বামপন্থা ও গণতন্ত্রের কথোপকথন
[দেশ]
কেবল জল-জঙ্গল-জমি-সমুদ্র নয়, খাদ্যাভাস এবং রুচিতেও দখলদারির চেষ্টা করছে সঙ্ঘ পরিবার। তবে এবার এই প্রচেষ্টা শুরু হয়েছে মূল ভুখন্ড ছেড়ে দ্বীপ প্রদেশে। লাক্ষাদ্বীপের প্রাক্তন প্রশাসক দীনেশ্বর শর্মার মৃত্যুর পর ২০২০এর ডিসেম্বর মাসে নতুন প্রশাসক হিসাবে লাক্ষাদ্বীপের দায়িত্ব পান প্যাটেল বংশোদ্ভুত এক খোদাসাহেব যার খোদকারিতে ছবির মতো দ্বীপ প্রদেশটি রাতারাতি নরকে পরিণত হয়েছে।
মালয়ালম ভাষায় লাক্ষাদ্বীপ–এর অর্থ 'লক্ষদ্বীপ'। ছত্রিশটি দ্বীপ নিয়ে ভারতের দক্ষিণ-পশ্চিমে আরব সাগরের বুকে লাক্ষাদ্বীপের অবস্থান। ইতিহাস বলছে, হিন্দু, মুসলিম ও পর্তুগিজদের হাত ঘুরে ১৭৯৯ সালে ব্রিটিশদের দখলে যায় এই দ্বীপগুলি। এখানকার অধিকাংশ মানুষই ইসলাম ধর্মাবলম্বী। এমন একটি মুসলমান প্রধান দ্বীপ প্রদেশকে হিন্দুত্বকরণের জন্য উঠেপড়ে লেগেছেন সঙ্ঘ পরিবার নিযুক্ত প্রশাসক প্রফুল্ল খোদা প্যাটেল।
স্বাধীনতার পর থেকে দেশের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলোতে প্রশাসক হিসাবে সিনিয়র সরকারি অফিসারদেরই নিয়োগ করা হতো। ২০১৪ সালে বিজেপি ক্ষমতায় এসে সেই রীতির ব্যতিক্রম ঘটায়। ‘দমন ও দিউ’ এর প্রশাসক হিসাবে গুজরাটের এক বিজেপি নেতাকে প্রশাসক পদে নিযুক্ত করে, ২০১৬ সালে সেই ব্যক্তিকেই ‘দাদরা, নাগরাভেলির’ প্রশাসক পদে বসিয়ে দেওয়া হয়। নেতাটির নাম প্রফুল্ল খোদা প্যাটেল, সঙ্ঘ পরিবারের এই স্বয়ংসেবক এতটা মোদি-শাহ ঘনিষ্ঠ যে ২০১২ সালে সোহরাবউদ্দিন শেখ এনকাউন্টার কেসে অমিত শাহ যখন জেলে, তখন গুজরাটের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছিলেন এই প্রফুল খোদা প্যাটেল। ২০২০ সালের ৫ ডিসেম্বর এই প্রফুল্ল প্যাটেলকেই লাক্ষাদ্বীপের প্রশাসক পদে নিযুক্ত করে ভারতের রাষ্ট্রপতি। এমনিতেই এই সব কেন্দ্রশাসিত রাজ্যগুলোতে গণতন্ত্রের নিয়ম মেনে নিজেদের প্রশাসক বেছে নেওয়ার সুযোগ নেই, এদের কোনও বিধানসভা নেই। এভাবেই ভারতের পশ্চিম তীরের সবকটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে কার্যত একজন গুজরাটি সঙ্ঘনেতার হাতে তুলে দেওয়া সম্পন্ন হয়। অতঃপর মাত্র ৬ মাসে লাক্ষাদ্বীপকে কার্যত নরকে পরিণত করেছে সঙ্ঘ পরিবারের এই খোদা।
দেশের মধ্যে সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল হিসেবে লাক্ষাদ্বীপ পরিচিত। যখন মূল ভুখন্ডেও স্ত্রীশিক্ষা নিয়ে রীতিমতো বাধানিষেধ ছিল তখনও মেয়েরা স্কুলে যেত এই দ্বীপে। এই দ্বীপের গ্রামসমাজে মহিলাদের প্রাধান্য লক্ষ্য করার মতো। এমনকি এখানে মেয়েদের বিয়ের পর শ্বশুর বাড়ি যেতে হয় না, উল্টে বরমশাই বিয়ের পর বৌয়ের সঙ্গে থাকবেন বলে বৌয়ের বাড়িতে যান। সমুদ্রের ধারে ব্রিটিশ আমলের প্রাচীন লাইটহাউস। দুশোটারও বেশি সিঁড়ি ভেঙে ওপরে উঠলে দিগন্তবিস্তৃত আরবসাগরের রূপের মতোই এ দ্বীপের নারী স্বাধীনতা সর্বজনবিদিত। ৯৬% নারীশিক্ষা নিয়ে দেশের শীর্ষ স্থানে থাকা এই দ্বীপ প্রদেশে জন্মহার ও অপরাধ প্রবণতা দেশের মধ্যে সবচেয়ে কম। এই লাক্ষাদ্বীপই এখন সঙ্ঘকর্তাদের অন্যতম লক্ষ্যে পরিণত হয়েছে। তাঁদের সাত বছরের অপশাসনে নতুন সমস্যার নাম লাক্ষাদ্বীপ।
