বামপন্থা ও গণতন্ত্রের কথোপকথন
[বিশ্ব]
বিচার অনেক সময়-ই প্রহসনে পরিণত হয়। ইতিহাসে আমরা অনেক দেখেছি, ক্ষমতালোভী ও স্বার্থান্বেষী শক্তি বিচারব্যবস্থাকে কুক্ষিগত করে কায়েমী স্বার্থ চরিতার্থ করার অভিপ্রায়ে। ২৩ মার্চ ২০২১ তারিখটি পৃথিবীর বিচারব্যবস্থার ইতিহাসে, যদি সে ইতিহাস কোনও দিন রচিত হয়, একটি দিগন্তকারী দিন হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। সেদিন ব্রাজিলের সুপ্রীম কোর্টে বিচারক গিলমার মেন্ডেসের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের বিচারকমণ্ডলী ঘোষণা করেন যে, ছ-বছর আগে দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত ব্রাজিলের পূর্বতন রাষ্ট্রপ্রধান লুলা দ্য সিলভার বিরুদ্ধে দেশের সর্বোচ্চ আদালত যে রায় প্রদান করেছিলেন সেটি সর্বতোভাবে ভ্রান্ত ছিল। আদালত একথাও ঘোষণা করেন যে, বিচারক সেরগিও মোরো, যিনি অভিযুক্ত লুলার বিচারসভার প্রধান বিচারপতি ছিলেন, তিনি নিজে ছিলেন পক্ষপাতদুষ্ট। চার বছর আগে ২০১৭ সালে পূর্বতন রাষ্ট্রপতি লুলা দ্য সিলভাকে দুর্নীতির অভিযোগে কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয় এবং রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়। আশ্চর্যের বিষয় এটাই যে, রাষ্ট্রপ্রধান থাকাকালীন লুলা নিজেই, ব্রাজিলকে অর্থনৈতিক দুর্নীতি মুক্ত করার অভিপ্রায়ে তিনি যে ‘Clean Slate Law” প্রবর্তন করেছিলেন, তাঁরই বিরুদ্ধে সেই আইন-ই প্রযুক্ত হয় এবং তাঁর নয় বছরের কারাদণ্ডের শাস্তি ঘোষিত হয়। বছর দেড়েক তিনি কারান্তরালে ছিলেন। ২০১৯ সালে তাঁর কারাবাসের মেয়াদ শেষ হওয়ার অনেক আগেই তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয় এই কথা স্বীকার করে যে, সমস্ত সাক্ষ্যপ্রমাণ গ্রহণ করা শেষ হলেই একজন অভিযুক্তের শাস্তি ঘোষণা হতে পারে, তার আগে নয়। লুলার ক্ষেত্রে এর ব্যতিক্রম ঘটেছিল।
তৃতীয় বিশ্বের দেশ ব্রাজিলের রাজনৈতিক বাতাবরণ অনুসন্ধান করার আগে একটু জেনে নেওয়া যাক কে এই লুলা দ্য সিলভা, কেমন ছিল ব্রাজিলবাসীর কাছে রাষ্ট্রপতি হিসাবে তাঁর গ্রহণযোগ্যতা? লুলা দ্য সিলভা ছিলেন ব্রাজিলের ৩৫ তম রাষ্ট্রপতি, ২০০৩ থেকে ২০১১ এই আটবছর পরপর দুটো পর্যায়ে তিনি রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। তিনি ছিলেন ব্রাজিলের ওয়ার্কার্স পার্টির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। তাঁর শাসনকালে তিনি যে সামাজিক পরিবর্তনের পরিকল্পনাগুলো গ্রহণ করেছিলেন, ‘বোলসা ফ্যামিলিয়া’ এবং ‘ফোমে জিরো’ তা দারিদ্র্য দূরীকরণ এবং শ্রমজীবী মানুষের উন্নয়নের পথ দেখায়। বিশ্বের পরিবেশ দূষণ সংক্রান্ত সমস্যাবলীর এবং দেশে দেশে বিশেষত তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলিতে ক্ষমতার কেন্দ্রীকরণ ও সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসনের বিরুদ্ধে তিনি ছিলেন সোচ্চার। সারা পৃথিবীতে যখন উগ্র দক্ষিণপন্থী রাজনীতি বিস্ফোরিত হচ্ছে, তিনি তখন তাঁর দেশে সাধারণ মানুষের কল্যাণের জন্য, শ্রমজীবী মানুষের সার্বিক উন্নয়নের পক্ষে পরিকল্পনাগুলো রচনা করে চলেছেন। একবিংশ শতাব্দীর বিশ্ব এই বামপন্থী ট্রেড ইউনিয়ন নেতাকে সমকালীন বিশ্বের একজন অন্যতম শ্রেষ্ঠ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বলে স্বীকৃতি দেয়। সোভিয়েতের পতনের পরে, বামপন্থার অবক্ষয়ের সময়ে লাতিন আমেরিকার দেশগুলিতে যে বামপন্থী মতাদর্শের পতাকা উড্ডীন ছিল, হুগো দ্য সাভেজ এবং লুলা দ্য সিলভা তার কাণ্ডারী বললে অত্যুক্তি হয় না।
