বামপন্থা ও গণতন্ত্রের কথোপকথন

[রাজ্য]

[রাজ্য]

অতিমারি ও শিশুশ্রম

অতিমারি ও শিশুশ্রম

অভিজ্ঞান সেনগুপ্ত

photo

শ্রমজীবী ভাষা, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২১— সঞ্জয় রবিদাস মালদার হরিশচন্দ্রপুরের কনুয়া ভবানীপুর হাইস্কুলের ফার্স্ট বয়। লকডাউনে সংসারের হাল ধরতে জুতো সেলাইয়ের কাজে নেমে পড়তে হয়েছে সঞ্জয়কে। তার মা অন্যের বাড়িতে কাজ করে সংসার চালান। লকডাউনে সেই কাজও বন্ধ। বাবা নেই। অগত্যা হরিশ্চন্দ্রপুরের কনুয়া বাজারের মোড়ে জুতো সেলাইয়ের কাজ শুরু করেছে সে। এই মেধাবী ছাত্রকে এখনও সেই কাজ চালিয়ে যেতে হচ্ছে। তবে পড়াশোনা ছাড়েনি। এর মধ্যে উচ্চমাধ্যমিকের ফল বেরিয়েছে। ভাল রেজাল্ট করেছে সঞ্জয় রবিদাস।

তবে সবাই সঞ্জয় রবিদাস নয়। মালদার পঞ্চানন্দপুরের আসানুর সেখ কিংবা বাঙ্গীটোলার প্রভাত মন্ডলের সে সুযোগ হয়নি। বছর পনেরোর আসানুর, কিংবা একাদশ শ্রেণীর ছাত্র প্রভাত, দু'জনেই এখন লেখাপড়া থেকে শত যোজন দূরে। গরীব পরিবারের ছেলে, লকডাউনের মধ্যেই মুম্বাই থেকে বাস পাঠিয়েছিল মালিক, বাবা দাদার সঙ্গে ওরা দু'জনেই চলে গিয়েছে। তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী মনির হোসেন রাস্তাঘাটে পসরা সাজিয়ে মুখরোচক খাবার বিক্রি করছে।

কিংবা পারুল। মহাদেবপুরের পারুল মাহারা। ক্লাস ইলেভেনের ছাত্রী। গত বছর মাধ্যমিক পাশ করেছে। নিয়মিত কন্যাশ্রীর টাকাও পাচ্ছিল। তবুও পড়াশোনা বন্ধ করে মেয়ের বিয়ে দিয়ে দিলেন বাবা মা। অভাবের সংসার। ভাল পাত্র পাওয়া গেল, অতএব। লেখাপড়া, নিজের পায়ে দাঁড়ানো, পারুলের বাবা মা অত শত বোঝেন না। গাঁ গেরামে ঘরের মেয়েকে যত তাড়াতাড়ি পার করে দেওয়া যায়। অথচ একদিন নাইনের ক্লাসে পারুল বলেছিল সে নার্সদিদি হতে চায়।

সঞ্জয়, আসানুর, মনির, প্রভাত, পারুল ... নামের তালিকা দীর্ঘ। ইউনেস্কো-র সাম্প্রতিক হিসাব জানাচ্ছে, অতিমারিকালে সারা দেশে প্রায় ১৫ লক্ষ স্কুল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অন্তত ২৮ কোটি পড়ুয়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ জানাচ্ছে এই বছর সিসি-কম্পার্টমেন্টাল নিয়ে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা হওয়ার কথা ছিল ১৩ লক্ষের বেশি। কিন্তু দেখা গিয়েছে, মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য ফর্ম পূরণ করেছে ১০ লক্ষ ৭৯ হাজার ৭৪৯ জন। তাহলে বাকি দু' লক্ষাধিক পরীক্ষার্থী কোথায় গেল, যারা পরীক্ষার ফর্ম ফিলাপ করেনি? অতিমারিকালে আর্থ-সামাজিক দিক থেকে পিছিয়ে পড়া বিভিন্ন গোষ্ঠী আরও পিছিয়ে গিয়েছে এবং যাচ্ছে। বন্দী শৈশব-কৈশোর, স্কুলবিহীন, বন্ধুবিহীন জীবন ছাত্রছাত্রীদের মানসিকভাবে দুর্বল করছে, শিশুদের সামাজিক-আবেগগত শিক্ষা ব্যহত হচ্ছে। শারীরিক দূরত্ব সামাজিক দূরত্ব তৈরি করেছে। শিক্ষাক্ষেত্রে তৈরি হয়েছে নানান সংকট। অনলাইন শিক্ষার পক্ষে সওয়াল করছেন রাষ্ট্রনেতারা, নতুন শিক্ষানীতিতে। কিন্তু কত জন তার সুযোগ নিতে পারছে? ছাত্রছাত্রীরাও তাই ডিজিটালি ডিভাইডেড। এই 'ডিজিটাল ডিভিশন'-এর পিছনে আর্থিক সঙ্গতির প্রশ্ন যেমন রয়েছে, আছে দ্রুত গতির ইন্টারনেটের অভাব বা ইচ্ছার বিষয়টিও। অভিজ্ঞতায় দেখতে পাচ্ছি অতিমারিতে স্কুল বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা পড়াশোনায় অমনোযোগী হয়ে পড়েছে। শিশুদের পড়াশোনার ধারাবাহিকতা নষ্ট হচ্ছে। মালদার মতো প্রান্তিক, ভাঙ্গন অধ্যুষিত জেলায় এই বাস্তবতা আরও প্রকট। শিশুশ্রম বরাবরই এই জেলার বড় সমস্যা। অতিমারি তাকে জটিল করেছে।

