বামপন্থা ও গণতন্ত্রের কথোপকথন

[বিশ্ব]

[বিশ্ব]

রাশিয়ার ইউক্রেন যুদ্ধ

রাশিয়ার ইউক্রেন যুদ্ধ

বসন্ত মুখোপাধ্যায়

photo

শ্রমজীবী ভাষা, ১৬ মার্চ, ২০২২— মাও সে তুঙ একদা বলেছিলেন, রাজনীতি হল রক্তপাতহীন যুদ্ধ। এবং যুদ্ধ হল রক্তপাতময় রাজনীতি। ইউক্রেনে রাশিয়ার বিশেষ সামরিক অভিযান নিয়ে মন্তব্য করার আগে একথা স্পষ্ট করে বলে নেওয়াই ভাল যে, সমস্যা সমাধানে রক্তপাতহীন রাজনৈতিক যুদ্ধই কাম্য। রাশিয়া ইউক্রেনে সামরিক অভিযান না চালিয়ে কূটনীতির যুদ্ধে এই সমস্যার সমাধান করলেই সেটা সবচেয়ে ভাল হতো। সবচেয়ে ভাল হতো এই সামরিক অভিযান এড়ানো গেলে।
প্রসঙ্গত একথাও স্বীকৃত যে, সব যুদ্ধই সমান চরিত্রের নয়। মাও বলেছিলেন, দু’ রকমের যুদ্ধ আছে— ন্যায় যুদ্ধ ও অন্যায় যুদ্ধ। আমেরিকা ইরাকের বিরুদ্ধে যে জঘন্যতম আগ্রাসী যুদ্ধ চালিয়েছে তার বিরুদ্ধে ইরাকের জনতা যুদ্ধ ঘোষণা করলে তা হবে সাম্রাজ্যবাদ–বিরোধী ন্যায় যুদ্ধই। তাই সব যুদ্ধের ঊর্ধ্বে উঠে শান্তি বাণীর আওড়ানো সেই ‘‌শুনাইবে ব্যর্থ পরিহা‌স’‌–এর মতো।

কেন ইউক্রেন


১৯৯১ এ সোভিয়েতের পতনের পর মার্কিন প্রশাসন কথা দিয়েছিল তারা পূর্ব ইউরোপের দিকে এক পাও এগোবে না। অর্থাৎ পূর্ব ইউরোপের পূর্বতন সমাজতান্ত্রিক দেশগুলিকে নিজেদের প্রভাবে এনে রাশিয়াকে ঘেরাও করার চেষ্টা করবে না। আমেরিকা ও নেটো জোট এই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেনি। তারা ভ্রাতৃঘাতী সংঘাত উস্কে দিয়ে যুগোস্লোভাকিয়াকে সাত টুকরো করেছে।
আলবেনিয়া, বুলগেরিয়া, ক্রোয়েশিয়া, চেক প্রজাতন্ত্র, এস্তোনিয়া, লাতভিয়া, হাঙ্গেরি, লিথুয়ানিয়া, রোমানিয়া, স্লোভাকিয়া, স্লোভেনিয়া— পূর্বতন সমাজতান্ত্রিক শিবিরের এই দেশগুলি এখন নেটোর সদস্য। একসময়ে রাশিয়া প্রশ্ন তুলেছিল, সোভিয়েত রাশিয়া ও ওয়ারশ প্যাক্টের যখন কোনও অস্তিত্ব নেই তখন কেন ইউরোপে নেটো তার অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছে?‌ এর পিছনে সামরিক উদ্দেশ্য কী? এক সময়ে ইউরোপের সম্মিলিত নিরাপত্তার উদ্দেশ্যে এমনকি রাশিয়াও নেটোর সদস্য হতে চেয়েছিল। কিন্তু রাজি হয়নি নেটো।
আসলে রাশিয়ার অপরাধ সে একদা সমাজতান্ত্রিক ছিল। দ্বিতীয় অপরাধ, সে পশ্চিমের সামনে নতজানু হয়ে তাদের লুঠের মালে পরিণত হয়নি। বরং, পুতিনের নেতৃত্বে খর্বিত, খণ্ডিত রাশিয়াও তার আগেকার শক্তি অনেকটাই ফিরে পেয়েছে। এই দুই অপরাধে আমেরিকা ও ইউরোপ রাশিয়াকে একঘরে করে রেখে নেটোর শক্তি বাড়িয়ে ফের চারদিক থেকে রাশিয়াকে ঘিরে রাখতে চাইছে। এই লক্ষ্যে নেটোর খুঁটি হল ইউক্রেন।

