারাটি ফল্গুধারার মতো প্রবাহিত ছিল। কিন্তু তা কখনোই রুচিশোভনতা অতিক্রম করেনি। মনে পড়ে, আমি নিজে আল মাহমুদের কবিতার প্রবল অনুরাগী হওয়া সত্ত্বেও তাঁর “মায়াবী পর্দা দুলে ওঠো” পরবর্তী কাব্যগ্রন্থে ইসলামের স্তুতিবাদের উদ্ভাস আমার ভালো লাগেনি। লিখেওছিলাম সেকথা। অথচ আশ্চর্য, তিনি আমার প্রতি বিরূপ হননি, আমার লেখা বাংলাদেশের ‘উপমা’ পত্রিকায় (১৯৯৪) সংখ্যায় নিজে উদ্যোগী হয়ে প্রকাশ করেছেন। আমাকে বলেছেন, ‘তুমি আমার কঠোর সমালোচক, কিন্তু তুমি আমার ভালো পাঠক।’ পরে ঢাকায় তাঁর বাসায় গেলে তিনি তাঁর কাব্যসমগ্র ও গল্পসমগ্র উপহার দেন (‘সুশান্ত চট্টোপাধ্যায়, প্রিয়বরেষু/আল মাহমুদ/৪.৯.৯৭, ঢাকা)। এই উদারতা ছিল তখনও। আর বাংলাদেশকে আমি যার চোখ দিয়ে চিনেছিলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সৈয়দ আকরম হোসেন -তাঁর কাছে তো কোনওরকম মৌলবাদ বা সাম্প্রদায়িকতার চিহ্ন পাইনি। ২০১৬-তে তাঁর সম্পাদনায় যখন রবীন্দ্র রচনাবলি (ত্রিশখণ্ডে) প্রকাশিত হয় শেষবার গিয়েছিলাম বাংলাদেশে। সেই সময় পরিচয় হয় ‘সংঘ প্রকাশন’-এর কর্ণধার প্রবীণ দাউদ হোসেনের সঙ্গে। যিনি চারখণ্ডে কার্ল মার্কস-এর ‘পুঁজি’র অনুবাদ করেছেন। সবাই তাঁকে ‘দাউদভাই’ বলেন। এই মুক্তমনা মানবতাবাদী মানুষটি আমাকে বারবার বলছিলেন এই হিন্দু বিতাড়নের প্রসঙ্গটি। ঢাকার রাস্তায় রিকশায় যেতে যেতে তিনি আমাকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছিলেন প্রতি বছরে হিন্দুদের ক্রমহ্রাসমান পরিসংখ্যানের কথা। ওই ২০১৬ সালেই তিনি যে বিপদের দিকে ইঙ্গিত করেছিলেন, আজ তা বাস্তব।
কামরুদ্দিন আহমদ তাঁর “পূর্ব বাংলার সমাজ ও রাজনীতি” গ্রন্থের শেষদিকে উল্লেখ করেন “সোরাওয়ার্দী সরকারের দৃষ্টিভঙ্গির কথা: জীবনের সর্বক্ষেত্রে ইসলামকে গুরুত্ব দিতে হবে -অতীতে এই ছিল তাদের মত। এখনও তা রয়ে গেছে -রাজনীতি হবে ইসলামী আইনভিত্তিক, সংস্কৃতি হবে ইসলামী, সমাজকে অবশ্যই ইসলামের মূলমন্ত্র আশ্রয় করে গড়ে উঠতে হবে এবং দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে সমাজের সঙ্গে সক্রিয় করে তুলতে হবে -এ হচ্ছে বিশেষ একটি ধর্মীয় ভিত্তিক রাজনৈতিক দলের দাবি। এ দল বুঝতে পারছে না যে, রাষ্ট্রের প্রত্যেক ব্যাপারে ধর্মের দোহাই দিয়ে তারা নিত্যনতুন সমস্যার সৃষ্টি করছে এবং দেশকে মধ্যপ্রাচ্যের আরব দেশসমূহের মতো পেছনে ঠেলে দিচ্ছে সর্বদিক দিয়ে। এই মত পূর্বাঞ্চলের সমগ্র সামাজিক কাঠামোকে ভেঙে ফেলতে এখন যেমন সহায়ক হচ্ছে -ভবিষ্যতেও তেমনি সহায়ক হবে; কারণ এখানে প্রতি পাঁচজনে একজন অমুসলমান রয়েছে। এরা সকলেই প্রায় হিন্দু; তবে এদের মধ্যে বৌদ্ধ, খ্রিস্টান এবং প্রাণী উপাসক উপজাতি রয়েছে।”
কামরুদ্দিন আহমদ-এর এই বইটির প্রকাশকাল ১৯৭০। আজও এই কথা সমানভাবে প্রাসঙ্গিক।
