বামপন্থা ও গণতন্ত্রের কথোপকথন
[দেশ]
শ্রমজীবী ভাষা ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২— গত ১ ফেব্রুয়ারি লোকসভায় চতুর্থ বারের জন্য ২০২২-২৩ অর্থবছরের কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন৷ সংবিধানের ১১২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী দেশের সরকারকে সংসদে দাঁড়িয়ে আগামী অর্থবর্ষের জন্য বাজেট পেশ করতে হয়। এই কথাগুলো নিশ্চয়ই সকলের জানা রয়েছে যে বাজেট হচ্ছে একটি দেশের এক অর্থ বছরে সম্ভাব্য আয়-ব্যয়ের হিসেব৷ সরকারকে দেশ চালাতে হয়, সরকারের হয়ে যাঁরা কাজ করেন তাঁদেরকে মাসের শেষে বেতন দিতে হয়, আবার নাগরিকদের উন্নয়নের জন্য নানা ধরনের উদ্যোগ নিতে হয়৷ তাই একটি নির্দিষ্ট অর্থবছরে কোথায় কিভাবে কত খরচ করা সম্ভব হবে, সেগুলোর পুরো পরিকল্পনা তৈরি করার নামই হচ্ছে বাজেট৷ এই বাজেট বিভিন্ন রকমের হতে পারে— যেমন সুষম বাজেট, উদ্বৃত্ত বাজেট এবং ঘাটতি বাজেট৷
ব্রিটিশ ভারতে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বিশ্ব বিখ্যাত স্কটিশ অর্থনীতিবিদ জেমস উইলসন ১৮৬৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি প্রথম বাজেট পেশ করেছিলেন৷ প্রচন্ড দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করে উঠে আসা এই অর্থনীতিবিদ তথা লন্ডনের প্রখ্যাত 'দ্য ইকোনমিস্ট' পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতাকে পরবর্তী সময়ে বামপন্থী দার্শনিক তথা মার্কসসিজমের প্রবক্তা কার্ল মার্কস খোলা মনে প্রশংসা করেছিলেন৷
স্বাধীন ভারতে নেহরু মন্ত্রিসভার প্রথম অর্থমন্ত্রী আর কে সম্মুখম চেত্তি ১৯৪৭ সালের ২৬ নভেম্বর প্রথম কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করেছিলেন৷ মোট রাজস্বের পরিমান ছিল ১৭১.১৫ কোটি টাকা এবং রাজস্ব ঘাটতি ছিল ২৪.৫৯ কোটি টাকা৷ মোট ব্যয় অনুমান করা হয়েছিল ১৯৭.২৯ কোটি টাকা এবং প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় ধরা হয়েছিল ৯২.৭৪ কোটি টাকা৷ স্বাধীনতার আগে আর কে সম্মুখম চেত্তি কিন্তু একজন অ-কংগ্রেসি শিল্পপতি এবং কোচিনের দেওয়ান হিসেবেই পরিচিত ছিলেন৷ স্বাধীনতার সঠিক অনুভূতি ছড়িয়ে দিতেই প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু বি আর আম্বেদকার সহ অনেক অ-কংগ্রেসিদেরও নিজের ক্যাবিনেটে সুযোগ দিয়েছিলেন৷ তবে ১৯৪৯-৫০ সালে সারা ভারতের প্রথম সংগঠিত বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী জন মাথাই। সেই সময় তিনি সম্পুর্ণ বাজেট না পড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন৷ তবে সমস্ত সদস্যদের হাতে শ্বেতপত্র তুলে দিয়েছিলেন যেখানে বাজেটের পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ লিপিবদ্ধ করে রাখা হয়েছিল৷ এই বাজেটের মাঝেই 'পরিকল্পনা কমিশন' এবং পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা তৈরির কথা উল্লেখ করা হয়েছিল৷