আরও পূবমুখী নেটো


কথা ছিল, পোল্যান্ডের পর আর পূবদিকে এগোবে না নেটো। এখন যদি সেই প্রতিশ্রুতি ভেঙে নেটো ইউক্রেনকে সদস্য দেশ করে নিয়ে পোল্যান্ডের মদতে রাশিয়ার দোরগোড়ায় মার্কিন মিসাইল এনে ফেলে, তাহলে রাশিয়ার আত্মরক্ষার অধিকার কি অস্বীকার করা যায়? ‌তার চেয়েও বড় কথা, সোভিয়েতের পতনের তিন দশক পরেও নেটো জোট আছে কেন? কার সঙ্গে যুদ্ধ করার জন্য? কেন পশ্চিম ইউরোপের দেশে দেশে মার্কিনি সেনা ঘাঁটি রেখে দেওয়া হয়েছে? এর উত্তর হল, কমিউনিস্ট হোক বা জাতীয়তাবাদী, রাশিয়াকে উঠতে দেওয়া যাবে না। রাশিয়া থাকবে লুঠের মাল হয়ে। এমনটাই চেয়েছিল জার্মানির হোজেনজোলান রাজবংশ। এমনটাই চেয়েছিল হিটলারের জার্মানিও। পরে নেপোলিয়ন রাশিয়াকে লুঠের মাল করতে চেয়েছিলেন। নেপোলিয়ন হেরেছিলেন জারের জেনারেল মিখাইল কুটুজভের কাছে। আর হিটলারের বাহিনী হেরেছিল স্তালিনের বাহিনীর কাছে। এবার তাল ঠুকছে পশ্চিমী পুঁজিপতিদের সামরিক জোট নেটো।  এখন রাশিয়াকে বাগে আনা গেলে পশ্চিম ইউরোপ এবং আমেরিকা নিশ্চিত হবে। আর তাহলেই দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে চীনের বিরুদ্ধে কোমর কষে নেমে পড়া যাবে।

জেলেনস্কি ও নেটো


২০১৯ এর মার্চ ও এপ্রিলে দু’ দফায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয় ইউক্রেনে। মার্চে প্রথম দফার ভোটে ৩৯ জন প্রার্থীর কেউই নিরঙ্কুশ গরিষ্ঠতা পাননি। দ্বিতীয় দফায় ভোট হয় সবচেয়ে বেশি ভোট পাওয়া দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে ভোলোদোমির জেলেনস্কি এবং পেট্রো পোরশেঙ্কো। জেলেনস্কি আদতে ছিলেন একজন কমেডিয়ান যিনি টিভি সিরিয়ালে ছায়া প্রেসিডেন্টের ভূমিকায় অভিনয় করতেন। শেষ পর্যন্ত প্রেসিডেন্টের পদে অভিনয় করা কমেডিয়ানই বাস্তবে প্রেসিডেন্ট হয়ে ওঠেন। তবে  প্রেসিডেন্ট পদে ৩৯ জন প্রার্থীর কেউই যে নিরঙ্কুশ গরিষ্ঠতা পেলেন না তার থেকেই স্পষ্ট ইউক্রেনে জনমত বহুভাগে বিভক্ত।
জেলিনস্কির আগের আমল থেকেই আমেরিকা ও নেটোর নির্দেশে রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের অর্থনৈতিক সম্পর্ক ধাপে ধাপে কমিয়ে আনা হচ্ছিল। তারই ধারাবাহিকতায় জেলেনস্কি আনেনে আর একটি বিল যার সাহায্যে স্বদেশীয় অধিবাসী হিসাবে ইউক্রেনে থাকা রুশীদের অধিকার খর্ব করা হয়। এবং বলা হয়, ইউক্রেনে থাকতে গেলে রুশীদের নিজস্ব শিকড় ভুলে যেতে হবে। এভাবে তৈরি করা হয় জাতিগত সংঘাতের বীজ।
রাশিয়ার অভিযোগ, ইউক্রেনের প্রতিনিধিরা বারে বারে রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদে নাৎসিবাদের গরিমাকে নিন্দা করে আনা প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিয়েছে। নাৎসি এসএস ইউনিটের যারা যুদ্ধাপরাধী তাদের সম্মানে মিছিল ও টর্চলাইট প্রসেসন বের করা হয়েছে। দেশবাসীর সঙ্গে বিশ্বাশঘাতকতা করেছিল যে মাজেপা, ইউক্রেনের জমি পোলিশদের হাতে তুলে দেওয়ার মূল্য যাকে চোকাতে হয়েছে যে পেৎলুরাকে, নাৎসিদের সহযোগী বান্দেরা, এদের সবাইকে এখন জাতীয় বীরের আসনে বসানো হয়েছে।

