বামপন্থা ও গণতন্ত্রের কথোপকথন

[খেলা]

[খেলা]

ভারতীয় হকির সেকাল ও একাল

ভারতীয় হকির সেকাল ও একাল

সৌম্য শাহীন

photo

শ্রমজীবী ভাষা, ১৬ অগাস্ট, ২০২১— ৫ই আগস্ট ২০২১ দিনটা প্রত্যেক ভারতীয় ক্রীড়াপ্রেমীর মনে সোনার অক্ষরে লেখা থাকবে। এই দিনেই ৪১ বছরের খরা কাটিয়ে "মেন ইন ব্লুজ" হকিতে অলিম্পিক পদক জয় করলো।

১৮৯৬ সালে পিয়ের দ্য কুবার্তার উদ্যোগে শুরু হয়েছিল গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক। ১৯২৮ সালের আমস্টারডাম গেমস থেকে হকি পাকাপাকিভাবে অন্তর্ভুক্ত হয় অলিম্পিকের ক্রীড়াসূচিতে। ততদিনে প্রতিষ্ঠা হয়েছে আন্তর্জাতিক হকি ফেডারেশনের (প্যারিস, ১৯২৪)। প্রথম সুযোগেই বাজিমাত, জয়পাল সিং মুন্ডার নেতৃত্বে ভারত স্বর্ণপদক জয়লাভ করলো। এরপর ১৯৩২, ৩৬, ৪৮, ৫২, ৫৬- অপ্রতিরোধ্য ছিল ভারতীয় হকি দল। গোটা পৃথিবী তখন ধ্যানচাঁদ, রূপ সিং, কে ডি সিং, উধম সিং, বলবীর সিং (সিনিয়র), লেসলি ক্লডিয়াসদের স্টিকের জাদুতে মুগ্ধ। ১৯৬০এর রোম অলিম্পিকে প্রথম ধাক্কা, পাকিস্তানের কাছে হেরে রূপো নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হল ভারতীয় দলকে। কিন্তু টোকিও অলিম্পিকে (১৯৬৪) ফের বাজিমাত। ফাইনালে পাকিস্তানকে হারিয়ে সোনা জিতলো চরণজিৎ সিংয়ের নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দল। এরপর ১৯৬৮ এবং ১৯৭২এর গেমসে তৃতীয় স্থান লাভ করে ভারতীয় দল। ইতিমধ্যে ১৯৭১ সালে আন্তর্জাতিক হকি ফেডারেশনের উদ্যোগে শুরু হয়েছে বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতা। বার্সিলোনায় অনুষ্ঠিত প্রথম বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে পাকিস্তানের কাছে হারার ফলে ভারত তৃতীয় স্থান লাভ করে। পরের বিশ্বকাপ ১৯৭৩ সালে নেদারল্যান্ডসের আমস্টেলভিন শহরে অনুষ্ঠিত হয়। এবার আয়োজক দেশের সঙ্গে ফাইনাল খেলে ভারত। নির্ধারিত সময়ে ২-২ গোলে ফলাফল অমীমাংসিত থাকায় খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানে ৪-২ ব্যবধানে হেরে ভারত রুপোর পদক লাভ করে। এর ঠিক দু’বছর পর ১৯৭৫ সালে কুয়ালালামপুরে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের ফাইনালে মুখোমুখি হয় দুই চির প্রতিদ্বন্দ্বী দল- ভারত ও পাকিস্তান। সুরজিৎ সিং ও অশোক কুমারের গোলে ২-১ ব্যবধানে এবার জিত হয় ভারতীয় দলের। কিন্তু তার পরেই, ১৯৭৬ সালের মন্ট্রিয়ল গেমসে আসে চরম ধাক্কা- তারকাখচিত ভারতীয় দল শেষ করে সপ্তম স্থানে। ফের দুরন্ত প্রত্যাবর্তন ১৯৮০ সালের মস্কো গেমসে- সোনার পদক জিতে ফের নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করে ভারতীয় হকি দল।

তারপর থেকেই শুরু হয় ভারতীয় হকির ক্রমাবনতি। একসময় যে হকিতে একাধিপত্য ছিল ভারতের, ১৯২৮ সাল থেকে ১৯৮০ পর্যন্ত বারোটি অলিম্পিক গেমসে ৮টি সোনা, ১টি রূপো, ২টি ব্রোঞ্জ, সেই খেলায় পরবর্তী চার দশকে বলার মত কোনও সাফল্য ছিল না। অলিম্পিক বা বিশ্বকাপ, হকির দুই সেরা মঞ্চে সেমিফাইনালে পর্যন্ত উঠতে পারেনি ভারতীয় দল। পরগত সিং, ধনরাজ পিল্লাইয়ের মত বিশ্বমানের খেলোয়াড় বিক্ষিপ্তভাবে উঠে এলেও একটা দল হিসেবে কখনোই আর তাঁরা বিশ্বজয়ী হয়ে উঠতে পারেননি।

