বামপন্থা ও গণতন্ত্রের কথোপকথন
[দেশ]
শ্রমজীবী ভাষা, ১ ডিসেম্বর, ২০২১— ১৯শে নভেম্বর, ২০২১ তারিখটা ভারতীয় গণতন্ত্রের ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। এই দিনটা দেখিয়ে দিলো যে লাগাতার নিরবিচ্ছিন্ন গণআন্দোলনের সামনে সর্বশক্তিমান ফ্যাসিস্ট শাসককেও মাথা নীচু করে হার স্বীকার করতে হতে পারে। ৭০০ শহীদের প্রাণের বিনিময়ে গড়ে ওঠা স্বাধীন ভারতবর্ষের বৃহত্তম গণআন্দোলনের সামনে আজ কর্পোরেটরাজ নতজানু হতে বাধ্য হল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গুরু নানকের জন্মতিথিতে ঘোষণা করলেন যে সংসদের আগামী শীতকালীন অধিবেশনে তাঁর সরকার তিন কৃষি আইনকে প্রত্যাহার করে নেবে।
কৃষকদের সঙ্গে কোনরকম আলোচনা ছাড়াই গতবছরের সেপ্টেম্বর মাসে কেন্দ্রীয় সরকার কার্যত গায়ের জোরে সংসদের উভয় কক্ষে তিনটি নতুন কৃষি আইন পাস করে। আসলে নিজেদের পেটোয়া পুঁজিপতিদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য কোনওরকম গণতান্ত্রিক রীতিনীতির তোয়াক্কা করছে না মোদি সরকার। একদিকে অতিমারির জেরে দেশব্যাপী আর্থিক মন্দা, বেকারত্ব, আকাশছোঁয়া মূল্যবৃদ্ধি, অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের একটার পর একটা জনবিরোধী নীতির ফলে দেশের খেটে খাওয়া মানুষের পিঠে আজ দেওয়াল এসে ঠেকেছে। এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদে গত এক বছর ধরে দিল্লী সীমান্তে লক্ষ লক্ষ কৃষক রাস্তায় নেমেছেন। তীব্র শীত, কঠোর গ্রীষ্ম, তুমুল বর্ষাকে অগ্রাহ্য করে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে কেন্দ্রীয় সরকারের চোখে চোখ রেখে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন। শহীদের আত্মত্যাগ আন্দোলনকারীদের আরো প্রত্যয়ী করে তুলেছে। তাঁদের দাবি ছিল এই তিন নয়া কৃষি আইনকে বাতিল করতে হবে এবং স্বামীনাথন কমিশনের সুপারিশ মেনে অর্থাৎ সি টু + ৫০% সূত্রকে মান্যতা দিয়ে ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যকে আইনি স্বীকৃতি দিতে হবে। এছাড়াও নয়া শ্রমকোড বাতিলের দাবির মাধ্যমে শ্রমজীবী মানুষের বৃহত্তর ঐক্যের বার্তা দিয়েছিলেন কৃষক নেতারা। আজকে কেন্দ্রীয় সরকারের পশ্চাদপসরণ তাঁদের আত্মত্যাগের ফসল।
কিছুদিন আগেই উত্তরপ্রদেশের লাখিমপুর খেরির ঘটনায় একটা কথা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল- ভারতবর্ষের ফ্যাসিস্ট শাসকগোষ্ঠী এই মুহূর্তে কোনও বিরোধী রাজনৈতিক দলকে নয়, ভয় পাচ্ছে দেশব্যাপী চলমান কৃষক অভ্যুত্থানকে। তাই ছলে বলে কৌশলে এই আন্দোলনকে প্রশমিত করার চেষ্টার পাশাপাশি জারি ছিল কৃষকদের ভয় দেখানোর কাজও। তারই ফলশ্রুতিতে কৃষকদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে গাড়ি চাপা দিয়ে চারজনকে হত্যা করার নারকীয় ঘটনা ঘটে যায়। কিন্তু এত কিছুর পরেও কৃষকদের আত্মবিশ্বাসে এতটুকু ফাটল ধরাতে পারেনি বিজেপি সরকার। সংসদের বাদল অধিবেশনের মতোই শীতকালীন অধিবেশনেও কৃষি আইনের বিরোধিতায় গোটা বিরোধীপক্ষের একজোট হওয়ার সম্ভাবনা ছিল প্রবল।