বামপন্থা ও গণতন্ত্রের কথোপকথন
[বিশ্ব]
শ্রমজীবী ভাষা, ১৬ অগাস্ট, ২০২১—
ভূমিকা
সম্প্রতি দেশের বেসরকারি টিউটোরিয়ালগুলির ওপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছে চীন। এই সব টিউটোরিয়ালে বিদেশি বিনিয়োগও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এর জেরে আমেরিকার শেয়ার বাজারে নথিভুক্ত চীনের বেসরকারি টিউটোরিয়ালগুলির শেয়ারের দাম এক ধাক্কায় নেমে গেছে অনেকটা। যেমন নিউ ওরিয়েন্টাল এডুকেশন অ্যান্ড টেকলোজি কোম্পানির শেয়ারের দাম পড়েছে ৬০ শতাংশ। টিএএল এডুকেশন সংস্থার শেয়ার কেনাবেচা বন্ধই হয়ে গেছে। কারণ এই সংস্থার শেয়ারের দাম শুধু ৫৩ শতাংশ পড়েই যায়নি, একইসঙ্গে দামের ওঠানামা পুরোপুরি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এমনকি বিদেশের শেয়ার বাজারে নথিভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাক্ষেত্রের সব ধরনের সংস্থার ওপরেও জারি হয়েছে কড়া নজরদারি। জানা গেছে, টিউটোরিয়াল সংস্থাগুলিকে এবার পুরোপুরি নন প্রফিটেবল বা অলাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা হতে পারে।
চীনের বেসরকারি টিউটোরিয়াল সংস্থার শেয়ারের দামে এই পতনের কারণ চীনে শিক্ষাক্ষেত্রে বেসরকারি বিনিয়োগের ওপর রীতিমতো রাশ টেনেছে সে দেশের কমিউনিস্ট পার্টির সরকার। সম্প্রতি শিক্ষা ও শিক্ষায় স্কুলের বাইরে প্রশিক্ষণ ক্ষেত্র সম্পর্কে নতুন দলিল প্রকাশ করেছে চীন সরকার। সেখানে বলা হয়েছে টিউটোরিয়াল শিল্পে বিনিয়োগের জন্য পুঁজি যোগাড় করা একেবারে নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। নথিভুক্ত এবং নির্দিষ্ট বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয় এমন টিউটোরিয়ালগুলি বাজার থেকে পুঁজি সংগ্রহ করতে পারবে না। নথিভুক্ত কোনও সংস্থাও প্রশিক্ষণ দেয় এমন টিউটোরিয়ালে তাদের পুঁজি বিনিয়োগ করতে পারবে না। এককথায়, শিক্ষা ক্ষেত্রে দেশি-বিদেশি পুঁজির বাড়বাড়ন্ত এবার ক্রমশ নিয়ন্ত্রণে আনছে চীন।
চীন সরকারের শিক্ষা সংক্রান্ত নয়া দলিলে বলা হয়েছে, স্কুলশিক্ষার ক্ষেত্রে ক্যাম্পাসের বাইরে যে সব ট্রেনিং ইনস্টিটিউট রয়েছে তারা ছুটির দিন, গরমের বা শীতের ছুটিতে সাবজেক্ট ট্রেনিংয়ের ক্লাস করাতে পারবে না। এবং ক্লাসের সময় কখনই রাত ৯টার পর হতে পারবে না। শিনহুয়া জানাচ্ছে, এবছর ২১ মে বিশেষ বৈঠক করেন প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং। সেখানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে ছাত্রছাত্রীদের ওপর অতিরিক্ত পড়াশোনার বোঝা চাপানো নিয়ে আলোচনা হয়। জিনপিংয়ের মতে, চীনের বাধ্যতামূলক সরকারি শিক্ষা ব্যবস্থার সামনে সবচেয়ে বড় সমস্যা বেসরকারি টিউটোরিয়ালের কোচিং। এদের মাধ্যমেই যেহেতু শিক্ষায় ঢুকছে দেশি ও বিদেশি পুঁজি, তাই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, শিক্ষাক্ষেত্রে অবাধে দেশি-বিদেশি বেসরকারি পুঁজির অনুপ্রবেশ বন্ধ করবে সরকার।
