বামপন্থা ও গণতন্ত্রের কথোপকথন
[বিশ্ব]
জার্নাল অফ আমেরিকান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (JAMA)-এ একটি মূল্যায়ন প্রকাশিত হয়েছে “Restoring Vaccine Diplomacy” (জুন ১৫, ২০২১)। এ প্রতিবেদনে বলা হল – “সুনিশ্চিতভাবে অতিমারিকে নিয়ন্ত্রণে আনতে হলে পৃথিবীর নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশগুলোতে ৪০০ থেকে ৫০০ কোটি ডোজ কোভিড ভ্যাকসিন বিনামূল্যে পৌঁছে দেবার সুবিপুল দায়িত্ব পালন করতে হবে। এটা কৌশলগতভাবে ভ্যাকসিন ডিপ্লোম্যাসি ছাড়া সম্ভব নয়।”
কেন প্রয়োজন এই ভ্যাকসিন ডিপ্লোম্যাসির? GAVI (Global Alliance for Vaccines and Immunization)-র হিসেব দেখিয়েছে – (১) ভ্যাকসিন ছাড়া বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক ক্ষতি বছরে ৩.১৪ ট্রিলিয়ন ডলার, ভ্যাকসিনের বিষম বন্টন হলে ক্ষতির পরিমাণ ১.২ ট্রিলিয়ন ডলার, (২) উচ্চ আয়ের ধনী দেশগুলো যদি ভ্যাকসিনের জন্য ১ ডলার খরচ করে তাহলে এরা ফিরে পাবে ৪.৮ ডলার, (৩) যদি শুধু দরিদ্র দেশগুলো ভ্যাকসিনের সুবিধে থেকে বঞ্চিত হয় তাহলে পৃথিবীর জিডিপি ঘাটতি হবে বছরে ১৫৩ বিলিয়ন ডলার।
টাইমস অফ ইন্ডিয়া-র “Much More Required” শিরোনামের সম্পাদকীয়তে (২৩.০৬.২১) বলা হয়েছে – “সরকারকে মানুষের কাছে ভ্যাকসিন পৌঁছে দিতে হবে, ছোট প্রাইভেট গোষ্ঠীকে সংযুক্ত করতে হবে এবং যথাসময়ের ব্যবধানে কতটা সরবরাহ করা হল সে বিষয়ে স্বচ্ছ ও স্পষ্ট তথ্য উন্মুক্ত করতে হবে।” এ বক্তব্য থেকে বুঝতে অসুবিধে হয় না যে ভারতে সবার জন্য ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করা কেবলমাত্র জনস্বাস্থ্যের অঞ্চলে নেই – সরকারের সদিচ্ছা এবং স্বচ্ছ ও স্পষ্ট তথ্যকে সবার সামনে খুলে দেবার মতো রাজনৈতিক বিষয়ও এর অংশ। অন্যভাবে বললে, ভ্যাকসিন স্বাস্থ্যের গণ্ডি অতিক্রম করে আন্তর্জাতিক রাজনীতির হাতিয়ার হয়ে উঠেছে। এর নাম দেওয়া হয়েছে “ভ্যাকসিন ন্যাশনালিজম” বা ভ্যাকসিন জাতীয়তাবাদ। এতে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে দরিদ্র ও মধ্য আয়ের দেশগুলো।
নিউ ইয়র্ক টাইমস সংবাদপত্রে “Pfizer Reaps Hundreds of Millions in Profits From Covid Vaccine” (মে ৪, ২০২১) শিরোনামে প্রকাশিত খবরে কতকগুলো বিষয়ের প্রতি পাঠকের মনোযোগ আকর্ষণ করা হয়েছে – (১) ২০১২-এর প্রথম তিন মাসে ফাইজার কোম্পানি এর কোভিড-১৯-এর প্রতিরোধী ভ্যাকসিন বিক্রি করে ৩.৯ বিলিয়ন ডলার লাভের মুখ দেখেছে, (২) এপ্রিলের মধ্যভাগ পর্যন্ত ধনী দেশগুলো পৃথিবীব্যাপী কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের ৭০০ মিলিয়ন ডোজের ৮৭% কুক্ষিগত করেছে, যেখানে দরিদ্র দেশগুলো পেয়েছে মাত্র ০.২%, (৩) যেখানে ধনী দেশগুলোতে ৪ জনের ১ জন মানুষ ভ্যাকসিন পেয়েছে দরিদ্র দেশে এ সংখ্যাটা প্রতি ৫০০ জনে ১ জন, (৪) ফাইজার যে ২৫০ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন তৈরি করেছে তার মাত্র ২% COVAX প্রোগ্রাম মারফত গরীব দেশগুলোর কাছে পৌঁছনোর জন্য বরাদ্দ রেখেছে।
