শ্রমজীবী সংবাদ: দেশ
শ্রমজীবী সংবাদ: দেশ
শ্রমজীবী নিউজ ব্যুরো
ইছাপুর অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি ওয়ার্কস কমিটি নির্বাচনে মজদুর ইউনিয়নের জয়
ইছাপুর মেটাল এন্ড স্টিল ফ্যাক্টরির ওয়ার্কস কমিটির নির্বাচনে ইছাপুর অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি মজদুর ইউনিয়ন বিপুলভাবে জয়লাভ করেছে। কুড়ি বছর পরে তাদের এই জয়। দশটি আসনের মধ্যে সাতটি আসনে মজদুর ইউনিয়ন জয়লাভ করে। আইএনটিইউসি তিনটি আসনে জয়লাভ করে। তৃণমূল ও বিজেপি পরিচালিত ইউনিয়ন একটিও আসনে জিততে পারে নি।
গত ১০ জুন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ইছাপুর মেটাল এন্ড স্টিল ফ্যাক্টরির ওয়ার্কস কমিটির নির্বাচন। সেই নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশিত হল ৫ মাস পরে। নির্বাচনে শ্রমিক-কর্মচারীদের গণতান্ত্রিক রায় যাতে প্রকাশ্যে না আসতে পারে সেজন্য আইএনটিইউসি ভেঙে তৈরি হওয়া পারমানেন্ট ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন হাইকোর্টে মামলা করে। আদালত নির্বাচনের ভোট গণনার উপর স্থগিতাদেশ দেয়। অবিলম্বে ভোট গণনার দাবিতে ইছাপুর অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি মজদুর ইউনিয়ন হাইকোর্টে মামলা চালিয়ে যায়। এত দিন পরে আদালতের রায়ে ভোটগণনা হয় এবং ফল প্রকাশিত হল।
ইছাপুর অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি মজদুর ইউনিয়ন এই ফলকে করপোরাটাজেশনের বিরুদ্ধে শ্রমিক কর্মচারীদের রায় হিসেবে বর্ণনা করেছে। কেন্দ্রের মোদি সরকার অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি বোর্ড (ওএফবি) ভেঙে প্রতিরক্ষা উৎপাদনে সাতটি রাষ্ট্রায়ত্ত কর্পোরেট সংস্থা তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যার দীর্ঘমেয়াদী উদ্দেশ্য বোর্ডের অধীনে থাকা ৪১টা দেশি-বিদেশি কর্পোরেটদের হাতে তুলে দেওয়া। ইছাপুর অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি মজদুর ইউনিয়ন করপোরাটাইজেশনের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। আগামী দিনে করপোরাটাইজেশনের বিরুদ্ধে লড়াইকে শক্তিশালী করার জন্য ইছাপুর অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরির শ্রমিক কর্মচারিরা মজদুর ইউনিয়নকে দায়িত্ব দিয়েছেন।
৯ মাস বেতন নেই, আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত উত্তরপ্রদেশের স্বাস্থ্যকর্মীদের
উত্তরপ্রদেশের চুক্তিভিত্তিক ল্যাব টেকনিশিয়ান এবং ডেটা অপারেটররা ৯ মাসেরও বেশি সময় ধরে বেতন পাচ্ছেন না। বাস্তির বিভিন্ন কমিউনিটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কাজ করেন এই কর্মীরা। প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে কোভিডে কাজ করে গিয়েছেন তাঁরা। সরাসরি রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মী না হলেও তাঁদের বেতনের দায়িত্ব উত্তরপ্রদেশের সরকারের। একটি কোম্পানির অধীনে চুক্তির ভিত্তিতে কাজ করেন তাঁরা। সেই কোম্পানির কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, সরকার টাকা না দেওয়ার জন্যই কর্মীদের বেতন দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
এই স্বাস্থ্য কর্মীরা সময়মতো বেতনের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলন করছেন। চুক্তি ভিত্তিক এই স্বাস্থ্য কর্মীদের বেতন মাসে ১২ হাজার টাকা মাত্র। তা-ও দীর্ঘ মাস ধরে বকেয়া থাকে। সময়মতো বেতনের দাবিতে তাঁরা জেলা প্রশাসনের দরজায় ঘুরেছেন। নিজেদের দুরবস্থার কথা জানিয়ে জেলা শাসককে চিঠি দিয়েছেন। মৌখিক আশ্বাস ছাড়া কিছুই জোটেনি তাঁদের।
যোগী সরকারের উদাসীনতায় বাস্তি জেলার এই স্বাস্থ্যকর্মীরাই এবার আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে বাধ্য হচ্ছেন। অন্তত ২৬ জন ল্যাবরেটরি টেকনিশিয়ান এবং ডেটা এন্ট্রি অপারেটর একসঙ্গে আত্মহত্যা করতে চলেছেন। এতগুলো মাস বেতনে বিনা বেতনে পরিবার পরিজন সহ খিদের জ্বালায় তাঁরা এই নিতে বাধ্য হচ্ছেন।