বামপন্থা ও গণতন্ত্রের কথোপকথন

[দেশ]

[দেশ]

কাশ্মীরে শ্রমজীবী নারীদের আন্দোলন

কাশ্মীরে শ্রমজীবী নারীদের আন্দোলন

সাদাফ সাবির ও ফাহিম মাট্টো

photo

নাম তাঁর ফামিদা আখতার। শারীরিক প্রতিবন্ধী নারী ফামিদা আখতার ১৯৭৫ সালের এপ্রিল মাসে কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। ক্রাচ ছাড়া চলাফেরায় অক্ষম বর্তমানে ৪৭ বছর বয়স্কা এই অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী জম্মু ও কাশ্মীরের অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী সংক্রান্ত মানবসম্পদ নীতির প্রতিবাদের সবচেয়ে উজ্জ্বল মুখ। রক্ষণশীল মুসলমান অধ্যুষিত উপত্যকায় অবিবাহিত থাকার সিদ্ধান্ত নেওয়া এই প্রতিবাদী রমণী একজন সমাজকর্মী এবং সংগঠক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। যখন তিনি অষ্টম শ্রেণীতে পড়েন তখন তাঁর মায়ের চেষ্টায় মাত্র ২৫০ টাকা পারিশ্রমিকে তিনি অঙ্গনওয়াড়ির কাজে নিযুক্ত হন। আজকে তাঁর পারিশ্রমিক ৫১০০ টাকা, কিন্তু প্রশাসনিক অব্যবস্থা এবং অন্যান্য নানা সরকারি গাফিলতির কারণে তাও নিয়মিতভাবে পান না। তিনি জম্মু ও কাশ্মীরের অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের সংগঠিত করে আন্দোলন গড়ে তুলেছেন, প্রত্যেক মাসে ঠিক সময়ে বেতন পাওয়া, সরকারি কর্মী হিসাবে স্বীকৃতি, বেতনবৃদ্ধি, অবসরকালীন সুযোগসুবিধা এবং গ্র্যাচুইটির দাবিতে। তার জন্যও তাঁকে কর্মক্ষেত্রে বিশেষ বিড়ম্বনা ভোগ করতে হচ্ছে। তাঁদের দাবি অবসরকালীন ন্যূনতম বয়স ৬৫ করতে হবে, অবসরের সময় ৫ লাখ টাকা গ্র্যাচুইটি এবং অবসরের পর ৩০০০ টাকা মাসিক পেনশনের ব্যবস্থা করতে হবে। জম্মু ও কাশ্মীরে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা ৫১০০ টাকা এবং সহায়িকারা ২৫০০ টাকা বেতন পান, যেখানে দিল্লীতে তাঁরা পান যথাক্রমে ১১২০০ এবং ৫৬০০ টাকা এবং হরিয়ানায় ১১৪০০-১২৬৬১ এবং ৬৭৮১ টাকা যেটা দেশের মধ্য়ে সবচেয়ে বেশি। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রী মোদি ঘোষণা করেছিলেন যে সারা দেশব্যাপী অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের ১৫০০ টাকা এবং সহায়িকাদের ৭৫০ টাকা বেতনবৃদ্ধি করা হল। তাসত্ত্বেও বর্দ্ধিত বেতন দাবি করলেই জম্মু ও কাশ্মীরে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের কারারুদ্ধ করা হচ্ছে এবং বরখাস্ত করা হচ্ছে। নিজের পায়ে চলতে অসমর্থ এই প্রতিবন্ধী নারী প্রতিদিন প্রায় ৬০ কিলোমিটার পথ ক্রাচে ভর দিয়ে পার হচ্ছেন তাঁরই মত আরও হাজার হাজার মহিলার দাবিদাওয়া জনসমক্ষে তুলে ধরতে, পুলিশি অত্যাচারের প্রতিবাদ করতে এবং সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জম্মু ও কাশ্মীরের অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও সহায়িকাদের প্রতি অবিচারের চিত্রটি তুলে ধরতে। সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া তাঁর একটি সাক্ষাৎকার:
প্র: আপনার নিজের সম্বন্ধে আমাদের কিছু বলুন, কোথায় আপনি বড় হয়েছেন এবং কাশ্মীরে আপনার জীবনযাত্রা সম্পর্কে বলুন।
উ: আমার নাম ফামিদা আখতার। অনন্তনাগ জেলার লুকবাওয়ান দুরু গ্রাম আমার জন্মস্থান। আমি আমার পিতামাতার দ্বিতীয় সন্তান। আমার দুই ভাই, একজন আমার থেকে বড়, আর একজন ছোট। আমি বিবাহ করিনি। ভাইদের সঙ্গে থাকি। বর্তমানে আমি অনন্তনাগ জেলার অঙ্গনওয়াড়ি এ্যাসোসিয়েশনের সভানেত্রী।
প্র: শারীরিক প্রতিবন্ধকতা নিয়ে কাশ্মীরে বসবাস করা অত্যন্ত কঠিন। আপনাকে কি কি ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়?
উ: এটা সত্য যে প্রতিবন্ধী মানুষ হিসাবে জীবনযাপন করা অত্যন্ত কঠিন, কিন্তু তোমাকে কাজ করে যেতে হবে যেন মানুষ স্বীকৃতি দেয়। তোমাকে প্রচুর পড়াশুনা করতে হবে এবং কাজের ব্যাপারে একটা গভীর আবেগ থাকতে হবে যেন মানুষ অবশ্যই সবশেষে প্রশংসাই করে। তোমার দৃষ্টিভঙ্গী কী রকম এবং অল্প বয়স থেকে জাগতিক বিষয়ে তোমার ধারণা কি সেটাই বিবেচ্য। আজ পর্যন্ত, আমি পৃথিবীকে দেখাতে চেয়েছি আমার সক্ষমতা। কোনও কোনও মানুষ তাদের অক্ষমতাকে আড়াল করে রাখে। তাঁরা তাঁদের ঘরের বাইরে বের হয় না, কিন্তু আমি কখনও নিজেকে গৃহবন্দী করে রাখি নি। তুমি যদি চুপচাপ বসে থাক এবং সাধারণ মানুষের নিন্দে-মন্দ শোনো তাহলে ক্রমে তোমার জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠবে। এটা কেবলমাত্র কাশ্মীরে নয়, সব জায়গার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। কিন্তু যদি তোমার সাহস থাকে এই পৃথিবীর সাথে সংঘাতে যাওয়ার এবং দরাদরি করার তাহলে জীবন অনেক সুন্দর ও প্রাণবন্ত হয়ে উঠতে পারে।
প্র: কীভাবে আপনি একজন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী হয়ে উঠলেন? আপনার যাত্রাপথের একটি বর্ণনা দিন।
উ: আমার স্বর্গীয় মা ১৯৯১ সালে আমার নামে দরখাস্ত করেন। সেই সময়ে আমি অষ্টম শ্রেণীতে পড়তাম। তখন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা মাত্র ২৫০ টাকা পারিশ্রমিক পেত। কখনও কখনও আমরা পারিশ্রমিকে টাকার পরিবর্তে ডালের একটা প্যাকেট পেতাম। আমাকে একটা ইন্টারভিউ দিতে হয়েছিল এবং আমি নিযুক্ত হয়েছিলাম। তারপরে আমি আমার পড়াশুনো চালিয়ে যাই এবং অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী হিসাবে জোরদার কাজকর্ম শুরু করি। এই ক্ষেত্রে আমি অনেক প্রশংসাসূচক মেডেল অর্জন করি। সমগ্র কাশ্মীরের মানুষ এখন আমাকে চেনে এবং আমার কাজের প্রশংসা করে।
প্র: এই কাজের সঙ্গে যুক্ত হাজার হাজার মহিলাকে কীভাবে মানবসম্পদ বিষয়ক নীতি প্রভাবিত করছে? কেন আপনি এই ব্যাপারে প্রতিবাদ আন্দোলন গড়ে তুলছেন?
