বামপন্থা ও গণতন্ত্রের কথোপকথন

[দেশ]

[দেশ]

ঈশ্বর সেবায় ছন্দপতন
ঈশ্বর সেবা বনাম শ্রমিকের অধিকার

ঈশ্বর সেবায় ছন্দপতন
ঈশ্বর সেবা বনাম শ্রমিকের অধিকার

অশোক সরকার

photo

শ্রমজীবী ভাষা, ১৬ জুন, ২০২২— ভারতের গড় আয়ু ৭১ বছরের মত, কিন্তু রাজস্থানের সিরোহী জেলার পিন্ডওয়ারা ব্লকের পুরুষদের গড় আয়ু ৩৪ বছর। কি করে এই মিরাকল সম্ভব হল? একটাই কারণ। সিলিকোসিস। একদিকে আছে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে যাওয়া হিন্দু মন্দির, যার এক সাম্প্রতিকতম নমুনার ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করে এলেন প্রধানমন্ত্রী, সংযুক্ত আমিরশাহিতে। স্বামী নারায়ণের মন্দির। বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বড়। আমেরিকা, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, ইত্যাদি দেশে ভারতীয় ট্র্যাডিশনের ধারক বাহক বলে প্রচারিত মন্দিরগুলি বর্ণ হিন্দুদের গর্ব বাড়িয়েছে। আর সেই সব মন্দির যেখানে তৈরি হয়, সেই পিন্ডওয়াড়ায়, দলিত ও আদিবাসীরা নিজেদের জীবন দিয়ে আর সিলিকোসিসে মৃত্যু বরণ করে জীবিত রেখেছে শ্রমের এক নির্মম ব্যবস্থা, যার স্থানীয় নাম ‘ঈশ্বরের কাজ’।
হ্যাঁ তাই। কয়েক দশক ধরে শ্রমিকরা শুনে এসেছে তারা যে কাজ করে তা ‘ঈশ্বরের কাজ’ তারা শিল্পকার (ভাস্কর), একাজ পুণ্য অর্জনের কাজ, এই কাজে মৃত্যুও বরণীয়। পিন্ডওয়াড়ায় ২৩০টা মতো কারখানা আছে, যেখানে সাদা, লাল, গোলাপি পাথর থেকে মন্দিরের কারুকার্য বানানো হয়, প্রায় ১৫,০০০ শ্রমিক কাজ করে। আর আছে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বিধবাদের গ্রাম। কারখানাগুলোর প্রায় কোনটাই ফ্যাক্টরি আইনে নথিভুক্ত নয়, যদিও প্রায় সব কারখানাতেই, ১০ জনের বেশি শ্রমিক কাজ করে এবং বিদ্যুৎ ব্যবহার হয়। সাবেকি আমলে হাতুড়ি ও ছেনির ব্যবহারে ধীরে ধীরে এই কারুকার্য হতো, এক একটা মন্দিরের সব কারুকাজ তৈরি হতে ৪০-৫০ বছর লাগতো। মন্দিরের কারুকাজ করার কারিগর সমাজ ছিল, তাদের নিজস্ব গিল্ড ছিল। এখন তার জায়গা নিয়েছে মালিকের দেওয়া বৈদ্যুতিন যন্ত্র, ও কারিগরি যন্ত্রাংশ, যা দিয়ে ৫ বছরের মধ্যে বিশালাকায় মন্দিরের সব কারুকাজ সম্পন্ন করা যায়। বেশির ভাগ ফ্যাক্টরিতে কোনও সাইন বোর্ড নেই, ফ্যাক্টরি মালিক অনেক ক্ষেত্রেই নানা ধর্মীয় ট্রাস্ট, যারা একাধিক কন্ট্রাক্টরের মাধ্যমে এই কাজ করিয়ে থাকে। বেশির ভাগ কাজ হয় আমেরিকা, ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া, এমনকি আরব দেশে রপ্তানির জন্য। এদের ক্লায়েন্ট মূলত ওই সব দেশে থাকা উত্তর ও পশ্চিম ভারতের ধনী উচ্চ বর্ণের হিন্দুরা।
বৈদ্যুতিন ব্যবস্থা উৎপাদন বাড়িয়েছে, তার সঙ্গে বাড়িয়েছে সিলিকা-ধুলো। যারা কাজ করে তাদের নাকে মুখে কোনও সিলিকা-নিরোধী আবরণ নেই, কোনও কারখানাতেই সিলিকা শোষণকারী যন্ত্র নেই। এই 'ব্যবস্থা' চলছে দশকের পর দশক ধরে। কেউ প্রশ্ন করেনি, কেউ উত্তরও দেয়নি। সরকার আছে, আদালত আছে, জন-সমাজ আছে, গণমাধ্যম আছে— নাকি নেই?
