বামপন্থা ও গণতন্ত্রের কথোপকথন
[দেশ]
প্রজেক্ট ব্রহ্মপুত্র।
মনে পড়ছে? উত্তর-পূর্ব ভারতকে বিচ্ছিন্ন করার লক্ষ্যে মার্কিন কুৎসিত ছক। ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে সরাসরি মার্কিন হস্তক্ষেপ। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ-কে কাজে লাগিয়ে উত্তর-পূর্বে নৈরাজ্য তৈরি এবং জঙ্গী গোষ্ঠীগুলিকে মদত দেওয়ার ষড়যন্ত্র। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করার জন্য আসাম ও নাগাল্যান্ডের মুখ্যমন্ত্রীদের কাছে লেখা ভারতে তৎকালীন মার্কিন রাষ্ট্রদূত ডেভিড সি মুলফোর্ডের চিঠি। যা গোটা দেশ জুড়ে তোলপাড় ফেলে দিয়েছিল। সেই ১৯৭৮ সালে। তারপর থেকে ব্রহ্মপুত্র দিয়ে অনেক জল গড়িয়েছে। ভারতে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার কার্যকলাপ আরো বেড়েছে। ভারতে মার্কিন জাল আরো ছড়িয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জমানায় ভারত তার জোট নিরপেক্ষ বিদেশ নীতির জলাঞ্জলি দিয়ে মার্কিন ‘স্ট্রাটেজিক পার্টনার’ হয়ে উঠেছে।
উত্তর-পূর্ব ভারতের একটি রাজ্য মণিপুর। সাত বোনের এক বোন, মণিপুর আজ জ্বলছে। জাতি বিদ্বেষ আর জাতি হিংসার আগুনে। প্রায় চার মাস হতে চললো মণিপুরের পরিস্থিতি আজও স্বাভাবিক হয়নি। মণিপুরের বনাঞ্চল এবং পাহাড় থেকে কুকি খেদাও, খনিজ হাতাও। এটাই মণিপুরের বীরেন সিং এবং কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদির ডাবল ইঞ্জিন সরকার আর কর্পোরেট পুঁজির লক্ষ্য। আর সেই লক্ষ্য পূরণ করার জন্যই মেইতি এবং কুকিদের মধ্যে যে সামাজিক সংঘাত ছিল তাকে হিন্দু-খ্রিষ্টান ধর্মীয় হিংসার দিকে মোড় ঘোরানো হয়েছে। যার পরিণতিতে শেষ হয়ে গেছে ১৫০ জনের বেশি মানুষের জীবন। ৫ হাজারের বেশি ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ২০০টির বেশি গ্রাম। গ্রাম ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন ৬০ হাজারের বেশি মানুষ। যাঁদের মধ্যে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ বিভিন্ন আশ্রয় শিবিরে গাদাগাদি করে এক দুর্বিসহ জীবন কাটাচ্ছেন। হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ বাঁচাতে নিজের রাজ্য ছেড়ে ভিন রাজ্যে পাড়ি দিয়েছেন। দেশের শীর্ষ আদালত সুপ্রিম কোর্ট মণিপুরের হিংসার বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেছে। মণিপুরে অবিলম্বে শান্তি ফেরানোর কথা বলে কেন্দ্রের মোদি এবং মণিপুরের বীরেন সিং, এই ডাবল ইঞ্জিন সরকারকে একসঙ্গে তুলোধনা করেছে। যদিও সরকারের তাতেও কোনও শিক্ষা হয়নি। বিরোধীদের সম্মিলিত দাবি সত্ত্বেও সংসদে মণিপুর নিয়ে একটি শব্দও বলেননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
কিন্তু মণিপুর কি শুধুই ডাবল ইঞ্জিনের শাসক এবং কর্পোরেট জোটের মিলিত ষড়যন্ত্রের কারণে জ্বলছে? নাকি এই জাতি হিংসার পিছনে আরো বড় কোনও খেলা, আরো বড় কোনও চক্রান্ত রয়েছে? আশঙ্কা কিন্তু তেমনটাই।