অলিম্পিক স্পোর্টগুলোতে, বিশেষত হকিতে, আশির দশক থেকে ভারত ক্রমাগত পিছিয়ে পড়তে শুরু করলো কেন? এই প্রশ্নের উত্তর লুকিয়ে আছে ক্রমাগত পরিবর্তনশীল আর্থ-সামাজিক বিন্যাসে। ভারতীয় হকির স্বর্ণযুগে, অর্থাৎ ফত শতাব্দীর বিশের দশক থেকে সত্তরের দশকের মাঝামাঝি পর্যন্ত জাতীয় দলে উত্তর ভারতের রাজ্যগুলির, বিশেষত পাঞ্জাব ও হরিয়ানার প্রবল দাপট ছিল। মূলত আন্তর্জাতিক স্তরে সাফল্যের কারণে কৃষক পরিবারের সন্তানরা স্বাভাবিক পছন্দ হিসেবে হকিকে বেছে নিতো। ক্রিকেটের ব্র্যাডম্যান বা ফুটবলের পেলের মতোই ভারতীয় হকিতে মেজর ধ্যানচাঁদ ছিলেন ইউথ আইকন। ফলে ভারতীয় দলে প্রতিভাবান খেলোয়াড়ের জোগান ছিল নিরবিচ্ছিন্ন। অবস্থাটা পাল্টাতে শুরু করলো সবুজ বিপ্লবের ব্যাপক সাফল্যের পর থেকে। মধ্যবিত্ত ও উচ্চ মধ্যবিত্ত কৃষকের হাতে অর্থ আসার সঙ্গে সঙ্গে তাদের সামাজিক আকাঙ্ক্ষাগুলোও বদলাতে শুরু করলো। ঘাসের মাঠে স্টিকের যে দুরন্ত জাদু ভারতকে অপ্রতিরোধ্য করে তুলেছিল, এস্ট্রোটার্ফের জমানায় তার বদলে শারীরিক সক্ষমতা, গতি এবং পেনাল্টি কর্নারে দক্ষতা হয়ে উঠলো অধিক গুরুত্বপূর্ণ। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে খাপ খাওয়াতে হলে প্রয়োজন বিপুল পরিকাঠামো এবং পরিকল্পনা, যেখানে নেদারল্যান্ডস, জার্মানি সহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশ এবং অস্ট্রেলিয়া কয়েক যোজন এগিয়ে। ফলে ভারতপিছতে শুরু করলো র্যাঙ্কিংয়ে, অন্যদিকে ১৯৮৩র ক্রিকেট বিশ্বকাপ জয়ের পর থেকে দেশের ক্রীড়াপ্রেমী মানুষের সমস্ত মনোযোগ কেড়ে নিলেন ক্রিকেট খেলার তারকারা। সুদূর অতীতের ধ্যানচাঁদের জায়গা নিলেন গাভাসকর-বিশ্বনাথ-কপিল দেবের মত ক্রিকেটের মহাতারকারা। উত্তর ভারত হয়ে উঠলো ক্রিকেট খেলার নতুন শক্তিপুঞ্জ, কপিলের পাশাপাশি উঠে এলেন মদনলাল, চেতন চৌহান, জশপাল শর্মা, মনোজ প্রভাকর, চেতন শর্মা, মানিন্দর সিংয়ের মত একঝাঁক খেলোয়াড়। স্বাভাবিক ভাবেই সমস্ত বিনিয়োগ ধাবিত হল ক্রিকেটের দিকে, আর দুয়োরানীর ছেলে হয়ে রইলো হকি সহ অন্য সমস্ত অলিম্পিক খেলা। ১৯৮৭ সালে রিলায়েন্সের স্পনসরশিপে অনুষ্ঠিত ক্রিকেট বিশ্বকাপ রঙিন স্বপ্ন এঁকে দিল তরুণ প্রজন্মের বুকে, হৃতমান হকির বদলে তাঁরা হাতে তুলে নিতে শুরু করলেন ক্রিকেট ব্যাট ও বল। কলকাতা ময়দানের জাঁকজমকপূর্ণ হকি লীগ ক্রমশ রক্তাল্পতায় ভোগা শুরু করলো, একই কথা প্রযোজ্য বেটন কাপের মতো সর্বভারতীয় প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রেও। জগমোহন ডালমিয়ার মত প্রশাসকের হাত ধরে যখন ক্রিকেটে বিশ্বায়নের হাওয়া, ভারতীয় হকি কর্তারা তখন এস্ট্রোটার্ফের বদলে ঘাসের মাঠের রোম্যান্স আঁকড়ে বসে রইলেন। রঙিন চলচ্চিত্রের যুগে সাদা কালো ছায়াছবি যেমন দর্শক আনুকূল্যবঞ্চিত হয়, একই ভাবে কাদা মাঠের ম্যাড়ম্যাড়ে হকিও দর্শকদের আর আকর্ষণ করতে পারছিল না। আন্তর্জাতিক স্তরে সাফল্যের অভাব ভারতীয় হকির এই রক্তক্ষরণকে আরো বাড়িয়ে তুললো। এমনকি এশিয়ার মধ্যেও পাকিস্তান বা দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে বারবার হার স্বীকার করতে হচ্ছিল ভারতীয় দলকে।