গত ১লা মে সেই আওয়াজই তুলেছিলেন পিন্ডওয়াড়ার ৪০০০ শ্রমিক, পিন্ডওয়াড়া শিল্প তালুকে, যেখানে সবচেয়ে বড় কারখানা কয়েকটা আছে। শ্লোগান দিতে দিতে পুরো এলাকা মার্চ করেছিলেন তাঁরা, প্রশ্ন তুলেছিলেন 'আমরা যদি ভগবানের কাজই করি তাহলে মরবো কেন'? জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের এপ্রিল মাসের তালিকা অনুযায়ী ৩১৯৬ জন শ্রমিক সিলিকোসিস রোগে মৃত্যুপথযাত্রী। সংখ্যা বেশি হবে, কম নয়। মাত্র তিন বছর আগে শুরু হয়েছে নিয়মিত সিলিকোসিস পরীক্ষা, সিলিকোসিস ধরা পড়ছে যদিও প্রায় তিন দশক আগে।
পিন্ডওয়াড়ার শ্রমিক ইউনিয়ন পাথর গড়াই মজদুর সুরক্ষা সঙ্ঘ-এর বয়সও মাত্র চার বছর। সংগঠক এক সমাজ সংস্থা আজীবিকা ব্যুরো। সেই সংস্থার সঙ্গে জড়িত ডাক্তার ড: পবিত্র মোহন খবর পেয়েছিলেন যে ওখানে শ্রমিকরা এক অজানা রোগে মারা যাচ্ছে। সামান্য ডাক্তারি পরীক্ষা করতেই, আর ফ্যাক্টরিগুলির কাজকর্মের ধারা দেখে তাঁর বুঝতে অসুবিধা হয় নি যে এটা মারণ রোগ সিলিকোসিস। এলাকার মানুষ এই কথাটা আগে কখনো শোনেনি। ব্লকের স্বাস্থ্যকেন্দ্রও প্রেসক্রিপশনে ওই কথাটা লিখতে না। তাঁর প্রেসক্রিপশনে তিনি ওষুধ পথ্যের সঙ্গে এও লিখেছিলেন যে আসল ওষুধ হল শ্রমিকদের সংগঠিত করা।
সমাজ সংস্থার পক্ষ থেকে কাজ শুরু হয়েছিল স্বাস্থ্য পরীক্ষার ক্যাম্প দিয়ে। একটি স্থানীয় আদিবাসী সংগঠনের সঙ্গে জোট বেঁধে, প্রায় পাঁচ হাজার শ্রমিকের স্বাস্থ্যের তথ্য সংগ্রহ করেছিল আজীবিকা ব্যুরো। ক্রমশ পরিষ্কার হয়ে যায় যে প্রতি ১০ জন শ্রমিকের মধ্যে ৪ জন সিলিকোসিস রোগে মারা যাচ্ছে বা যাবে। স্বাস্থ্য ক্যাম্পের মাধ্যমে একদিকে এই মারণ রোগের উৎস যে ফ্যাক্টরি এবং কাজের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ সেটা প্রতিষ্ঠা করা গেছিল— শ্রমিকদের সংগঠিত করার একটা ভিত্তি তৈরি হয়েছিল। কিন্তু ইউনিয়ন তৈরি করা সহজ ছিল ছিল না। কয়েক দশক ধরে এই শ্রমিকরা শুনে এসেছে যে তারা ঈশ্বরের কাজ করে, তারা শিল্পী; এটা সেবা, স্বেচ্ছাশ্রম এবং এই সবের মাধ্যমে তারা পুণ্য অর্জন করে। তারা আদতে শ্রমিকই নয়! তবুও ক্রমশ শ্রমিকরা সংগঠিত হয়, পাথর গড়াই মজদুর সুরক্ষা সংঘের জন্ম হয়।
প্রথম দিকে শ্রমিক ইউনিয়ন মালিকদের সঙ্গে যথেষ্টই নরম সুরে কথা বলছিল। কেনই বা নয়, এই কাজটাই এই সব দলিত-আদিবাসীদের রুজি রুটি। তাছাড়া তারা জানতো কয়েকটা বড় খারখানা ছাড়া বাকি অনেক কারখানাই ছোট, তাদের মালিকরাও খুব একটা ধনী কিছু নয়। শ্রমিকরা ভেবেছিল, এমনকি আজীবিকা ব্যুরোও ভেবেছিল স্বাস্থ্যের প্রশ্নে শ্রমিক, মালিক ও সরকারের মধ্যে একমত হওয়া সহজ হবে। শ্রমিক ইউনিয়ন বলত, আমাদের সুরক্ষা মুখোশ দাও আর ফ্যাক্টরিতে সিলিকা শোষণকারী যন্ত্র লাগাও। তারা একথাও বলতো যে আমরা বাঁচলে কোম্পানিরই লাভ। মালিকপক্ষ অবশ্য এই সামান্য দাবিটুকুও মানে নি, সরকারি শ্রম বিভাগের কাছ থেকেও বিশেষ একটা সহযোগিতা মেলে নি। এই দাবি মেনে নেওয়া মানে তো ইউনিয়নকে মেনে নেওয়া!