প্রাক্তন সেনাপ্রধান জেনারেল এম এম নারাভানের একটি মন্তব্যে এই আশঙ্কাই আরো তীব্র হয়েছে। তিনি মণিপুরের জাতি হিংসার জন্য সরাসরি চীনের দিকে আঙুল তুলেছেন। সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে জেনারেল নারাভানে বলেন, মণিপুরের হিংসায় বিদ্রোহী গোষ্ঠীকে সাহায্য করছে বেজিং। এখানেই থেমে থাকেনি নারাভানে। তিনি আরো বলেছেন, দীর্ঘদিন ধরেই চীন এই কাজ করে আসছে। এখনো তারা সেই সাহায্য বজায় রেখেছে।
টার্গেট সেই চীন।
মার্কিনেরও টার্গেট চীন। কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর ভারত মার্কিন স্ট্রাটেজিক পার্টনারে পরিণত হয়েছে। চীনকে ঘেরো। এটাই আমেরিকার নীতি। দক্ষিণ-চীন উপসাগরে মার্কিন-জাপান যৌথ টাস্ক ফোর্সে ভারত যুদ্ধ জাহাজ পাঠিয়েছে। এটা আসলে যে পথে চীনের পেট্রোপণ্যের বড় অংশ যাতায়াত করে সেই মালাক্কা প্রণালীতে চীনের জাহাজ আটকে দেওয়াই মার্কিন ছক। সেই লক্ষ্যপূরণে মোদির ভারত সামিল মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের সঙ্গে যৌথ সামরিক মহরায়। আমাদের দেশের দীর্ঘদিনের বিদেশ নীতি চুলোয় দিয়ে ইজরায়েলের সঙ্গে মিত্রতার সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন মোদি। যার জেরে প্যালেস্তাইন, ইরানের মতো দেশগুলির সঙ্গে আমাদের দীর্ঘ বন্ধুত্বের সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যেতে বসেছে। ভারতের এই মার্কিন প্রীতি এবং উগ্র চীন বিরোধিতা প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে আমাদের সম্পর্কেরও অবনতি ঘটিয়েছে।
স্ট্রাটেজিক দিক থেকে উত্তর-পূর্ব ভারতে অবস্থান খুব গুরুত্বপূর্ণ। উত্তর-পূর্বে চীন, নেপাল ও ভূটান, পূর্বে বাংলাদেশ এবং দক্ষিণ-পূর্বে মায়নামার। এই পাঁচ দেশের সঙ্গে উত্তর-পূর্ব ভারতের আন্তর্জাতিক সীমানা রয়েছে। আর উত্তর-পূর্ব ভারতেরই এক রাজ্য হল মণিপুর। এই রাজ্যের সঙ্গে মায়নামারের সীমান্ত থাকলেও চীনকে টার্গেট করে কেউ যদি ঘাঁটি গড়তে চায় তবে গোটা উত্তর-পূর্ব ভারতই গুরুত্বপূর্ণ।
ধান্দার ধনতন্ত্রে লুঠের জন্য ছোট ছোট দুর্বল দেশ প্রয়োজনীয় বাজার হয়ে উঠতে পারে। সোভিয়েত শিবিরের অস্তিত্ব সেই অবাধ লুঠের বাধা হিসেবে ছিল। অভ্যন্তরীণ বিকৃতির কারণে সোভিয়েতের পতনে বিশালতম যুক্তরাষ্ট্রটি ভেঙে টুকরো হয়ে ১৫টা দেশে বিভক্ত হয়ে যায়। পূর্ব ইউরোপেও ঘটলো একই ঘটনা। যুগোস্লাভিয়াকে ভাঙা হয় ৭ টুকরোতে। মার্কিন সহ পশ্চিম ইউরোপের লগ্নি পুঁজির লুঠের জন্য সেই বিশাল ক্ষেত্র উন্মুক্ত হয়ে গেল।
ধান্দার ধনতন্ত্রের পথ সুগম করার জন্য মার্কিন ও পশ্চিমী শক্তির জোট বিভিন্ন দেশে নানান জাতিসত্তাগুলির অবৈরীমূলক বিরোধকে উসকে দিয়ে তুমুল বৈরীতার আগুন যে লাগিয়ে দেয় তা ঐতিহাসিক ভাবে বার বার প্রকাশ্যে এসেছে। যে আগুনে ছারখার হয়ে একটা বড় রাষ্ট্র ভেঙে ছোট ছোট দুর্বল রাষ্ট্রের জন্ম হয়। আন্তর্জাতিক লগ্নি পুঁজির বিরুদ্ধে কোনও রকম প্রতিরোধ গড়ার ক্ষমতাই যাদের থাকে না। এটাই আন্তর্জাতিক ফেনোমেনন।
