বামপন্থা ও গণতন্ত্রের কথোপকথন

[দেশ]

[দেশ]

অমৃতকালে শ্রমজীবী মানুষ

অমৃতকালে শ্রমজীবী মানুষ

উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়

photo

২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি ঘোষণা করেছিলেন, তিনি ফকির, ২০১৯ সালে ঘোষণা করলেন, তিনি চৌকিদার। আর এখন তিনি স্বঘোষিত “ঈশ্বরের পুত্র”! ইনিই আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী।
ঈশ্বরের বরপুত্রের শাসনকাল স্বাধীনতার অমৃতকাল — কিন্তু জনমানুষের হাল সঙ্গিন। তারপরেও এমনভাবে প্রচার চলছে, যেন ভারত শীঘ্রই বিশ্ব অর্থনীতিতে এক নম্বর যাওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা।
অথচ “বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে” ভারত এখন ১২১টি দেশের মধ্যে ১০৭তম। দু’ বেলা পেট ভরে খাওয়ার অধিকার থেকে বঞ্চিত দেশের কোটি কোটি মানুষ। ২০১৪ সাল থেকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় আরএসএস অনুগত সাম্প্রদায়িক বিজেপি। তারা একদিকে যেমন ধর্ম, জাতপাত, বর্ণ, জাতি, ভাষাকে হাতিয়ার করে মানুষে মানুষে বিভাজন উস্কে দিয়ে শ্রমজীবী মানুষের সংগঠিত হওয়ার ক্ষেত্রে বাধা ও সমস্যা নির্মাণ করছে — অন্যদিকে শ্রমজীবীদের জন্য যেটুকু অধিকার ছিল সেই সমস্ত অর্জিত অধিকার কেড়ে নিচ্ছে। দেশের মর্ত্য, পাতাল থেকে অন্তরিক্ষ কর্পোরেটদের একচেটিয়া মুনাফার স্বার্থে তাদের হাতে তুলে দিচ্ছে সরকার। কৃষক ফসলের দাম পাচ্ছে না, শ্রমিকের ন্যায্য মজুরি নেই। অনিয়ন্ত্রিত দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ফলে প্রকৃত মজুরি কমছে, নেই কাজের নিশ্চয়তা। বেকারি বাড়ছে রের্কড গতিতে।
রাজ্যে এই সময়কালে কাজের সন্ধানে ৬০ লক্ষ্যের বেশি কর্মক্ষম মানুষ কেরালা, মহারাষ্ট্র, গুজরাট, রাজস্থান, এমনকি কাশ্মীর থেকে উত্তর-পূর্ব মিজোরাম সহ বহু দূরে কাজের সন্ধানে চলে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। এরাজ্যে এমনকি অসংগঠিত-ইনফর্মাল ক্ষেত্রেও কাজ নেই। সরকারি কোষাগারের টাকা খরচ করে দেশে-বিদেশে শিল্প সম্মেলন করা হচ্ছে। কিন্তু দৃশ্যমান কোনও বিনিয়োগ নেই। আদানিদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে তাজপুর সমুদ্র-বন্দর গড়ে তোলার কাজ। রাজ্যের প্রতিটি জনকল্যাণমূলক কাজে সংগঠিত দুর্নীতি ও কাটমানি দরিদ্র-প্রান্তিক মানুষের জীবনকে অসহায় করে তুলেছে। তীব্র আর্থিক সঙ্কটে ডুবে চলেছে এই রাজ্য। বিরোধী কন্ঠস্বর ও যে কোনও আন্দোলন দমনে নেমে আসছে সরকার ও তার পোষিত বাহিনীর আক্রমণ ও সন্ত্রাস। রাজ্য জুড়ে নৈরাজ্যের পরিবেশ গণতান্ত্রিক পরিসরেকে তছনছ করে ফেলছে।
দেশের নাম ভারত বা ইন্ডিয়া যাই হোক রাষ্ট্রের জনকল্যাণমূলক যে কটি প্রকল্প ছিল মোদি সরকারের আমলে সেগুলোতে ক্রমাগত বরাদ্দ কমছে। রেগায় এই অর্থবর্ষে ওই খাতে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে মাত্র ৬০,০০০ কোটি টাকা। যা গত অর্থবর্ষের বরাদ্দের তুলনায় ১৮ শতাংশ কম। জবকার্ড কমছে, শুরু হয়েছে প্রান্তিক মানুষের কর্মদিবসের সংকোচন। আমাদের এই রাজ্যেও অসত্য অজুহাতে প্রথমে ১,৫৭,৩০৯টি এবং পরে ৮৩,৩৬,১১৫টি জবকার্ড বাতিল করা হয়েছে।