রুশ অভিযানের সামরিক লক্ষ্য


রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের ভাষায় ইউক্রেন দখল করা রাশিয়ার লক্ষ্য নয়। লক্ষ্য demilitarisation ও denazification‌।  মানচিত্রেই স্পষ্ট ইউক্রেনের উপকূল জুড়ে ছড়িয়ে থাকা শহরগুলিতেই কেন্দ্রীভূত হয়েছে রুশ অভিযান। খেরসন, মারিউপোল, খারকিভ, কিয়েভ— এই চারটি এলাকা জুড়ে চলছে রুশ হামলা। লক্ষ্যে ওডেসা বন্দরও। এই বন্দর হাতে এলে ক্রিমিয়ার সঙ্গে রাশিয়ার স্থলপথে যোগাযোগ সম্ভব হবে। ইউক্রেন সীমান্তের যেসব দিকে পোল্যান্ড, রোমানিয়া কিংবা হাঙ্গেরি, সেদিকে কোনও সেনা অভিযান হয়নি। ইউক্রেনের একটা দিকের সামরিক পরিকাঠামো ধ্বংসই মূল লক্ষ্য। তবে এই লক্ষ্য অর্জনে ঘিরে ফেলা হয়েছে বেশ কয়েকটি শহর। ফলে সেখানে অবর্ণনীয় দুঃখকষ্ট সইতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। এই দু’র্ভোগ মোটেই কাম্য নয়। এই যুদ্ধের দীর্ঘকালীন পরিণাম রাশিয়ার পক্ষে বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। একই সঙ্গে ইউক্রেনের নয়া নাৎসিদের বিরুদ্ধেও অত্যাচারের প্রমাণ হাজির করা হবে বলে দাবি করেছে রাশিয়া।

কেন যুদ্ধে নামছে না আমেরিকা?


আসলে নেটো হল মেড়া। তার খুঁটি আমেরিকা। আফগান যুদ্ধে ল্যাজেগোবরে হওয়ার পর নতুন করে কোথাও সেনা অভিযান শুরু করার আর্থিক ক্ষমতা আমেরিকার নেই। এরপর তাকে এশীয় প্রশান্ত মহাসাগরে সামলাতে হচ্ছে চীনকে। এরপর ইউরোপে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে জড়ালে বিপদ বাড়বে বই কমবে না। যদি রাশিয়া, চীন ও উত্তর কোরিয়ার পরমাণু শক্তি যোগ করা যায়, তাহলে আমেরিকা ও নেটোর মিলিত শক্তির তুলনায় তা কম হবে না। পরমাণু অস্ত্রের এই ভারসাম্যের জুজুই আমেরিকাকে বিশ্বযুদ্ধে নামা থেকে আটকে রেখেছে। আমেরিকা এখন চায় অসংখ্য স্থানীয় যুদ্ধ যেখানে লকহিড মার্টিনের মতো কোম্পানিগুলি অস্ত্র বেচতে পারবে। তাদের তেমনই এক যুদ্ধভূমি হল ইউক্রেন।

চুপ কেন ইউরোপ?


যতই চেঁচাক ব্রিটেনসহ ইউরোপের নেতারা, নেটো কিন্তু বলে দিয়েছে তারা সরাসরি ইউক্রেন যুদ্ধ জড়াবে না। কারণ তারা জানে, যুদ্ধে জড়ানোর মতো আর্থিক শক্তি তাদের নেই।
দ্বিতীয় কারণ আরও গুরুত্বপূর্ণ। রাশিয়ার জ্বালানি তেল ও গ্যাসের ওপর ভীষণভাবে নির্ভরশীল ইউরোপ। তথ্য দেখাচ্ছে, ২০২১ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মোট গ্যা সরবরাহের ৪৫ শতাংশই এসেছে রাশিয়া থেকে। রাশিয়া ইউরোপের সর্ববৃহৎ তেল সরবরাহকারী। আমেরিকা চায়, ইউরোপ রাশিয়া থেকে না কিনে তাদের কাছ থেকে তেল ও গ্যাস কিনুক। তাতে অবশ্য দাম পড়বে খুবই বেশি। কিন্তু জার্মানি, ফ্রান্স বা ইতালির মতো দেশ তা চায় না। রাশিয়ার সঙ্গে ইউরোপের এই অর্থনৈতিক সংযোগ এবং রুশ জ্বালানির ওপর ইউরোপের নির্ভরতাই ইউক্রেন যুদ্ধে জড়াতে দিচ্ছে না নেটোকে। পুতিন এটা জানেন। তাই ছক কষেই তাঁর ইউক্রেন অভিযান।

