বামপন্থা ও গণতন্ত্রের কথোপকথন
[দেশ]
শ্রমজীবী ভাষা, ১৬ অগাস্ট, ২০২১— দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তী সময়ে রাষ্ট্রসঙ্ঘ ঘোষণা করেছিল আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সনদ। পরে গৃহীত হয়েছে আরও অনেক রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক অধিকার। কিন্তু বাস্তবে পৃথিবীতে ধনী আর দরিদ্রের মধ্যে অধিকারের সংজ্ঞা ভিন্নতর। ক্ষয়িষ্ণু গণতান্ত্রিক, কল্যাণকামী রাষ্ট্রে পেটের দায়ে শহরে আসা দরিদ্র, প্রান্তজনেরা বিবেচিত হয় বহিরাগত আর জবরদখলকারী হিসেবে, অন্যদিকে সমাজের উচ্চবর্গের স্বচ্ছল, ধনীরা স্বাগত হয় শহরের উন্নত জীবনে।
আরবল্লি পাহাড়ের উত্তর পাদদেশে দিল্লি এবং হরিয়ানার ফরিদাবাদ সীমান্তে অবস্থিত খোড়িগাঁও বস্তি। পাহাড়ী উপত্যকার বসবাসের অযোগ্য অসমতল জায়গাটি লক্ষাধিক গরিব, খেটে-খাওয়া মানুষের ঘর। ১৯৭০ থেকে ১৯৯০ সময়কালে এখানে বসতি করতে গড়ে তোলে আরবল্লির বেআইনি পাথর খাদানের ঠিকা কর্মীরা। সুপ্রিম কোর্ট ১৯৯০ থেকে ২০০৯ সময়কালে বিভিন্ন রায়ে আরবল্লির বেআইনি খাদান বন্ধের নির্দেশ জারি করেন। পরবর্তীকালে, পেটের দায়ে উত্তরপ্রদেশ হরিয়ানার গ্রামগঞ্জ থেকে আর নানান বস্তি থেকে উচ্ছেদ হওয়া মানুষ নিত্য দারিদ্রের সঙ্গে যুঝে এই পাণ্ডববর্জিত স্থানে ডেরা বেঁধেছিল। দিল্লি ও ফরিদাবাদের সীমানা সুস্পষ্টভাবে নির্ধারিত না থাকায় অঞ্চলটি জমি-মাফিয়াদের স্বর্গরাজ্য। প্রত্যেকটি নির্বাচনের সময় রাজনীতিকরাই এসে নানান প্রতিশ্রুতি শুনিয়ে যান। কয়েকজনের হরিয়ানার ভোটার তালিকায় নাম উঠেছে আর বেশির ভাগই অস্তিত্বহীন মানুষের তালিকায়। অতিমারি সংক্রমণে মারাত্মক বিপদগ্রস্ত হয়েছে এখানকার বাসিন্দারা। লকডাউনের নিষেধাজ্ঞায় কাজ হারিয়ে অধিকাংশ মানুষের জমানো যৎসামান্য অর্থও নিঃশেষ হয়েছে। পরিচয়পত্র না থাকায় জোটেনি সরকারি রিলিফ। অনেকেরই দিন কেটেছে প্রায় অনাহারে। কখনো কোনও এনজিওর যৎসামান্য সাহায্য জুটেছে, তাও প্রয়োজনের তুলনায় নগন্য। সংক্রমণের বিরুদ্ধে সরকারের বিভিন্ন সুরক্ষা ব্যবস্থা খোড়িগাঁওবাসীদের কাছে পৌঁছানোর সময় পায়নি। করোনার ধাক্কায় আক্রান্ত অনেক পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারীও বিনা চিকিৎসায় মারা গেছেন।
খোড়িগাঁও-এর আশেপাশেই রয়েছে বিলাসবহুল, অত্যাধুনিক বহুতল ইমারত, তাজ বেদান্ত হোটেল, সরোবর পোর্টিকো হোটেল, পিনাকল বিজনেস টাওয়ার, সুরজকুণ্ড ট্যুরিস্ট কমপ্লেক্স, কান্ত এনক্লেভ, রাধাস্বামী সৎসঙ্গ সেন্টার এবং অজস্র ফার্মহাউস— এসবই গড়ে উঠেছে পাঞ্জাব ল্যান্ড প্রিজারভেশান আইনে সংরক্ষিত বনাঞ্চল এলাকার মধ্যে। ভারতীয় বন আইন ও বন সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী এই অঞ্চলে বিনা অনুমতিতে কোনও রকম স্থায়ী কাঠামো নির্মাণ করা যায় না। ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনালে হরিয়ানা সরকারের বনবিভাগ ২০১৮ সালে তাদের পেশ করা রিপোর্টৈ জানিয়েছিল, বিধিবদ্ধ এমন বহু জমি বেদখল করে ১২৩টি বেআইনি স্থায়ী নির্মাণ গড়ে উঠেছে। এই অঞ্চলের বেআইনি নির্মাণের তালিকার অন্তর্গত ৪৩টি ফার্মহাউসকে ‘কারণ দর্শানোর' নোটিশ পাঠানো হয়েছে এবং আরও ৬২টিকে নোটিশ দেওয়া হবে বলে গত বছর ডিসেম্বরে জানানো হয়েছিল। কিন্তু আজ অবধি এমন কোনও ইমারত ভাঙ্গা হয়নি। শুধুমাত্র একটি ব্যক্তিগত মামলার সুবাদে ২০১৮ সালে সুপ্রিমকোর্ট ১৬০০ প্লটের বিশালাকার কান্ত এনক্লেভ ভেঙ্গে দেওয়ার আদেশ দেয় এবং সেই সঙ্গে প্রোমোটার কান্ত অ্যাসোসিয়েটস এবং হরিয়ানা সরকার উভয়কেই ৫০ লক্ষ টাকা করে প্রত্যেক ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে ক্ষতিপূরণের নির্দেশও দেয়। সে প্রক্রিয়া শেষ হবার আগেই হরিয়ানার বিজেপি সরকার দ্রুততা ও বর্বরতার সঙ্গে খোড়িগাঁও উচ্ছেদে তৎপর হয়েছে। আরাবল্লি বনাঞ্চল সন্নিহিত বিধিবদ্ধ এলাকায় বেআইনি নির্মাণ ভাঙ্গার জন্য সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী হরিয়ানা সরকার ১৩ মার্চে উচ্ছেদ নোটিশ জারি করে খোড়িগাঁও বস্তিতে। ইতিপূর্বে, বাসিন্দাদের করা দুটি মামলায় চণ্ডীগড় হাইকোর্ট হরিয়ানা সরকারকে পুনর্বাসনের সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছিল। খোড়িগাঁও রেসিডেনট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী সরকারকে সার্ভে করে বাসিন্দাদের সরকারি নিয়ামানুসারে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা পর্যন্ত উচ্ছেদ স্থগিত রাখতে আবেদন জানায়। কিন্তু, আইনকে চাতুরীর সঙ্গে পাশ কাটিয়ে, সরকার বাসিন্দাদের কাছে বসবাসের প্রমাণপত্রের বদলে জমির দলিল চায়। যেটি কারো কাছেই থাকার কথা নয়। কোভিড সংক্রমণের চূড়ান্ত সময়ে গত বছর সেপ্টেম্বরে ১৭০০টি, এবছর এপ্রিলে বিনা সতর্কীকরণে ৩০০ ঘর ভেঙ্গে দেওয়া হয়। সুপ্রিমকোর্টের চূড়ান্ত নির্দেশিকার প্রেক্ষিতে ফরিদাবাদ পুরনিগম ১৪ জুন থেকে ধারাবাহিক উচ্ছেদ শুরু করে। স্থানীয় বাসিন্দা ও গণ-আন্দোলন কর্মীদের প্রতিবাদ বন্ধ করতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। আম্বেদকর পার্কে স্থানীয় বাসিন্দাদের মহাপঞ্চায়েত বন্ধ করতে বিভিন্ন রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। জল ও বিদ্যুৎ সরবরাহ কেটে দেওয়া হয়। মোবাইল ফোনের টাওয়ারগুলো ভেঙ্গে দেওয়া হয়। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়, অন্তত ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সাংবাদিকরাও পুলিশি বর্বরতার সম্মুখীন হয়েছে। খোড়িগাঁও এখন এক উন্মুক্ত জেলখানা। ভগত সিং ছাত্র একতা মঞ্চ, মজদুর আবাস সংঘর্ষ সমিতি, বস্তি সুরক্ষা মঞ্চ, এনএপিএমের যৌথ ঐক্য সমন্বয়ের পক্ষ থেকে উচ্ছেদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
দরিদ্র, অসহায় প্রান্তজনদের সঙ্গে রাষ্ট্রের আচরণের বৈষম্য প্রকট হয়ে পড়েছে খোড়িগাঁও-এর ১০০০০ পরিবারকে পুনর্বাসনহীন উচ্ছেদের রাষ্ট্রীয় বর্বরতায়। জমি মাফিয়াদের কাছ থেকে জমি কিনে, ঘর গড়তে হলে পুলিশ এবং বনবিভাগের কর্মীদের নিয়মিত উৎকোচ দিতে হতো। জীবনের সঞ্চয় দিয়ে গরিব মানুষগুলো যে ঘর তৈরি করেছিল, ন্যায়ালয়ের নির্দেশ আর প্রশাসনের নৃশংসতায় আজ সব হারিয়েছে তারা। ক’দিন আগেই আত্মহত্যা করেছেন নির্মাণ শ্রমিক ৭০ বছরের গণেশিলাল, জীবনের যৎসামান্য সঞ্চয় নিঃশেষ করে সে বানাতে পেরেছিল তার ছোট্ট ঘরটি। অতিমারির উপার্জনহীন বিপন্ন সময়ে, অন্তত ৫০০০ গর্ভবতী নারী ও ২০০০০ শিশুর উপর মারাত্মক প্রভাব পড়বে এই নারকীয় উচ্ছেদের। ফরিদাবাদ পুরনিগম উচ্ছেদের অগ্রগতির বিবরণ পেশ করেছে শীর্ষ আদালতে। হরিয়ানা সরকার তথাকথিত পুনর্বাসন দেওয়ার অদ্ভুত পরিকল্পনায় জানিয়েছে, অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল শ্রেণীর জন্য তৈরি করা ১৮০০ ফ্ল্যাট বরাদ্দ করা হয়েছে শুধুমাত্র হরিয়ানার ভোটারদের জন্য। তবে প্রতি ফ্ল্যাটের জন্য মূল্য চোকাতে হবে প্রায় ৪ লক্ষ টাকা। জানানো হয়েছে, এযাবৎ মাত্র ৪৭০ জন নাম নথিভুক্ত করেছেন। ৯৫% পরিবার বৃহৎ জনারণ্যে কোথায় ঠাঁই জোটাবে জানা নেই।
অতিমারির সময়ে হরিয়ানা সরকারের এই উচ্ছেদ সরাসরি লঙ্ঘন করছে রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার সংক্রান্ত স্পেশাল কোভিড-১৯ নির্দেশিকাকে। যেখানে সুস্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, “ঘরে থাকাই সংক্রমণ রুখবার প্রাথমিক প্রতিরোধ। এঅবস্থায় সাধারণ মানুষকে তার বিধিবহির্ভূত বাসস্থান/ উপনিবেশ/ শিবির থেকে উচ্ছেদ করা যাবে না বলে রাষ্ট্রকে ঘোষণা করতে হবে। সংক্রমণ রুখতে এই ধরনের বাসস্থানে যথেষ্ট পরিমাণে পরিস্রুত জল সরবরাহ, টয়লেট, নিকাশি, নিয়মিত স্যানিটেশন ও সাবান, ডিসইনফেকট্যান্ট, মাস্ক সরবরাহের ব্যবস্থা রাখতে হবে”। হরিয়ানা সরকার ন্যূনতম সহায়তা, পুনর্বাসন দায়িত্ব না নিয়ে বর্ষার সময় এই হতদরিদ্র মানুষদের নির্দয়ভাবে উৎখাত করছে। রাষ্ট্রপুঞ্জের কোভিড-১৯ নির্দেশিকাই শুধু নয়, সরকারের এই জবরদস্তি উচ্ছেদ, বাসস্থানের অধিকারসহ, বলপূর্বক উচ্ছেদ না হওয়া বিষয়ক আন্তর্জাতিক আইনেরও বিরোধী। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সনদের ২৫(১) ধারা, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক চুক্তিপত্রের ১১(১) ধারায় আছে মানুষের বাসযোগ্য বাসস্থান পাওয়ার অধিকার। বলপূর্বক উচ্ছেদকে একটি ভয়ঙ্কর মানবাধিকার লঙ্ঘন বলে অভিহিত করা হয়েছে আন্তর্জাতিক আইনে। আন্তর্দেশীয় উচ্ছেদ সংক্রান্ত ১৯৯৮-এ রাষ্ট্রপুঞ্জের গৃহীত নীতিমালায় বলা হয়েছে, আইনানুগ উচ্ছেদ করতে হলে প্রশাসনকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ, বাসযোগ্য, সুরক্ষিত, জীবনধারণের পরিষেবা ও আয়ের নিশ্চয়তাসহ পুনর্বাসন ব্যবস্থা করে, বাসিন্দাদের নতুন বাসস্থানে চলে যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সময় এবং সহায়তা দিতে হবে। ২০১৬ সালে ইউএন কনফারেন্স অন হাউসিং অ্যান্ড সাসটেনেবল আরবান ডেভলাপমেনট (হ্যাবিট্যাট ৩)-এ সহনশীল উন্নয়নের লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছিল দরিদ্র মানুষকে বসবাসযোগ্য, সুরক্ষিত, সহনশীল বাসস্থানে অন্তর্ভুক্ত করা। ভারত রাষ্ট্রপুঞ্জের অন্যতম সদস্য দেশ হিসেবে এই সনদ, চুক্তি এবং নীতিমালা গ্রহণ করেছে কিন্তু সেসব খাতায় কলমেই থেকে গেছে।
২০১০ সালে দিল্লি হাইকোর্ট জানিয়েছিল, উপযুক্ত পুনর্বাসনের ব্যবস্থা ছাড়া ঝুপড়ি উচ্ছেদ করলে সংবিধানের ২১ ধারার মৌলিক অধিকার উল্লঙ্ঘন করা হবে (সুদামা সিং বনাম দিল্লি সরকার)। চামেলি সিং বনাম ইউপি সরকারের মামলায়(১৯৯৫) কিংবা আহমেদাবাদ পুর নিগম বনাম নবাব খান মামলায়(১৯৯৬) সুপ্রিমকোর্টের পর্যবেক্ষণ ছিল, সভ্যসমাজে জীবনের অধিকারের মধ্যেই বিধৃত থাকে খাদ্য-পানীয়ের অধিকার, সুস্থ পরিবেশের, শিক্ষার, স্বাস্থ্যের অধিকার। রাষ্ট্রের সাংবিধানিক দায়িত্ব সমাজের প্রান্তিক দরিদ্র মানুষের জন্য আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা।
ঠিক তার বিপরীত আচরণ দেখা গেছে শীর্ষ আদালতের ৭ জুনের উচ্ছেদের নির্দেশে। বাসিন্দাদের পক্ষে আইনজীবী কলিন গনজালভেজ, উৎখাত হওয়া মানুষদের পুনর্বাসনের আবেদন জানালে, মহামান্য বিচারপতিরা রূঢ় তিরস্কার করে বলেছিলেন, "ল্যান্ড গ্রাবার্স কান্ট টেক রেফ্যুজ আন্ডার রুল অফ ল অ্যান্ড টক অফ ফেয়ারনেস”। পরবর্তীকালে ২৩ জুলাই, আইনজীবী গনজালভেজকে সরকারের খসড়া পুনর্বাসন নীতির বিষয়ে বক্তব্য জানাতে আদালত অনুমতি দেয় মাত্র। ভাঙচুরের কাজ অবশ্য চলবে এবং শেষ করতে হবে আগামী চার সপ্তাহে। অর্থাৎ আগে উৎখাত, পরে সরকারের দয়ায় পুনর্বাসনের প্রশ্ন। ন্যায়ালয়ের চৈতন্যে প্রান্তিক মানুষের জীবনের অধিকারের বিষয়টিই মূল্যহীন হয়ে গেছে এই রায়ে। বস্তুত, যে ন্যায়বিচারে মানবিকতার স্পর্শ না থাকে তা কখনই ন্যায়বিচার হতে পারে না।
সাংবিধানিক অধিকার অস্বীকার করে, আন্তর্জাতিক আইন, নির্দেশিকা, প্রতিশ্রুত নীতির মর্যাদা না দিয়ে, নির্দ্বিধায় লক্ষ দরিদ্র, প্রান্তিক মানুষকে উৎখাত করে ভারত আজ এক নারকীয় মানবাধিকার লঙ্ঘনের নজির স্থাপন করতে চলেছে। বলপূর্বক উচ্ছেদে ভারতের শীর্ষ-আদালত নেতৃত্ব দেওয়ায় অত্যন্ত উদ্বেগ প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রপুঞ্জ। মানবাধিকার সংক্রান্ত ৭ জন স্পেশাল র্যাপোর্টার ১৬ জুলাই ভারত সরকারের কাছে উপযুক্ত বসবাসের ব্যবস্থাসহ উপযুক্ত পুনর্বাসন ছাড়া এই জবরদস্তি উচ্ছেদ বন্ধ করার আবেদন জানিয়ে বলেছে, “সরকার তার নিজেরই ঠিক করা ২০২২ সালের মধ্যে গৃহহীনতার সমস্যা সমাধানের লক্ষ্য স্মরণ করে এই ১ লক্ষ গরিব মানুষদের অবিলম্বে ঘরের ব্যবস্থা করুক। তাঁরা দুশ্চিন্তাগ্রস্ত ভারতীয় শীর্ষ আদালতের এই রায়ে, মারাত্মক সংক্রমণ সময়ে অন্তত ২০০০০ শিশু গৃহহীন হবে। ভারতীয় আদালতের উচিত, আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের মানদণ্ডের আলোকে বিচার করা”। জুরি হিসেবে পরিবেশবিদ আশিস কোঠারি ও ক্লডি আলভারেজ, সমাজকর্মী অঞ্জলি ভরদ্বাজসহ ৬ অগ্রণী ব্যক্তিত্বের উপস্থিতিতে ১৭ই জুন একটি গণ-শুনানি করা হয়েছে। উপস্থিত ছিলেন কয়েকটি বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের প্রতিনিধিরা। ন্যায়ালয়ের আদেশও আজ স্বৈরাচারী সরকারের হাতিয়ার। বন্ধ কর খোড়িগাঁও উচ্ছেদ।