বামপন্থা ও গণতন্ত্রের কথোপকথন
[দেশ]
শ্রমজীবী ভাষা, ১৬ জুলাই, ২০২২— তিস্তা শীতলবাদকে নিয়ে কিছু লেখার আগে একটা রোমহষর্ক গল্প শোনাই। কয়েকটা খুনের গল্প।
গুজরাটে একটা লোক ছিল, হরেন পান্ডিয়া, যে সে লোক নয়, গুজরাটের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, ১৯৯৮ সাল থেকে অর্থদপ্তরের মন্ত্রী। ২০০২ সালে ফেব্রুয়ারিতে গুজরাটে হিন্দু মুসলমান দাঙ্গা হয়েছিল, (অনেকে বলেন গণহত্যা, যারা বলেন তারা দেশদ্রোহী)। মন্ত্রী হবার সুবাদে হরেনবাবু কাছ থেকে দেখেছিলেন অনেক কিছু। ২০০২ সালের আগস্ট মাসে আউটলুক পত্রিকায় বেনামে সাক্ষাৎকার দিলেন। বললেন, গোধরার ঘটনার পরে ২৭ ফেব্রুয়ারি সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী ও পুলিশ কর্তারা মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে মিটিং করতে বসেছিলেন, তিনিও উপস্থিত ছিলেন। মিটিংএ মুখ্যমন্ত্রী পুলিশকে নিষ্ক্রিয় থাকতে নির্দেশ দিলেন, বলেন, ক’দিন হিন্দুরা অন্য সম্প্রদায়ের উপর রাগ বার করে নিক। হরেন বাবুর এই বক্তব্যের রেকর্ড আউটলুক ২০০৭ সালে প্রকাশ করে। হরেনবাবু কনসার্নড সিটিজেনস ট্রাইবুনাল অন গুজরাট রায়ট এর কাছে গোপন জবানবন্দী দেন ২০০২ সালে, একই বক্তব্য রেখে।
২০০৩ সালে হরেন পান্ডিয়া খুন হয়ে গেলেন। পার্কে মর্নিং ওয়াক করতে গিয়েছিলেন। দুই আততায়ী গুলি করে পালায়।
হরেন পান্ডিয়া খুনের অভিযোগে আসগর আলি নামে এক জনকে মূল অভিযুক্ত হিসাবে গ্রেপ্তার করা হয়। হরেনবাবুর খুনের মামলায় তদন্তকারী অফিসার ছিলেন গুজরাটের ডিআইজি ডি জি বানজারা। ইনি তৎকালীন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রীকে ভগবান বলতেন। ২০০৭ সালে ইনি নিজেই জেলে যান, ইশরাত জাহান, সোহরাবুদ্দিন শেখ ও তুলসিরাম প্রজাপতি এনকাউন্টারের মামলায় মূল অভিযুক্ত হিসাবে। সোহরাবুদ্দিন, ইশরাত জাহান নাকি গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রীকে হত্যার ষড়যন্ত্র করছিলেন। তাই বানজারার নেতৃত্বে ২০০৪, ২০০৫, ২০০৬ সালে একে একে এদের এনকাউন্টার করা হয় ।
সিবিআই তদন্ত করে জানায় যে তুলসিরাম প্রজাপতি ২০০৫ সালে সোহরাবুদ্দিন হত্যার সাক্ষী ছিলেন। প্রমাণ লোপ করতে তুলসীরামকে ২০০৬ সালে এনকাউন্টার করে বানজারা।
বানজারার গ্রেপ্তারির তিন বছর পরে সিবিআই গ্রেপ্তার করে গুজরাটের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে। যদিও গুজরাত হাইকোর্টের সৌজন্যে তিনমাস বাদেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জামিনে ছাড়া পান। পরবর্তীতে, ২০১৪ তে তিনি ভারতবর্ষের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হন।
২০১২ সালে সোহরাবুদ্দিন মামলায় নতুন মোড় আসে। সিবিআই চার্জশিটে লেখে, গুজরাটের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এই সব খুনের মূল চক্রী। ছত্রিশজন পুলিশ অফিসার, ছয় জন আইপিএস-কে গ্রেফতার করা হয় এই মামলায়।