গার্ডিয়ান সংবাদপত্রের একটি খবর অনুযায়ী (“From Pfizer to Moderna: who’s making billions from Covid-19 vaccines”, 6 March, 2021) মডার্নার বিষয়টি আরও খাসা। ১১ বছর আগে কোম্পানিটি তৈরি হয়েছিল। ১১ বছর ধরে কোনরককম লাভের মুখ দেখেনি। প্রাক-অতিমারি সময়ে ৮৩০ জন কর্মচারী নিয়ে চলছিল। এখন ভ্যাকসিন বিক্রি করে ১৮ বিলিয়ন লাভের মুখ দেখছে। গার্ডিয়ান সংবাদপত্রের আরেকটি খবর হল “Vaccine nationalism is killing us. We need an international approach” (১৭.০৬.২১)। এ সংবাদে সদ্যসমাপ্ত জি-৭ বৈঠক নিয়ে সখেদে বলা হয়েছে – “পৃথিবীর বৃহৎ অর্থনীতির দেশগুলোর কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোকে অত্যন্ত দ্রুত এবং নিশ্চয়াত্মকভাবে ৯ ট্রিলিয়ন ডলার অর্থ সাহায্য দিয়েছে অতিমারি জনিত মন্দা কাটিয়ে ওঠার জন্য। পৃথিবীর মানুষকে সুরক্ষিত রাখার জন্য টিকাকরণের জন্য কোন অর্থ বরাদ্দ নেই।”
ভারতের ক্ষেত্রেও এর খুব ব্যতিক্রম নেই। The Intercept পত্রিকায় প্রকাশিত একটি খবর অনুযায়ী (“India’s Vaccine Makers Are Pandemic Profiteers, Not Humanitarians”, ১৯.০৬.২১) – “ভারতের প্রধান দুই ভ্যাকসিন সরবরাহকারী সংস্থা সিরাম ইন্সটিটিউট প্রাইভেট হাসপাতালে প্রতিটি ডোজ বিক্রি করে ২০০০% এবং বায়োটেক ৪০০০% লাভ করে ... ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন অ্যাস্ট্রাজেনেকার যে ভ্যাকসিন ২ ডলার মূল্যে বেচছে, গরীব দেশগুলোতে সিরাম সে ভ্যাকসিন বেচছে ৭ ডলার মূল্যে।”
নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অফ মেডিসিন-এর মতো মান্য পত্রিকায় “From Vaccine Nationalism to Vaccine Equity – Finding a Path Forward” (এপ্রিল ৮, ২০২১) প্রতিবেদনে বলা হয়েছে – “বহুসংখ্যক দরিদ্রতম দেশে ভ্যাকসিনের সরবরাহের কোনও অস্তিত্বই নেই, এবং বিশেষজ্ঞরা অনুমান করছেন কম-সম্পদ সম্পন্ন ৮০% দেশে এ বছর (২০২১) ভ্যাকসিন পাবেনা।” বলা হয়েছে (এপ্রিল, ২০২১), বর্তমানে যে হারে টিকাকরণ চলছে (মোটামুটি দিনে ৬৭ লক্ষ ডোজ) তাতে দুটি ডোজ ভ্যাকসিন নিয়ে হার্ড ইমিউনিটি অর্জন করতে অনুমিত ৪.৬ বছর লাগবে।
প্রায় একই কথা বলা হয়েছে ল্যান্সেট-এর একটি দীর্ঘ গবেষণাপত্রে (ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২১) বলা হয়েছে – “হার্ড ইমিউনিটির লক্ষ্যে ভ্যাকসিনের উপযুক্ত সরবরাহ ছাড়া এই অতিমারিকে সুনির্দিষ্টভাবে শেষ করা যাবে না।”