আরব সাগরের বুকে লাক্ষাদ্বীপের দায়িত্ব হাতে নিয়েই খোদাজি এমন কয়েকটি বিতর্কিত পদক্ষেপ নিয়েছেন, যার বিরুদ্ধে ওই দ্বীপপুঞ্জের বাসিন্দারা এখন ক্ষোভে ফুঁসছেন। নয়া প্রশাসক প্রফুল্ল প্যাটেলের বিতর্কিত সিদ্ধান্তগুলির বিরোধিতা করে এবার প্রধানমন্ত্রী চিঠি লিখেছেন দেশের ৯৩ জন অবসরপ্রাপ্ত আমলা। কোনও রকম রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নন তাঁরা। কেবলমাত্র ভারতীয় সংবিধানের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকেই এই চিঠি লিখছেন। চিঠিতে তাঁদের গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে।
কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল লাক্ষা দ্বীপপুঞ্জের বর্তমান প্রশাসক গুজরাটের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্র রাষ্ট্রমন্ত্রী প্রফুল্ল প্যাটেল। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে, সেখানে উন্নয়নের নামে এমন ধরনের পদক্ষেপ করা হচ্ছে যা বিতর্কিত। সে প্রসঙ্গে চিঠিতে লেখা হয়েছে, ‘‘এটা স্পষ্ট যে গৃহীত সব ধরনের পদক্ষেপই একটি বৃহৎ প্রোপাগান্ডার অংশ। যা দ্বীপপুঞ্জ ও এখানকার বাসিন্দাদের স্বার্থ ও আবেগের পরিপন্থী।’’ তাঁদের আরও অভিযোগ, দ্বীপবাসীর সঙ্গে কোনও রকম আলোচনা না করেই এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ শারদ পাওয়ার প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে লাক্ষাদ্বীপের প্রশাসককে সরিয়ে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন। দেশের রাষ্ট্রপতির কাছেও একই দাবি জানিয়েছেন কেরালার বিভিন্ন দলের সাংসদরা।
লাক্ষাদ্বীপ থেকে কেরলের দুরত্ব সব থেকে কম। লাক্ষাদ্বীপে বসবাসকারী বেশীরভাগ মানুষের কেরলে বাড়ি রয়েছে। নতুন নিয়মে বলা হচ্ছে লাক্ষাদ্বীপ থেকে কেরলে নয়, বরং ম্যাঙ্গালোর অবধি চলবে জাহাজ। যা কর্ণাটকের অংশ। সেখানে রয়েছে বিজেপির সরকার। এর ফলে কেরলের বাণিজ্যের দখল নেবে কর্ণাটকে। নতুন নিয়মের বিরোধিতায় সরব হয়েছেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। লাক্ষাদ্বীপ এবং কেরলের পুরাতন সম্পর্ক ধ্বংসের চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
লাক্ষাদ্বীপের প্রশাসককে খারিজের দাবিতে জোরালো প্রতিবাদে সামিল দ্বীপের বাসিন্দারা। ১২ ঘণ্টা অনশন করেছেন। ‘লাক্ষাদ্বীপ বাঁচাও’ স্লোগান লেখা প্ল্যাকার্ড নিয়ে সমুদ্রের জলের নিচে অভিনব প্রতিবাদ সারা দেশের নজর টেনেছে। ‘সেভ লাক্ষাদ্বীপ ফোরাম’-এর ডাকে এই প্রতিবাদ চলছে। লাক্ষাদ্বীপ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ অধিনিয়ম প্রত্যাহারের এবং