উ: মানবসম্পদ (HR) নীতিগুলি আমাদের ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। যখন আমি অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী হিসেবে নিযুক্ত হই, আমাকে বলা হয়নি যে আমি আমার জেলা বা তহশিলের বাইরের কাউকে বিয়ে করলে কাজ থেকে বরখাস্ত হব। আজকে তারা জানাচ্ছে যে বিবাহ করলে আমাদের কাজ থেকে বের করে দেওয়া হবে এবং অবসরের পর আমরা একটি কপর্দকও পাব না। এটি কি অন্যায় নয়?
বার্ধক্য-পেনশন চালু হয়েছে, কিন্তু আমাদের কি হবে, বৃদ্ধবয়সে আমরা কোথায় যাব? তারা আমাদের মেডেল এবং শংসাপত্র দিয়ে অভিনন্দন জানিয়েছে কিন্তু এখন বলছে চলে যেতে। এই হাজার হাজার মহিলা কোথায় যাবে? আমি একথা বলতে চাই না যে আমরা অবসর গ্রহণ করব না। আমি এটাই বলতে চাই যে আমাদের জন্য একটা নতুন নীতি চালু হোক যেন অবসর গ্রহণের পরে আমরা শান্তিতে বসবাস করতে পারি।
আমি জম্মু ও কাশ্মীরের হাইকোর্টে এই নতুন মানব-সম্পদ নীতির বিরুদ্ধে একটি পিটিশন দায়ের করেছি। আমরা যদি হাইকোর্ট থেকে সুবিচার না পাই তাহলে সুপ্রীম কোর্টে আবেদন করব। আমরা কোনও কিছুই না করে ঘরে বসে থাকতে পারি না। আমাদের যতটুকু ক্ষমতা আছে তাই দিয়ে এই নতুন নীতিকে খারিজ করার চেষ্টা করব। বর্তমানে, আমার সঙ্গে ৩৪০০০ অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী সারা জম্মু ও কাশ্মীর জুড়ে প্রতিবাদ আন্দোলনে সামিল হয়েছে। আমরা এখন জেলাস্তরে প্রতিবাদ সংগঠিত করছি। আমরা অনন্তনাগ জেলায় এবং অন্যেরা যে যার নিজস্ব জেলায় আন্দোলন গড়ে তুলছেন।
প্র: আপনি এই আন্দোলনের সবচেয়ে শক্তিশালী মুখ হিসাবে স্বীকৃত হয়েছেন। এই প্রতিবাদ আন্দোলনকে নেতৃত্ব দেওয়ায় আপনার অনুপ্রেরণা কি?
উ: আমি সবসময়ই কোনও না কোনও কারণের জন্য লড়াই করতে চেয়েছি। সেই জন্যই আমি বিবাহ করিনি। আমি ভেবেছি যে, বিবাহের পরে আমাকে আমার স্বামী এবং সন্তানদের জন্য জীবনপাত করতে হবে, কিন্তু আমি সাধারণ মানুষের জন্য কিছু করতে চেয়েছি। আজকে আমি তাই-ই করছি। আমি একটি অর্থনৈতিকভাবে স্থিতিশীল পরিবারের সন্তান, এই রোজগারের আমার প্রয়োজন নেই। কিন্তু আমি সেই হাজার হাজার মহিলাদের জন্য সংগ্রাম করছি যাঁরা কেবলমাত্র এই কাজটির উপর নির্ভর করে বেঁচে আছে। কেউ কেউ বিধবা অথবা ডিভোর্সী। কেউ কেউ অত্যন্ত গরীব বা নিম্নবিত্ত পরিবারের। আমি তাঁদের পরিত্যাগ করতে পারি না। তাঁরা আমাকে তাঁদের নেত্রী বলে মান্য করে এবং নিজেদের ভাল থাকার জন্য তাঁরা যে কোনও ত্যাগ স্বীকার করতে পারে।
প্র: এই প্রতিবাদ আন্দোলনে আপনার যোগদান নিয়ে আশেপাশের মানুষদের প্রতিক্রিয়া কি?