অধিবেশন চলাকালীন প্রতিদিন সংসদ অভিমুখে ট্র্যাক্টর মিছিল করার কর্মসূচি নিয়েছিলেন কৃষকরা। সংযুক্ত কৃষক মোর্চার পক্ষ থেকে ২৬ নভেম্বর ঐতিহাসিক এই আন্দোলনের এক বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে গোটা রাজধানী সীমান্ত ঘিরে বিক্ষোভ প্রদর্শনের কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল। তীব্র গণ আন্দোলনের পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশ ও পঞ্জাবের বিধানসভা নির্বাচনও মোদি-শাহ জুটির শিরঃপীড়ার কারণ হয়ে উঠেছিল। আন্দোলনের বিপুল প্রভাব পড়েছিল জাঠ সম্প্রদায় অধ্যুষিত পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে। পূর্ব উত্তরপ্রদেশেও সমাজবাদী পার্টি যোগী সরকারের দিকে কড়া প্রতিদ্বন্দ্বীতা ছুঁড়ে দিতে শুরু করেছে। ইতিপূর্বে সংযুক্ত কৃষক মোর্চার নেতৃত্বে ৫ সেপ্টেম্বর মুজফফরনগরের জিআইসি ময়দানে এক ঐতিহাসিক কিসান মজদুর মহাপঞ্চায়েত অনুষ্ঠিত হয়। পাঞ্জাব উত্তরাখণ্ড উত্তরপ্রদেশ হরিয়ানা রাজস্থান মধ্যপ্রদেশ এবং দেশের আরো বিভিন্ন রাজ্য কয়েক লক্ষ কৃষক এই মহাপঞ্চায়েতে অংশগ্রহণ করেন। মনে রাখা দরকার, এই মুজফফরনগরে ২০১৩ সালে এক ভয়াবহ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার জেরে বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন। এই দাঙ্গার ফলে বিজেপি উত্তরপ্রদেশে তীব্র সাম্প্রদায়িক বিভাজন সৃষ্টি করতে সক্ষম হয় এবং সে রাজ্যের ৮০টি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে ৭২টিতে জয়লাভের মাধ্যমে দিল্লীতে তাদের সরকার গঠনের পথ সুগম হয়। সেদিন ধর্মের ভিত্তিতে কৃষক-মজদুর ঐক্যে যে ফাটল ধরেছিল, মহাপঞ্চায়েতে লক্ষ কণ্ঠে "হর হর মহাদেব আল্লাহু আকবর" ধ্বনি যেন সেই ক্ষতে প্রলেপ দিলো। মহাপঞ্চায়েত হিন্দু মুসলিম ঐক্যের বার্তা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শপথ নিয়েছে যে দেশে আর কখনো সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার পরিস্থিতি উদ্ভূত হলে তারা সর্বশক্তি দিয়ে তাকে প্রতিরোধ করবেন। শুধু তাই নয়, ওই দিন সমবেত কৃষকেরা আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে পরাভূত করার ডাক দিয়েছিলেন। বিজেপির সাম্প্রদায়িক ও জাতপাতের রাজনীতির বিপক্ষে কৃষক-মজদুরের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন নির্বাচনী রাজনীতিতেও বড় প্রভাব ফেলবে, এমনটাই আশা কৃষক নেতৃত্বের। তাঁদের এই সংগ্রাম সফল হলে আগামী দিনে ভারতের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তা এক নতুন ধারার প্রবর্তন করবে।
২২ নভেম্বর সংযুক্ত কৃষক মোর্চার ডাকে লখনউ কৃষক মহাপঞ্চায়েত আদানি-আম্বানিদের পণ্য বয়কটের আওয়াজ তুলে বিজেপি-কর্পোরেট আঁতাতের বিরুদ্ধে বার্তা দেয়। স্পষ্টতই, রাস্তার লড়াইয়ের পর নির্বাচনের ময়দানেও বিজেপিকে হারানোর মধ্য দিয়ে কর্পোরেটরাজের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে চাইছেন তাঁরা।