২০১৩ সালে জেল থেকে বেরিয়ে বানজারা ইঙ্গিত দেন হরেন পান্ডিয়াকে আসলে খুন করেছে সোহরাবুদ্দিন, উঁচু কোনও মহলের নির্দেশ। হরেন পান্ডিয়া ২০০২ সালে গুজরাতে সংগঠিত গণহত্যা নিয়ে গুজরাতের মুখমন্ত্রী ও অন্যান্যদের চরম বিপদের কারণ হয়ে উঠেছিলেন। সোহরাবুদ্দিনের মুখ বন্ধ রাখতে তাকেও খুন করা হয়।
সোহরাবুদ্দিন মামলায় রায় দানের কথা ছিল ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে। তার আগের নভেম্বর মাসের তিরিশ তারিখ মামলার বিচারক লোয়া রহস্যজনক ভাবে মারা যান। বিচারক লোয়ার বিশ্বাসী দুই ব্যক্তি যাদের সঙ্গে লোয়া মামলাটির বিষয়ে আলোচনা করেছিলেন তাদের একজন, উকিল শ্রীকান্ত খাণ্ডালকর বাড়ির ছাদ থেকে পড়ে মারা যান ২০১৫তে, অন্যজন প্রাক্তন বিচারপতি প্রকাশ থোম্বরে ২০১৬ সালে ট্রেনের কামরায় মারা যান। ২০১৬ সালে ক্যারাভান পত্রিকায় বিচারপতি লোয়ার পরিবার তার মৃত্যু নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে। লোয়ার মৃত্যু নিয়ে ২০১৭-২০১৮ সালে দেশের রাজনীতি তোলপাড় হয়।
বিচারপতি লোয়ার মৃত্যুতে বদলি বিচারপতি এম বি গোসাবি উক্ত হোম মিনিস্টারকে বেকসুর খালাস করেন ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে।
বিচারপতি লোয়ার সন্দেহজনক মৃত্যু নিয়ে মামলাটি খারিজ করেন সুপ্রীম কোর্টের বিচারপতি চন্দ্রচূড়।
একটি গণহত্যা, তাকে ঘিরে খুনের পর খুন, এনকাউন্টারের পর এনকাউন্টার, ডজন ডজন পুলিশ অফিসার, আইপিএস অফিসারের কারাবাস - মন্ত্রীর জেল এবং অবশেষে সেই প্রবল ক্ষমতাধরদের নিষ্কলুষ মুক্তি দুর্ধর্ষ ক্রাইম থিলার সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের বিষয় হতেই পারতো। টানটান ন্যারেটিভ। কিন্তু গুগুল সার্চ করে দেখুন, একটি বিষয়ও মিথ্যা নয়। ঘটনা পরম্পরায় এইগুলিই ঘটেছে। কি ধরনের ক্ষমতাবান হলে প্রশাসন, পুলিশ, কোর্ট, দুষ্কৃতি, ভাড়াটে খুনী সবার মধ্যে সমন্বয় স্থাপন করে সমস্ত কুকীর্তি থেকে হাত ধুয়ে ফেলা যায় তার ক্লাসিক উদাহরণ হয়ে থাকবে এই সব কটা ঘটনা। গুজরারাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থেকে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী থেকে প্রধানমন্ত্রীর দুটি যাত্রাই হায়েনার শিকারের মতো কুটিল, ভয়াবহ।
তিস্তার কাহিনীতে যাবার আগে আরো অন্য একজনের দুর্দশার কথা বলে নেওয়া দরকার। তিনি সঞ্জীব ভাট। গুজরাটের আইপিএস। ২০১৫ সালে কর্তব্যপালনে অবহেলার কারণে তাকে বরখাস্ত করে গুজরাত সরকার।
তিনি ২০১৯ সাল থেকে জেলে। ১৯৯০ সালের লক আপ হত্যার মামলায় গুজরাটের একটি লোয়ার কোর্ট সঞ্জীবকে দোষী সাব্যস্ত করেছে। সঞ্জীব ভাট ২০১১ সালে সুপ্রীম কোর্টে নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে এফিডেবিট জমা দেন। হরেন পান্ডিয়ার বক্তব্য সমর্থন করে জানান, ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০০২ এ মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে একটি উচ্চপর্যায়ের মিটিং হয়েছিল যেখানে হিন্দুদের রাগ উগরে দেবার জন্য সময় দিতে বলেছিলেন মোদি। এবং সেই মিটিংএ সঞ্জীব নিজে উপস্থিত ছিলেন। গুজরাট গণহত্যার দায় থেকে নরেন্দ্র মোদিকে কোনও ভাবেই মুক্ত করা যাবে না এই ছিল সঞ্জীবের দাবি। তার এফিডেভিট, গুজরাট দাঙ্গা তদন্তানুসন্ধানে স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিমের (সিট) ইচ্ছাকৃত ব্যর্থতা নিয়ে সুপ্রীম কোর্টে পাবলিক ইন্টারেস্ট লিটিগেশন (পিআইএল) সবই কোর্টে ধাক্কা খায়। এবং তারপরেই তিনি ২০১৫ সালে চাকরি থেকে বরখাস্ত হন।
