বামপন্থা ও গণতন্ত্রের কথোপকথন
[দেশ]
যাদের অনুশীলনের মল্লভূমিতে থাকার কথা ছিল, স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষে তাদের ২৩ এপ্রিল থেকে বসতে হয়েছে রাজধানীর মাটিতে এবং তারপর ২৮ মে টানা সাত ঘন্টা আটক থাকতে হয়েছে থানাতে। দেশের জন্য বিশ্ব খেতাব জয়ী যে মল্লবীররা বুকে পদক ঝুলিয়ে দেশে ফিরেছিলেন। সেই বুকে পুলিশ বুটের লাথি মেরে নিয়ে গেছে থানায়। কিন্তু কেন?
একাধিক জাতীয় কুস্তিগিরদের অভিযোগ, জাতীয় কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতি ব্রিজভূষণ শরণ সিংহ তাদের যৌন হেনস্থা করেছেন। এই বিষয়ে একাধিক প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ানের পরেও কেস ডাইরি ফাইল করা হয়নি। তাই একটা এফআইআর করাতেও ছুটতে হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে।
লোকটা কে? তিনি ভারতের রেস্টলিং ফেডারেশন চেয়ারম্যান ও চেহারা দেখে মনে হয় কোনও প্রাক্তন ভারতীয় কুস্তিগীর।
দেশের কয়েকজন খ্যাতনামা কুস্তিগীররা এই লোকটার অন্যায়ের প্রতিকার করতে হরিদ্বারের গঙ্গায় তাদের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পদক বিসর্জন দেবার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তখন এই ব্রিজ ভূষণ শরণ সিং সম্পর্কে জানার কৌতুহল বেড়ে গেল। না, ইনি কোন ক্রীড়া জগতের লোকই না।
ইনি উত্তরপ্রদেশের একজন বাহুবলী রাজনৈতিক নেতা, যিনি ছয়-ছয়বার উত্তরপ্রদেশ থেকে লোকসভা আসন জিতে এসেছেন। পুলিশ রেকর্ড ধরে এগোলে দেখা যায়, এই মানুষটা জীবন শুরু করেছিল একজন মোটরবাইক চোর হিসেবে।
এরপর আশির দশকে বেআইনিভাবে মদের ভাঁটি চালাতে গিয়ে এলাকায় তার প্রতিপত্তি বাড়ে। তখন মন্দিরে দেওয়া ভক্তদের প্রণামীর কয়েন বাচ্চাদের দিয়ে চুরি করানোর একটা র্যাকেট চালানো অভিযোগও ছিল তার বিরুদ্ধে। আর এই সময়ই তিনি আরএসএস ও বিজেপির সঙ্গে যুক্ত হন।
বাবরি মসজিদ ভাঙার জন্য মুলায়ম সিং যাদবের সরকার একেই প্রথম গ্রেফতার করে এবং পরবর্তীকালে সিবিআই যে ৩৯ জনকে সরাসরি বাবরি ভাঙার কাজের যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করে তার মধ্য প্রথম নামটিই হচ্ছে ব্রিজ ভূষণ শরণ সিংহ।
১৯৯০ সালের মাঝামাঝি দাউদ ইব্রাহিমের সহযোগীকে আশ্রয় দেবার অভিযোগে টাডা আইনে তিহাড় জেলেও আটক ছিলেন কয়েকমাস। তখন অবশ্য ঠিকেদারি-কনট্রাক্টারি ব্যবসায় বেশ ভালো পয়সা কামিয়েছেন।
এই লোকটাকে ১৯৯১ সালে বিজেপি উত্তরপ্রদেশের গণ্ডা লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী করে এবং প্রথমবার সে এমপি নির্বাচিত হয়।
২০০৪ সালের লোকসভা ভোটে বিজেপি ব্রিজভূষণকে গণ্ডা লোকসভা আসন থেকে সরিয়ে বলরামপুর লোকসভা আসনে প্রার্থী করে। গণ্ডায় বিজেপির প্রার্থী ছিল ঘনশ্যাম শুক্লা। প্রচার চলাকালীন পথ দূর্ঘটনায় শুক্লা মারা যান। অটল বিহারী বাজপায়ীও বিশ্বাস করতেন আসলে শুক্লা খুন হয়েছিল, আর খুনী অন্য কেউ নয়। মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শরন সিংহ নিজেই বলেছেন যে অটল বিহারী বাজপায়ী তাকে বলেছিলেন “মারোয়া দিয়া?”
