বামপন্থা ও গণতন্ত্রের কথোপকথন

[দেশ]

[দেশ]

সমস্যার শেষ নেই, সমাধান নেই ভোটে।

সমস্যার শেষ নেই, সমাধান নেই ভোটে।

দীপক পিপলাই

photo

শ্রমজীবী ভাষা, ১৬ জুন, ২০২২— ‘দেশ’-এ হাজারো সমস্যা। খাদ্যের, বস্ত্রের, বাসস্থানের, চিকিৎসার, শিক্ষার, কাজের, ইত্যাদি। কিন্তু, যে কোনও সমস্যা সমাধানের জন্য সবসময়েই তো একটা সরকার থাকে। ‘কেন্দ্রে’ অথবা ‘রাজ্যে’। কোনও না কোনও রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বেই চলে সেই সরকার। সব সরকারই ভোটে ‘নির্বাচিত’ হয়। অথচ কোনও সমস্যারই সমাধান হয়না। বরং সরকারি নেতা-মন্ত্রিরাই দাঙ্গা-গণহত্যা কিম্বা চুরি-জোচ্চুরি-দুর্নীতি-জালিয়াতির পাণ্ডা হয়ে ওঠে। এছাড়া সমাজে ধর্ষণ, খুন, চোরাকারবারি ইত্যাদি অপরাধের সংখ্যাও বাড়তে থাকে।
খাদ্যের সমস্যা মেটে না; অনাহারে-অর্ধাহারে এখনও “উন্নত ভারত”-এ অসংখ্য মানুষের নিয়মিতই মৃত্যু হয়! বস্ত্রের সমস্যাও ভয়ঙ্কর; কোটি কোটি মানুষ আজও একটুকরো ছেঁড়া কাপড় জড়িয়েই লজ্জা ঢাকতে বাধ্য হন! কত কোটি মানুষের আজও মাথার উপর ছাদ নেই, তার সঠিক কোনও হিসেবই পাওয়া যায় না। চিকিৎসা আজও কোটি কোটি মানুষের কাছে দুঃস্বপ্ন; বিনা চিকিৎসায় মারা যাওয়াই যেন তাদের ভবিতব্য। ইস্কুলে বাচ্চাদের পড়তে পাঠানো বেশিরভাগ ভারতবাসীর কাছে আজও নেহাতই বিলাস; সন্তান মানেই যাহোক কিছু একটা করে অভাবের সংসারে দু’পয়সা রোজগার।
জনগণকে সমগ্র ভারত রাষ্ট্রের এই ভয়াবহ অবস্থা পরিস্কারভাবে কখনোই জানতে দেওয়া হয় না। সরকার বিরামহীনভাবে চালাতে থাকে অনর্গল মিথ্যে ও ছলচাতুরিতে ভরা প্রচার। কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার, দু’তরফেই। এরসঙ্গে রয়েছে কেন্দ্রীয় স্তরে “সবকা সাথ, সবকা বিকাশ”-এর গাঁজাখুরি প্রচার, এবং রাজ্য স্তরে সর্বত্র এবং সবসময়েই “উন্নয়ন”-এর স্বর্গীয় ঘোষণা। আধুনিক “বিকাশমান” ভারতরাষ্ট্রে কোটিকোটি শহুরে বা গ্রামীন মানুষের কাছে কাজ পাবার তো কোনও কথাই বর্তমানে নেই, কাজ যাওয়াই এখন স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে। সরকারি মাতব্বরদের কেউ ভাষণ দিচ্ছেন “মেক ইন ইন্ডিয়া”-র আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে কাজে ঝাঁপিয়ে পড়তে; কেউ উপদেশ দিচ্ছেন “তেলেভাজা শিল্প” গড়ে তুলতে! পাশাপাশি, বিপুলভাবে বেড়েই চলেছে দেশব্যাপী কর্মহীনের সংখ্যা।