লাক্ষাদ্বীপের জন্য ন্যায়বিচার চাই পোস্টারে নিয়ে প্রতিবাদের ছবি ছড়িয়ে পড়তে থাকে সোশাল মিডিয়ায়। আরব সাগরে জলের তলায় নেমেও প্রতিবাদ জানান বাসিন্দারা। সীতারাম ইয়েচুরি, ডি রাজা সহ বামপন্থী দলগুলির নেতৃত্ব ইতিমধ্যেই লাক্ষাদ্বীপের প্রশাসককে সরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। কংগ্রেসের পক্ষ থেকেও লাগাতার এই বিষয়ে সরব হয়েছেন রাহুল গান্ধী সহ শীর্ষ নেতারা। কেরালার এলডিএফ সাংসদরা এবং কংগ্রেস সাংসদরা পৃথকভাবে রাষ্ট্রপতিকে চিঠি দিয়ে একই দাবি জানিয়েছেন। লাক্ষাদ্বীপে একজন পূর্ণ সময়ের, স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রতি অনুভূতিপ্রবণ এবং দায়িত্ববান প্রশাসক নিয়োগেরও দাবি তুলেছেন তাঁরা।

লাক্ষাদ্বীপের জনসংখ্যার ৯৬ শতাংশ মুসলিম। সেখানে গোমাংসের ওপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন প্যাটেল প্রশাসন। কেউ গোমাংস সমেত ধরা পড়লে তার সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার আইন এনেছে। মালায়লি সংস্কৃতিতে সর্বধর্ম নির্বিশেষে গোমাংস বৈধ। তাঁদের খাদ্যাভ্যাসে সরাসরি আঘাত এই পদক্ষেপ। সকল সরকারি অফিস সহ স্কুল-কলেজে সমস্ত ধরনের ‘ননভেজ’ খাদ্য আইন করে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। একটা দ্বীপরাজ্যে যেখানে সি-ফুডই তাদের মুখ্য খাদ্য; তারা সেই মাছটুকুও খেতে পারবে না।
মদের উপরে এতদিন নানান বিধি নিষেধাজ্ঞা ছিল দ্বীপরাজ্যটিতে, সেটা তুলে নিয়ে প্রচুর বার খোলা হয়েছে— মদ থেকে যাতে বেশি রাজস্ব আদায় হয়। প্রসঙ্গত মোদি তথা প্রফুল্ল প্যাটেলের নিজের রাজ্য গুজরাটে মদ নিষিদ্ধ।
লাক্ষাদ্বীপ ডেভলপমেন্ট অথোরিটি রেগুলেশন, ২০২১ (LDAR)–এর বলে ‘উন্নয়ন’-এর নামে সরকার যে কোনও জমি এখন নিয়ে নিতে পারবে। দ্বীপের যে কোনও ব্যক্তিকে তার জমি থেকে বিনা নোটিশে ও বিনা ক্ষতিপূরণে উচ্ছেদ করতে পারবে প্রশাসন। উপকূল আঞ্চলিক এলাকা এবং উপকূল রক্ষা আইনের অজুহাতে গরিব মৎস্যজীবীরা যে কুটির তৈরি করেছে, সেগুলিকে উচ্ছেদও করতে চাইছে। জমির মালিকানা বদলের চেষ্টা ভয়ঙ্কর প্রভাব ফেলবে বলেই আশঙ্কা। ২০১১ সালের জনগণনা অনুযায়ী লাক্ষাদ্বীপের জমির মালিকানাধীন ৯৪.৮ শতাংশই হচ্ছেন আদিবাসী। রিয়েল এস্টেট কারবারিদের সুবিধে করে দিতেই এই আইন বদলের চেষ্টা বলে মনে করা হচ্ছে। এর ফলে আদিবাসীরা জমি থেকে উৎখাত হবেন।
প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়েছে, দু’টির বেশি সন্তান থাকলে পঞ্চায়েত ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দেওয়া হবে না। প্রিভেনশন অফ অ্যান্টিসোস্যাল অ্যাক্টিভিটিস (PASA) নামে এক নতুন ‘গুণ্ডা দমন আইন’ আনা হয়েছে, তা আসলে লাক্ষাদ্বীপের মানুষকে সন্ত্রস্ত করার জন্য বলে অভিযোগ করেছেন বাম এবং কংগ্রেস নেতারা। কারণ, লাক্ষাদ্বীপের অপরাধের হার সব থেকে কম। সেখানে নতুন করে গুন্ডা আইনের কী প্রয়োজন?