১৯৫০ সালের জানুয়ারি মাসে ভারতের সংবিধান গৃহীত হওয়ার পটভূমিতে তৎকালীন অর্থমন্ত্রী জন মাথাই ২৮ ফেব্রুয়ারি তারিখে ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের প্রথম কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করেছিলেন৷ বিদ্যমান স্তরের করের হিসেবানুযায়ী, ১৯৫০-৫১ অর্থবছরের জন্য মোট রাজস্ব অনুমান করা হয়েছিল ৩৪৭.৫ কোটি টাকা এবং মোট ব্যয় ধরা হয়েছিল ৩৩৭.৮৮ কোটি টাকা, উদ্বৃত্ত হিসেবে ৯.৬২ কোটি দেখানো হয়েছিল৷ ভারতবর্ষের ইতিহাসে এটাই প্রথম এবং শেষ উদ্বৃত্ত বাজেট তৈরি করা সম্ভব হয়েছিল৷ অর্থমন্ত্রী মাথাই অবশ্য সতর্ক করে দিয়েছিলেন যে ১৯৫০-৫১ সালের বাজেটের সংখ্যাগুলি ১৯৪৯-৫০ সালের বাজেটের সাথে কঠোরভাবে তুলনা করা সম্ভব নয়৷ কারণ ১৯৫০-৫১ সালে প্রথমবারের মতো রাজ্যের বরাদ্দ অর্থও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল৷
ব্রিটিশ ভারতে বাজেট পেশ করা হতো ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ কর্মদিনে বিকেল ৫টা নাগাদ যা ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত অব্যাহত ছিলো৷ এরপর ১৯৯৯ সালে যশবন্ত সিনহা এই নিয়মের পরিবর্তন করে বেলা ১১টা থেকে বাজেট পেশের রীতি শুরু করেন৷ ২০১৭ সালে অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি যশবন্ত সিনহার নিয়ম পাল্টে ফেব্রুয়ারি মাসের ১ তারিখে বাজেট পেশের রীতি শুরু করেন৷ ৯২ বছর ধরে চলতে থাকা আলাদা করে রেল বাজেট পেশ করার রীতি নিয়মকে ২০১৭ সালের পর থেকে ছুড়ে ফেলে দেওয়া হয়৷ এটাও জানার প্রয়োজন রয়েছে, স্বাধীন ভারতের সংসদে মোট ৭৩টি বার্ষিক পূর্ণবাজেট, ১৪টি অন্তর্বর্তী বাজেট এবং ৪টি বিশেষ বাজেট বা মিনি-বাজেট পেশ করা হয়েছে৷
অর্থমন্ত্রী হিসেবে এখনও পর্যন্ত যিনি সর্বাধিক সংখ্যক বাজেট পেশ করেছেন তিনি হচ্ছেন মোরারজি দেশাই যিনি পরবর্তী সময়ে প্রধানমন্ত্রী হিসেবেও দেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন৷ এই বাজেট পেশ করা নিয়ে তাঁর জীবনে বিরল এক ঘটনাও রয়েছে৷ কারণ মোরারজি দেশাই হচ্ছেন একমাত্র অর্থমন্ত্রী যিনি ১৯৬৪ এবং ১৯৬৮ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি তাঁর নিজের জন্মদিনে দু’ বার বাজেট পেশ করার সুযোগ পেয়েছিলেন৷ চামড়ার ব্রিফকেসে করে বাজেট নিয়ে আসার পূর্বের ঐতিহ্যমন্ডিত পদ্ধতির বিলুপ্তি ঘটিয়ে ২০১৯ সালের ৫ জুলাই নতুন প্রথা চালু করতে গিয়ে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন লাল কাপড়ে মোড়া একটি বাজেটের বই-খাতা নিয়ে এসে সংসদে পেশ করেন৷ ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি তৃতীয়বারের জন্য বাজেট পেশ করতে গিয়ে আরও এক ধাপ পরিবর্তন করে সংসদে প্রথমবার কাগজবিহীন বাজেট পেশ করেন৷ এই পদক্ষেপের মাধ্যমে 'বই খাতা' (লাল কাপড়ে মোড়ানো খাতা) সম্পূর্ণরূপে অপসারণ করে দেওয়া হল৷