নেচার-তুল্য জার্নালে প্রকাশিত এ ডায়াগ্রাম থেকে সহজেই বোঝা যায় আন্তর্জাতিকভাবে মোট ভ্যাকসিনের শেয়ার ধনী ও দরিদ্র দেশগুলোর মধ্যে কি বিপুল বৈষম্য তৈরি করেছে। নেচার-এ গ্যাভিন ইয়ামি (যিনি ডারহাম ইউনিভার্সিটি, নর্থ ক্যারোলাইনার সেন্টার ফর পলিসি ইম্প্যাক্ট অন গ্লোবাল হেলথ-এর ডিরেক্টর) “Rich countries should tithe their vaccines” (২৫.০২.২০২১) শিরোনামে একটি প্রবন্ধে যে বিষয়গুলোর ওপরে জোর দিলেন সেগুলো হল – (১) কোভিড-১৯ প্রতিরোধের লক্ষ্যে ১৯ কোটির বেশি ডোজ দেওয়া হয়েছে (জনস হপকিন্স সেন্টার-এর ২.০৩.২০২১-এর হিসেব অনুযায়ী, প্রায় ২৫ কোটি টিকা দেওয়া হয়েছে যা গত এক সপ্তাহে ১৭% বৃদ্ধি পেয়েছে), (২) এর ৩/৪ অংশ দেওয়া হয়েছে মাত্র ১০টি ধনী দেশে, (৩) এই ১০টি ধনী দেশের জিডিপি পৃথিবীর মোট জিডিপির ৬০%, (৪) ২৫০ কোটি জনসংখ্যার ১৩০টি দেশে একটিও ভ্যাকসিনের ডোজ দেওয়া হয়নি, (৬) উচ্চ আয়ের দেশ বিশ্বের মোট জনসংখ্যার মাত্র ১৬%, কিন্তু এরা অর্ধেকের বেশি ভ্যাকসিন কিনে নিয়েছে। তিনি মন্তব্য করেছেন – “When SARS-CoV-2 transmission is wildly uncontrolled, the virus has more scope to evolve into dangerous variants.” অবহেলিত দেশগুলোর কাছে ভ্যাকসিন পৌঁছে দেবার জন্য COVAX (GAVI, CEPI এবং WHO-র যৌথ উদ্যোগ) এগিয়ে এসেছে। ১৯০টির কাছাকাছি দেশ COVAX-এ যোগদান করেছে। কোভ্যাক্স আশা করছে ২০২১-এর শেষাশেষি ২০০ কোটি ডোজ কিনতে পারবে। কিন্তু ধনী দেশগুলো ইতিমধ্যেই ৫৮০ কোটির বেশি ডোজ কিনে নিয়েছে ভ্যাকসিন উৎপাদক সংস্থাগুলোর সাথে সরাসরি চুক্তি করে।
প্রবন্ধ লেখকের আশঙ্কা যদি পৃথিবীর সব দেশে টিকাকরণ প্রক্রিয়া ঠিকমতো না হয় তাহলে এই অতিমারি আরও ৭ বছর প্রলম্বিত হবে। এবং আন্তর্জাতিক অর্থনীতি হয়তো ৯ ট্রিলিয়ন ডলার ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
২১.০৬.২১ পর্যন্ত তথ্য অনুযায়ী – পৃথিবীর ২১.৮% মানুষ কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের অন্তত একটি ডোজ পেয়েছে। বিশ্বজুড়ে ২৭০০ কোটি ডোজ এখনো অব্দি দেওয়া হয়েছে। এখন প্রতিদিন গড়ে ৩ কোটি ৮০ লক্ষ ডোজ দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে দরিদ্র দেশগুলোর মাত্র ০.৯% মানুষ অন্তত ১টি ডোজ ভ্যাকসিন পেয়েছে।
এরকম বিপুল বৈষম্যের একটি প্রধান কারণ হল ভ্যাকসিন তৈরির আগেই ধনী দেশগুলো ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলির সাথে চুক্তি করে নিজেদের দেশের জন্য যা প্রয়োজন তার অনেক বেশি কিনে রেখেছে।
ভ্যাকসিন না নিলে দেশের মোট জাতীয় আয় বা জিডিপিতে ক্ষতি কি হবে?
