বামপন্থা ও গণতন্ত্রের কথোপকথন
[দেশ]
এবারের লোকসভা ভোটের আসর জমিয়ে দিল নির্বাচনী বন্ড। এতদিন পর্যন্ত ইডি, সিবিআই এবং আয়কর দপ্তরকে কাজে লাগিয়ে দুর্নীতির অজুহাতে বিরোধীদের দুরমুশ করছিল বিজেপি। তাদের আশা ছিল, এভাবেই চালিয়ে গিয়ে নির্বাচনে স্রেফ উড়িয়ে দেবে বিরোধীদের।
কিন্তু বিজেপির অশ্বমেধ যজ্ঞের রথের রশি ধরে টান দিল বামেরা। নির্বাচনী বন্ড ও শাসক বিজেপির বিপুল পরিমাণ দুর্নীতির আড়ালে লুকিয়ে রয়েছে ক্রোনি পুঁজি ও শাসকের জোট, লুকিয়ে রয়েছে বৃহৎ কর্পোরেট ও হিন্দত্বের জোট। যাকে প্রকাশ করে দিল নির্বাচনী বন্ড কেলেঙ্কারি।
এর আগে নির্বাচন কমিশনারের নিয়োগ প্রক্রিয়া থেকে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে বাদ দিয়ে বিচার ব্যবস্থার ক্ষমতা খর্ব করার পথে হেঁটেছিল মোদি সরকার। নির্বাচনী বন্ডকে অবৈধ ঘোষণা করা এবং বন্ড সংক্রান্ত সব তথ্য প্রকাশ্যে আনার জন্য স্টেট ব্যাঙ্ককে নির্দেশ জোরেসরে ধাক্কা দিল বিজেপিকে। বন্ডের তথ্য প্রকাশে সাজানো ভাবমূর্তি খসে পড়ার ভয়ে বিজেপিকে সামনে আনতে হল সিএএ ইস্যু। হেডলাইন চুরির চেষ্টা। তবে তাতেও হল না। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিল স্টেট ব্যাঙ্ককে সব তথ্য, এমনকী বন্ডের আলফা নিউম্যারিক নম্বরও জানাতে হবে। যে কাজের জন্য স্টেট ব্যাঙ্ক সময় চেয়েছিল চার মাস, তা এক সপ্তাহের মধ্যেই প্রকাশ্যে এসে গেল। বন্ডের নম্বর মিলিয়ে যখন একের পর এক বিজেপির তোলাবাজির চেহারা সামনে আসতে শুরু করল, তখন ইডিকে দিয়ে গ্রেপ্তার করা হল কেজরিওয়ালকে। মানে ফের হেডলাইন চুরির চেষ্টা। সেই চেষ্টাও ভেস্তে গেল যখন হোলির ঠিক আগের দিনে এবিভিপিকে হারিয়ে জেএনইউতে চারটি আসনই ছিনিয়ে নিল বামেরা। সবচেয়ে বড় কথা, সভাপতি পদে জিতলেন বাম ও দলিত প্রার্থী ধনঞ্জয়। একই সঙ্গে উঠে এল বিকল্প ভারতের এক নতুন মুখ। একইসঙ্গে জেএনইউ দেখাল, সব ধরনের বামেদের মিলিত শক্তিই পারে হিন্দুত্ববাদীদের মোকাবিলা করতে। সারা দেশ এই বার্তা পৌঁছে গেল।
সুতরাং, যারা লোকসভা ভোটে ৪০০ আসন পাব বলে তর্জনগর্জন করছেন তাঁদের গত এক মাসে জাতীয় রাজনীতির ‘ক্রোনোলজি সমঝ কে’ চলা দরকার।
(২)
বন্ডের প্রসঙ্গে আশা যাক। আসলে বিজেপির বন্ড দুর্নীতির সবটা এখনও প্রকাশ্যে আসেনি। ধাপে ধাপে নানা দিক থেকে নানা তথ্য সামনে আসছে। এসবের সার কথা হল, দু’ভাবে কর্পোরেটের সঙ্গে আঁতাত গড়ে তুলেছে বিজেপি-আরএসএস। একদিকে বিভিন্ন কর্পোরেট সংস্থার আয়ব্যয়ের হিসাবের ফাঁকফোঁকরের খুঁজে নিয়ে তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে ইডি, আয়কর দপ্তর কিংবা সিবিআইকে। এরপর রফা হয়েছে, জেলে যদি যেতে না হয় তাহলে কিনতে হবে নির্বাচনী বন্ড। এভাবে ভয় দেখিয়ে চলেছে টাকা আদায়। অন্যদিকে সরাসরি হুমকি দেওয়া হয়েছে কর্পোরেটদের, যদি বন্ড না কেন তাহলে তল্লাশি হবে। ভয়ে আগাম মাথা নুইয়েছে অনেকে। এভাবে শুধু টাকা আদায়ই করেনি বিজেপি। টাকা পেয়ে কর্পোরেট গোষ্টীগুলিকে দিয়েছে অবাধ লুঠের ছাড়পত্র, যার কিছু কিছু ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে।