cover

এই প্রেক্ষাপটে ২০১০ সালের কমনওয়েলথ গেমস অনুষ্ঠিত হল দিল্লিতে। এই একটা টুর্নামেন্টের আয়োজন এক ধাক্কায় কয়েক যোজন এগিয়ে দেয় এ দেশের ক্রীড়া পরিকাঠামোকে। ফলস্বরূপ লন্ডন (২০১২) অলিম্পিক গেমসে ভারত রেকর্ড সংখ্যক (ছটি) পদক পেতে সক্ষম হয়। রূপো পান শুটিংয়ে বিজয় কুমার এবং কুস্তিতে সুশীল কুমার, এছাড়াও ব্যাডমিন্টনে সাইনা নেহাল, বক্সিংয়ে মেরি কম, শুটিংয়ে গগন নারং এবং কুস্তিতে যোগেশ্বর দত্ত পেলেন ব্রোঞ্জ।

কিন্তু হকির পদক অধরাই রয়ে গেলো। ইতিমধ্যে পঞ্জাবের মনপ্রীত সিং, রুপিন্দার পাল সিং, হরমনপ্রিত সিং, হার্দিক সিং, দিলপ্রীত সিং, সমশের সিং, কেরালার শ্রীজেশ, ওড়িশার অমিত রোহিদাস ও বীরেন লাকরা, মণিপুরের নীলকান্ত শর্মা, হরিয়ানার সুরিন্দার কুমাররা অস্ট্রেলিয়ান গ্রেট রিক চার্লসওয়ার্থের প্রাক্তন সহকারী গ্রাহাম রিডের প্রশিক্ষণে বিশ্ব হকিতে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করার দিকে ধীরে কিন্তু নিশ্চিতভাবে এগোচ্ছিলেন। ২০১৮ সালে সাহারার বিদায়ের পর ভারতীয় হকি দলের স্পনসরশিপের দায়িত্ব নেয় ওড়িশা সরকার। ৫ বছরের জন্য ১৫০ কোটি টাকায় চুক্তি হয় হকি ইন্ডিয়ার সঙ্গে। ধীরে ধীরে ভুবনেশ্বরের কলিঙ্গ স্টেডিয়াম হয়ে ওঠে ভারতীয় হকির নয়া আঁতুরঘর।

সলতে পাকানো শুরু হয়েছিল আরো চার বছর আগে থেকেই। ২০১৪ সালে মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়কের রাজ্য সরকারের উদ্যোগে কলিঙ্গ লান্সার্স দল হকি ইন্ডিয়া লিগে অংশগ্রহণ করে। এই দলের কোচ হিসেবে নিযুক্ত হন ভারতের প্রাক্তন প্রশিক্ষক টেরি ওয়ালশ। আন্তর্জাতিক স্তরে ২০১৮ সালের হকি বিশ্বকাপ থেকে শুরু করে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি, হকি ওয়ার্ল্ড লীগ, প্রো লীগের একের পর এক খেলা হয়েছে পুনর্গঠিত কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে। এছাড়াও ২০২৩ সালের হকি বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে ভুবনেশ্বর ও রৌরকেল্লায়। এই টুর্নামেন্টের জন্য ওড়িশা সরকার ৯০ কোটি টাকা ব্যয়ে কুড়ি হাজার দর্শক আসনবিশিষ্ট একটি বিশ্বমানের স্টেডিয়াম গড়ে তুলছেন। এছাড়াও সুন্দরগড় জেলার ১৭টা ব্লকের প্রত্যেকটিতে একটা করে সিন্থেটিক হকি টার্ফ বসানোর উদ্যোগ নিয়েছেন তাঁরা।

