বামপন্থা ও গণতন্ত্রের কথোপকথন
[দেশ]
অবশেষে সাংবাদিক-লেখক-সমাজকর্মী গৌতম নভলখা নবী মুম্বাইয়ের তালোজা জেল থেকে বার হতে পারলেন। তিনি এগ্রোলি গ্রামে বিটি রণদিভে মেমোরিয়াল লাইব্রেরির কমিউনিটি হলে গৃহবন্দী থাকবেন। এই কমিউনিটি হলটি সিপিআই(এম) পরিচালিত।
মহারাষ্ট্রের ভীমা-কোরেগাঁও ঘটনা এবং মাওবাদী সংযোগের অভিযোগে এনআইএ গৌতম নভলখা, আনন্দ তেলতুম্বডে সহ ১৬ জন লেখক-মানবাধিকার কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছিল। গৌতম নভলখা এপ্রিল, ২০২০ থেকে বন্দি ছিলেন।
১০ নভেম্বর, শীর্ষ আদালত নভলাখার স্বাস্থ্যের অবনতির কথা বিবেচনা করে গৃহবন্দী থাকার অনুমতি দেয়। যদিও গৃহবন্দী অবস্থায় তাঁকে রাখা হবে সিসিটিভি’র নজরদারিতে। তিনি ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন না, ফোন ব্যবহারেও থাকবে নিষেধাজ্ঞা। শীর্ষ আদালত তাঁর সঙ্গী সাবা হুসেনকে সঙ্গে থাকার অনুমতি দিয়েছে। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ মতো ১৪ নভেম্বরের মধ্যে নভলাখার পক্ষ থেকে ২.৪ লাখ টাকার বন্ডও জমা করা হয়েছিল।
কিন্তু কেন্দ্রীয় তদন্তকারি সংস্থা আইএনএ তাঁকে জেল থেকে ছাড়তে রাজি ছিল না। এনআইএ গৌতম নভলখাকে রাষ্ট্রের পক্ষে বিপজ্জনক বলে হেফাজতে রাখার আবেদন জানায়। এনআইএ’র পক্ষে শীর্ষ আদালতে সওয়াল করেছিলেন সলিসিটর জেনারেল এবং অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল। শীর্ষ আদালতের নির্দেশে ফাঁক খোঁজার চেষ্টা হলে তা কড়া চোখে দেখা হবে মন্তব্য করেন বিচারপতি। এনআইএ’র আইনজীবী জানান ওই পাঠাগার সিপিআই(এম) পরিচালনাধীন। সিপিআই(এম) প্রসঙ্গ ওঠায় আদালত জানিয়ে দেয় যে এর মধ্যে সমস্যা নেই। সিপিআই(এম) একটি স্বীকৃত রাজনৈতিক দল। অনেক টালবাহানার পর তাঁকে জেল থেকে ছাড়া হল।