কোন দল কর্পোরেট বা সেল কোম্পানির
কাছ থেকে কত টাকা পেয়েছে (প্রাথমিক হিসেব)
----------------------------------------------
বিজেপি ₹৬,৯৮৬.৫ কোটি টাকা
----------------------------------------------
তৃণমূল কংগ্রেস ₹১,৩৯৭ কোটি টাকা
----------------------------------------------
কংগ্রেস ₹১৩৩৪ কোটি টাকা
----------------------------------------------
বিআরএস ₹১,৩২২ কোটি টাকা
----------------------------------------------
বিজেডি ₹৯৪৪.৫ কোটি টাকা
----------------------------------------------
ডিএমকে ₹৬৫৬.৫ কোটি টাকা
----------------------------------------------
ওয়াইএসআর কংগ্রেস ₹৪৪২.৮ কোটি টাকা
----------------------------------------------
টিডিপি ₹১৮১.৩৫ কোটি টাকা
----------------------------------------------
নিতীশকুমার জেডিএস ₹৮৯.৭৫ কোটি টাকা
----------------------------------------------
শিবসেনা ₹৬০.৪ কোটি টাকা
----------------------------------------------
লালুযাদবের আরজেডি ₹৫৬ কোটি টাকা
----------------------------------------------
সমাজবাদী পার্টি ₹১৪.০৫ কোটি টাকা
----------------------------------------------
অকালি দল ₹৭.২৬ কোটি টাকা
----------------------------------------------
এআইএডিএমকে ₹৬.০৫ কোটি টাকা
----------------------------------------------
নয়া উদারবাদী অর্থনীতির মূল কথাটাই হল শাসক ও কর্পোরেটের জোট। শাসক ভোটে জিতে ক্ষমতা দখল করে কর্পোরেটকে দেবে অবাধ লুঠের ছাড়পত্র। সরকারি নীতি এমনভাবে বদলে দেবে যাতে জল, জঙ্গল, জমি অবাধে লুঠপাট করা যায়। এর বিনিময়ে কর্পোরেট ভরিয়ে দেবে শাসকের তহবিলের ভান্ডার। সেই টাকায় শাসকরা বিরোধী দলের বিধায়ক, সাংসদ কিনে সর্বত্র একাধিপত্য কায়েম করবে।
কোন কর্পোরেট বা সেল কোম্পানি
কোন দলকে কত দিয়েছে (প্রাথমিক হিসেব)
-------------------------------------------
ফিউচার গেমিং মোট ১৩৬৫ কোটি টাকা
-------------------------------------------
টিএমসি ৫৪২ কোটি টাকা
ডিএমকে ৫০৩ কোটি টাকা
ওয়াইএসআর কংগ্রেস ১৫৪ কোটি টাকা
-------------------------------------------
মেঘা ইঞ্জিনিয়ারিং ১১৮৬ কোটি টাকা
-------------------------------------------
বিজেপি ৬৬৪ কোটি টাকা
বিআরএস ১৯৫ কোটি টাকা
কংগ্রেস ১২৮ কোটি টাকা
ডিএমকে ৮৫ কোটি টাকা
-------------------------------------------
সঞ্জীব গোয়েঙ্কা গ্রুপ ৬০৬ কোটি টাকা
-------------------------------------------
টিএমসি ৪৬৯ কোটি টাকা
বিজেপি ১২৭ কোটি টাকা
কংগ্রেস ১৫ কোটি টাকা
বিআরএস ৫ কোটি টাকা
-------------------------------------------
ক্যাভেন্টার গ্রুপ ৫৭৩ কোটি টাকা
-------------------------------------------
বিজেপি ৩৪৫ কোটি টাকা
কংগ্রেস ১২২ কোটি টাকা
টিএমসি ৬৬ কোটি টাকা
অন্যান্য ৩৮.৫ কোটি টাকা
-------------------------------------------
আদিত্য বিড়লা গ্রুপ ৫৪৩ কোটি টাকা
-------------------------------------------
