বামপন্থা ও গণতন্ত্রের কথোপকথন
[দেশ]
কয়েক বছর ধরে দেখছি সরকারের বিশেষ নজর পড়েছে মেয়েদের উপর। মমতা বলছেন তিনি দিয়েছেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার আর কন্যাশ্রী, মোদি বলছেন তিনি দিয়েছেন ঊজ্জ্বলা গ্যাস, এখন দেবেন লাখপতি দিদি। কেউ বলছেন সরকার নারী পুরুষের মধ্যে সাম্য আনার চেষ্টা করছেন, কেউ বলছেন মেয়েদের আলাদা ভোট ব্যাঙ্ক তৈরি করতে চাইছেন সরকার।
মেয়েদের জন্য আলাদা করে কি করা হচ্ছে জানতে জেন্ডার বাজেট দেখতে হবে। এই কাহিনীর শুরু ২০০৫-২০০৬ সালে। কেন্দ্র সরকার ও পরে ক্রমশ রাজ্য সরকার জেন্ডার বাজেট পেশ করতে শুরু করে, যাতে বোঝা যায় মেয়েদের জন্য সরকারের কি পরিকল্পনা আছে। জেন্ডার বাজেট দু’ ভাবে তথ্যটি পেশ করে, এক) সেই সব কর্মসূচি যা ১০০ ভাগ মেয়েদের জন্য, আর দুই) সেই সব কর্মসূচি যা আংশিকভাবে মেয়েদের জন্য। এই দুটি হিসেব যোগ দিয়ে বলা হয় জেন্ডার বাজেট। যেমন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের টাকা শুধু মেয়েরাই পায়, তা প্রথম ভাগে পড়ে, আর ১০০ দিনের কাজে মেয়ে পুরুষ সবাই কাজ পায় তাই তা দ্বিতীয় ভাগে পড়ে।
কেন্দ্রীয় সরকারের ২০২৪-২৫ সালের জেন্ডার বাজেটে
১০০ ভাগ মহিলা কেন্দ্রিক খরচার বরাদ্দ (কোটি টাকা)
যে টাকা সরাসরি মেয়েরা পান
বিধবা পেনশন ২০২৬
"যে টাকা মেয়েদের নামে দেওয়া হয়,
কিন্তু সুফল মেয়ে পুরুষ সবাই পান"
নামো ড্রোন দিদি (স্বনির্ভর দলকে চাষের কাজের জন্য ড্রোন বিতরণ) ৫০০
প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (শহরে) ২৬১৭০
এল পি জি কনেকশন ৯০৯৪
প্রধান্মন্ত্রী আবাস যোজনা (গ্রামে) ৫৪৫০০
জাতীয় গ্রামীণ আজীবিকা মিশন ১৫০৪৭
যে টাকা মেয়েরা পান না, কিন্তু প্রকল্পের সুফল মূলত মেয়েরা পেয়ে থাকেন
পোষণ ২.০ ৪৫০
সম্বল যোজনা ৬২৯
সামর্থ্য যোজনা ২৩৬৬