এমনিতে সাধারণ সময়ে বিদ্যালয়ে উপস্থিতির নিরিখে জেলায় মেয়েদের উপস্থিতির হার ছেলেদের চেয়ে অনেক বেশি ও নিয়মিত। এমনকি রেজাল্টের ক্ষেত্রেও তাদের ফলাফল তুলনামূলকভাবে ভাল। বাস্তবে গ্রামাঞ্চলে, বিশেষ করে যেখানে আমি পড়াই, ছেলেদের দৈনিক উপস্থিতি পঞ্চাশ শতাংশও নয়, সেখানে মেয়েদের ক্ষেত্রে তা আশি শতাংশের বেশি। অতিমারি মেয়েদের আবার ঘরে ফেরৎ নিয়ে গিয়েছে। এখন তারা মায়ের সঙ্গে বাড়ির কাজ করে, রান্না শেখে, ভাই বোনদের রাখে, বিড়ি বাঁধে। আর পড়াশোনা? এখন গ্রামাঞ্চলেও টিউশন নির্ভর সমান্তরাল শিক্ষার রমরমা, অনেকেই সেখানে পড়ে, বাকিদের তাও নাই। জানা যায় এর মধ্যেই কয়েকজনের বিয়ে হয়ে গেছে। বিদ্যালয়ের মাধ্যমে যে নজরদারি চলত, তা অতিমারিতে সম্পূর্ণ বন্ধ।

অতিমারিতে সবচেয়ে সমস্যায় পড়েছে বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন শিশুদের শিক্ষা। মালদার মুচিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের এলাকার বছর দশেকের তানিশা পড়ে মঙ্গলবাড়িতে দৃষ্টিহীন ছেলেমেয়েদের আবাসিক বিদ্যালয়, ড. পি আর রায় মেমোরিয়াল ব্লাইন্ড স্কুলে৷ লকডাউনের পর থেকে তানিশা বাড়িতেই রয়েছে৷ তার মা দুলালি বিশ্বাস গৃহ পরিচারিকার কাজ করে৷ বাড়িতে একা থেকে তানিশার নানান মানসিক সমস্যা হচ্ছে। ইংরেজবাজারের বাগবাড়ি রাজনগর এলাকার নয় বছরের রিজান শেখ, লকডাউন শুরু হওয়ার পর বাড়িতেই থাকছে৷ সে এখন কথা বলা প্রায় বন্ধ করে দিয়েছে৷ এতদিন স্কুল থেকে যা শিখেছিল, সব ভুলে যাচ্ছে৷ পাশেই কাজিগ্রামে বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন শিশুদের স্কুল, অধিকার। তাদের অভিজ্ঞতা বলছে লকডাউন এই সব মানসিক ক্ষমতাসম্পন্ন শিশুদের মনের উপর অনেকটা প্রভাব ফেলেছে৷

photo

বেশ কয়েক বছর আগে পুরোনো স্কুলে যাতায়াতের পথে ফারাক্কায় প্রখর রোদে, খালি গায়ে ১০/১১ বছরের কয়েকটি শিশুকে হাতুড়ি দিয়ে পাথর ভাঙার কাজ করতে দেখে চমকে উঠতাম। কত শিশু যে আজও শিশুশ্রমিক হয়ে পাচার হয়ে যাচ্ছে চাষের ক্ষেত, গৃহ কাজ, ইট ভাটা, নির্মাণ কাজ, পাথর খাদানে, নানা কল কারখানায়। বাজি কারখানাতেও আগুনে পুড়ে কত শৈশব প্রায়শই আহত ও নিহত হচ্ছে তার কোনও হিসেব নেই। গত মাসেই পুণের একটি নির্মীয়মাণ টাওয়ার থেকে পড়ে মৃত্যু হয়েছে আমাদের এলাকার ১৭ বছরের এক কিশোরের। তার বাবা ও কাকা নির্মাণকর্মী। স্কুল বন্ধ থাকায় সে-ও কাজ করতে গিয়েছিল ওখানে। লকডাউন প্রান্তে থাকা সব শিশুদের আবার রাস্তায় নিয়ে যাচ্ছে। মালদার সুজাপুরে বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ কারখানায় আবর্জনা বাছাইয়ের কাজে যোগ দিয়েছে আশেপাশের গ্রামের অনেক শিশু। বেশিরভাগই লকডাউনে স্কুল বন্ধ হওয়ার পরে। এমন শিশু-কিশোর শ্রমিকের সংখ্যা গত দেড় বছরে বেশ কয়েক গুণ বেড়েছে। যে সময়ে স্কুলে থাকার কথা, তেমন অনেকেই ভ্যানে করে সবজি নিয়ে বাবার সঙ্গে শহরের পাড়ায় পাড়ায় ঘুরছে। জামলোর মতো কত শত শিশু বাধ্য হয়ে প্রতিদিন পাড়ি দিচ্ছে দেশ, দেশান্তরে, সস্তা শ্রম হিসাবে বাজারে যুক্ত হচ্ছে। একদিকে দালাল আর অন্যদিকে মালিকের শোষণযন্ত্রের মাঝখানে এইসব অগণিত শিশু পড়াশোনা ছেড়ে শ্রমিক হতে বাধ্য হচ্ছে। কারণ বেঁচে থাকার অন্য কোনও উপায় তাদের নেই।