রাখী পূর্ণিমার আগে প্রধানমন্ত্রী হঠাৎ ঘোষণা করলেন যে, রান্নার গ্যাস সিলিন্ডারের দাম সিলিন্ডার পিছু ২০০ টাকা করে কমানো হল। কেন? যে সরকার কোনও সময়ই নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম নিয়ন্ত্রণের জন্য কোনও কার্যকরি ভূমিকা নেয় না— যারা ধাপে ধাপে মাত্রাতিরিক্তভাবে রান্না গ্যাসের দাম বাড়িয়েছে— তারাই গ্যাসের দাম কমাচ্ছে কেন? খবরের শিরোনাম, এই বছরে কয়েকটি রাজ্যে বিধানসভা ভোট এবং আগামী বছর লোকসভা ভোটে বৈতরণী পার হতেই এই ঘোষণা। সকলেই জানি, বিশ্বের বাজারে যখন তেলের দাম কমেছে তখন কেন্দ্রের সরকার ধারাবাহিকভাবে পেট্রোল, ডিজেল, রান্না গ্যাসের দাম বাড়িয়েছিল শুধুমাত্র তেল কোম্পানিগুলোর মুনাফা বাড়ানোর জন্য।
গ্যাসের ক্ষেত্রে সরকারের আরেকটি প্রতারণা হল উজ্জ্বলা যোজনা। প্রধানমন্ত্রীর আত্মপ্রচার জন্য সঙ্গে এক মহিলার ছবিসহ এই প্রকল্পের প্রচারের জন্য ইতিপূর্বে কোটি কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। সরকারের থেকে বলা হয়েছিল ১০ কোটি মানুষকে ওই উজ্জ্বলা যোজনার ছাড়ের সুবিধা দেওয়া হয়েছে। বর্তমান ঘোষণায় আবার বলা হয়েছে, উজ্জ্বলা যোজনার যুক্তরা ৪০০ টাকা সিলিন্ডার পিছু ছাড় পাবেন। কিন্তু প্রকৃত ছবিটি কি? এ প্রকল্পের গ্রাহকরা প্রথম সিলিন্ডারে ভর্তুকি পেয়ে থাকেন এবং গ্যাসের উনোন কেনা হওয়ার পর দ্বিতীয় সিলিন্ডার থেকে তাদের আর ভর্তুকি থাকে না। গত বছর উজ্জ্বলা যোজনার ১০ শতাংশ গ্রাহক আর দ্বিতীয় বার সিলিন্ডার কেনেননি। আবার যারা দ্বিতীয় সিলিন্ডার কিনেছিলেন তাদের মধ্যে ১২ শতাংশ পরের দফায় বন্ধ করেছে গ্যাসের ব্যবহার। এইভাবে চার দফায় এই প্রকল্প থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন ৫৬.৫ শতাংশ গ্রাহক।
ভারতীয় সংবিধানের নামে শপথ নেওয়া মনুবাদী দর্শনে বিশ্বাসী প্রধানমন্ত্রী গ্যাসের এই ছাড় ঘোষণা নিয়েই বলেছেন, এটা রাখি উৎসবে মহিলাদের জন্য উপহার! একথা ঠিক বেশিভাগ ঘরে মহিলারাই রান্না করেন, কিন্তু রান্নার গ্যাস কি শুধুমাত্র মহিলাদের পণ্য? তিনি কি বলতে চান, মহিলাদের কাজই রান্না করা!
গ্যাসের এই সামান্য দাম কমলে কি দেশের বাজারে খুচরো পণ্যের মূল্য হ্রাস পাবে? গরীব শ্রমজীবী মানুষ কি সরকারের এই ছাড়ের সুবিধা পেয়ে একটু বেশি করে খাদ্য কিনতে পারবেন? শ্রমজীবী মানুষের আর্থিক পরিস্থিতির মৌলিক সমস্যাকে অস্বীকার করে আগামী ভোটের জন্য গিমিক হিসেবে চালানো হচ্ছে এইসব। এটা সরকারি প্রতারণা। কি করে ভুলে যাওয়া যায়, ২০১৪ সালে যখন নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন তখন গ্যাসের দাম ছিল ৪১০ টাকা। আর তাঁরই ফরমানে গ্যাসের দাম পৌঁছে ছিল ১১২৯ টাকায়!