প্রাক্তন জাতীয় রেস্টলিং কোচ ব্রিজভূষণ শরণ সিংহ সম্পর্কে বলেছেন, উনি কেবল ‘মাফিয়া ডন’ না ‘ডন অফ মাফিয়া ডনস্’।
গোটা উত্তরপ্রদেশ জুড়ে এখন ব্রিজভূষণের ৫০টার বেশি বিরাট বিরাট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে।
কী নেই তার? প্রাইভেট জেট, হেলিকপ্টার সব। নিজে সাংসদ, তার স্ত্রী জেলা পরিষদের সভাধিপতি, ছেলে বিধায়ক।
ভারতের জাতীয় দলের দু’জন মহিলা কুস্তিগীর দিল্লি পুলিশের কাছে সরাসরি অভিযোগ করেন বিদেশ সফরে চেয়ারম্যান ব্রিজ ভূষণ তাদের যৌন নিগ্রহ করে। এদের মধ্যে একজনের বয়স আঠারোর নিচে। দিল্লি পুলিশ অভিযোগ পাবার পরও এফআইআর দায়ের করেনি! অবশেষে ২৮শে এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ব্রিজভূষণ সিংয়ের বিরুদ্ধে এফআইআর করে দিল্লি পুলিশ। কিন্তু সাংসদ ব্রিজভূষণ শরণ সিংহ আজও বহাল তবিয়তে রেস্টলিং ফেডারেশনের চেয়ারম্যান।
ভারতের নতুন পার্লামেন্ট ভবন উদ্বোধনে দেশের মহিলা ও আদিবাসী রাষ্ট্রপতি আমন্ত্রণ না পেলেও ইনি আমন্ত্রিত অতিথি!
কারণ এই ব্রিজভূষণ শরণ সিংহ একজন আরএসএস-এর সেবক ও বিজেপির সাংসদ। তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ, অপহরণ, দুর্নীতি-সহ অনেক অভিযোগ থাকলেও তিনি তো আসলে শাসক দলের নেতা! তাই আমাদের দেশের গর্ব বিশ্ব খেতাব জয়ী মল্লবীরা তাদের ওপর ঘটে চলা অনাচারের বিরুদ্ধে বাধ্য হয়ে বসেছিলেন দিল্লির যন্ত্রর মন্ত্রর রোডে। আশা করেছিলেন, ভারত সরকার তাদের যন্ত্রণার উপশম করতে এগিয়ে আসবে। কিন্তু না। তাদের অবস্থান বিক্ষোভ আন্দোলনে বাড়ানো হল মানসিক চাপ। ২৩ এপ্রিল থেকে রাস্তায় লাগানো হয় ব্যারিকেটের পর ব্যারিকেট। ঘিরে ফেলে উর্দিধারীরা বন্দুক হাতে গোটা চত্বর। ওই পথে পা বাড়ালেই চললো তাঁকে থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ। নরম স্বভাবের মানুষ দেখলেই ঘুরিয়ে দেয়া হল তাদের পথ। আন্দোলন ভাঙ্গতে দেওয়া অর্থের ও প্রতিপত্তির প্রলোভন। কত নিকৃষ্ট হলে এই শাসক ও তার প্রশাসন এই সব পারে। না, শাসকরা হেরে গেল। কারণ ওরা অর্থাৎ খেলোয়াড়রা রাস্তা কামড়ে পড়ে ছিলেন। তাদের সঙ্গে যোগ কৃষক, শ্রমিক, ছাত্র, যুব, মহিলা সংগঠনগুলো। পাশে দাঁড়ালো বাম ডান রাজনৈতিক দল এবং এমনকি খাপ পঞ্চায়েত। হ্যা, খাপ পঞ্চায়েত! যারা কিছু দিন আগে অনার কিলিং কে মান্যতা দিয়েছিল, ধর্ষণের জন্য জিন্স প্যান্ট ও মোবাইল ফোনকে দায়ী করেছিল, তারাই লিঙ্গ সাম্যের লড়াইয়ে