এখানে উল্লেখ করতে হয়, দুই ভিন্ন সরকারের পরিবর্তনকালে ২০১৪-১৫ সালে ১৭ লক্ষ ৬৩ হাজার ২১৪ কোটি টাকার অন্তর্বর্তী কেন্দ্রীয় বাজেট তৈরি করা হলেও শেষ পর্যন্ত ৩১ হাজার ৬৭৮ কোটি টাকা বেশি ব্যয় করায় মোট ব্যয় হয়েছিল ১৭ লক্ষ ৯৪ হাজার ৮৯২ কোটি টাকা৷ কোভিড-১৯ ডেল্টা-ভেরিয়েন্টের জন্য ২০২১ সালে ভারতীয় জীবন ও জীবিকায় অনেক বেশি খরচ হয়েছে, দেশটি দৃঢ় সংকল্প এবং অর্থনৈতিক স্থিতিস্থাপকতা দেখানোর চেষ্টা হয়েছে। ২০২০-২১ সালের বাজেট অনুযায়ী মোট ব্যয়ের পরিমাণ ছিল ৩৫ লক্ষ ৯ হাজার ৮৩৬ কোটি টাকা৷ সরকার মনে করছেন, ২০২১-২২ সালে ৯.২ শতাংশ ভারতের মোট দেশীয় পণ্যের বৃদ্ধি সমস্ত বড় বড় অর্থনীতির মধ্যে দ্রুততম হবে৷ ২০২১-২২ সালের বাজেট অনুযায়ী মোট ব্যয়ের পরিমাণ ছিল ৩৭ লক্ষ ৭০ হাজার কোটি টাকা৷ উল্লেখ করা প্রয়োজন, ২০২১-২২ সালে, মোট ব্যয় বাজেট অনুমানের চেয়ে ৮.২ শতাংশ বেশি বলে অনুমান করা হয়েছে। সরকার ২০২২-২৩ সালে ৩৯ লক্ষ ৪৪ হাজার ৯০৯ কোটি টাকা ব্যয় করার প্রস্তাব করেছে, যা ২০২১-২২ সালের সংশোধিত অনুমানের তুলনায় ৪.৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে৷ সরকার ব্যক্ত করেছে, প্রাক-মহামারি স্তরের চেয়েও বড় আকারে অর্থনীতি পুনরুদ্ধার করার পাশাপাশি তার উৎপাদনশীলতা লিঙ্কযুক্ত প্রণোদনার মাধ্যমে আগামী পাঁচ বছরের জন্য ১৪টি মূল খাতে ৬ মিলিয়ন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করার চেষ্টা করবে৷
এই বাজেট নিয়ে দেশের সকল স্তরের মানুষের কাছে বিভিন্ন প্রশ্ন যেমন হতে পারে তেমনি বিভিন্ন জনের মনে নানারকম আশাও লুক্কায়িত থাকতে পারে৷ যারা তাদের সামর্থ অনুযায়ী শিক্ষা শেষ করে চাকরি না পেয়ে বেকার হয়ে বসে রয়েছে, তারা মনে মনে ভাবতে থাকে যে এই বাজেটে নিশ্চয়ই তাদের জন্য কিছু বলা হবে, বাজেটে নিশ্চয়ই তাদের জন্য উপযুক্ত রোজগার তৈরির ব্যবস্থার কথা উল্লেখ থাকবে৷ ভোটের আগে বাজেটে বেকারত্বের মতো সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করা হবে, এমন প্রত্যাশা থাকাটা অনেকের কাছে স্বাভাবিক৷ একইভাবে শিল্পপতিরা চিন্তা করতে থাকে তাদের ব্যপারে কি কি ধরনের সুবিধা প্রদানের কথা উল্লেখ থাকবে৷ উৎপাদক ভেবে চলেছেন, তার কারখানার চিমনির ধোঁয়া বন্ধ হবে না তো? বা উৎপাদিত পণ্যের চাহিদা যা কমছে সেগুলো বাড়ানোর ব্যবস্থা থাকবে তো? কৃষক ভাবতে থাকে তার ফসলের উচিৎ মূল্য কতটুকু পাওয়া যাবে বা কৃষিক্ষেত্রে কি কি সুবিধা দেওয়া হবে? বাজেট পেশ করতে গিয়ে অর্থমন্ত্রী যে অমৃতকালের কথা উল্লেখ করছেন সেটা ভবিষ্যত কালের জন্য কতটুকু উন্নতি আনতে সক্ষম হবে, সেটা সময়কালেই উত্তর পাওয়া যাবে৷
অর্থমন্ত্রী অমৃতকালের উল্লেখ করতে গিয়ে যে সম্পদগুলোর কথা বেশ দৃঢ়তার সাথে উল্লেখ করেছেন, তার সবগুলোই কর্পোরেটের হাতে তুলে দেবার ব্যবস্থা পাকাপাকিভাবে তৈরি করা হয়ে গেছে৷ বেসরকারিকরণ অভিযানের জন্য ১০০টি সম্পদ চিহ্নিত করা হয়েছে, যার মূল্য প্রায় ৫ লক্ষ কোটি টাকা৷ এই বাজেটে সাধারণ জনগণের জন্য কিছু ব্যবস্থা রাখা হয়েছে কি না সেই প্রশ্ন এখন অবান্তর বলেই অনেকে মত প্রকাশ করেছেন৷ বাজেট সাধারণত তৈরি করা হয় এক বছরের জন্য তাই ২৫ বছর পরের অবস্থার গল্প শোনাতে গিয়ে বর্তমান সময়ের জনগণের যদি নাভিশ্বাস উঠে যায় সেক্ষেত্রে বর্তমানের বাজেট কতটুকু প্রাসঙ্গিক, সেই প্রশ্ন জনগণের চিন্তায় আসাটাই৷ বাজেট তৈরি করার সময় গত বাজেটে ঘোষণা করা কোনও কাজ বাকি থেকে গেলে সেগুলোকে শেষ করার লক্ষ্যে নতুন বাজেটে দ্বিতীয়বারের জন্য স্থান করে দেওয়া হয়৷ নতুন নামকরণের মাধ্যমেও নতুন বাজেটে অনেক অসমাপ্ত কাজকে গুরুত্ব দিয়ে স্থান করে দেওয়া হয়ে থাকে৷ সরকারের অবকাঠামোগত সম্পদের তালিকা প্রস্তুত করে নিয়ে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন একটি ৬ লক্ষ কোটি টাকার জাতীয় নগদীকরণ পাইপলাইন পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন, যা আগামী চার বছরে বিক্রি করা হবে৷ সড়ক, রেলপথ এবং বিদ্যুৎ সেক্টরগুলোর মাধ্যমে শীর্ষ তিনটি অংশ তৈরি করে প্রকল্পগুলি চিহ্নিত করা হয়েছে।
বাজেট অধিবেশনের শুরুতে অর্থমন্ত্রী বলেন, "আমরা সাধারণ মানুষকে বাড়ি, ইলেকট্রিসিটি, গ্যাস ইত্যাদি দিয়ে আর্থিক ভীত শক্ত করেছি। মধ্যবিত্তের জ্বালা-যন্ত্রণার উপরেও বিশেষ নজর দিয়েছে সরকার।" অর্থমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পর ধরেই নেওয়া যেতে পারে, দেশের অর্থনীতি এখন দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে, সাধারণ মানুষের এখন আর কোনওরকম চিন্তার কারণ নেই৷ অর্থমন্ত্রী এটাও বলেন, "বিনিয়োগ টানাই এখন সরকারের মূল লক্ষ্য। এখন ভালো সময় এসেছে, বিনিয়োগ বাড়ছে। আমরা এয়ার ইন্ডিয়াকে বিক্রি করতে পেরেছি।… দ্রুততার সঙ্গে ভারত তার অর্থনীতির ভীত শক্ত করছে”৷ সরকার জাতীয় সম্পদগুলো এক এক করে বিক্রি করে দিয়ে দেশের অর্থনীতির ভীত কীভাবে শক্ত হচ্ছে, তা বুঝতে কষ্ট হচ্ছে৷ অর্থমন্ত্রী আরও বলেছেন, "চালু হচ্ছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অনুমোদিত ডিজিটাল কারেন্সি। বিভিন্ন ব্যাঙ্কের মধ্যে লেন-দেনের জন্য এই ডিজিটাল কারেন্সি চালু করা হচ্ছে। ক্রিপ্টোকারেন্সির মতো ব্লকচেন পদ্ধতিতে এই মুদ্রা লেনদেনের তথ্য রাখা হবে।" সরকার ক্রিপ্টোকারেন্সিগুলিকে অবৈধ বলেও ধরছে না। সত্যি বলতে বাজেট ঘোষণার আগে সরকারের যে অবস্থান ছিল, সেটাই রয়ে গেল। ভারতে এখনও অস্পষ্ট ক্রিপ্টোকারেন্সির বৈধতা। বাজেট বক্তৃতায় ২০২২ সালের মধ্যে ডিজিটাল রুপির সূচনা সহ ভারতের ডিজিটাল অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার জন্য বিভিন্ন প্রণোদনার উপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে৷ অর্থমন্ত্রী উল্লেখ করেছেন যে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের ডিজিটাল মুদ্রা "ডিজিটাল অর্থনীতিতে একটি বড় উৎসাহের সৃষ্টি করবে এবং সস্তা মুদ্রা ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি দক্ষতার সঙ্গে পরিচালনা করে নিয়ে যাবে”৷ বিভিন্ন অর্থব্যবস্থায় বিভিন্নভাবে অর্থনৈতিক কার্যাবলী পরিচালিত হয়৷ আগের সময়ে ধারণা করা হতো, সেই সরকারই উত্তম যে ব্যয় কম করে৷ কিন্তু বর্তমান সময়ে সেই সরকারই উত্তম যে বেশি ব্যয় করে৷ কারণ উন্নয়নের পূর্ব শর্তগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে সরকার কর্তৃক ব্যয়৷ তবে এটাও সত্য, অতিরিক্ত ঘাটতিতে দেশ হতে পারে দেউলিয়া৷