এভাবে শিক্ষাক্ষেত্রে অ্যাকাডেমিক ট্রেনিং এজেন্সিগুলিতে দেশি-বিদেশি বেসরকারি পুঁজি সংগ্রহে যে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে, সেটা একটা সামগ্রিক নির্দেশিকার অংশ। সেই নির্দেশিকা জারি করেছে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটি ও চীনের মন্ত্রিসভার সাধারণ দপ্তর। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, চীনের বেসরকারি টিউটোরিয়ালগুলিকে নিয়ন্ত্রণ কিংবা সেগুলির সঙ্গে সংযুক্তিকরণের মাধ্যমে বিদেশি পুঁজি আর ঢুকতে পারবে না। এই নির্দেশ অমান্য করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে সরকার। এই কড়াকড়ির কারণেই আমেরিকায় নথিভুক্ত চীনের বেসরকারি টিউটোরিয়ালগুলির শেয়ারের দাম কমেছে কয়েক বিলিয়ন ডলার। সরকার ও পার্টির তরফে বলা হয়েছে, স্কুল ক্যাম্পাসের বাইরে টিউটোরিয়ালের ব্যবসা বাড়াবাড়ি রকমে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং মুনাফার তাগিদে তীব্র প্রতিযোগিতা শিক্ষার পরিবেশকে সমস্যা কণ্টকিত করে তুলছে। এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতেই টিউটোরিয়ালগুলিকে কর্পোরেট সংস্থা থেকে অলাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার চেষ্টা শুরু হয়েছে। শিক্ষাক্ষেত্রে পুঁজির বেলাগাম প্রতিযোগিতার রাশ টেনে ধরাই এর লক্ষ্য।
কেন এই নিয়ন্ত্রণ
কিন্তু কেন এই নিয়ন্ত্রণের প্রচেষ্টা। চীনের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ এডুকেশন সায়েন্সের রিসার্চ ফেলো চু ঝাওহুই জানিয়েছেন, চীনের বেসরকারি শিক্ষাক্ষেত্র দারুন লাভজনক। সেকারণে এখানে পুঁজি বিনিয়োগের ধূম পড়ে গেছে। এর জেরে শিক্ষা দেওয়ার বদলে মুনাফা করার দিকেই বেশি নজর দিচ্ছে টিউটোরিয়ালগুলি। এর ফলে এদের টাকার খাঁই মেটাতে গিয়ে হাল্লাক হয়ে পড়ছেন ছাত্রছাত্রী ও তাদের বাবা-মায়েরা। এক কথায় তাঁরা হয়ে পড়ছেন পুঁজির শোষণের টার্গেট।
এই পরিস্থিতিরও একটা পরিপ্রেক্ষিত রয়েছে। ২০২০ সালে করোনার কারণে চীনের শিশুরা বাড়ি থেকেই পড়াশোনা করতে বাধ্য হয়েছে। সেই সময় জনপ্রিয় হয় অনলাইনে শিক্ষা। আই রিসার্চ সংস্থা জানাচ্ছে, অনলাইন শিক্ষার চাহিদা মেটাতে গিয়ে চীনের বেসরকারি টিউটোরিয়ালগুলি ওই বছরে পুঁজি সংগ্রহ করেছিল ১৭৯৬ কোটি ডলার। ছাত্রছাত্রী টানতে গিয়ে বহু টিউটোরিয়াল লাখ লাখ টাকা খরচ করে বিজ্ঞাপন এবং মার্কেটিংএ। এমনকি ছাত্রছাত্রীদের থেকে সংগ্রহ করা টাকা নিয়ে ফাটকাও খেলেছে কিছু সংস্থা। ক্রমশ এই সব তথ্য নজরে আসে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির ন্যাশনাল সুপারভিসন কমিশন এবং সেন্ট্রাল কমিশন ফর ডিসিপ্লিন ইনসপেকশনের।
সমীক্ষা করে আরও দেখা যায়, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে স্কুলের বাইরে প্রাইভেট কোচিং দেয় এমন টিউটোরিয়ালের সংখ্যা দেশের সরকারি স্কুলের সংখ্যার সমান। এর মানে সরকার পরিচালিত জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থার পাশাপাশি গড়ে উঠেছে একটি বিকল্প বেসরকারি শিক্ষা ব্যবস্থা। এবং স্কুলজীবন শেষে জাতীয় স্তরের প্রতিযোগিতায় ছেলেমেয়েদের উতরে দিতে বাবা-মায়েদের মধ্যে এই সব বেসরকারি টিউটোরিয়ালের প্রতি আকর্ষণ বাড়ছে। এখানে খরচ করা হচ্ছে পারিবারিক আয়ের ৩০ শতাংশ পর্যন্ত। একবার এধরনের ব্যবস্থা গেড়ে বসলে জাতীয় স্তরে চালু সরকারি শিক্ষা ব্যবস্থাকে সমস্যার মুখে পড়তে হবে। সেকারণে শিক্ষায় বেসরকারি পুঁজির নিয়ন্ত্রণে তৎপর হয়েছে চীনের কমিউনিস্ট পার্টি।

বাবা-মায়েরা কেন টিউটোরিয়ালে এত টাকা খরচে আগ্রহী?