মনে রাখা ভাল, ভারতবর্ষে কৃষকদের অবস্থা দীর্ঘদিন ধরেই সঙ্গীন। গত ২৫ বছরে চার লক্ষেরও বেশি কৃষক আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন। কৃষিতে ক্রমবর্ধমান খরচ, আবহাওয়া এবং বাজারের অনিশ্চয়তাজনিত ক্ষয়ক্ষতি এবং ফসলের ন্যায্যমূল্য না পাওয়ার ফলে ঋণগ্রস্ততা এর পিছনে মূল কারণ। স্বল্প পরিমাণ জমি থাকা কৃষকরা কৃষিক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক ঋণের অভাবে চড়া সুদে মহাজনের কাছে টাকা ধার করতে বাধ্য হন। কোনও কারণে প্রত্যাশা অনুযায়ী ফসল না হলে ও ফসলের দাম না পেলে ঋণের দুষ্টচক্রে জড়িয়ে পড়ে সর্ব শান্ত হতে হয় তাদের। বিগত তিন দশকে বিভিন্ন সরকার বিভিন্ন কর্পোরেট সংস্থার বিপুল পরিমাণ অনাদায়ী ঋণ মাফ করতে যতটা উৎসাহ দেখিয়েছে, তার ভগ্নাংশ যদি কৃষকদের ঋণ মুক্তি দেওয়ার কাজে ব্যয় হতো, তাহলে আজ আমাদের অন্নদাতাদের এই দুর্দশা হতো না।
এই তিনটি নয়া কৃষি আইন একদিকে যেমন বৃহৎ পুঁজির সামনে কৃষককে ফেলে দিয়েছে, অন্যদিকে তেমনই কৃষকদের সুরক্ষা প্রদানকারী ন্যূনতম সহায়ক মুল্য তুলে নিয়ে তাঁদের খোলা বাজারের অনিশ্চয়তার মুখে দাঁড় করিয়ে দিতে চাইছে। এতোদিন পর্যন্ত পাঞ্জাব-হরিয়ানার মত রাজ্যের কৃষকরা তাঁদের উদ্বৃত্ত খাদ্যশস্য মান্ডিতে সরকার নির্ধারিত ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের বিনিময়ে বিক্রি করতেন। নয়া কৃষি আইন দাম পাওয়ার ক্ষেত্রে সেই রক্ষাকবচ কেড়ে নেয়।
একই সঙ্গে ১৯৫৫ সালের অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইন সংশোধন করে চাল ডাল আলু ভোজ্য তেলের মত পণ্যের ঢালাও কালোবাজারির রাস্তা প্রস্তুত করা হয়েছিল। এই দুই আইন লাগু হলে ফলে দেশের গণবণ্টনব্যবস্থা তুমূলভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, এমনকি দেশে খাদ্যসঙ্কট পর্যন্ত দেখা দিতে পারে।
এছাড়াও নতুন কৃষি আইন পেপসিকো, আদানি, রিলায়েন্সের মত বহুজাতিক কোম্পানীদের চাষিদের সঙ্গে সরাসরি চুক্তি করার অধিকার দিয়েছে। এসব ক্ষেত্রে দর কষাকষির কোনও ক্ষমতাই কার্যত কৃষকের থাকে না এবং কোম্পানির শর্তে চাষ করতে হওয়ার ফলে উৎপাদন তথা জমির উপর স্বাধীনতা হারাতে বাধ্য হন।
ফলে এই আন্দোলন গড়ে ওঠার ক্ষেত্র প্রস্তুতই ছিল। মোদি সরকারের আমলে একদিকে যখন জীবনধারণের জন্য নূন্যতম আয় করতে সমস্যায় পড়ছে দেশের শ্রমজীবী মানুষ, অন্যদিকে কতিপয় অতিধনী শুধুমাত্র গত এক দশকে তাদের মোট সম্পদ প্রায় ১০ গুণ বাড়িয়ে ফেলেছেন। ২০২১ সালে প্রকাশিত অক্সফ্যাম রিপোর্ট অনুযায়ী দেশের ধনীতম ১০ শতাংশ মানুষ মোট জাতীয় সম্পদের ৭৭% কুক্ষিগত করে রেখেছেন। বিভিন্ন সরকারি নীতি এই চূড়ান্ত বৈষম্য টিকিয়ে রাখতে নির্ণায়ক ভূমিকা নিয়েছে। অতিমারিকে অজুহাত করে অপরিকল্পিত লকডাউন এই সার্বিক অসাম্যকে বহুগুণে বাড়িয়ে তুলেছে। বেহাল স্বাস্থ্যব্যবস্থা, রেশন বন্টনের ক্ষেত্রে নানা ধরনের দুর্নীতি, অনলাইনে শিক্ষা- এই সমস্ত কিছু বৈষম্যকে বহুগুণে বাড়িয়ে তুলেছে। নয়াকৃষি আইনের পাশাপাশি নয়া শ্রম কোডের মাধ্যমে কম মজুরিতে শ্রমিককে অধিক খাটিয়ে নেওয়ার ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও আগামী বছরগুলোতে একাধিক