সঙ্গী হল। অবশ্য অনেকেই জানেন যে, এই খাপ পঞ্চায়েতই ২০২০-২০২১ সালে দেশের প্রধানমন্ত্রী সর্বশক্তিমান মোদিকে পিছনে হটতে বাধ্য করেছিল কালা কৃষি আইন বাতিল করতে। কৃষক আন্দোলনের একটা বছরে ওই খাপ পঞ্চায়েত অনেক কিছু শিখেছে, বদলেও গেছে অনেকটাই। তাই জগমতি সাওয়ানারাকে মল্লবীরদের লড়াইয়ের মঞ্চে দাঁড়িয়ে মহিলাদের সম্মান ও হকের কথা বললেন। এই সেই জগমতি যিনি খাপ পঞ্চায়েতের দাদাগিরির বিরুদ্ধে লড়েছিলেন। সেই জগমতিকেই বলতে ডেকেছেন খাপ পঞ্চায়েত সংগঠকরা। যে সবিতা ও ভগবান রামকে খুন করার হুমকি দিয়েছিল খাপ তারাও এসেছে ছোট্ট মেয়ে পিহু’র হাত ধরে। ঘোমটা দিয়ে কৃষাণ রমণীরা হাততালি দিয়েছেন মহিলা সমিতির কর্মী সবিতার ভাষণের শেষে।
এই চেতনার পরিবর্তন আসলে উৎপাদন সম্পর্কের পরিণতি। এক সময়ে কৃষি জমিই ছিল সমস্ত ক্ষমতার উৎস। আর এখন বিশ্বয়ানের পর্বে ওই ক্ষমতার পালটে গেছে। কৃষিতে এসেছে “কর্পোরেটাইজেশন”।
স্বাভাবিক নিয়মেই অচল হয়ে পড়েছে গতকালের উৎপাদন সম্পর্ক। তাই কালা নয়া কৃষি আইনের বিরুদ্ধে খাপ পঞ্চায়েতের সংগ্রাম প্রকৃত অর্থে নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার সংগ্রাম।
মল্লবীর ভিনেশ, সাক্ষীরা হরিয়ানার কৃষক পরিবারের সন্তান। এই হরিয়ানাতেই মায়ের গর্ভে খুন হয়ে যেত কণ্যাভ্রুণ। আর এখন সেই হরিয়ানাতেই মাটি মেখে কুস্তির আখড়ায় নামছে মেয়েরা। গলায় পদক ঝুলিয়ে ঘরে ফেরার পর মিডিয়ায় লেখা ও বলা হয়েছিল, জাঠভূমির সোনার মেয়েরা। সাধারণ জনপদ থেকে আসা এই মেয়েদের কাছে, খাপ পঞ্চায়েত পরিচিত প্রতিষ্ঠান। সেই জন্যই যখন কুস্তি ফেডারেশনের সঙ্গে লড়তে গিয়ে তাদের দেওয়ালে পিঠ লেগেছে তখনই তারা ফিরে গেছে গ্রামীণ ভারতের চেনা পথে। সাহায্যের প্রার্থনা জানিয়েছে। তাদের ঘরের মানুষ, গ্রাম্য মানুষ নিরাশ করেননি। ন্যায় ছিনিয়ে আনার লড়াইয়ে ভিনেশরা জিতবে কিনা সময় বলবে। আপাতত দেখা যাচ্ছে সাক্ষী, বজরঙ্গরা ভয় পাচ্ছে না। পুলিশ ও প্রশাসনকেও নয়। রাজনীতিকেও ভয় পাচ্ছে না তারা। ভয় পাচ্ছে ভারত সরকার। প্রতিবাদকারীরা ডেকে এনেছেন বৃন্দা কারাট, শুভাষিণী আলি থেকে সচিন পাইলটদের। রাজনৈতিক নেতারাও অনেকেই সংহতি জানিয়েছে। এখানে একটি কথা প্রকাশ পেয়েছে, রাজনীতি খারাপ এই বিশ্বাস ভাঙছে। নিজেদের অভিজ্ঞতা তাদের শিখিয়েছে রাজনীতির বাইরে কিছু নেই। খালি সঠিক পক্ষ বেছে নিতে হবে। যে রাজনীতি গ্রাম্য মেয়ের পক্ষে দাঁড়িয়ে পৃথিবী জয়ের সওয়াল করে, যে রাজনীতি কর্মক্ষেত্রে ঘটে চলা যৌন হেনস্থার ঘটনায় সোচ্চার হয়— সেই রাজনীতিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রতিবাদীরা। পুলিশ, প্রশাসন থেকে সরকার আন্দোলনরতদের বিভিন্ন পরিষেবা বন্ধ করে দিয়ে চাপ সৃষ্টি করেছিল। কিন্তু ভিনেশ ফোগট, সাক্ষী মালিকরা জানিয়ে দিয়েছিলেন— তারা দাবি আদায় না করে ছাড়বে না। তাই তারা শান্তিপূর্ণভাবে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন।
২৮ মে নতুন করে নির্মিত সংসদ ভবনের উদ্বোধন। মল্লবীরদের অবস্থানের স্থল ছিল ‘যন্তর মন্তর’। সরকার তাদের দিকে ফিরেও তাকায় নি। কিন্তু যেদিন নুতন সংসদ ভবন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী সেই দিনটিই বেছে নিলেন বিশ্বজয়ীরা। তারা চেয়েছিলেন তাদের দাবির প্রতি সমর্থনের জন্য বার্তা দিতে সংসদ ভবনে মিছিল করে যেতে। পুলিশ তাদের মেরে ধরে ভ্যানে তুলে সাত ঘন্টা থানায় আটকে রেখে দাগী অপরাধীদের মতো বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়ের করে। এটা শুধুমাত্র পুলিশ ইচ্ছেতে হয়নি। সরকারের ইঙ্গিতে হয়েছে।
মনে পড়ে যাচ্ছে শাহীনবাগের ঘটনা!
এই কুস্তিগীরাই সেই দিন বলেছিলেন, “দিল্লি পুলিশ হাম তুমহারে সাথ হে”।
সময়ের মার বড়ো মার। পশ্চিমবঙ্গে আজও যারা বিজেপিকে সমর্থন করছে তাদেরও এ ভাবেই কপাল চাপড়াতে হবে যদি না তারা যোগ্য ভূমিকা পালন করতে পারেন।
সারা দেশে এই নক্কারজনক ঘটনার তীব্র প্রতিক্রিয়া হয়েছে। আমরা দেখলাম কোন কোন রাজনৈতিক দল যারা এতদিন রিক্ত বাগ হয়ে এই ঘটনাকে নাটক মনে করছিল তারাও এখন কুস্তিগিরদের পক্ষে বিবৃতি দিয়েছে। তারা বলেছে, “আমরা মল্লবীরদের ওপরে পুলিশি আচরণের নিন্দা করছি”! সরকার বা প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নয়।
২৮শে মে সোমালিয়ায় বাতিল পুরানো সংসদ ভবনের নকল করা নকশা অনুযায়ী তৈরি ভারতের নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী। না, দেশের প্রথম নাগরিক বলে বিবেচিত রাষ্ট্রপতিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। কারণ তিনি একজন আদিবাসী, তার উপরে মহিলা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নতুন সংসদ ভবনে প্রবেশ করলেন, চোল রাজাদের সেঙ্গোল রাজদন্ড নিয়ে। সঙ্গে কিছু অর্ধ নগ্ন সাধুসন্ত। পুরো রাষ্ট্রীয় হিন্দুত্বের আচরণ। প্রধানমন্ত্রী এমন ভাবনা দেশের মানুষকে কি শেখাবে? রাণী এলিজাবেথকে ভারত বিদায় জানিয়েছিল কি এই জন্য যে, তিনি খৃষ্টান ধর্মের মানুষ ছিলেন? না।