লাক্ষাদ্বীপে দ্বিতীয় ঢেউয়ে করোনা সংক্রমণ মারাত্মক আকার নিয়েছে। কেরালার কোচি থেকে আসা পর্যটকদের বাধ্যতামূলকভাবে কোয়ারান্টিনে থাকতে হতো। প্রশাসক হয়ে আসার পর প্যাটেল সেই নিয়ম তুলে দিয়েছে। ফলে প্রায় একবছর ধরে করোনা মুক্ত লাক্ষাদ্বীপে এখন প্রায় ৭ হাজার জন করোনা সংক্রমিত। ২৪ জন মারা গেছে। করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার পরে এখন দুই মাস ধরে লকডাউন করে রেখে মানুষের রুটিরুজির উপরে তীব্র সঙ্কট নামিয়ে আনা হয়েছে।
রাষ্ট্রপতিকে উদ্দেশ্য করে, রাজ্যসভার বাম সাংসদ ইলামারাম করিমের লেখা একটা চিঠিকে কেন্দ্র করে দেশের রাজনৈতিক মহলে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে, যদিও গোদি মিডিয়া তা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। চিঠিতে রয়েছে, কীভাবে মোদি সরকার লাক্ষাদ্বীপে সাম্প্রদায়িক অশান্তির বীজ বপন করে সেখানের মানুষের মৌলিক অধিকার হরণ করছে ও তাদের উপরে অত্যাচারের স্টিম রোলার চালাচ্ছে। যাতে করে দ্বীপের অধিবাসীরা দ্বীপ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়। বাম সাংসদ, করিমের চিঠিতে উল্লেখ রয়েছে- ‘রিফর্ম ও ডেভলপমেন্ট’ এর নাম করে দ্বীপজ মানুষের ঐতিহ্যবাহী যে সংস্কৃতি, তাকে ধ্বংস করতে উদ্যত হয়েছে সঙ্ঘ কর্তারা। লাক্ষাদ্বীপের একমাত্র সাংসদ, এনসিপি-র মহম্মদ ফয়জলও রাষ্ট্রপতিকে লেখা একটি চিঠিতে জানিয়েছেন- প্রশাসক প্রফুল্ল প্যাটেলের এই নীতির বিরোধিতা করার জন্য ৩০০ সরকারি কর্মীকে সাসপেন্ড তথা ছাঁটাই করা হয়েছে বিগত পাঁচ মাসে। এক কথায় নাগপুরের নির্দেশে চূড়ান্ত স্বেচ্ছাচারিতা চালাচ্ছে পুঁজিপতিদের চৌকিদার।
লাক্ষাদ্বীপে যেহেতু বিধানসভা নেই, তাই পঞ্চায়েতের হাতে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, পশুপালন ও মৎস দপ্তর পরিচালনের ভার ছিল। সেগুলো কেড়ে নিয়ে নিয়ে প্রশাসকের হাতে কুক্ষিগত করা হয়েছে। স্থানীয় মানুষের হাত থেকে সব ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে।
ব্রিটিশ সরকার গণতান্ত্রিক আন্দোলনের কন্ঠরোধ ও ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন দমনে ‘রাউলাট আইন’ প্রণয়ন করেছিল। এই নিষ্ঠুর প্রশাসক কি তারই শতবর্ষপূর্তি উদযাপন করছে— এ প্রশ্নও উঠছে বিভিন্ন মহলে। আইশা সুলতানা, লাক্ষাদ্বীপের এক তরুণ চিত্র পরিচালিকা নির্মাতা দ্বীপাঞ্চলে করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় একটি মালয়ালি টিভি চ্যানেলে অভিযোগ করেন, প্রশাসল প্যাটেলের নীতি এই দ্বীপে ‘জৈব অস্ত্র’ হিসেবে কাজ করছে। সেই অপরাধে লাক্ষাদ্বীপের পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ এনে এফআইআর করেছে।
প্যাটেল খুব চতুরতার সাথে গোটা দ্বীপরাজ্য থেকে স্থানীয় মালায়লি ব্যবসায়ীদের বিতাড়িত করে সেখানে পেটোয়া গুজরাটি বেনিয়াদের বসিয়ে দিচ্ছে। নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে ভূ-প্রকৃতি ধ্বংস করে গুজরাটি রিয়েল এস্টেট চক্রকে অবৈধ নির্মাণের ছাড়পত্র দিয়ে লাক্ষাদ্বীপের বাস্তুতন্ত্রকে চরম ক্ষতির মুখে ফেলে দিয়েছে।