ঘটনা হচ্ছে, সঞ্জীব ভাট যে মামলায় সিটের বিরদ্ধে পিআইএল করেন তা জাকিয়া জাফরি মামলা নামে পরিচিত। জাকিয়া জাফরি কংগ্রেস বিধায়ক এহসান জাফরির স্ত্রী, যে এহসান জাফরিকে কুপিয়ে তারপর পুড়িয়ে মারা হয় নিজের বাড়ির সামনে, ২০০২ এর ২৮ ফেব্রুয়ারি। এবং তার বাড়িতে আশ্রয় নেওয়া আরো আটষট্টি জনকে পুড়িয়ে খুঁচিয়ে মারা হয়েছিল। এই নারকীয় হত্যাকাণ্ড গুলবার্গ সোসাইটি হত্যাকান্ড নামে পরিচিত। ন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস কমিশন যে নয়টি ঘটনার পুনরায় তদন্তের দাবি করেছিল, তার মধ্যে এইটি ছিল অন্যতম। ২০০৬ সালের ৮ জুন জাকিয়া জাফরি গুজরাটের তৎকালীন ডিজিপির কাছে দাঙ্গার ষড়যন্ত্রকারী রূপে তেষট্টি জনের নামে অভিযোগ দায়ের করেন, যাদের মধ্যে নরেন্দ্র মোদির নাম ছিল ছিল। তার অভিযোগ গৃহীত হচ্ছিল না। তিন বছর বাদে, ২০১১ তে জাকিয়ার আবেদনে সাড়া দিয়ে সুপ্রীম কোর্ট সিটকে তদন্তের নির্দেশ দেয়। সেই সিটের তদন্তের নামে বেহায়াপনার বিরুদ্ধেই পিআইএল করেন সঞ্জীব ভাট। এবং তিস্তা শিতলাবাদ ছিলেন ওই কেসে আবেদনকারীর পক্ষ, অর্থাৎ জাকিয়ার সহ আবেদনকারী।
সঞ্জীব ভাটকে আগেই প্রাণের হুমকি দিয়ে, জেলে ঢুকিয়ে কন্ঠ স্তব্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তার পরিবারের দিশেহারা অবস্থা। কয়েকজনকে এনকাউন্টারে হত্যা করিয়ে কাঁটা সরিয়ে ফেলা হয়েছে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, যারা এই এনকাউন্টারগুলির বিরুদ্ধে সেই সময় গুরুত্বপূর্ণ আওয়াজ তুলেছিল, ভারত থেকে তাদের দূর করা হয়েছে। ক’দিন আগে ইডি লেলিয়ে অ্যামনেস্টির কর্মীদের ক্রিমিনাল কেস খাওয়ানোরও ব্যবস্থা হয়েছে। বাকি ছিলেন তিস্তা শিতলাবাদ। ষোল বছর ধরে চলা জাকিয়া জাফরির মামলা খারিজ করার সঙ্গে সঙ্গে গত ২৪ জুন তাকে গ্রেপ্তার করা হল। আর বোধহয় কেউ রইল না গণহত্যার কারিগরদের দিকে আঙ্গুল তোলার মত, অন্তত আইনি ভাবে।
জাকিয়া জাফরির মামলায় সুপ্রীম কোর্টের রায় পড়লে শিউরে উঠতে হয়। রায়দাতারা যে নরেন্দ্র মোদির হ্যাঁ হ্যাঁ বলা সঙ তা অতি নির্লজ্জতার সঙ্গে প্রকাশিত হয়েছে। নরেন্দ্র মোদি দাঙ্গার সময় খুব ভাল ভূমিকা রেখেছে, আর সিট খুব ভাল তদন্ত করেছে – এই হচ্ছে বিচারপতিদের মোদ্দা বক্তব্য। তাদের কাছে কাছে প্রকৃত প্রস্তাবে জাকিয়া জাফরিই এই মামলা করে অপরাধী। এবং তার সঙ্গী হিসাবে তিস্তা শিতলাবাদ, সঞ্জীব ভাট ও আর বি শ্রীকুমারের (আরেক আইপিএস যিনি নানাবতী কমিশনে মোদির বিরুদ্ধে বক্তব্য রেখেছিলেন) শাস্তি হওয়া উচিৎ এই মন্তব্য করেছে সুপ্রীম কোর্ট - Intriguingly, the