প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির মাধ্যমে শ্রমিকদের ইউনিয়ন করার সুযোগ সীমিত করে দেওয়া হয়েছে। অতিমারি পরিস্থিতিতে যখন সরকারের উচিত ছিল মানুষের সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করা, তা না করে সরকার মানুষের অধিকার কেড়ে নিচ্ছে এবং বন্ধু কর্পোরেটদের সাহায্য করেছে। ফলে দেশের অধিকাংশ মানুষ দারিদ্র্যের অন্ধকারে ডুবে গেলেও লকডাউন ঘোষণার পর থেকেই ফুলে-ফেঁপে উঠেছে প্রথম সারির শিল্পপতিদের সম্পদ।
গতবছর দেশব্যাপী সামগ্রিক লকডাউন প্রত্যাহারের ঠিক পাঁচ দিনের মাথায় সংসদে কৃষি বিল নিয়ে কোনওরকম আলোচনা ছাড়াই সেটিকে পেশ করা হয়। প্রথম থেকেই কৃষিবিলের বিষয়বস্তু নিয়ে তীব্র ক্ষোভ ছিল দেশের কৃষিজীবী মানুষ তথা বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে। তার পরেও ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে কার্যত সংখ্যার জোরে বিল তিনটিকে আইনে পরিণত করা হয়। ইতিমধ্যেই এই আন্দোলনের ফলে এনডিএ জোটের সবথেকে পুরনো শরিক অকালি শিরোমণি দল জোট ছেড়ে বেরিয়ে এসে কৃষকদের দাবি প্রতি সংহতি জানিয়েছে। তাদের নেত্রী, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ দপ্তরের মন্ত্রী হারসিমরত কৌর বাদল এই আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে গত বছরেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দেন। সেই পথ ধরেই এ বছর সেপ্টেম্বর মাসের ২৭ তারিখে তিনটি নয়াকৃষি আইন বাতিলের দাবিতে ডাকা ভারত বনধ কর্মসূচিকে পূর্ণ সমর্থন জানায় জাতীয় কংগ্রেস, সমাজবাদী দল, শিরোমণি অকালি দল, সিপিআই, সিপিআইএম, আরজেডি, সিপিআইএমএল (লিবারেশন) সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। সর্বভারতীয় শ্রমিক সংগঠনগুলো কৃষকদের দাবীর সাথে সহমত পোষণ করে। বাম ছাত্র-যুব সংগঠনগুলিও এই ধর্মঘটকে সমর্থন জানায়।
কৃষক আন্দোলনকে ঘিরে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর জোট বাঁধার এই প্রক্রিয়াই কার্যত কাঁপুনি ধরিয়ে দিয়েছিল বিজেপি সরকারের বুকে। ফলে গত সাত বছরে এই প্রথমবার পিছু হটতে বাধ্য হল তারা। ইতিমধ্যে পশ্চিমবঙ্গ, কেরল, তামিলনাড়ুতে নির্বাচনী বিপর্যয়ের পরে মোদির সুপারম্যান ইমেজ প্রশ্নচিহ্নের মুখে। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির বিরুদ্ধে মোর্চা তৈরির সলতে পাকানোর কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। তার আগে পঞ্জাব ও উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনে বিরোধী ঐক্যের একপ্রস্থ শক্তিপরীক্ষা হবে। কিন্তু শুধুমাত্র নির্বাচনকেন্দ্রিক সুবিধাবাদী রাজনৈতিক জোট ফ্যাসিবাদকে আটকাতে পারবে না। কেন্দ্রীয় সরকারের কর্তৃত্ববাদী নীতিসমূহের বিরুদ্ধে সমস্ত বিজেপি বিরোধী দলের মধ্যে সমন্বয় গড়ে তুলতে হবে। কৃষক আন্দোলনের পাশাপাশি শ্রমকোড, নাগরিকত্ব আইন, ঢালাও বেসরকারিকরণ, নয়া শিক্ষানীতি প্রত্যাহারের দাবিতে অবিজেপি দলগুলোর সমন্বয় গড়ে তোলার মধ্যে রয়েছে এদেশের বুক থেকে হিন্দুত্ববাদী রাজনীতিকে উৎখাত করার চাবিকাঠি।