দুর্নীতির মিথ্যা অভিযোগে অভিযুক্ত প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি লুলা দ্য সিলভা মার্চ মাসে ঘোষিত সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের ফলে আসন্ন ২০২২ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে পুনরায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন। ব্রাজিল সুপ্রীম কোর্টের মহামান্য বিচারক এডসন ফেসিন মার্চ মাসের প্রথমভাগে লুলার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের মামলাটিকেই নস্যাৎ করে দেন এই যুক্তিতে যে, রাজধানী ব্রাসিলিয়ার যুক্তরাষ্ট্রীয় বিচারব্যবস্থার কাঠামোয় রাষ্ট্রপতি লুলার বিচার হওয়া উচিত ছিল, সেটা করা হয় নি। তাই সমগ্র বিচার প্রক্রিয়াটিই অলীক, ভিত্তিহীন। পরবর্তীকালে ব্রাজিল সুপ্রীম কোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চ বিচারক ফেসিনের রায়কে মান্যতা দেন এবং এই কথা ঘোষণা করা হয় যে রাষ্ট্রপতি থেকে শুরু করে দেশের প্রত্যেকটি সাধারণ নাগরিকের পক্ষপাতহীন সময়োপযোগী ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার আছে। বিচারপতি সেরগিও মোরো-র ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করে বেঞ্চ বলেন যে, মোরো-র নেতৃত্বাধীন ‘অপারেশন কার ওয়াশ’ মামলাটির বিচার এবং রায়দান একটি অত্যন্ত বিতর্কিত বিষয় যা ব্রাজিলের রাজনৈতিক স্থিতাবস্থাকে ওলটপালট করে দিয়েছে। ২০১৪ সালে সংঘটিত এই বিচারের ফলে ব্রাজিলের অসংখ্য রাজনীতিবিদ এবং বৃহৎ ব্যবসায়ী প্রকারান্তরে কারাবরণ করতে বাধ্য হয়েছেন। বর্তমান রাষ্ট্রপতি বোলসোনারো অবশ্য ‘অপারেশন কার ওয়াশ’ মামলাটি খারিজ করে দিয়েছেন এই কথা বলে যে, তিনি রাষ্ট্রপতির পদ গ্রহণ করার সঙ্গে সঙ্গেই নাকি ব্রাজিল দেশটি ‘দুর্নীতিমুক্ত’ হয়ে গেছে। প্রকৃতপক্ষে এই মামলা চলাকালীন বোলসোনারোর পৃষ্ঠপোষক এবং সমর্থক বহু ধনী ব্যক্তি, পুঁজিপতি এবং বৃহৎ ব্যবসায়ী কারারুদ্ধ হন এবং আরো অনেকেই আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েন। দক্ষিণপন্থী বোলসোনারোর নিষ্কন্টক শাসনের জন্য ‘অপারেশন কার ওয়াশ’ নামক বিতর্কিত মামলাটি বন্ধ করে দেওয়া একান্তই প্রয়োজন ছিল। লুলা এই মামলাটিকে ব্রাজিলের ৫০০ বছরের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ মিথ্যা বলে অভিহিত করেছেন।
রাষ্ট্রপতি লুলার বিরুদ্ধে যে মামলা সাজিয়ে তাঁকে কারারুদ্ধ করা হয়েছিল তা যে কেবলমাত্র বিচারের নামে প্রহসন ছিল তা-ই নয়, এটি ছিল একটি সুগভীর ষড়যন্ত্র। বামপন্থী এবং সাধারণ শ্রমজীবী মানুষের প্রতিনিধি লুলাকে অপসারিত করে দক্ষিণপন্থী শক্তিকে পুনরায় ক্ষমতায় নিয়ে আসার সাম্রাজ্যবাদী চক্রান্ত। মার্চ মাসে ব্রাজিলের সুপ্রীম কোর্ট রায় দিয়েছেন যে, ‘অপারেশন কার ওয়াশ’ পক্ষপাতহীন রায়দান করেনি তাই বিচারপতি মোরো এবং তাঁর সহযোগীরা প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি লুলার বিরুদ্ধে যে সমস্ত প্রমাণাদি সংগ্রহ করেছিলেন সমস্তই বাতিল বলে গণ্য হলো এবং ব্রাজিলের অন্য কোনও আদালতে এই সমস্ত নথি প্রমাণ হিসেবে পুনরায় গৃহীত হবে না। লুলার আইনি পরামর্শদাতারা সুপ্রীম কোর্টের এই সিদ্ধান্তকে ন্যায়বিচার, সততার এবং দৃঢ়তার পরিচায়ক বলে স্বাগত জানিয়েছেন এবং প্রমাণ করে দিয়েছেন যে বিচারপতি মোরো একজন বিচারক হিসাবে নয়, রাষ্ট্রপতি লুলার বিপক্ষীয় রাজনীতিবিদ হিসাবে এই মামলাটিতে লড়েছিলেন। বর্তমান রাষ্ট্রপতি বোলসোনারো যখন রাষ্ট্রপ্রধান হলেন, বিচারপতি মোরোকে তাঁর ক্যাবিনেটে আইনমন্ত্রী নিযুক্ত করেন। সুপ্রীম কোর্টের বিচারপতিদের একটা বড় অংশই মনে করেন যে এই নিযুক্তি আসলে একটি ইনাম বা পুরস্কার যা মোরো-কে পাইয়ে দেওয়া হলো ‘অপারেশন কার ওয়াশ’ মামলাটিতে লুলাকে পরাজিত এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে নিবৃত্ত করার মূল্য হিসাবে। ‘দ্য ইন্টারসেপ্ট’ নামক ওয়েব জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে যে, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি লুলা এবং পরবর্তী রাষ্ট্রপ্রধান ডিলমা রৌসেফের মধ্যে টেলিফোনে গোপনীয় কথোপকথনের সমস্তই ‘ট্যাপ’ করে বিচারক মোরো সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ করে দিয়েছিলেন। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায় যে, মোরো-র এই প্রচেষ্টাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইন মন্ত্রকের প্রত্যক্ষ মদত ছিল। ২০১৫ সালে উইকিলিকস–এর তথ্য অনুসারে প্রকাশিত হয় যে আমেরিকার বারাক ওবামার সরকার রাষ্ট্রপ্রধান ডিলমা রৌসেফের টেলিফোন ‘ট্যাপ’ করার গোপন নির্দেশ জারি করেন।
চক্রান্তের এখানেই শেষ নয়। জেনারেল ভিল্লাস বোয়াস, ব্রাজিলের প্রাক্তন সেনাধিনায়ক স্বীকার করেছেন যে, ২০১৬ সালে লুলার উত্তরাধিকারি ডিলমা রৌসেফের সরকারকে গদিচ্যুত করার জন্য সামরিক অভ্যূত্থানের ষড়যন্ত্রও রচনা করা হয়, কিন্তু সেই ষড়যন্ত্র সফল হয় নি। ব্রাজিলের শীর্ষ সামরিক অধিকর্তা বিচারকদের উপর চাপ সৃষ্টি করেছিলেন যেন লুলার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে তাঁকে ২০১৮ সালের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে নিবৃত্ত করা হয়। বর্তমান রাষ্ট্রপতি বোলসোনারো নিজে স্বল্পকালের জন্য সামরিক বাহিনীতে যুক্ত ছিলেন এবং তিনি সর্বদাই ব্রাজিলে ১৯৬৪ সাল থেকে দীর্ঘ ২১ বছরের নির্মম দক্ষিণপন্থী সামরিক শাসনের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন। বোলসোনারোর ক্যাবিনেট সদস্য এবং সরকারি আধিকারিকদের অনেকেই অবসরপ্রাপ্ত সামরিক অফিসার, এমনকি উপরাষ্ট্রপতি হ্যামিলটন মোওরাও একজন অবসরপ্রাপ্ত আর্মি জেনারেল। ২০২০ সালে রাষ্ট্রপতি বোলসোনারোর সঙ্গে তীব্র মতান্তরের ফলে বিচারপতি মোরো আইনমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন এবং বিদায়ী ভাষণে তিনি বলেন যে, রাষ্ট্রপ্রধান বোলসোনারো তাঁর অত্যন্ত অনুগত একজনকে প্রধান পুলিশ অধিকর্তা নিয়োগ করতে চান যিনি দেশের সমস্ত গোপন তথ্যাদি সরাসরি তাঁর হাতে প্রত্যর্পণ করবেন। এভাবেই ব্রাজিলের রাজনৈতিক পরিমণ্ডল গত পাঁচ-ছ বছর ধরে অস্থির এবং উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে— বিচারের নামে প্রহসন, স্বজনপোষণ, সামরিক অভ্যূত্থান, প্রাক্তন রাষ্ট্রপ্রধানদের প্রতি ষড়যন্ত্র এবং সর্বোপরি সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসনের এক জ্বলন্ত নিদর্শন হিসেবে।
অতিমারির অভিঘাতে মারাত্মকভাবে পর্যুদস্ত হয়েছেন ব্রাজিলবাসী। প্রায় এক কোটি দশ লক্ষ লোক আক্রান্ত হয়েছেন, মৃত্যু হয়েছে প্রায় তিন লক্ষ দেশবাসীর। এতদসত্ত্বেও রাষ্ট্রপতি বোলসোনারো অতিমারিকে উপযুক্ত গুরুত্ব সহকারে মোকাবিলা করার চেষ্টা করেননি, ‘সামান্য ফ্লু’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন এবং সমস্তরকম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা যেমন মাস্ক পরা অপ্রয়োজনীয় বলে দেশবাসীকে বিরত থাকতে বলেছেন, নির্দেশ দিয়েছেন অবৈজ্ঞানিক চিকিৎসা পদ্ধতিকে অনুসরণ করতে। অতিমারি বিষয়ে তাঁর সঙ্গে মতের অমিল হওয়ায় গত এক বছরের মধ্যে তিনজন স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে বোলসোনারো পদচ্যুত করেছেন। মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প-এর পদাঙ্ক অনুসরণ করে তিনি অতিমারির জন্য চীনকে দায়ী করেছেন। সাও পাওলোর রাজ্য সরকারের সঙ্গে চীনের সিনোভ্যাক বায়োটেক কোম্পানীর (যারা কোভিড-১৯ এর প্রতিষেধক টিকা প্রস্তুত করছে) চুক্তি নাকচ করে দেওয়ার জন্য তিনি যার পর নাই সক্রিয় হয়েছিলেন। সাও পাওলোর গভর্নর জোয়াও ডোরিয়া বোলসোনারোর পথকে গণহত্যার সামিল বলে বর্ণনা করেছেন এবং রাষ্ট্রপতির নির্দেশ অমান্য করে সিনোভ্যাক বায়োটেক কোম্পানীকে কোভিড প্রতিষেধক টিকা প্রস্তুত এবং বন্টন করার অনুমতি দিয়েছেন।
কোভিডের করাল গ্রাসে দেশবাসী আচ্ছন্ন, বোলসোনারোর জনবিরোধী নীতি দেশবাসীকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে, তাঁর সার্বিক অপদার্থতা চর্মচক্ষুতে প্রতীয়মান তবুও ৩০ শতাংশ ব্রাজিলবাসী চান বোলসোনারো আর এক দফার জন্য রাষ্ট্রপতি হোন। কেন্দ্রীয় দক্ষিণপন্থী সংগঠন প্রচার চালাচ্ছে যে, বামপন্থীরা ক্ষমতায় এলে দেশের অর্থনীতিতে ধ্বস নামবে। মার্চ মাসে ব্রাজিলের সুপ্রীম কোর্ট লুলার পক্ষে রায়দান করেন, আশ্চর্যজনকভাবে সঙ্গে সঙ্গে ব্রাজিলের স্টক মার্কেটের সূচকের চার শতাংশ অবনমন ঘটে। যদিও লুলার রাষ্ট্রপতিত্বের সময় দেশের অর্থনীতি শিখর ছুঁয়েছিল এবং সমাজতান্ত্রিক আদর্শে বিশ্বাসী হওয়া সত্ত্বেও লুলা ব্যবসায়ীদের মিত্র হিসেবেই পরিচিত ছিলেন। ২০২২ সালের নির্বাচনে লুলা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন কি না এখনও অনিশ্চিত কিন্তু ৫০ শতাংশ মানুষের সমর্থন তাঁর আছে এবং শ্রমজীবী মানুষের উন্নয়নকল্পে সমাজতান্ত্রিক আদর্শে তাঁর ভরসা এখনও অটুট। আমাদের বিশ্বাস, অতিমারি কবলিত ব্রাজিলবাসীকে ভিন্নতর এবং উন্নততর সুস্থসমাজের দিশা একমাত্র লুলা দ্য সিলভা-ই দেখাতে পারেন, অন্য কেউ নয়।
— তথ্য এবং কৃতজ্ঞতা স্বীকার: ফ্রন্টলাইন, ২৩ এপ্রিল, ২০২১