এই অবস্থায়, রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের মধ্যে নির্লজ্জ দায় ঠেলাঠেলির শেষ নেই! রাজ্যে কংগ্রেস, ‘যুক্তফ্রন্ট’ ‘বামফ্রন্ট’, তৃণমূল কংগ্রেস, সব আমলে মানুষের অভিজ্ঞতা মূলত একই। কেন্দ্রে কংগ্রেস, অথবা জনতা দল, কিম্বা ইউপিএ, অথবা এনডিএ, বা বিজেপি, যে-নামেই সরকার থাক, কোনও মৌলিক পার্থক্যই হয়নি। বড়লোকের পৌষমাস এবং গরীবের সর্বনাশ, এটাই ৭৫-বছরে ‘স্বাধীন’ ভারতবর্ষে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য স্তরের রোজনামচা!
বড়লোকদের সম্পদ রকেটের গতিতে বেড়ে ওঠে, আর গরীবের অবস্থা ক্রমশই খারাপ হ’তে থাকে। প্রতিদিন, প্রতিমুহূর্তে। পুঁজিবাদী-সাম্রাজ্যবাদীদের শোষণ কখনোই কমে না, বরং বেড়েই চলে। বর্তমানের হাল তো আর কয়েক বছরে তৈরি হয়নি। ‘ব্রিটিশ বিরোধী’ (কংগ্রেস) শক্তির সরকারি আমলেও সাধারণ মানুষের যে সর্বনাশ হচ্ছিলই, ব্রিটিশের পদলেহী দালালদের (বিজেপি) সরকারি আমলে এসে তা গভীরতায় ও ব্যাপ্তিতে বহুগুণ বেড়েছে। এই যা। বর্তমানে তার সঙ্গে যোগ হয়েছে ভারতবর্ষ জুড়ে জনগণের মধ্যে পারস্পরিক ঘৃণা, হানাহানি, সন্দেহ, এসবের বাড়বৃদ্ধি; এবং বেনিয়াদের ও জালিয়াতদের লাগামছাড়া ‘উন্নতি’!
সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকারি ক্ষমতায় বসা শাসকদের সরাসরি মদত ছাড়া, কেন্দ্রীয় বা রাজ্য স্তরে, দীর্ঘকাল ধরে জনগণের ক্ষতি হতেই পারে না। তা সে শাসক দলের নাম যা-ই হোক। শাসকদের মধ্যে কারা বেশি চোর, কারা বেশি অপদার্থ, কারা বুর্জোয়াদের বেশি দালাল, এসব নিয়ে তর্ক-বিতর্ক চাপান-উতোর চলতেই পারে অনন্তকাল। কিন্তু কোনও সরকারই যে ‘বড়লোকের পৌষমাস, গরিবের সর্বনাশ’ এনিয়মের এতটুকুও এদিক-করতে চায়নি বা পারেনি। নিজেরা ‘শাসক’ হওয়াই এদের কাছে সবচেয়ে জরুরি। কারা সমাজের কোন অংশকে কতটুকু ডোল/ ভিক্ষে দেবার ব্যবস্থা করে দিয়েছে, সেটাই হয়ে দাঁড়িয়েছে সরকারের ‘জনমুখী’ ‘প্রগতিশীলতা’ ‘বামপন্থা’ ইত্যাদির গর্বের মাপকাঠি! মেহনতী মানুষের ইজ্জৎ, অধিকার, মর্যাদা, কোনও কিছুই শাসকদের কাছে ধর্তব্যের বিষয় নয়। শাসক মানেই ‘দাতা’, আর শাসিত মানেই ‘গ্রহীতা’— এটাই ভারতবর্ষে সংসদীয় রাজনীতির মূল নির্যাস।