অতএব আর্থিক অবরোধ


যখন যু্দ্ধে নামাই যাবে না, বসে বসে দেখতে হবে পুতিনের বাহিনীর অভিযান, তখন হাতে থাকে একমাত্র ভাতে মারার অস্ত্র— অর্থনৈতিক অবরোধ। আজ থেকে একশ বছর আগে শিশু সোভিয়েত রাষ্ট্রকে ঘিরে গ্হযুদ্ধ ও আর্থিক অবরোধে চালিয়েছিল ব্রিটেনসহ পশ্চিমি জোট। অসংখ্য লোকের মৃত্যু হলেও সেই বাধা ভেঙে বেরিয়ে এসেছিল তরুণ সোভিয়েত রাষ্ট্র। আশ্চর্যজনকভাবে ১০০ বছর পরেও গরিবের বিপ্লব করা জন্য রাশিয়ার ওপর রাগ যায়নি পুঁজিবাদের। এমনকি রাশিয়া কমিউনিজম ছাড়ার পরেও।
অবরোধ নিয়ে যা বলার তাহল, প্রথমত ইউরোপে জ্বালানি সরবরাহ অভ্যাহতো থাকলে রাশিয়া তেমন তীব্র সঙ্কটে পড়বে না। দ্বিতীয়ত, রাশিয়া বহুদিন ধরেই এই যুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়েছে বলে বিশেষজ্ঞদের মত। রাশিয়ার বিদেশি মুদ্রার ভাণ্ডারের মাত্র ১৬ শতাংশ রয়েছে ডলারে। বাকিটা রুবলে। ফলে রুবলের সঙ্গে অন্য মুদ্রার বিনিময় বাড়লে দুর্বল হবে ডলারই। তবে এটা ঠিক যে, এতে ক্ষতির মুখে পড়তে হবে রুশ অর্থনীতিকে। তবে দেখা গেছে, যে শাসকের বিরুদ্ধ অর্থনৈতিক অবরোধ জারি হয়, তার প্রতি দেশের লোকের সহানুভূতি বাড়ে। পুতিনের ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হবে না।

ইউক্রেন অতঃপর


জেলেনস্কি এবার বুঝছেন নেটো তাকে ডুবিয়ে দিয়েছে। এবার সমঝোতার পথে হাঁটতে হবে। জানা গেছে পুতিনও জেলেনস্কির সঙ্গে কথা বলতে আগ্রহী। এখন শুধু দেখার, কতটা সমঝোতা করতে বাধ্য হন জেলেনস্কি। উল্টোদিকে দেখার, কতটা আদায় করতে পারেন পুতিন। ইউক্রেন নিরপেক্ষ দেশ থাকবে, কখনই নেটোতে যোগ দেবে না— পুতিনের এই শর্ত এবং আরও অনেক শর্ত তিনি মানবেন কিনা দেখা যাক। আবার এধরনের উগ্র শাসকেরা বড়সড় কোনও বিপদ ঘটিয়ে নিজের ও অন্যের ধ্বংস ডেকে আনতে পারেন— এমন সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।

যুদ্ধ শেষে নতুন পর্বের সূচনা?


তবে এই যুদ্ধে ক্ষতি হল ইউরোপের। রাশিয়া যদি ইউরোপের দিক থেকে একেবারে সরে গিয়ে চীনের হাত ধরে ইউরেশিয়া এলাকা জুড়ে নতুন একটা অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ার দিকে মন দেয়, তাহলে তার বাইরে থেকে যাবে ইউরোপ ও আমেরিকা। দ্বিধাবিভক্ত ইউরোপ ও আমেরিকাকে পিছনে রেখে একবিংশ শতকে ডলারবিহীন নতুন দুনিয়া গড়ার দিতে এগোতে পারে চীন ও রাশিয়া। এই পরিকল্পনা সফল হলে ইউরোপ ও আমেরিকা কেন্দ্রিক বিশ্বের সমাপ্তিকালের সূচনা হতে পারে। কীভাবে এটা ঠেকানো যায় তা নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বৈঠক হয়ে গেল ভার্সাই প্রাসাদে। প্রথম আর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অনুষঙ্গগুলি আবার যেন জাগিয়ে তোলা হচ্ছে। তবে মার্কস যেমন বলেছিলেন, ‘‌হেগেল একবার মন্তব্য করেছিলেন, বিশ্ব ইতিহাসের সব বড় ঘটনা ও চরিত্রেরা দু’বার আবির্ভূত হয়। তবে যে কথা তিনি যোগ করতে ভুলে গিয়েছিলেন তা হল, প্রথমবার তারা আসে ট্র্যাজেডি হিসাবে, পরের বার ভাঁড় হিসাবে।’‌ (‌মার্কস, লুই বোনাপার্টের অষ্টাদশ ব্রুমেয়ার)।‌ এখনকার  ভার্সাইয়ের নায়কেরা মার্কসের মন্তব্যকে সত্যি প্রমাণিত করেন কিনা সেটাই এখন দেখার।

Copyright © 2021 - 2022 Shramajeebee Bhasha. All Rights Reserved.