সর্বশেষ খবর জামায়েত ইসলামী দলের প্রধান শফিকুর রহমান তাঁর বার্তায় জানিয়েছেন, নামাজের সময় প্রতিটি দোকানে, বাজারের সর্বত্র পর্দা দেওয়া থাকবে। ওই সময় কোনও পণ্যদ্রব্য বিক্রয় করা যাবে না। নারীদের কোনও পণ্য বিক্রয় না করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পোশাকের ব্যাপারে কোনও বিধিনিষেধ নেই। তবে, কেউ যদি ইসলামবিরোধী কোনও পোশাক পরেন তাকে সুন্দরভাবে বোঝানো হবে, চুল কাটা হবে না। আর যদি স্বেচ্ছায় সবাই ইসলামের নির্দেশ অনুসারে পোশাক পরেন তাহলে খুবই ভালো। যাঁরা অন্যধর্মের মানুষ আছেন, তাঁরা স্বেচ্ছায় ধর্মান্তরিত হয়ে ইসলামের রাজত্বে আনন্দে দিন কাটাবেন। আরও জানা যাচ্ছে যে, ২ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে একটি আদেশনামায় বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের সবকটি বৈদেশিক দূতাবাসকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে পাকিস্তানের নাগরিকদের ভিসা প্রদানের বিষয়ে সবরকমের তৎপরতা দেখাতে হবে। মনে পড়ে যায়, ২০০২-এ কান চলচ্চিত্র উৎসবে পুরস্কৃত বাংলাদেশের চলচ্চিত্রকার তারেক মাসুদের “মাটির ময়না” ছবিটির কথা। কী অসাধারণভাবে তিনি মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিলেন আজ থেকে দু’দশক আগে।
অন্যদিকে, আমরা ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও তাঁর দল ভারতীয় জনতা পার্টিকে হিন্দুদরদী বলেই জেনে এসেছি। ক্রিস্টোফার জেফারলট তাঁর “মোদিজ ইন্ডিয়া -হিন্দু ন্যাশনালইজম এন্ড দি রাইজ অফ দি এথনিক ডেমোক্র্যাসি” (২০১১) নামক মহাগ্রন্থের গোড়াতেই লিখেছেন: ইট ওয়াজ ইন দিস কনটেকস্ট দ্যাট ভি ডি সাভারকার কনফাইন্ড হিন্দু ন্যাশনালিস্ট ইডিওলজি ইন এ বুক পাবলিশড ইন ১৯২৩—হিন্দুত্ব—হু হিন্দু? কিন্তু কার্যক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে তিনি দেশের ‘হিন্দু’ আার অন্য দেশের ‘হিন্দু’-দের মধ্যে বিভাজন করেই দেখছেন। তা না হলে ইতিমধ্যেই ভারত সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের উদ্বাস্তু কমিশনে নালিশ জানাতো। আর একথা সত্যি যে, পশ্চিমবঙ্গের নাগরিক সমাজ বাংলাদেশের হিন্দু নির্যাতন, হত্যা, লুট, অগ্নিসংযোগের বিরুদ্ধে সোচ্চার হননি। আর আমাদের রাজ্যের শাসক ও বিরোধী উভয় দলেরই ভূমিকা অত্যন্ত লজ্জাজনক। প্রতিবেশী রাষ্ট্রের বিপদের দিনেও তারা শুধুই ২০২৬-এর বিধানসভা ভোটের আখের গোছানোয় ব্যস্ত।
এই কঠিন সময়ে আমাদের পশ্চিমবঙ্গের কিছু মানুষ বাংলাদেশ থেকে আগত মানুষদের চিকিৎসার সুযোগ দেবেন না বা অস্থায়ী আশ্রয় দেবেন না বলে প্রচার করছেন। এই অমানবিক মনোভাবের প্রতি তীব্র ধিক্কার জানাই। পাশাপাশি আমাদের পশ্চিমবঙ্গের সংখ্যালঘু ভাইবোনেরা যদি বাংলাদেশে সংখ্যালঘু পীড়নের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন তাহলে আমরাও ধর্মনিরপেক্ষতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারবো।