বামপন্থা ও গণতন্ত্রের কথোপকথন
[দেশ]
শ্রমজীবী ভাষা, ১৬ মার্চ, ২০২২— রাজনীতি বিশেষজ্ঞ, সমাজবিজ্ঞানী থেকে সংবাদ মাধ্যম সকলেই চর্চা করছেন, কী ভাবে দেশ কাঁপানো কৃষক আন্দোলন জয় ছিনিয়ে আনলো। কী ভাবে লক্ষ লক্ষ কৃষক পুরুষ-নারী কঠিন প্রতিকূলতা ও চরম অমানবিক অত্যাচার উপেক্ষা করে লাগাতার ৩৭৮ দিন দিল্লি সীমান্তে অবস্থান চালিয়ে কৃষক বিরোধী কর্পোরেট স্বার্থের বাহক নির্দয় সরকারকে মাথা নত করতে বাধ্য করল।
যুগ যুগ ধরে লালিত দর্শন নারীর দায়-দায়িত্ব-কর্তব্যকে অন্তঃপুরে আবদ্ধ রাখতে অভ্যস্ত। প্রচলিত সমাজ-রাষ্ট্রে নারীর স্বাধীন সত্বা ও অধিকারকে স্বীকৃতি না দেওয়াটাই দস্তুর। কিন্তু নারী যে পুরুষের সহকর্মী হয়ে উঠতে পারে, অন্যায়-অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ-প্রতিরোধে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করতে পারেন তার অজস্র উদাহরণ আছে। স্বাধীনতা উত্তরকালের ইতিহাসে তিন কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে ঐতিহাসিক কৃষক আন্দোলনে পুরুষদের সঙ্গে নারীদের ভূমিকা অতীতের সব লড়াইকে ছাপিয়ে গিয়েছে।
নারীরা জনসমষ্টির অর্ধাংশ। মূলত কৃষি ভিত্তিক এই দেশে নারী সংখ্যায় কৃষক রমণীরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ। ইংরেজ শাসক ও সামন্ততন্ত্রের বিরুদ্ধে বারে বারেই কৃষক বিদ্রোহ সংগঠিত হয়েছে। পুরুষদের সঙ্গে সেই বিদ্রোহ ও লড়াইগুলিতে নারীরা গৌরবময় ভুমিকা পালন করেছেন। লড়াই করেছেন, চরম নির্যাতন সহ্য করেছেন, মৃত্যুবরণ করেছেন। আবদুল্লা রসুল লিখেছেন, “দেশের মধ্যে একটা বিদেশী কর্তৃত্ব ও শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা হয়ে যাচ্ছে দেখে যারা তাদের বাধা দিয়েছিল তাদের পিছনে ব্যাপক জনসমর্থন ছিল। তার মধ্যে প্রধান ছিল কৃষকদের সমর্থন।” (কৃষক সভার ইতিহাস, পৃ. ১৯)। বলা বাহুল্য, কৃষক অর্থে পুরুষ-নারী নির্বিশেষে কৃষক।
বাংলায় জমিদার ও ইংরাজদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে সন্ন্যাসী ও ফকির বিদ্রোহ (১৭৬৩-১৮০০) বারে বারে ফেটে পড়েছে। সেই বিদ্রোহে প্রতিবাদী কৃষকদের সঙ্গে বীরাঙ্গনা কৃষক রমণীরা উজ্জ্বল ভূমিকা নিয়েছেন। এই পটভূমিকাতেই বঙ্কিমচন্দ্রের ‘দেবী চৌধুরাণী’ উপন্যাসে বিদ্রোহী নেত্রীর গাথা লিখিত।
দাক্ষিণাত্যের মালাবারের (অধুনা কেরালা রাজ্য) মোপালা কৃষক বিদ্রোহ ভারতের কৃষক সংগ্রামের ইতিহাসে অমর হয়ে আছে। ওই এলাকার ‘জেমিনি’ জমিদাররা ইংরাজ সরকারের পৃষ্ঠপোষককতায় প্রজাদের উপর বেপরোয়াভাবে খাজনা বৃদ্ধি সহ নানা অত্যাচার শুরু করলে মোপালা কৃষকরা বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। এলানাড, ওয়ালুভানাড তালুক জুড়ে কৃষকদের সংগ্রাম ছড়িয়ে পড়ে। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে হাজার হাজার কৃষক এই বিদ্রোহে সামিল হন। ১৮৩৬ সাল থেকে ১৮৫৪ সালের মধ্যে ২২ বার বিদ্রোহ ঘোষণা করেন তারা। ইংরাজ সরকারের পুলিশ-মিলিটারি ৬৪ জন কৃষককে হত্যা করে। ইংরাজ সেনা ও পুলিশের সঙ্গে যুদ্ধে পরাজিত হলেও মোপালা কৃষকরা বারে বারেই বিদ্রোহে ফেটে পড়েন। মোপালা কৃষকরা ১৮৮০ সাল, ১৮৯৪ সাল ও ১৮৯৬ সালে জোরালো বিদ্রোহ করেন। এই বিদ্রোহগুলিতে ৯৬ জন কৃষক শহীদ হন। ১৯২১ সালে অসহযোগ আন্দোলনের সময় আরও একবার বিদ্রোহ করেন মোপালা কৃষকরা। এই সময়ে মূলত কৃষক রমণীরাই প্রধান ভূমিকা পালন করেন।
কৃষক সমাজের সবচেয়ে পিছিয়ে থাকা যাদের অবস্থান সেই আদিবাসী জনগোষ্ঠী স্মরণাতীত কাল থেকে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে বাস করে আসছে। তারা জলা-জঙ্গল, পাথুরে জমি, বন্ধাভূমি কঠোর পরিশ্রমে চাষযোগ্য করে তুলছেন এবং বসতি স্থাপন করেছেন। সেই জমিকে কেন্দ্র করে জমিদার ও তাদের প্রতিনিধিরা আদিবাসী কৃষকদের উপর নির্মম শোষণ-নিপীড়ন চালাতো। তার বিরুদ্ধে অষ্টাদশ ও ঊনবিংশ শতাব্দীতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অসংখ্য আদিবাসী কৃষক বিদ্রোহ গড়ে উঠেছিল। বোম্বাই প্রেসিডেন্সিতে কোল ও ভীল, রাজপুতনায় ‘মিয়স’, ছোটনাগপুরে সাঁওতাল ও ‘কাচিস’, উড়িশ্যায় ‘খোন্দ’ সহ আরও বহু জায়গাতে আদিবাসী জনজাতিরা ইংরাজ শাসক ও জমিদারদের বিরুদ্ধে অসংখ্য লড়াই প্রতিরোধ সংগ্রাম গড়ে তুলেছিল। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ লড়াই ছিল বিহার ও বাংলার সাঁওতাল বিদ্রোহ (১৮৫৫-৫৬)। এই বিদ্রোহের বৈশিষ্ট্য ছিল আদিবাসী রমণীদের সুসংগঠিত অংশগ্রহণ। আদিবাসী সমাজে ‘মাতৃতান্ত্রিকতা’র বেশ কিছু অবশেষ থেকে যাওয়ায় নারীদের সম্মান-ভূমিকা একেবারে লোপ পায়নি। বিদ্রোহে অংশগ্রহণ থেকে পরিচালনা, সিদ্ধান্ত গ্রহণ, নিপীড়ন সহ্য করা সব কিছুতেই আদিবাসী নারীরা উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন।
১৯৪৬-৫২ তেলেঙ্গানার কৃষকদের ‘মহাকাব্যিক’ সংগ্রামে একই চিত্র দেখা যায়। নিজামশাহীর অত্যাচারের অবসানে কৃষকদের মুক্তির লড়াইয়ে হাজার হাজার কৃষক রমণী, বিশেষত কৃষিমজুররা রীতিমতো সৈনিকের পোষাকে ‘রাজাকার’, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেছেন, বহু ক্ষেত্রে সংগ্রাম পরিচালনা করেছেন। নারীদের আলাদা বাহিনীও তৈরি হয়েছিল।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ঠিক পরে দেশকাঁপানো যে লড়াইগুলি সংগঠিত হয়েছিল তার মধ্যে অন্যতম উল্লেখযোগ্য ছিল, বোম্বাই থেকে ৮০ মাইল দূরে থানে জেলার ‘ওয়ারলি আদিবাসী কৃষকদের বিদ্রোহ। আদিবাসী কৃষকরা শোষণ ও মৃত্যুর জোয়ালে বাঁধা অবর্ণনীয় জীবন থেকে মুক্তির সংগ্রামে হাজারে হাজারে সংগ্রামে সামিল হন। এই সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন প্রবাদপ্রতিম কমিউনিস্ট নেত্রী গোদাবরী পারুলেকর। তিনি গ্রেপ্তার এড়িয়ে গ্রামের পর গ্রামে কৃষকদের সংগঠিত করেন। তাঁর প্রেরণায় হাজার হাজার কৃষক রমণী প্রত্যক্ষভাবে লড়াইয়ে অংশগ্রহণ করেছিলেন, অনেকে নেতৃত্বদায়ী ভূমিকা পালন করেছেন। এই আন্দোলনে শতাধিক কৃষক শহীদ হন— তার মধ্যে বহু কৃষক রমণী ছিলেন। কৃষক রমণীরা অমানবিক অত্যাচারের শিকার হয়েও মাথা নত করেননি।
অভিবক্ত বাংলার তেভাগা সংগ্রাম ছিল সুদূরপ্রসারী। ১৯৪৬-৪৭ এবং ১৯৮৪৮-৪৯ সালে দুই পর্বে তেভাগা সংগ্রাম বাংলার এক বিস্তৃত এলাকায় ব্যাপ্ত হয়েছিল। এর প্রধান এলাকা ছিল উত্তরবঙ্গের রংপুর, দিনাজপুর, জলপাইগুড়ি এবং ২৪ পরগণার কৃষি এলাকা। যশোর জেলার নড়াইল মহকুমা, মেদিনীপুর, ময়মনসিংহ, হুগলী সহ বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন অংশে তেভাগা আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছিল। প্রথম পর্বে প্রায় ৬০ লক্ষ কৃষক— পুরুষ-নারী এই আন্দোলনে সামিল হয়েছিলেন। জোতদারের বাহিনী ও পুলিশ যৌথভাবে কৃষকদের উপর আক্রমণ চালায়। এই পর্বে সহস্রাধিক কৃষককে গ্রপ্তার করা হয়— তার মধ্যে দুই শতাধিক কৃষক রমণী। থানা হাজতে তাঁদের উপর অকথ্য নির্যাতন চালানো হয়। দিনাজপুরের খাঁপুরে পুলিশ গুলি চালিয়ে ২২ জন কৃষককে হত্যা করে। সব মিলিয়ে ৭০ জন কৃষককে গুলি করে হত্যা করা হয়।
স্বাধীনতার পর দ্বিতীয় পর্যায়ের আন্দোলন (১৯৪৮-৪৯) পশ্চিমবঙ্গের বেশির ভাগ অংশে তেভাগা আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। মোট ৭১ জন কৃষক পুলিশের গুলিতে নিহত হন। এর মধ্যে কৃষক রমণী ছিলেন ২০ জন— হুগলীতে ৫ জন, হাওড়ায় ১১ জন, ২৪ পরগণায় ৪ জন। এর থেকে বোঝা যায়, এই আন্দোলনে কৃষক রমণীরা ব্যাপকভাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন।
দেখা যাচ্ছে, বেঁচে থাকার প্রয়োজনে, শোষণ-অত্যাচারের অবসানে ছোট-বড় অসংখ্য লড়াইয়ে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে দেশের কৃষকরা আন্দোলন গড়ে তুলেছেন। জমি ও ফসলের দাবিতে, খাজনা বৃদ্ধি রোধে, খাদ্যের দাবিতে, মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে, বন্যা নিয়ন্ত্রণের দাবিতে, সেচ ও সারের দাবিতে, সামাজিক নিপীড়নের বিরুদ্ধে। এই সব আন্দোলনে কৃষক রমণীরা ব্যাপক সংখ্যায় এগিয়ে এসেছেন— অত্যাচার-নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। কিন্তু দুঃখের কথা তাঁদের এই অবদান যথাযথ মর্যাদা পেয়েছে, এ কথা বলা যায় না।
অতীতের সব আন্দোলনের গৌরব গাথাকে ছাপিয়ে গেছে সাম্প্রতিক কালের দেশকাঁপানো অভূতপূর্ব আন্দোলন— গতানুগতিক ধারা অতিক্রম করে এক নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। দিল্লি প্রবেশের পাঁচটি সীমান্তে মোদি সরকারের কর্পোরেট বান্ধব কৃষি ও কৃষক বিরোধী তিনটি কালা আইন প্রত্যাহার, স্বামীনাথন কমিশনের ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের সুপারিশ কার্যকর করতে আইন প্রণয়নের দাবিতে বৎসরাধিক কালব্যাপী লক্ষ লক্ষ কৃষকদের আন্দোলন জয় ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা সারা দেশকে চমকে দিয়েছে। এই আন্দোলন অবশ্য হঠাৎ করে শুরু হয়নি।
এই আন্দোলনের অব্যবহিত পূর্বে মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, রাজস্থান সহ বিভিন্ন রাজ্যে কৃষকরা জ্বলন্ত সমস্যাগুলি নিয়ে আন্দোলন গড়ে তোলেন। মহারাষ্ট্রে দীর্ঘ দিনের আন্দোলনের প্রস্তুতিপর্বের শেষে নাসিক থেকে মুম্বাই ২০০ কিলোমিটার ‘লঙমার্চ’ করেন ৫০ হাজার কৃষক ও ক্ষেতমজুর। এর বৈশিষ্ট্য ছিল হাজার হাজার হতদরিদ্র আদিবাসী কৃষক রমণী ক্ষতবিক্ষত পায়ে মুম্বাই পৌঁছান। সেই ছবি সংবাদমাধ্যম ও শহরের মানুষদের মধ্যে তীব্র আলোড়ন ও প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। সংবাদমাধ্যম যথার্থভাবে এই ‘লঙমার্চ’কে মহারাষ্ট্রে “বসন্তের বজ্রনির্ঘোষ” আখ্যায়িত করে। অনুরূপভাবে, রাজস্থানের শিকর জেলায় গড়ে ওঠে সুতীব্র কৃষক আন্দোলন যাকে বর্ণনা করা হয়েছে রাজস্থানের “মরুঝড়” হিসাবে। লক্ষ্যণীয় যে এই দুই রাজ্যেই আন্দোলন চলাকালীন সময় ক্ষমতা ছিল বিজেপি পরিচালিত সরকার। এই লড়াইগুলি দিল্লি সীমান্তে কৃষক আন্দোলনের পূর্ব-উপাদান হিসাবে কাজ করেছে। এই লড়াই সাময়িকভাবে বিজয়ী হয়েছে— কৃষিকে “কৃষকবান্ধব থেকে কর্পোরেটবান্ধব” করার মোদি সরকারের অপচেষ্টা জোর ধাক্কা খেয়েছে।
এই আন্দোলন “সংগ্রামের নতুন ভাষা ও ব্যাকরণ” সৃষ্টি করেছে। এই আন্দোলন মোদি সরকার, বিভাজন সৃষ্টিকারী আরএসএস, কর্পোরেট শক্তির রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছিল। এই আন্দোলনের সাফল্যের অন্যতম প্রধান কারণ হল, আন্দোলনকারীদের এক-তৃতীয়াংশ ছিলেন মহিলা। মহিলারা কেবল ভীড় বাড়াননি, মিছিল করেছেন, শ্লোগান দিয়েছেন, বক্তৃতা করেছেন, আন্দোলনের স্বেচ্ছাসেবকের কাজ করেছেন। পুরুষরা যখন আন্দোলনে অংশ নিতে গেছেন, সেই সময় ঘরের গৃহস্থালির কাজ কাজ সামলেছেন, ছেলে-মেয়ে ও বয়স্কদের দেখভাল করেছেন, চাষের কাজ সামলেছেন। আবার মহিলারা যখন আন্দোলনে অংশ নিতে গেছেন, পুরুষরা মহিলাদের কাজ করেছেন।
হিন্দু, মুসলমান, শিখ নির্বিশেষে কৃষক ও কৃষক রমণীরা ঐক্যবদ্ধভাবে বিভাজনের সমস্ত কলা-কৌশল প্রত্যাখ্যান করেছেন। সরকার ও কর্পোরেট নিয়ন্ত্রিত মিডিয়ার সমস্ত অপপ্রচার প্রত্যাখ্যান করেছেন। লঙ্গরখানায় সকলে এক সঙ্গে বসে খাবার খেয়েছেন। এই আন্দোলনে বড় প্রাপ্তি হল, আন্দোলনের শত্রুর বিরুদ্ধে দৃঢ় ঐক্য গড়ে তোলার সফলতা। গতানুগতিক ধারা থেকে বেরিয়ে এসে আন্দোলনের যে নতুন দিশা কৃষকরা দেখিয়েছেন, আগামী দিনে তার সঠিক ব্যবহার হয় কিনা তাই এখন দেখার।
তথ্য সূত্র—
১) কৃষক সভার ইতিহাস- মুহম্মদ আবদুল্লা রসুল,
২) কৃষক সংগ্রাম পত্রিকা (তৃতীয় এবং চতুর্থ সংখ্যা),
৩) ওয়ারলিদের বিদ্রোহ (মহারাষ্ট্র)- গোদাবরী পারুলেকর।
(সম্পাদিত)