চীনে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে চালু রয়েছে সরকারি শিক্ষা ব্যবস্থা। দেশের সব নাগরিককে বাধ্যতামূলক শিক্ষা নিতে হবে মোট ৯ বছর। এর মধ্যে ৬ বছরের প্রাথমিক শিক্ষা এবং তিন বছরের জুনিয়র সেকেন্ডারি শিক্ষা। এরপর চাইলে কেউ তিন বছরের তিন বছরের সিনিয়র মিডল স্কুলে পড়তে পারে। তবে প্রথম ৯ বছর স্কুলে পড়া বাধ্যতামূলক এবং তার সব খরচ পুরোপুরি যোগায় রাষ্ট্র। পড়তে হয় সরকারি স্কুলে। এই স্তরে চীনে কোনও বেসরকারি স্কুল নেই। বারো ক্লাসের পর পড়তে চাইলে জাতীয় স্তরে পরীক্ষায় বসতে হবে। সেই পরীক্ষা রীতিমতো কঠিন। ওই পরীক্ষার রাঙ্ক অনুযায়ী ঠিক হবে কে কোন কলেজ বা ইউনিভার্সিটিতে পড়ার সুযোগ পাবে। সবচেয়ে ভাল ছাত্রছাত্রীরা পড়ার সুযোগ পায় সিনহুয়া, পিকিং, ফুদান, হংকং ইউনিভার্সিটির মতো প্রতিষ্ঠানে। বাকিরা সুযোগ পাবে এর পরের স্তরের কলেজ বা ভোকেশনাল ট্রেনিং স্কুলে। পড়া শেষে যার যেমন ডিগ্রি তার তেমন মাইনের কাজের সুযোগ। এখানে একটা কথা বলা দরকার। কলেজ বা ইউনিভার্সিটি শিক্ষা শেষে চীনের সরকার প্রত্যেকের একটা চাকরির ব্যবস্থা করে। সেই চাকরি কেউ নিতে পারে। আবার পছন্দ না হলে নিজের মতো বেশি মাইনের চাকরিও জোটাতে পারে।
চীন এখন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে অনেক এগিয়ে গেছে। ফলে যারা উপযুক্ত মানসিক দক্ষতা নিয়ে বড় হবে তাদের সামনে উচ্চ শিক্ষা ও উচ্চ আয়ের সুযোগ বেশি। ফলে কোনও বাবা-মা যদি তার ছেলেমেয়েকে বেশি টাকা খরচ করে বেশি যোগ্যতা অর্জনে সক্ষম করতে পারেন, তাহলে উঁচু মাইনের চাকরিতে সেই ছেলে বা মেয়ের সুযোগ হবে। এর পাশাপাশি, চীনে যেহেতু বহু বড়লোক আছে তারা নিজেদের তারা নিজেদের ছেলেময়েদের শিক্ষার পিছনে অঢেল টাকা ঢেলে, ভাল রেজাল্ট করিয়ে ভাল ভাল চাকরিগুলো দখল করে নিতে পারে। এই প্রয়োজনটাই মিটিয়ে থাকে বেসরকারি দেশি-বিদেশি পুঁজিতে পুষ্ট টিউটোরিয়ালগুলি। মনে রাখা দরকার, এখনই চীনে শহরাঞ্চলের ৭৫ শতাংশ ছাত্রছাত্রী বেসরকারি টিউটোরিয়ালে কোচিং নেয়।
অর্থাৎ, বাধ্যতামূলক ৯ বছর এবং তার পরের তিন বছর বারো ক্লাসের পর প্রাথমিকভাবে মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে একটা অসাম্য স্বাভাবিক ভাবেই তৈরি হয়। সেটাই একজন ছাত্র বা ছাত্রীর ভবিষ্যৎ ঠিক করে দেয়। এর ওপর ধনী বা মধ্যবিত্তেরা যদি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরেই টাকা খরচ করে নিজেদের ছেলেমেয়েদের শিক্ষায় এগিয়ে রাখার সুযোগ পায় বেসরকারি টিউটোরিয়ালগুলোর সাহায্যে, এবং পিছনে ফেলে দিতে পারে গরিব ও গ্রামীণ পরিবারের ছেলেদের, তাহলে সরকারি শিক্ষা ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও চীনে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে তৈরি হবে একটা অসাম্য যা শেষ পর্যন্ত একদল সুবিধাভোগী নাগরিক তৈরিতে সাহায্য করবে। এটাই নিখাদ পুঁজিবাদ। সব