present proceedings have been pursued for last 16 years (from submission of complaint dated 8.6.2006 running into 67 pages and then by filing protest petition dated 15.4.2013 running into 514 pages) including with the audacity to question the integrity of every functionary involved in the process of exposing the devious stratagem adopted (to borrow the submission of learned counsel for the SIT), to keep the pot boiling, obviously, for ulterior design. As a matter of fact, all those involved in such abuse of process, need to be in the dock and proceeded with in accordance with law.” (Para 88, pages 304-5)– বলা যেতে পারে তিস্তা ও শ্রীকুমারের গ্রেফতারের ইন্ধন জুগিয়েছে সুপ্রীম কোর্ট।
আরএসএসের পোর্টাল অর্গানাইসার এর সাইটে গিয়ে তিস্তা শিতলাবাদ সম্বন্ধীয় লেখাপত্র ঘাঁটছিলাম। ভয়াবহ ব্যক্তি আক্রমণ, কুৎসার ছড়াছড়ি - তিস্তার এনজিও বিদেশি টাকায় পুষ্ট দেশদ্রোহীতার আখড়া, হিন্দু বিরোধী কমিউনিস্ট ষড়যন্ত্রের গল্প। তিস্তা শীতলবাদ এনজিও করুন, যাই করুন, উনি ধারাবাহিক ভাবে ২০০২ এর গুজরাট গণহত্যার অপরাধীদের শাস্তির জন্য লড়েছেন, থামেননি। মানুষের স্মৃতি থেকে যখন রাষ্ট্রীয় মদতে ঘটা ওই ভয়াবহ দাঙ্গার ষড়যন্ত্রকারীদের নাম মুছে ফেলার চেষ্টা হচ্ছে, বিচারব্যবস্থা মোদি-শাহকে ফুলমালা দিয়ে ক্লিন চিট দিচ্ছে, এতগুলো এনকাউন্টার করে ধামাচাপা দেবার চেষ্টা চলেছে – সেখানে তিস্তাদের লড়াই ফেলাফেলার নয়। কি ভয়ানক মানসিক চাপ নিয়ে, মৃত্যুভয় জয় করে গুজরাটে মোদি-শাহের বিরুদ্ধে তাদের লড়তে হয়েছে তা কল্পনা করাও সম্ভব নয়।
নুরেমবার্গ ট্রায়ালে বিচারকেরা যদি বলত ইহুদিগুলোই অপরাধী, নাজিদের কোনও দোষ নাই – ব্যাপারটা কেমন হতো? মোদি শাহের সসম্মানে মুক্ত হবার মতোই হতো না বিষয়টা? এই ঘৃণ্য অপরাধের নায়করা আজ দেশের প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী! তিস্তা এদের ঘৃণ্য অপরাধের স্মৃতি জাগরূক রাখার কাজ করেছেন দুই দশক ধরে।
কয়েক দিন আগে মোদির পেয়ারের লোক, ন্যাশেনাল সিকিউরিটি অ্যাডভাইসার অজিত ডোভাল বক্তব্য রেখেছিলেন যে যুদ্ধের নতুন ক্ষেত্র (পড়ুন শত্রু) হচ্ছে নাগরিক সমাজ। নাগরিক সমাজ নাকি জাতীয় স্বার্থের ক্ষেত্রে ভয়ঙ্কর! নাগরিক সমাজের একের পর এক প্রতিনিধি, যারা অধিকার, মানবতা ও রাষ্ট্রীয় কুকীর্তি নিয়ে ক্রমাগত সোচ্চার তাদের জেলবন্দী করে ভারতবর্ষে এক ভয়ঙ্কর অধ্যায় সূচনা করেছে মোদি শাহ্রা। ভারাভারা রাও বন্দী হয়েছেন আগেই, তিস্তা বন্দী হলেন, মেধা পাটেকরের উপর ইডির হামলা শুরু হয়েছে, শর্জিল ইমামরা জেলে পচছেন। লক্ষ্য করে দেখবেন সকলেই ভিন্ন ভিন্ন ধারার রাজনীতি করতেন, এমনকি এদের মধ্যে তাত্ত্বিক বিরোধও প্রবল ছিল। মোটামুটি সব ধারাই এখন আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু, মোদি-শাহ-ডোভাল আর ফারাক করছে না, সবাইকেই জেলে ঢোকাচ্ছে। একেই ফ্যাসিবাদ বলে বোধহয়।