উ: আমার ভাইয়েরা চাননি যে আমি এই আন্দোলনে সামিল হই। কিন্তু আমি আমার সহকর্মীদের অধিকারের জন্য লড়াই-এ যোগদান করা উচিত বলে বিবেচনা করেছি। আমার চারপাশের মানুষেরা কখনও আমার প্রশংসা করেছে, কখনও কখনও বা আমার কাজের সমালোচনা করেছে। কিন্তু এই মহিলা কর্মীরা সর্বদা আমার প্রতি নির্ভরতা এবং বিশ্বাস অটুট রেখেছে। এটাই আমাকে এগিয়ে চলার প্রেরণা জুগিয়েছে, তাঁদের ভালবাসা এবং সম্মান।
প্র: আমরা লক্ষ্য করেছি যে আপনি প্রতিবাদ-আন্দোলনের সময় উচ্চপদস্থ পুলিশ অফিসারদের সঙ্গে কথা বলছেন। কী ধরনের বাক্যালাপ হয় তাঁদের সঙ্গে?
উ: প্রতিটি প্রতিবাদ আন্দোলন শুরু এবং শেষের পরে আমাদের দাবিগুলো সম্পর্কে পুলিশকে সংক্ষিপ্ত ধারণা দিতে হয়। তারা জানে কেন আমরা আন্দোলন করছি, তবুও বহুবার তারা আমাকে ভীতিপ্রদর্শন করেছে। তারা বলতে চেয়েছে যে, আমার বিরুদ্ধে এফআইআর করবে। তারা এ কথা বলে আমাকে ব্ল্যাকমেইল করতে চেয়েছে যে, আমাকে নাকি কর্মচ্যূত করা হবে। কিন্তু আমি তাদের কোনও কথায় কান দিইনি, তাদের ভীতিপ্রদর্শন আমাকে টলাতে পারেনি, কারণ আমি জানি যে আমি একটা নীতির জন্য কাজ করছি যার একটা বৃহত্তর স্বার্থ আছে। এর জন্য আমি আমার জীবনও দিয়ে দিতে পারি।
প্র: আপনি কি আপনার নিরাপত্তার জন্য চিন্তিত? আপনার চারপাশে যাঁরা আছেন তাঁরা কি আপনার নিরাপত্তার জন্য চিন্তা করেন?
উ: হ্যা, কখনও কখনও আমি আমার জীবনের নিরাপত্তা অথবা আমার প্রিয় কারও জীবনের নিরাপত্তা বিষয়ে চিন্তিত হয়ে পড়ি। প্রত্যেকটি প্রতিবাদ আন্দোলনের পরেই আমাকে এফআইআর এবং নানাবিধ ভীতিপ্রদর্শন করা হয়।মসেইজন্য আমার পরিবারের সকলে চায় যে আমি এই কাজটা ছেড়ে দিয়ে অন্য ভাল কোনও কাজ করি। কিন্তু আমি তা করতে পারব না।
প্র: আমরা দেখেছি যে মহিলা কর্মীরা আপনাকে বর্মের মত ঘিরে থাকে (পুলিশের হাত থেকে অথবা জনসমাগমে পদপিষ্ট হওয়া থেকে বাঁচাতে)। আপনি এতখানি বিশ্বাসযোগ্যতা কীভাবে অর্জন করলেন?