ভাঙো। ভেঙে টুকরো টুকরো করো। আর সেই অতি দুর্বল ছোট দেশগুলোতে লুঠ আর শোষণের স্টিম রোলার চালাও।
ভারতের মাটিতে মার্কিনের বন্ধু শক্তি হল বিজেপি ও তার চালিকাশক্তি আরএসএস। টার্গেট উত্তর-পূর্ব ভারত। টার্গেট মণিপুর।
‘মিশন মণিপুর’ ঘিরেও দেশি-বিদেশি লগ্নি পুঁজি, সাম্রাজ্যবাদী শক্তি এবং ডাবল ইঞ্জিন সরকরের ষড়যন্ত্রেরও তাই দুটো লক্ষ্য। একদিকে বন-পাহাড় থেকে কুকিদের উচ্ছেদ করে মণিপুরের বিপুল খনিজ ভান্ডারের দখল নাও। অন্যদিকে চীনের ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলার জন্য মার্কিনীদের সুযোগ করে দাও। সেখানকার সমস্ত বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তিকে বিদ্বেষের অগ্নিকুণ্ড জ্বালানোর জন্য উস্কে দাও।
বিজেপির সঙ্গে তাদের চালিকা শক্তি আরএসএস এবং সঙ্ঘ পরিবার বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে গোটা মণিপুর জুড়ে খ্রিষ্টান বিরোধী উগ্র হিন্দু জিগির তুলতে উঠে পড়ে লেগেছে। সেই ২০১৭ সালে বিজেপি মণিপুরে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই। তারপর থেকে লাগাতার ধর্মীয় জিগির তুলে খ্রিষ্টান ধর্মলম্বী কুকিদের বিরুদ্ধে হিন্দু ধর্মালম্বী মেইতিদের উসকে দেওয়ার কাজ চলেছে।
মণিপুরের এই চক্রান্তের পিছনে একচেটিয়া লগ্নি পুঁজির কোনও হাত যে নেই এবিষয়ে আমরা সবাই নিশ্চিত তো? উগ্র হিন্দুত্বের শক্তির পিছনে মার্কিনীরা যে টাকা ঢালে না, তাও তো নয়। খুব সামান্য টাকাও নয়। ৮ লক্ষ ৩৩ হাজার মার্কিন ডলার। এই কোভিড মহামারির সময়। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, আরএসএস সহ সঙ্ঘ পরিবারের মোট ৫টি সংগঠনকে ওই বিপুল পরিমাণ অর্থ দেওয়া হয়েছিল। অর্থ জুগিয়েছিল আমেরিকার ব্যাবসায়ীদের একটি সংস্থা এসবিএ। আমেরিকায় বিশ্ব হিন্দু পরিষদের প্রায় ২৩টি শাখা রয়েছে। তাদের এবং সঙ্ঘ পরিবারের বেশ কিছু সংগঠনকে এই টাকা দেওয়া হয়েছিল ভারতে কোভিড মোকাবিলার নাম করে। তা সেই টাকা কোভিড মেকাবিলায় খরচ হয়েছে, নাকি অন্য কোথাও, তা অবশ্য আর জানা যায়নি। ভারতের সার্বভৌমত্বকে দুর্বল করতে বিদেশি টাকা ঢালা নতুন কিছু না।
বিজেপি, সঙ্ঘ পরিবার এবং দেশি-বিদেশি লগ্নি পুঁজির ষড়যন্ত্র মণিপুরের বুকে আছড়ে পড়ার আগে মেইতিদের সঙ্গে কুকিদের সামাজিক সম্পর্কের ক্ষেত্রেও এত বৈরীতা ছিল না। মণিপুরে জাতি গোষ্ঠীগুলির মধ্যে সামাজিক টানাপড়েন, নানা ধরনের সামাজিক দ্বন্দ্ব অবশ্য দীর্ঘদিন ধরেই রয়েছে। কিন্তু তা এর আগে কখনো ধর্মীয় চেহারা নেয়নি। সেই দ্বন্দ্ব এত উগ্র হিংসার আগুন হয়েও এর আগে কখনো জ্বলে ওঠেনি। যে ধর্মকে ঘিরে কুকিদের বিরুদ্ধে মেইতিদের উসকানো হচ্ছে সেই হিন্দু ধর্মও কিন্তু মেইতিদের আদি ধর্ম নয়। মেইতিদের আদি ধর্ম ছিল সানমাহী ধর্ম। আদি জনজাতি-গোষ্ঠীর ধর্ম। সেই