অক্সফাম ইন্ডিয়া’র রিপোর্ট বলছে, আমাদের দেশের সবচেয়ে ধনী এক শতাংশ মানুষের হাতে রয়েছে দেশের মোট সম্পদের ৪১ শতাংশ। আর ৫০ শতাংশ প্রান্তিক মানুষের হাতে রয়েছে মোট সম্পদের মাত্র ৩ শতাংশ। ধনীদের সঙ্গে শ্রমজীবী মানুষের বৈষম্য বেড়েই চলেছে। যার অবশ্যম্ভাবী পরিণতিতে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমছে। জি-২০ র অধিবেশন করতে পর্দা দিয়ে গরীবী আড়াল করতে হয়েছে। তারপরেও প্রচার চালাচ্ছে গদি মিডিয়া। যেখানে ভারতকে “বিশ্বগুরু” বলে ঘোষণা আরেক প্রবঞ্চনা। ২০১৪ সালে আমাদের টাকায় ডলারের বিনিময়মূল্য ছিল ৬২ টাকা। এখন সেটাই এসে দাঁড়িয়েছে ৮৩.৫ টাকায়, যা স্বাধীনতা উত্তরকালে রেকর্ড। শ্রমজীবী মানুষের আর্থিক দৈন্যের প্রতিফলন ঘটেছে ন্যাশানাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর রিপোর্টে। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০১৪ সালে দিনমজুর আত্মহত্যা করেছিল ১৫,৭৩৫ জন। ২০২১ সালে বেড়ে হয় ৪২,০০৪ জন। মানে প্রতিদিন ১১৫ জন দিনমজুর আত্মহত্যা করেছেন।
পচা গলা এই সমাজে গতরে খাটা গরীব গুরবো মানুষ যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে। আর সেই সময়েই আক্রান্ত মানুষের নজর ঘোরাতে চেষ্টা করছে গদি মিডিয়া। উদ্দেশ্য শুধু নজর ঘোরানো নয়, তাদের চেষ্টা লুটেরা শাসকের পক্ষে দেশের মানুষের চেতনা নির্মাণ। এই কাজে তারা নির্লজ্জ ও বেপরোয়া।
এই বিষয়ে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার লজ্জাহীনতার শেষ প্রান্তে উপনীত হয়েছে।
স্বাধীনতা উত্তরকালে যে ঐতিহাসিক কৃষক আন্দোলন সংগঠিত হয়েছে তার ফলে এই শাসকের মুখোশ খুলে গেছে। দেশের শাসক যে জনগণের নয় আদানি, আম্বানিদের অনুগত প্রকাশ্যে চলে এসেছে। মনে রাখতে হবে দিল্লি ঘিরে কৃষকের লাগাতার অবস্থান ছিল “আন্দোলন”। সাতশো কৃষক শহীদের মৃত্যু বরণ করেছেন। ভারত সরকারকে বাধ্য করেছে পিছু হটতে।
শাসকরা এই আন্দোলন থেকে শিক্ষা নিয়েছে, জাতীয় ও রাজ্য উভয় ক্ষেত্রেই। তাই তাদের প্রচারের মূল অভিমুখ সংখ্যাগরিষ্ট মানুষকে শাসকের পক্ষে সংগঠিত করা।
যে শাসনকালে দেশের মহিলাদের অন্ধকূপে নিক্ষেপ করা হয়েছে, সেখানে নির্বাচনে মহিলাদের জন্য ৩৩ শতাংশ আসন সংরক্ষণ বিল আসলে অনেকগুলো সত্যকে আড়ালের মরিয়া চেষ্টা ছাড়া আর কিবা হতে পারে। আর এই বিল যদি বা কার্যকর হয় তাহলেও বহু বছর পার হয়ে যাবে।
দেশের মানুষ দেখেছেন, বিজেপি শাসিত মণিপুরে ৩ জন মহিলাকে নগ্ন করে হাঁটানোর ও নির্যাতনের ভয়বহ ঘটনা।
কেন সারা বিশ্বে ভারত ধর্ষণ, সামাজিক অত্যাচার ও বৈষম্যে শীর্ষে।
কেন বিশ্বের মধ্যে অপুষ্টিতে ও রক্তাল্পতায় ভোগা নারীর সংখ্যা ভারতে সবচেয়ে বেশি!
ধর্ষিতা বিলকিস বানু মামলায় সাজা প্রাপ্ত সমস্ত দাগী অপরাধীদের কেন ব্রাহ্মণ বলে গুজরাট সরকার ছেড়ে দিলো কেন! তার জবাব দিতে হবে না!
আর পশ্চিমবঙ্গে রাজ্যে এখানে তো ধর্ষিতা নারীর বয়স অনুযায়ী, রেট বেঁধে দিয়েছে সরকার, কেন?