উ: এটাই প্রথমবার নয় যে আমি মহিলা অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী এবং সহায়িকাদের জন্য কাজ করলাম। এই পলিসি শুরু হওয়ার আগে যখনই আমি দেখেছি যে কোনও কিছু ঠিকপথে চলছে না, আমার প্রতিবাদের কন্ঠকে উচ্চে তুলে ধরেছি। এযাবৎকাল অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা যে সকল সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে সমস্ত বিষয় নিয়েই আমি আলোচনায় বসেছি। তাই তাঁরা আমাকে এতটা বিশ্বাস করে।
প্র: আপনার আন্দোলন সম্পর্কে সরকারের প্রতিক্রিয়া কি? আপনার কি মনে হয় যে এ ধরণের প্রতিবাদ আন্দোলন কার্যকরী হয়ে উঠবে?
উ: এতদিন পর্যন্ত আমরা সরকারি আধিকারিকদের কাছ থেকে কোনও সহানুভূতিসূচক উত্তর পাইনি। তারা কেবলমাত্র আমাদের নানাভাবে ভীতিপ্রদর্শন করে যাচ্ছে, কিন্তু আমরা আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। জানি না, আর কতদিন আমাদের এই কঠিন লড়াই চালিয়ে যেতে হবে, আমরা কিন্তু থামব না। এতবড় অন্যায়ের বিরুদ্ধে তারা আমাদের চুপ করিয়ে রাখতে পারবে না। আমাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে খেলা করার অধিকার আমরা তাদের দেব না।
প্র: অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জগুলি কি কি?
উ: অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী বা সহায়িকা হওয়া খুব সহজ ব্যাপার নয়। তারা মজুরির পরিবর্তে আমাদের ডাল দিচ্ছে। ২০২২ সালের মার্চ মাসে আমি শেষবারের মত আমার পারিশ্রমিক পেয়েছি। তারপরে সরকারের কাছ থেকে আমি একটি কপর্দকও পাই নি। তোমরা নিশ্চয়ই মূল্যবৃদ্ধি সম্বন্ধে অবহিত আছ। তোমরা কি কল্পনা করতে পার একজন বিধবা বা ডিভোর্সী এত সামান্য টাকায় কী ভাবে দিন গুজরান করছে যে টাকাটা তাঁদের কখনই সময়মত দেওয়া হয় না! কেন কেউই তাঁদের সম্পর্কে কিছু বলছে না? তাঁরা কি মানুষের পর্যায়ে পরে না? জীবনধারণের জন্য তাঁদের কি অর্থের প্রয়োজন হয় না? আমাদের কম মজুরিতে দ্বিগুণ কাজ করতে হয়। কিন্তু সেটার জন্যও তাদের কাছে ভিক্ষা করতে হয়। কোনও কোনও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী অবিবাহিত, তাদেরও নিজেদের খরচ চালাতে হয়। এতদিন পরেপরে বেতন পেলে তাঁরা কী ভাবে জীবনধারণ করবে? এটা দুঃখজনক যে কেউ-ই আমাদের জন্য সরব হচ্ছেন না।
প্র: কাশ্মীরে একজন মহিলার অবিবাহিত থাকা কি সম্ভব?
উ: এটা অত্যন্ত কঠিন কাজ। লোকেরা তোমার পিছনে কথা বলবে। তুমি যদি কোনও কাজে বাড়ির বাইরে যাও, তাঁরা মনে করবে যে তুমি কোনও গুঞ্জনের সৃষ্টি করতে বাইরে যাচ্ছ।এটা তোমাকে নিশ্চয়ই অস্বস্তিতে ফেলবে, কিন্তু এই অস্বস্তিকে কতক্ষণের জন্য স্থায়ী হতে দেবে তা সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করছে তেমারই উপরে।
অনুবাদ: কবিতা রায়চৌধুরী
সৌজন্য: https://www.article-14.com/

Copyright © 2021 - 2022 Shramajeebee Bhasha. All Rights Reserved.