ধর্মে নদী, পাহাড়, আকাশের নক্ষত্র এই সমস্ত কিছুকে দেবতা জ্ঞানে পুজো করা হতো। আরো অনেক দেবদেবীর কথাই মেইতি মাইথোলজিতে ছিল। কিন্তু তাদের কেউই হিন্দু দেবদেবী ছিল না। হিন্দু ধর্মের মতো বর্ণাশ্রম প্রথা, উঁচু-নিচু ভেদাভেদের কোনও বালাইও সেই ধর্মে ছিল না। সেই ধর্মে ছিল যৌথ সামাজিক জীবনের কথা। সেই সানমাহি ধর্মকে ছারখার করে মণিপুরে হিন্দু ধর্মের উত্থান। ১৭৩২ খ্রিস্টাব্দ নাগাদ মণিপুরের প্রায় সমস্ত সানমাহি ধর্মীয় লিপি আগুনে পুড়িয়ে দেয় হিন্দু পুরোহিত আর পান্ডার দল। ধীরে ধীরে মেইতিদের আদি সানমাহি ধর্ম মিশে গেলো হিন্দু ধর্মের সঙ্গে। মেইতিরা সানমাহি থেকে হয়ে উঠলেন হিন্দু। যদিও সেই হিন্দু ধর্মে সানমাহি ধর্মের কিছু ছাপ রয়ে গেল। মণিপুরি সমাজে হিন্দু ধর্মের উত্থান হল আর শুরু হল জাতপাতের শোষণ, নির্যাতন। মেইতিরা যেমন হিন্দু ধর্মের সঙ্গে মিশে গেলেন তেমনই সেই হিন্দু ধর্মের জাতপাতের শোষণ, অত্যাচারের হাত থেকে বাঁচতে কুকিরা আশ্রয় নিলেন খ্রিষ্টান ধর্মের। কিন্তু হলে কি হবে? হিন্দু ধর্মের যেমন কিছু মৌলবাদী পান্ডা আছেন তেমনই খ্রিস্টান ধর্মেরও বেশকিছু মৌলবাদী আছেন। তাঁরা দুই দিক থেকেই সামাজিক বিভেদকে একটু উসকে দিল। মণিপুরে বিজেপি ক্ষমতায় আসার আগে পর্যন্ত সেই পারস্পরিক টানাপড়েন যতটা না ধর্মীয় ছিল তার তুলনায় অনেক বেশি ছিল সামাজিক। কিছুটা সমাজের বর্ণাশ্রমের অভিশপ্তপ্রথা এবং উঁচু-নিচু ভেদাভেদ। যা ছিল সুপ্ত, মণিপুরে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর সেটাই হল প্রকট। ধিকিধিকি জ্বলা আগুনে বিদ্বেষের কাঁড়ি কাঁড়ি ঘি ঢালা হল।
মণিপুরে বন-পাহাড়ি পদাবলী আসলে যে মূল্যবান খনিজের এক বিপুল ভান্ডার, তার হদিস দিয়েছিল জিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া। মাটির নিচের বিপুল খনিজ ভান্ডারের সুলুক সন্ধান পেতেই লগ্নি পুঁজি ডাবল ইঞ্জিন সরকার এবং সঙ্ঘ পরিবারের পান্ডাদের মাস্টার প্ল্যান রেডি। ২০১৭ সালে ক্ষমতায় এসেই সব রকম লগ্নি পুঁজি, কর্পোরেট প্রভু এবং মাইনিং কোম্পানিগুলির স্বার্থ সিদ্ধির জন্য নতুন শিল্প নীতি তৈরি করে ফেললো মণিপুরের বিজেপি সরকার। পাশাপাশি যে মেইতিদের বন-পাহাড়ের জমির কোনও অধিকার ছিল না তাদের হাতে সেই জমি তুলে দেওয়ার লক্ষ্যে মণিপুরের বীরেন সিং সরকার তুলনামূলক উচ্চ সামাজিক অবস্থানে থাকা মেইতিদের তফসিলি জনজাতির মর্যাদা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল। মেইতিরা জনজাতি হলে বন-পাহাড়ের জমি যেমন কিনতে পারবে, তেমনই তা তুলেও দিতে পারবে লগ্নি পুঁজি, কর্পোরেট এবং মাইনিং কোম্পানিগুলোর হাতে।
ব্যাস, ‘মিশন মণিপুর’ কমপ্লিট।
মণিপুর জ্বলছে। কুকিরা মরছে, ভিটে-মাটি হারা হচ্ছে। পালটা প্রতিক্রিয়ায় বেশ কিছু মেইতি মানুষের জীবন যাচ্ছে। ঘরবাড়ি পুড়ছে। মহিলারা ধর্ষিতা হচ্ছেন।
এটাই হল আজকের দিনে দাঁড়িয়ে জাতি হিংসার আগুনে ছারখার হওয়া মণিপুরের ইতিকথা।