এই নিবিড় পরিকল্পনার ফসল ফলতে শুরু করেছে ইতিমধ্যে। ২০১৪ সালের ইনচিওন এশিয়ান গেমসে ভারত চ্যাম্পিয়ন হয়, ২০১৬ ও ২০১৮ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে রানার্স আপ। এছাড়াও ২০১৮ সালের বিশ্বকাপ হকির কোয়ার্টার ফাইনালে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার পর নেদারল্যান্ডসের কাছে ভারত পরাজয় স্বীকার করে। আন্তর্জাতিক হকি ফেডারেশন ২০১৭ সালে বিশ্বের সেরা নয়টি দলকে নিয়ে প্রো লীগ শুরু করেছে। প্রথমবার অংশগ্রহণ না করলেও দ্বিতীয় বারে ভারতীয় দল এই হাই প্রোফাইল টুর্নামেন্টে অংশ নেয়। কোভিডের জন্য সব খেলা না হলেও এই টুর্নামেন্টে মনপ্রীত সিংয়ের নেতৃত্বে ভারতের ছেলেরা বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডস, অস্ট্রেলিয়া সহ সেরা দলগুলোর দিকে কড়া প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছুঁড়ে দেয়। ফলে এ বছরে টোকিও অলিম্পিকে ভারতের পুরুষ দলটিকে নিয়ে পদকপ্রাপ্তির একটা আশা ছিলই। গ্রূপ লিগে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৭-১ ফলে হারা ম্যাচটিকে বাদ দিলে প্রত্যেকটা ম্যাচে ভারতীয় দল জয়ী হয়। নিউজিল্যান্ড, স্পেন, জাপান, আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে গ্রূপে দ্বিতীয় হয়ে ভারত জায়গা করে নেয় শেষ আটে। এরপর কোয়ার্টার ফাইনালে গ্রেট ব্রিটেনকে ৩-১ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে সেমিফাইনালে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে ইতিহাসের পাতায় জায়গা করে নেন ভারতের ছেলেরা। গোটা দেশের প্রত্যাশার চাপ ঘাড়ে নিয়ে বেলজিয়ামের মুখোমুখি হয় তারা। বিশ্বের এক নম্বর দলের বিরুদ্ধে প্রথমে লড়াই গড়ে তুললেও শেষ কোয়ার্টারে বেদম হয়ে পড়েন মনদীপ, হার্দিক, সিমরনজিতরা। ৫-২ ফলে হেরে ব্রোঞ্জ মেডেল ম্যাচে এবার জার্মানির মুখোমুখি হয় তারা। শুরুতেই ১-৩ গোলে পিছিয়ে পড়লেও সিংহবিক্রমে ম্যাচে ফেরত আসে ভারতীয় দল। পরপর চারটে গোল করে এগিয়ে গেলেও জার্মানি একটি গোল শোধ করে দেয়। খেলা শেষ হওয়ার সাত সেকেন্ড আগে যখন গোটা দেশ পদকের আনন্দে উদ্বেল হয়ে উঠেছে, ঠিক তখনই আবার কহানি মে টুইস্ট। পেনাল্টি কর্ণার পায় জার্মান দল। কিন্তু গোটা টুর্নামেন্টের মত এবারেও প্রাচীর হয়ে দাঁড়ান গোলরক্ষক পি শ্রীজেশ। ডিফেন্ডারদের সঙ্গে নিয়ে জার্মান আক্রমণ রুখে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ৪১ বছর পর বিশ্বমঞ্চে ভারতীয় হকি দলের পদকপ্রাপ্তি নিশ্চিত হয়ে যায়।

একই সঙ্গে এবারের অলিম্পিকে রানী রামপালের নেতৃত্বে ভারতীয় মহিলা হকি দলও সেমিফাইনালে পৌঁছতে সক্ষম হয়। তীব্র লড়াইয়ের পর ব্রিটেনের কাছে এক গোলে হেরে পদক খোয়ালেও দেশবাসীর হৃদয় জিতে নিতে সক্ষম হয়েছেন সবিতা পুনিয়া, বন্দনা কাটারিয়া, নিকি প্রধান, গুরজিত কৌররা।

এই পারফরম্যান্সের পরে ভারতীয় পুরুষ দল বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে তিন নম্বর স্থানে উঠে এসেছে, মেয়েরা আট নম্বরে। সামনে ২০২৩ সালে নিজেদের দেশে হকি বিশ্বকাপ এবং ২০২৪ সালে প্যারিসে অলিম্পিক প্রতিযোগিতা। পারবে কি ভারত হকিতে তার হৃত সম্মান পুনরুদ্ধার করতে?

Copyright © 2021 - 2022 Shramajeebee Bhasha. All Rights Reserved.