ক্রমশ শ্রমিকেরা বুঝতে পারে, নরমপন্থায় বেশি দূর যাওয়া যাবে না। শেষ পর্যন্ত ধর্মঘটের পথ নেয় ইউনিয়ন। তার আরো একটা কারণ ছিল, তিন বছর ধরে বাৎসরিক মজুরি বৃদ্ধি আটক ছিল। প্রতি বছর মাত্র ১০টাকা করে মজুরি বাড়ত, তাও দিচ্ছিল না মালিকপক্ষ। এ প্রসঙ্গে বলা দরকার, শ্রমিকেরা সবাই অদক্ষ শ্রমিকের মাইনে পেত, কিন্তু তারা মন্দিরের কারুকাজ তৈরি করত যা দক্ষ শ্রমিকের কাজ। ‘অদক্ষ’ শ্রমিক, ‘অর্ধদক্ষ’, ‘দক্ষ’ শ্রমিক এই কথাগুলিই তারা জানত না। এলাকার সবচেয়ে বড় দুটির কারখানার ৩০০০ শ্রমিক ২০১৯ সালে ধর্মঘট করে। এই ঘটনা এলাকায় প্রায় একটা ভূমিকম্প সৃষ্টি করে। কয়েক দশক ধরে এই কারখানাগুলি চলছে, কেউ কোনওদিন কল্পনাও করেনি শ্রমিকেরা ধর্মঘট করবে। মালিকপক্ষ, সরকার, এমনকি শ্রমিকের অধিকাংশ— সবাই হতবাক হয়ে দেখে এই ধর্মঘট, শ্লোগান, মিছিল, লেবার কমিশনারের অফিসে, কারখানার গেটের ধর্ণা।
এই ধর্মঘটকে একটা ঐতিহাসিক অধ্যায়ের আরম্ভ বলা যেতে পারে, কারণ এই প্রথম তারা নিজেদের শ্রমিক হিসেবে প্রকাশ্যে ঘোষণা করে বলে, আমরা ঈশ্বরের কাজ করি ঠিকই, কিন্তু আসলে আমরা শ্রমিক, তাই আমাদের শ্রমিকদের অধিকার প্রাপ্য এবং সরকার ও মালিকপক্ষকে তা দিতে হবে। এই ধারণা শ্রমিককুলের মধ্যে ছড়াতে শুরু করে, ক্রমে ক্রমে কিছু শ্রমিক ইউনিয়নের সঙ্গে জুড়তে শুরু করে, অন্যদিকে মালিককুল চিরকাল যা করে থাকে তাই করতে শুরু করে, যাকে এক কথায় বলে ডিভাইড এন্ড রুল। উদ্দেশ্য ইউনিয়নের মেরুদন্ড ভেঙে দেওয়া।
কিভাবে? এখানে আমাদের সমাজের ভিতরে ঢুকতে হয়। শ্রমিককুল মূলত দলিত আর আদিবাসী। আদিবাসীরা প্রায় সবাই ভীল, কিন্তু দলিতরা নানা জাতিতে বিভক্ত, সামাজিকভাবে এদের মধ্যে পারস্পরিক বিশ্বাসের পরিসরটি অতি ক্ষীণ। বিশেষত দলিতদের সঙ্গে আদিবাসীদের সম্পর্ক চিরকালই কিছুটা দূরত্বের। মালিকপক্ষ নানাভাবে সামাজিক সম্পর্কের এই দুর্বলতাকে ব্যবহার করে। একদিকে তারা শ্রমিকদের উপর নানা ধরনের উৎপীড়ন শুরু করে, বেশ কিছু শ্রমিককে ছাঁটাই করে, সামান্য কারণে মজুরি কাটতে শুরু করে, কিছু ছোট ফ্যাক্টরি বেআইনি ভাবে লকআউট করে দেয়, এবং প্রতিটি ক্ষেত্রেই মালিকপক্ষ প্রচার করে যে এই সবের জন্য ইউনিয়ন দায়ী, ধর্মঘট দায়ী। পাশাপাশি কিছু শ্রমিককে তারা টাকা দিয়ে কিনেও নেয় যারা ইউনিয়নের বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ আনে যে শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি করতে গিয়ে ইউনিয়ন নেতারা মালিকদের কাছে কাট-মানি নিয়েছে। না হলে মজুরি আরও বাড়ানো যেতো। শ্রমিক ইউনিয়নে আদিবাসীরা একটু বেশি ছিল, মালিকপক্ষ দলিতদের এই বলে ক্ষেপায় যে আদিবাসীরা এলাকায় ক্ষমতাবান হয়ে যাবে।