পুঁজিবাদী দেশে ওপরের দিকের চাকরিগুলো এলিটরা দখল করে সমাজে শ্রেণী বৈষম্যকে আরও বাড়িয়ে তোলে শিক্ষায় এমন অসাম্যের সুযোগ নিয়ে। চীন এই ব্যবস্থাটা মেনে নিলে এবং একইসঙ্গে সমাজতন্ত্রের জোব্বা চাপালে, ব্যবস্থার স্বরূপটা বুঝতে অসুবিধা হবে না। কিন্তু চীনা পার্টির অভিজ্ঞ নেতারা এটা বোঝেন যে, শুরু থেকেই শিক্ষায় অসাম্য বাড়তে দিলে শেষ পর্যন্ত বদলে যাবে রাষ্ট্রের রঙ। তাই তারা বিকল্প পথের পরীক্ষা নিরীক্ষা শুরু করেছেন।
বিকল্প ভাবনা
যদি চীনে ইতিমধ্যেই চালু থাকা নাগরিকদের বাধ্যতামূলক সরকারি চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য বিমার ব্যবস্থার মতো, বাধ্যতামূলক প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষাকে আরও বেশি গুণমানসম্পন্ন করা যায় এবং পাশাপাশি শিক্ষায় বেসরকারি পুঁজির অবাধ অনুপ্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা যায়— তাহলে টাকা দিয়ে উচ্চশিক্ষা কেনার সুযোগ সংকুচিত হবে। একই কারণে বেশি টাকা দিয়ে ভাল শিক্ষকের কাছে পড়া, খেলাধূলার উন্নত ট্রেনিং নেওয়া, বিশেষ দক্ষতা অর্জনের সুযোগ পাওয়া, ক্যাম্পাসের বাইরে বিশেষ ক্লাস ও ট্রেনিং নেওয়ার সুযোগও কমতে থাকবে। ফলে শিক্ষার সমান সুযোগ পাওয়ার অধিকার বা এনটাইটেলমেন্টের বিষয়টি আরও বেশি সম্প্রাসারিত হবে এবং অসাম্য কমবে। শিক্ষাক্ষেত্রে রাষ্ট্রের ভূমিকা আরও সম্প্রসারিত করেই তা সম্ভব হবে।
টেনসেন্ট বা আলিবাবার মতো চীনের হেভিওয়েট টেক কোম্পানিগুলো সম্প্রতি বেসরকারি শিক্ষাক্ষত্রে বড় আকারে পুঁজি বিনিয়োগ করে অসাম্য আরও বাড়িয়ে তোলার রাস্তা প্রশস্ত করেছিল। গলা কাটা প্রতিযোগিতার মধ্যে দিয়ে মুনাফা অর্জনের লক্ষ্যে বাড়িয়ে তুলছিল ফি-এর বোঝা। এতে বাবা মায়েদের ঘাড়েও চাপছিল বিপুল খরচের দায়। সে কারণেই ছাত্রছাত্রীদের ওপর পড়াশোনার চাপ কমাতে এবং বাবা-মায়েদের ওপর থেকে খরচের বোঝা কমাতে বেসরকারি টিউটোরিয়ালগুলির ওপর কড়া নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়েছে চীনে। এমনকি ক্যাম্পাসের বাইরে যারা ট্রেনিং দিচ্ছেন তাদের ওপর নজরদারির জন্য জুন মাসে আলাদা একটি বিভাগও খুলেছে শিক্ষামন্ত্রক। সেখানে কারা পড়াচ্ছেন এবং কী পড়ানো হচ্ছে, সবটাই দেখবে ওই দপ্তর।
এর পরেও পুঁজিবাদীদের ধ্বজাধারীরা বলবে যে, ওই দেখ, সরকারি শিক্ষার নামে চীনে ছেলেমেয়েদের মগজ ধোলাই করছে কমিউনিস্ট পার্টি। আর যাদের যোগ্যতা আছে তাদেও মিডিওকার করে তোলার ব্যবস্থা করছে। আবার যদি চীন এই বেসরকারি টিউটোরিয়াল চালু রাখে তাহলে ওরা বলবে, ওই দেখ সমাজতন্ত্রের জোব্বার আড়ালে চীন যা করছে তা নিখাদ পুঁজিবাদ। অতএব ছিদ্রান্বেষী পুঁজিবাদী সমালোচকদের মন্তব্যে কান দেওয়ার দরকার নেই। স্কুলস্তরে শিক্ষায় অসাম্য কমানোর যে চেষ্টা চালাচ্ছে চীনা রাষ্ট্র ও চীনের কমিউনিস্ট পার্টি, সেই পরীক্ষা নিরীক্ষার দিকে খোলা চোখে তাকিয়ে থাকাই দরকার।