ভোটেই সমাধান : কিসের ভিত্তিতে এই কষ্টকল্পনা!


ভোটের রাস্তায় জনগণের জীবনযন্ত্রণা যদি দূর হবারই হয়, তাহলে এতগুলো বছরেও তা দূর হল না কেন? বরং তা বাড়ছে। সংসদীয় পথে বিধানসভায় অথবা পার্লামেন্টে চিরকাল শুধু অসৎ-ধান্দাবাজ লোকেরাই এসেছেন, এমনটা মোটেও নয়। বহু সৎ, জনদরদী, ভালোমানুষও এসেছেন। তাঁরা কেউ কোনওদিনই নিপীড়িত মানুষের মৃত্যু-দুঃখ-দুর্দশার জন্য দায়ী বুর্জোয়া শ্রেণীর একটা লোকেরও টিঁকি ছুঁতে পারলেন না কেন? অথচ, নানা অজুহাতে অগণিত শ্রমিক-কৃষক সহ শ্রমজীবী মানুষ হয় নিহত হয়েছেন, অত্যাচারিত হয়েছেন, জেল খেটেছেন, জীবিকাচ্যুত হয়েছেন গত ৮-টি দশক ধরেই। সবই হয়েছে কোনও-না-কোনও “নির্বাচিত সরকার”-এর আমলেই। কেন অন্যরকম হল না? কেন শোষক ও অত্যাচারীর দলকে কোনও আমলেই শায়েস্তা করা গেল না ‘গণতান্ত্রিক’ পথে? এটাই হল গোড়ার প্রশ্ন।
পার্লামেন্টে ১৭ বার এবং বিধানসভায় ১৭ বার ভোট হয়েছে। কেন জনগণ একদিনের জন্যেও নিশ্চিন্ত বোধ করতে পারলেন না? বর্তমানেও কেন্দ্রে এবং রাজ্যে ‘গণতান্ত্রিক পথে নির্বাচিত’ দুটো সরকার আছে; কিন্তু বাজারে কাঁচা আনাজ থেকে শুরু করে নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রতিটি জিনিসের দামও সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে হু হু করে। বুর্জোয়াদের শোষণ-আগ্রাসনও বেড়েই চলেছে। ব্যাপক সরকারি দুর্নীতি এবং সামাজিক অবক্ষয় বেড়েই চলেছে। কেন? দুই জায়গাতেই তো ‘বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা’ নিয়ে ‘নির্বাচিত’ সরকার চলছে!
বাস্তবে এটাই প্রমাণিত, জনজীবনের তথা সমাজের কোনও সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে ‘সংসদীয় গণতন্ত্র’ ব্যাপারটাই চূড়ান্ত এক ধোঁকার কারবার। শোষক শ্রেণীর দালালি এবং শোষিত শ্রেণীর সর্বনাশ, এই দুটো কাজ ঠিকঠাক “সংবিধান সম্মতভাবে” করার জন্যেই সংসদীয় রাজনীতি ভারতবর্ষে আমদানি করেছিল ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদীরা। যাতে সরাসরি শ্রমজীবী মানুষের হাতে দেশ ও রাষ্ট্র চালানোর অধিকার কখনোই না আসে; বরং শ্রমজীবী মানুষের সরাসরি শাসক হবার সম্ভাবনাটুকুও যেন মাথাচাড়া না দিতে পারে। বলাবাহুল্য, ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদীদের সেই পররিকল্পনা এখনও পর্যন্ত খুবই সফল। বাংলার তথা ভারতবর্ষের তাবড় তাবড় সব রাজনৈতিক দলও ব্রিটিশদের বাৎলে দেওয়া জনগণের সঙ্গে ধোঁকাবাজির সেই “গণতান্ত্রিক” পথকেই আঁকড়ে ধরেছে। ফলাফল যা হবার, অনিবার্যভাবে তা-ই হয়েছে। যত দিন গেছে দেশব্যাপী প্রশাসনিক, আইনগত, অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবক্ষয় ততই বেড়েছে। এই সহজ সরল সত্যকে অস্বীকার করে যারাই ভোটবাদী রাজনীতির চক্করেই জনগণকে কলুর বলদের মতো ঘোরাতে চান, তারা সকলেই বুর্জোয়া রাষ্ট্রব্যবস্থার নিখাদ সেবাদাসের ভূমিকাই পালন করে চলেছেন।
শাসকদের বাণী আমরা মাঝেমধ্যেই শুনি, “আইন আইনের পথেই চলবে।” মহৎ উচ্চারণ। কিন্তু ‘আইনের শাসন’ বলতে কী বোঝায়, জনগণ হাড়ে হাড়ে তা বোঝেন। অতি-সামান্য কোনও ব্যাপারে আদালতে গেলেও উকিল-মুহুরি-আদালতের চক্করে পড়ে আবেদনকারীর ঘটি-বাটি বেচার অবস্থা হয়; আর মামলা কবে মিটবে, তা ভগবান-আল্লাহ্-যিশু-বুদ্ধ সকলেরই অজানা! দাদুর করে যাওয়া মামলা নাতিকেও চালাতে হয়! আর যদি দাঙ্গা-গণহত্যা-খুন-চুরি-দুর্নীতি-জালিয়াতি-ফেরেববাজির সঙ্গে সরকারি রথী-মহারথীরা যুক্ত থাকেন, তবে তো আর কথাই নেই! সে’ক্ষেত্রে ধরেই নেওয়া যেতে পারে, অপরাধীরা বুক চিতিয়েই সমাজে ঘুরবেন; মরবেন ভুক্তভোগীরাই। এই বাস্তবের ব্যতিক্রম কখনও কোথাও ঘটলেও, এটাই সাধারণ চিত্র।
“গণতান্ত্রিক পথে” ১৭ বার লোকসভা ও বিধানসভা গঠনের পরেও জনগণের অর্থনৈতিক দুরবস্থা, সমগ্র সমাজের আর্থিক সর্বনাশ, ব্যাপক প্রশাসনিক দুর্নীতি, এবং ভয়াবহ সামাজিক অবক্ষয়ের কালো মেঘ সারা বাংলা তথা ভারতবর্ষকে গাঢ় অন্ধকারে ছেয়ে ফেলেছে! এটাই ভারতবর্ষে “সংসদীয় রাজনীতি”-র সবচেয়ে বড়ো অবদান! অর্থাৎ, লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা খরচ করে নির্বাচনী রঙ্গ-তামাশার পথে বাংলা তথা ভারতবর্ষ যে আর্থ-সামাজিক সঙ্কটমুক্ত হতে পারবে না, ৭৫ বছরের বেদনাদায়ক দীর্ঘ অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে তা নিঃসন্দেহেই বলা যায়।



তা হলে পথ কী?