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনও থাকলেন অনেক দূরে। সমাদৃত হল ওই সাধুসন্তের দল। যাদের সংগঠিত করে আনা হয়েছিল রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে। দেশের সংবিধানের ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি এই অশ্রদ্ধা নজির বিহীন দৃষ্টান্ত। গণতন্ত্রে বিরল হলে হতে পারে। রাজার নগ্ন চেহারা স্পষ্ট। রাজতন্ত্র! ভারতীয় রাষ্ট্রের কাঠামো আমাদের সংবিধান। তার প্রতি শপথ নিয়ে ক্ষমতার আসনে বসেছে আজকের দেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী থেকে অন্যান্য মন্ত্রীরা। তারাই আজ সংবিধানের ও রাষ্ট্রীয় আইনশৃঙ্খলার গ্রহণযোগ্যতা বানচাল করতে উদ্যোগী। পরিস্থিতি ভয়ানক।
মল্লবীররা স্থির করেছিল, তাদের পদকগুলো গঙ্গায় বিসর্জন দেবে। শাসকরা বলছে নাটক! ব্যঙ্গ করা হচ্ছে। কিন্তু তারপরেও মল্লবীরদের লড়াইয়ের পরিসর বিকশিত হচ্ছে দ্রুত। দিল্লির বাইরে পশ্চিমবঙ্গে যাদবপুর সিটিজেন ফোরাম থেকে গত ১৭ মে ধিক্কার মিছিল ও সমাবেশ করা হয় হয়। প্রতিবাদে সামিল হন নানা সংগঠন। সংযুক্ত কিসান মোর্চার নেতৃত্ব উদ্যোগ নিয়েছে তাদের পাশে দাঁড়িয়ে সারা দেশ জুড়ে আন্দোলন সংগঠিত করার। তার পাশাপাশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে, অনেক ক্রীড়া জগতের আইকন “মল্লবীরদের যৌন হেনস্থার বিচারের দাবিতে এগিয়ে আসছেন। তা ছাড়া বিশ্ব কুস্তির নিয়ামক সংস্থা ইউনাইটেড ওয়ার্ল্ড রেসলিং ইতিমধ্যে আন্দোলনকারী মল্লবীরদের সঙ্গে আচরণের নিন্দা করেছে এবং ২৮ মে দিল্লি পুলিশ যেভাবে তাদের আটক করেছে তার নিন্দা করেছে। তারা আসছেন কুস্তিগিরদের সঙ্গে দেখা করতে। বিশ্ব অলিম্পিক সংস্থা থেকেও সমর্থনের বার্তা এসেছে মল্লবীরদের পক্ষে।
জাতীয় কুস্তি ফেডারেশনের ওই কুখ্যাত সভাপতি দিশেহারা হয়ে তাদের সাধারণ সভা বন্ধ করে দিয়েছে। এই সভাপতির বিরুদ্ধে পসকো আইনে মামলা থাকার পরও তাকে গ্রেফতার না করায় নিন্দিত হচ্ছে সরকার। মুখ পুড়ছে সরকারের। আসামী ব্রিজভূষণ শরণ সিংহ আরএসএস ও সাধুসন্তের নিয়ে মিছিল বের করতে চেষ্টা চালাচ্ছে।
সংযুক্ত কিসান মোর্চার থেকে মোদি অমিত শাহ ও ব্রিজভূষণ শরণ সিংহ এর কুশপুত্তলিকা দাহের কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে দেশ জুড়ে। ঘোষণা হয়েছে লড়াই চলবে প্রতি ইঞ্চিতে।