শিক্ষিত বেকার যুবদের সরকারি কাজের প্রলোভন দেখিয়ে পরীক্ষা নেওয়ার পর কালো বাজারে বিক্রি করা হয়েছে চাকরি। তারা দিনের দিন খোলা আকাশের নীচে বসে আন্দোলন চালাচ্ছে। সরকার পোষিত কর্মীরা তাদের বকেয়া বেতনের অংশ ডিএ-এর টাকা পাচ্ছে না। রাস্তায় বসে ধর্ণা দিচ্ছেন।
অথচ এমএলএ, মন্ত্রীরা নিজেরাই নিজেদের মাসিক উপার্জন জনগণের করের টাকায় রেকর্ড পরিমাণ বাড়িয়ে নিয়েছেন।
এদিকে ১০০ দিনের কাজ নেই, মিড ডে মিল, আশা, অঙ্গনওয়ারী ইত্যাদি মহিলা নির্ভর কর্মক্ষেত্রে রোজই কর্মচ্যুতি হচ্ছে। তারাও মহিলা – মজুরি পান সামান্য।
কেন হাথরাস, কাশ্মীরের ৮ বছরের নাবালিকার মন্দিরের মধ্যে ধর্ষণ যা কাঠুয়া ধর্ষণ দেশ বিদেশ ঘৃণার আগুন জ্বলিয়ে ছিল— যে ঘটনা শাসক বিজেপি সব চেপে দিয়েছে, যেমন করে চেপে দেওয়া হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের অনেক ধর্ষণের ঘটনা।
ভুলে যাওয়া যায় কি, একদা বিজেপির সহ সভানেত্রী বিজয় রাজে সিন্ধিয়া রূপ কানোয়ারের সতীদাহকে নির্লজ্জভাবে সমর্থন করেছিলেন। মহিলাদের জন্য বিধানসভা, লোকসভার আসন সংরক্ষণ বিল উত্থাপন নারীদের বিরুদ্ধে অপরাধ আড়ালের প্রয়াস মাত্র।
জনগণের মূল সমস্যা থেকে দৃষ্টি ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্য তৃণমূল এবং বিজেপি উভয়েই তৎপর। “পশ্চিমবঙ্গ দিবস”, “রাজ্য সঙ্গীত” অথবা “ভারত” না “ইন্ডিয়া” ইত্যাদিগুলো কি জনজীবনের কোনও গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু? শ্রমজীবী মানুষের টিকে থাকার জন্য রুটি রুজির সঙ্গে সম্পর্কহীন নন-ইস্যুগুলোকে ইস্যু বানানো চলছে। পাটচাষীদের নূন্যতম সহায়ক মূল্য বাড়ানো হচ্ছে না সেই নিয়ে কোনও কথা উঠছে না। কেন কেন্দ্রীয় সরকার উৎপাদন খরচের থেকে কম সহায়ক মূল্য ধার্য করেছে তা নিয়ে রাজ্য সরকার একটি কথাও বলছে না।
দার্জিলিং পার্বত্য পরিষদকে টুকরো টুকরো করে ১৫টি ভিন্ন ভিন্ন পাহাড়ি গোষ্ঠীর উন্নয়ন বোর্ড তৈরি করা হয়েছে। এমনকি দার্জিলিং ও ডুয়ার্সের অখণ্ড নেপালি জাতিগোষ্ঠীকেও ভাগ করা হয়েছে। মতুয়া ও নমঃশূদ্র সম্প্রদায়কে তৃণমূল এবং বিজেপি ভোটের অঙ্কে ব্যবহার করে। দলিত শ্রমজীবী মানুষজনের মধ্যে বিভাজনের উদ্দেশ্যেই গঠিত হয়েছে “পশ্চিমবঙ্গ বাউড়ি উন্নয়ন পর্ষদ”, “বাগদি উন্নয়ন পর্ষদ”, “হাড়ি উন্নয়ন পর্ষদ” ইত্যাদি।
আসলে সমস্ত দিক থেকে ব্যর্থ উভয় সরকার। তাই এখানে তারা একে অন্যের পরিপূরক হিসেবে কাজ চালাছে। মিডিয়া হাউজ খোলাখুলিভাবে সাহায্য করছে।
গণতন্ত্রিক শক্তিকে আন্দোলনের মাধ্যমেই এই পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটাতে হবে। ইতিহাসের শিক্ষা বামপন্থীদের এই কর্তব্য পালনে ঐতিহাসিকভাবে দায়িত্ব নিতে হবে।
এই লড়াই প্রচার থেকে উন্নিত করতে হবে গণআন্দোলনের স্তরে। তার জন্য চাই জনমত। সেই জন্যই শ্রমজীবীদের দৈনন্দিন জীবনের জরুরি ইস্যুকে মূল ফোকাস করে ঝাঁপাতে তাদের। শাসকের তৈরি নন-ইস্যুগুলো উপেক্ষা করে জনগণের মূল ইস্যুগুলোকেই করতে আমাদের সংগ্রামের হাতিয়ার।

Copyright © 2021 - 2022 Shramajeebee Bhasha. All Rights Reserved.