সংসদীয় গণতান্ত্রিক পথে, ধারাবাহিক ভোটাভুটির পথে জনজীবনের দুঃখকষ্ট যদি না-ই মেটে, তা হ’লে পথ কী?
যে কোনও দেশে জনজীবনের সমস্যা বা সঙ্কট সমাধানের রাস্তা সেখানকার জনসাধারণকেই ঠিক করতে হয়। বাংলা তথা ভারতবর্ষ আলাদা কিছু না। বাংলার জনগণ কংগ্রেস-সিপিএম-তৃণমূল ইত্যাদি দলের প্রমাণিত-ব্যর্থ রাজনৈতিক চক্করে অনন্তকাল ঘুরে মরবেন কিনা, তা তাঁদেরকেই ঠিক করতে হবে। সারা ভারতরাষ্ট্রেও আগামীদিনে পুঁজিবাদ-সাম্রাজ্যবাদ-সামন্তবাদ-সাম্প্রদায়িকতাবাদের একনিষ্ঠ প্রমাণিত-তল্পিবাহকদের সর্বনাশা মোড়লি সহ্য করবেন কিনা, তা-ও জনগণকেই ঠিক করতে হবে।
পৃথিবীর নানা দেশে ভিন্নভিন্ন উপায়ে শ্রমজীবী মানুষ নিজেদের ভাগ্য নিয়ন্ত্রণের অধিকার নিজেরা হাতে নিয়েছেন। কিন্তু সেই পথ সবসময়েই ঠিক হয়েছে বাস্তব সংগ্রামের রাস্তায় চলতে চলতেই। ঠাণ্ডা ঘরে কথার লড়াই করতে করতে শ্রমজীবী মানুষের হাতে, শান্তিপূর্ণভাবে, দেশ/ রাষ্ট্র পরিচালনার ভার এসে যায়নি। বিভিন্ন দেশের একই ইতিহাস। কিন্তু প্রত্যেক দেশের সফল সংগ্রাম এগিয়েছে নিজস্ব সামাজিক, ঐতিহাসিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক, ধর্মীয়, দার্শনিক, ইত্যাদি বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী। বাংলার তথা ভারতবর্ষের জনগণও যদি বাস্তব শ্রেণীসংগ্রামের পথে নিজেদের হাতে সমাজ গঠনের দায়িত্ব নিতে চান, তা-ও হবে নিজস্ব বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী। কোনও নেতৃত্বের বিজ্ঞ ও পাণ্ডিত্যপূর্ণ কেতাবি মতামতের কিম্বা হিসেবনিকেশের ভিত্তিতে নয়। বিভিন্ন দেশে সংগঠিত সমাজ পরিবর্তনের ইতিহাস আমাদের সেই শিক্ষাই দেয়। এক দেশে সমাজবদলের কর্মকাণ্ড অন্য দেশে হুবহু প্রযোজ্য না-ও হতে পারে। না হবার সম্ভাবনাই বেশি। বাংলায় তথা ভারতবর্ষেও, আগামীদিনে সমাজ পরিবর্তনের এমন নতুন কোনও পথ দেখা দিতেই পারে, যা ইতিহাসে নজিরবিহীন, অভূতপূর্ব।
“জনগণের হাতে ক্ষমতা” মানে কোনও ধোঁকাবাজির কারবার না। জমি ও কৃষির মালিকানা বর্তাবে মেহনতী কৃষক জনগণের উপর। সকল শিল্প ও কলকারখানার মালিক হবেন মেহনতী শ্রমিকশ্রেণী। প্রত্যক্ষ ও ছেদহীন শ্রেণীসংগ্রাম, শ্রেণীসংগ্রাম, শ্রেণীসংগ্রাম। এই পথেই আসতে পারে শ্রমজীবীদের শাসন। দেশের অর্থনীতি, বিদেশনীতি, সমাজনীতি থেকে সবকিছুই সরাসরি পরিচালনা করবেন দেশের শ্রমজীবী মানুষ। উপর থেকে ঘাড়ে চেপে বসা পরগাছাদের দল না।
সেই পথেই আসবে বাংলায় তথা ভারতবর্ষে জনগণের মুক্তি। শর্টকাট কিছু নেই।

Copyright © 2021 - 2022 Shramajeebee Bhasha. All Rights Reserved.