এই সব নানা কারণে শ্রমিক ইউনিয়ন প্রথমদিকে কিছুটা ধাক্কা খেলেও সমাজ সংস্থা, জন আ ন্দোলন থেকে আসা কিছু স্বেচ্ছাসেবী এবং অন্য এলাকার কিছু অভিজ্ঞ ট্রেড ইউনিয়ন কর্মীর সাহায্যে ইউনিয়ন আবার পায়ের তলার মাটি ফিরে পায়। তিনটি ঘটনা মনে রাখার মতো। আজীবিকা ব্যুরো ইএসআই কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একটানা যোগাযোগ করে সিলিকোসিস রোগে অসুস্থ মানুষদের পেনশন দেবার ব্যবস্থা করে, যার জন্য ইএসআই-এর নিয়ম পাল্টাতে হয়েছিল, পেনশন দেবার ব্যবস্থা শুধু ফ্যাক্টরি দুর্ঘটনার জন্য বরাদ্দ হতো, অসুখের জন্য নয়। ফলে প্রায় কয়েকশ মানুষ পেনশন পেতে থাকে, অন্যরাও বুঝতে পারে, ইউনিয়নের সঙ্গে থাকলে দরকারে এই সুবিধা পাওয়া যাবে। এখন ইএসআই সংক্রান্ত সবকিছু কাজ ইউনিয়নই দেখে। ইউনিয়ন আবিষ্কার করে যে ছাঁটাই, মজুরি কাটা, বেআইনি লকআউটের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া যায়। কিছু সহানুভূতিশীল আইনজীবীর সাহায্যে শিল্প-বিবাদ আইনে ৩০০-র বেশি মামলা করে এবং একাধিক মামলায় জয়লাভ করে। তাছাড়াও ইউনিয়ন হঠাৎ আন্তর্জাতিক খ্যাতি পেয়ে যায়, যখন আমেরিকায় সবচেয়ে বড় হিন্দু মন্দির নিউ জার্সির স্বামী নারায়ণ মন্দির ট্রাস্টের বিরুদ্ধে এফবিআই বেগার শ্রমের অভিযোগে তদন্ত শুরু করে। ২০০ শ্রমিককে উদ্ধার করে এফবিআই। সেই মামলায় যুক্ত হয়ে যায় এই ইউনিয়ন কারণ শ্রমিকরা গিয়েছিল পিন্ডওয়াড়া থেকেই। এই মুহূর্তে আমেরিকায় এই রকম ৬টি মন্দিরের বিরুদ্ধে বেগার শ্রম সংক্রান্ত মামলা চলছে, যার সঙ্গে ইউনিয়ন যুক্ত।
রাজ্য প্রশাসনও ক্রমশ নড়ে চড়ে বসে। ব্লকের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়মিত সিলিকোসিস পরীক্ষা শুরু হয়, প্রেসক্রিপশনে সিলিকোসিস লেখা শুরু হয়, সিলিকোসিস রোগীদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া শুরু হয়। ফ্যাক্টরিগুলিতে ফ্যাক্টরি ইন্সপেক্টরের সার্ভে শুরু হয়, শ্রমিকদের রেজিস্টার পরীক্ষা করা শুরু হয়। প্রশাসন ইউনিয়নের সঙ্গে কিছুটা হলেও সহযোগিতার পথ নেয়। মালিকপক্ষও বুঝতে পারে যে ইউনিয়নকে আর হেলাফেলা করা যাবে না।
কাজ এখনো অনেক বাকি। তবে চার বছরে যতটুকু এগোনো গেছে, তার পিছনে শ্রমিকদের অদম্য সাহসের পাশাপাশি সমাজ সংস্থা, স্থানীয় আদিবাসী সংগঠন, কিছু অভিজ্ঞ ট্রেড ইউনিয়ন কর্মী, আইনজ্ঞ, ও সংবাদমাধ্যমের একটা ক্ষুদ্র অংশের ধারাবাহিক সহায়তা অনস্বীকার্য। এখন ইউনিয়নের সদস্য সংখ্যা ৫০০০ এর উপর। 'ঈশ্বর সেবা' থেকে বেরিয়ে শ্রমিকেরা এখন শ্রমিক আর মানবাধিকারের লড়াইয়ে সামিল। তারা জানে এটাই ভবিষ্যৎ।

Copyright © 2021 - 2022 Shramajeebee Bhasha. All Rights Reserved.