বিজেপি ২৭৫ কোটি টাকা
বিজেডি ২৬৪.৫ কোটি টাকা
শিবসেনা ৩ কোটি টাকা
-------------------------------------------
কুইক সাপ্লাই চেন ৪১০ কোটি টাকা
-------------------------------------------
বিজেপি ৩৭৫ কোটি টাকা
শিবসেনা ২৫ কোটি টাকা
এনসিপি ১০ কোটি টাকা
নয়া উদারবাদের জন্মভূমি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও চলে এই একই সমঝোতা। প্যালেস্তাইনে ইজরায়েলের হামলা, মার্কিন যুদ্ধাস্ত্র সরবরাহ কোম্পানিগুলির ফুলেফঁপে ওঠা মুনাফার পাহাড়, আর মার্কিন কংগ্রেসে গৃহীত ইজরায়েলের পাশে দাঁড়ানোর নীতিসমূহ — এগুলিকে যদি একটি সরলরেখায় ফেলে বিচার করা যায় তাহলেই বিষয়টা স্পষ্ট হবে। একইভাবে ক্ষমতায় থাকাকালীন ব্রাজিলের প্রাক্তন শাসক বোলসোনারো তার নির্বাচনী তহবিল ভরিয়েছিলেন তাঁর ঘনিষ্ঠ মার্কিন ও ব্রাজিলিয়ান কর্পোরেট সংস্থাগুলিকে অ্যামাজনের অরণ্য লুঠ করার অনুমতি দিয়ে। এ হল নয়া উদারবাদী শাসক ও শোষকের জোটের পরীক্ষিত পথ, যা কাজে লাগানোর ব্যাপারে ট্রাম্প বা বাইডেনের আমেরিকা, বোলসোনারোর ব্রাজিল, এর্দোয়ানোর তুরস্ক কিংবা মোদির ভারতের মধ্যে কোনও তফাৎ নেই। ভারতে নির্বাচনী বন্ড কেলেঙ্কারি কর্পোরেট ও শাসক গোষ্ঠীর আঁতাতকেই আবারও সামনে এনে দিল।
তবে ভারতের ক্ষেত্রে শাসক ও শোষকের জোটের আর একটা বাড়তি মাত্রা রয়েছে। সেটা হল হিন্দুত্ব বা ধর্মের সঙ্গে রাজনীতির অশুভ মেলবন্ধন। এদেশে এই কাজটা করে আরএসএস। গোটা দেশব্যাপী আরএসএস-এর ছড়ানো সাংগঠনিক জাল চলে দেশবিদেশের কর্পোরেটদের টাকায়। চলে বিদেশে ব্যবসা করে প্রতিষ্ঠিত হিন্দু ধনীদের টাকায়। এই সব টাকাতেই চলে দেশজুড়ে সরস্বতী বিদ্যালয়গুলি, যেগুলি আসলে আরএসএস-এর বিভাজনের বিষাক্ত রাজনীতির বীজ ছোট থেকেই শিশু মনে বপন করে। এই টাকাতেই লালিত পালিত আরএসএস সংগঠকেরা আদিবাসী ও দলিতে গ্রামে গিয়ে তাদের হিন্দু সমাজের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করে। এভাবে গড়ে তোলের বিশাল এক ভোট ব্যাঙ্ক, যা তাদের উগ্র হিন্দুত্বের মতাদর্শকে আরো প্রসারিত করতে সাহায্য করে। ভারতে কর্পোরেট-হিন্দুত্ববাদী চক্রের পিছনে ক্রোনি পুঁজির ভূমিকা খাটো করে দেখলে ভুল হবে।
নয়া উদারবাদী ক্রোনি পুঁজি লাগামছাড়া শোষণ ও লুঠের অনুমতি চায়। সেকারণে তারা যে কোনও দেশের সংবিধান, প্রথা, আইন, নিয়মকানুন, বিধিনিষেধ — সবকিছুকেই পায়ে দলে পিষ্ট করে এগিয়ে যেতে চায়। এদেশে বিজেপি-আরএসএস-এর গত দশ বছরের শাসনে আমরা সেটাই দেখছি। ইতিমধ্যেই সংবিধান বদলে এদেশকে হিন্দু রাষ্ট্র গড়ার ডাক দিয়েছে আরএসএস। শোষণ আরও অবাধ ও তীব্র করার জন্য ২৯টি শ্রম আইনকে চারটি শ্রম কোডে অন্তর্ভুক্ত করে শ্রমিকদের সংগ্রাম অর্জিত অধিকার খর্ব করা হয়েছে। কমানো হয়েছে কর্পোরেট ট্যাক্স। এসবের ফলে কর্পোরেট মুনাফা বেড়েই চলছে। ধাপে ধাপে বিদেশি বিনিয়োগের পথ প্রশস্ত করেছে মোদি সরকার। প্রতিরক্ষা শিল্পে স্বনির্ভরতার নীতি জলাঞ্জলি দিয়ে বিদেশি বিনিয়োগ আনা হয়েছে। রাষ্ট্রায়ত্ত কারখানা ও সম্পদ জলের দরে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে বেসরকারি উদ্যোগপতিদের হাতে। এই পথেই এত দ্রুত উত্থান হয়েছে আদানি-আম্বানিদের। যদি নিরপেক্ষ তদন্ত করার সুযোগ কখনও আসে তাহলে দেখা যাবে এধরনের প্রতিটি সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ জমা হয়েছে বিজেপির কোষাগারে। কখনও তা বিজেপি পেয়েছে সরাসরি, কখনও তা গেছে অন্য কোনও সংস্থায়। এই অর্থ যেমন নগদে এসেছে, তেমনি এসেছে বন্ডের বিনিময়ে। ক্ষমতায় বসার সময় মোদি বলেছিলেন, না খাউঙ্গা, না খানে দুঙ্গা। এখন দেখা যাচ্ছে, একেলেই খাউঙ্গা।
এখানে বলতেই হবে তৃণমূল কংগ্রেসের কথা। বিজেপির পরেই যে দলটি বন্ডের মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি টাকা পেয়েছে সেটা তৃণমূল। এতে বোঝা যায় এদেশে কর্পোরেট জগতের দ্বিতীয় নির্ভরযোগ্য জায়গাটি হল তৃণমূল। যারা এককালে লোটো লটারির নিয়ে বাম সরকারকে তুলোধোনা করেছে, দেখা যাচ্ছে সারা দেশে সবচেয়ে বিতর্কিত লটারি কোম্পানির টাকা বন্ড মারফৎ পেয়েছে তৃণমূল। পেয়েছে গোয়েঙ্কাদের কাছ থেকে বিপুল টাকা। এর বিনিময়ে বিদ্যুতের দাম নিঃশব্দে বাড়িয়ে নিয়েছে গোয়েঙ্কারা।
তবে সর্বভারতীয় এবং আঞ্চলিক দলগুলি যখন কম বেশি বন্ডের টাকা পেয়েছে, সেখানে ব্যতিক্রম বামেরা। সিপিএম গোড়া থেকেই ঘোষণা করেছিল যে বন্ডের টাকা তারা নেবে না। এবং নেওয়নি। তারা দীর্ঘ সময়জুড়ে নির্বাচনী বন্ডের দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়ে কর্পোরেট-হিন্দুত্ব জোটের আসল চেহারাটা উন্মোচিত করেছে। এসবই বামেদের ব্যতিক্রমী রাজনীতির প্রতিফলন।
(৩)
গত বছর দিল্লির উপকণ্ঠে দীর্ঘ কৃষক সমাবেশের অন্যতম সংগঠক ছিল বামেরা। কৃষকদের সেই দীর্ঘস্থায়ী লড়াই নরেন্দ্র মোদির অজেয় ভাবমূর্তিতে ফাটল ধরিয়ে সেই প্রথম তাকে পরাজয় স্বীকারে বাধ্য করেছিল। নানা কৌশল করেও কৃষক সমাজকে বিভ্রান্ত করতে পারেননি নরেন্দ্র মোদি। এমনকি রাম লালা মূর্তি প্রতিষ্ঠা করেও কৃষক সমাজকে তাদের লড়াই থেকে সরিয়ে নেওয়া যায়নি। বামেদের তীরে বিদ্ধ হয়েছিলেন মোদি। কৃষক আন্দোলন এবারের ভোটে তাই নরেন্দ্র মোদির অন্যতম অ্যাকিলিস হিল।
ইন্ডিয়া জোট গড়ে বিরোধী ভোট এককাট্টা করার লড়াই চালিয়েছে বামেরা। এখন দেখা যাচ্ছে, প্রথমে যা ছিল অস্পষ্ট, তা ক্রমে স্পষ্ট চেহারা নিয়ে বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ করার পথে এগোচ্ছে। এই জোটের নিঃশব্দ কারিগর বামেরা। তাই ইন্ডিয়া জোট মোদির বিরুদ্ধে বামেদের দ্বিতীয় তীর।
এবং তারপর নির্বাচনী বন্ড, যা বিজেপির দুর্নীতির আসল চেহারাটাকে নগ্নকে একেবার প্রকাশ্যে এনে ফেলেছে। এটা বামেদের তৃতীয় তীর। আর বামেদের সাফল্যের মুকুটে সর্বশেষ পালক হল জেএনইউ ভোটের ফল।
অতএব ‘ক্রোনোলজি সমঝ কে’ যদি চলতেই হয় তাহলে বলতেই হবে, বামেরা দেশজুড়ে কর্পোরেট ও হিন্দুত্বের জোটকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে। তাদের প্রকৃত স্বরূপ উন্মোচিত করতে বিশেষ ভূমিকা নিয়েছে। এদেশে বামেদের মিলিত শক্তিই পারে মতাদর্শগতভাবে এবং রাজনীতিগত ভাবে এদেশের কর্পোরেট-হিন্দুত্ববাদী জোটের মোকাবিলা করতে।