ভ্যাকসিন না নিলে সমগ্র বিশ্বের জিডিপিতে ক্ষতি হবে ৩,৪৪৯ বিলিয়ন ডলার, আমেরিকার ৪৮০ বিলিয়ন, চীনের ৩৫৬ বিলিয়ন, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ৯৮৩ বিলিয়ন, ইংল্যান্ডের ১৪৫ বিলিয়ন, ভারতের ৮৮ বিলিয়ন, মধ্য আয়ের দেশের ১৪৭ বিলিয়ন, নিম্ন আয়ের দেশের ২০০ বিলিয়ন ইত্যাদি। অথচ পৃথিবীর সবাই যদি বিনামূল্যে ভ্যাকসিন পায় তাহলে বিশ্বের জিডিপি হ্রাস হবে ২৯২ বিলিয়ন ডলার (৩,৪৪৯ ডলারের পরিবর্তে), আমেরিকার ৩০ বিলিয়ন ডলার, ভারতের ৭ বিলিয়ন, ইংল্যান্ডের ১০ বিলিয়ন, চীনের ২৭ বিলিয়ন, ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের ৭৬ বিলিয়ন ডলার ইত্যাদি।
দরিদ্র ও মধ্য আয়ের দেশগুলোতে ভ্যাকসিন পৌঁছে দেবার জন্য COVAX নামে একটি আন্তর্জাতিক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অভীপ্সা অত্যন্ত শুভ এবং মানুষের জন্য মঙ্গলজনক। কিন্তু একদিকে ভ্যাকসিন সাম্রাজ্যবাদ, অন্যদিকে ভ্যাকসিন জাতীয়তাবাদ এ কাজের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড়ো প্রতিবন্ধক। ল্যান্সেট-এ “A beautiful idea: how COVAX has fallen short” (জুন ১৯, ২০২১) প্রতিবেদনে বলা হয়েছে – এটা কোন শ্লাঘার বিষয় নয় যে আফ্রিকা, এশিয়া এবং লাতিন আমেরিকার অতি দরিদ্র দেশগুলোতে যখন ভ্যাকসিন পৌঁছে দেবার চেষ্টা করা হচ্ছে তখন লক্ষ্যমাত্রার ৪%-এরও কম পূরণ করা গেছে।
ল্যান্সেট-এর আরেকটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে (মে ২৫, ২০২১) পোলিও এবং স্মল পক্সের মতো কোভিড-১৯-এর ক্ষেত্রেও যতক্ষণ সবাই সুরক্ষিত না হচ্ছে ততক্ষণ কেউই সুরক্ষিত নয়।
নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল-এর পূর্বোল্লেখিত প্রবন্ধে বলা হয়েছিল – “এই অসাম্যগুলো বিশ্বের স্বাস্থ্যের চিত্রের এবং বিশ্ব অর্থনীতির একেবারের গোড়ার গলদগুলো স্পষ্ট করে তোলে – যেখানে ভ্যাকসিন এবং অন্যান্য অত্যাবশ্যকীয় মেডিসিনকে পাব্লিক গুডের পরিবর্তে বাজারের পণ্য হিসেবে দেখা হয়।”
ভারতবর্ষ সহ সবদেশেই, বিশেষ করে নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশগুলোর ক্ষেত্রে এখানে জনতার সংগঠিত দাবী এবং, এমনকি, স্বাস্থ্য আন্দোলনের প্রসঙ্গ আসে যেখানে সেখানে প্রশ্ন তুলতে হবে – পৃথিবীর মানুষকে বাঁচানোর জন্য ভ্যাকসিন সর্বোচ্চ মুনাফাদায়ক পণ্য হবে কিংবা সবার প্রয়োজনে, সবার নাগালের মধ্যে থাকা পাবলিক গুড হবে? স্বাস্থ্য কি সবচেয়ে অবহেলিত রাষ্ট্রিক নীতি হয়েই থাকবে? কিংবা স্বাস্থ্য একটি মৌলিক সাংবিধানিক এবং মানবাধিকার বলে গৃহীত হবে। এই ভয়ংকর অতিমারি আমাদেরকে এরকম এক বাস্তবের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে। এই সুকঠিন বাস্তবের মোকাবিলা করার পূর্ণ দায়িত্ব আমাদের সবার।
পূর্বোল্লেখিত নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল-এর “ফ্রম ভ্যাকসিন ন্যাশনালিজম টু ভ্যাকসিন ইকুইটি” প্রবন্ধটির কথায় আসি। ওখানে বলা হয়েছিল – মূল কথা হল, সমগ্র বিশ্বের টিকাকরণ শুধুমাত্র একটি নৈতিক বাধ্যবাধকতা নয়, এ কাজটি আমাদের নিজেদের স্বার্থ সুরক্ষিত করবে – নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য এবং অর্থনীতির ক্ষেত্রে। ধনী দেশগুলোতে প্রথম টিকাকরণ করার পরে বাকী বিশ্বের সিদ্ধিলাভ হবে এমন ভাবার কোন কারণ নেই।
মূল কথা হল, সমগ্র বিশ্বের টিকাকরণ শুধুমাত্র একটি নৈতিক বাধ্যবাধকতা নয়, এ কাজটি আমাদের নিজেদের স্বার্থ সুরক্ষিত করবে – নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য এবং অর্থনীতির ক্ষেত্রে। ধনী দেশগুলোতে প্রথম টিকাকরণ করার পরে বাকী বিশ্বের সিদ্ধিলাভ হবে এমন ভাবার কোন কারণ নেই।
একথাগুলো কি আমরা ভাবছি? না ভেবে, উটের মতো বালুতে মুখ গুঁজে এড়িয়ে যাওয়া যাবে কি?