আন্তর্জাতিক শ্রমসংস্থার (আইএলও) হিসাবে অতিমারিকালে বিশ্বজুড়ে শ্রমে নিযুক্ত শিশুর সংখ্যা বেড়ে প্রায় ৩২ কোটি। এদের মধ্যে ১০ বছরের কম বয়সী শিশুর সংখ্যা প্রায় ১৫ কোটি। বিশ্বের প্রতি ৬ জন শিশুর মধ্যে ১ জন শিশুশ্রমে যুক্ত। শিশুদের জীবন, আশা-আকাঙ্ক্ষা ও ভবিষ্যতের ওপর কোভিড অতিমারি বিশেষ নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। স্কুল বন্ধ ও পরিবারের আয় কমে যাওয়ায় অনেক শিশুর জন্য শ্রমে যুক্ত হওয়া এবং বাণিজ্যিকভাবে যৌন নিপীড়নের শিকার হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি, শিশুরা যত বেশি সময় স্কুলের বাইরে থাকবে তাদের আবার স্কুলে ফেরার সম্ভাবনা ততটাই কমে যাবে। (ইউনিসেফ রিপোর্ট, ২০২০)। এমনকি যখন পুনরায় ক্লাস শুরু হবে তখন হয়ত অনেক বাবা-মায়ের তাদের সন্তানদের স্কুলে ফেরানোর সক্ষমতা থাকবে না। ফলশ্রুতিতে আরও অনেক শিশু বঞ্চনামূলক ও ঝুঁকিপূর্ণ কাজে যোগ দিতে বাধ্য হবে। লিঙ্গ বৈষম্য আরও তীব্র হতে থাকবে। প্রতীচী ট্রাস্টের ৭২ পাতার সাম্প্রতিক রিপোর্টেও এই রাজ্যেরও একই চিত্র দেখতে পাই।

আরেকটি সমীক্ষা রিপোর্ট এই সমস্যায় প্রাসঙ্গিক, রাইট টু এডুকেশন ফোরাম ও ক্যাম্পেইন এগেইনস্ট চাইল্ড লেবার (CACL) পশ্চিমবঙ্গের ১৯টি জেলার ২১৫৪ জন ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে সমীক্ষাটি চালায়, অতিমারিকালে শিশুদের উপর প্রভাব বোঝা সমীক্ষাটির উদ্দেশ্য। যেটা পাওয়া গেছে, তা খুবই উদ্বেগের। সারা রাজ্যে লকডাউনের সময় স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে শিশুশ্রমিকের সংখ্যা গড়ে প্রায় ১০৫% বৃদ্ধি পেয়েছে, যার মধ্যে মেয়েদের সংখ্যা বেশি (মেয়ে ১১৩%, ছেলে ৯৪.৭%)। ৬-১০ বছরের বয়ঃসীমায় শিশুশ্রমিকের হার কমলেও, ১০-১৪ এবং ১৪-১৮ বছরের বয়ঃসীমায় শিশুশ্রমিকের সংখ্যা কিন্তু ক্রমবর্দ্ধমান। সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে ১৭% ছেলেমেয়ে দিনে দুটো বা একটি বেলা খাবার খেয়ে থাকে। মাত্র ৩৭.৫% শিশুর অনলাইনে পাঠগ্রহণ সম্ভব হচ্ছে। ৪২টি বাল্যবিবাহের সন্ধান পাওয়া গেছে। প্রায় ৮ শতাংশ ছাত্রছাত্রীর আভিভাবক স্বীকার করেছেন তারা নিশ্চিত নন যে তার সন্তানের লেখাপড়া চালিয়ে যেতে পারবেন। ১১ শতাংশ ছাত্রছাত্রী আবার স্কুল শুরু না করার কথা বলেছে। প্রসঙ্গত, চাইল্ড অ্যান্ড অ্যাডোলেসেন্ট লেবার (প্রহিবিশন অ্যান্ড রেগুলেশন) অ্যাক্ট অনুযায়ী, ১৪ বছরের কমবয়সি কাউকে দিয়েই কাজ করানো যায় না। ১৪ থেকে ১৮ বছর বয়সিরা কিছু ক্ষেত্রে কাজে যোগ দিতে পারলেও একাধিক বিধিনিষেধ রয়েছে। অথচ বাস্তবে এই আইনের কোনও প্রয়োগ দেখা যায় না। রাষ্ট্রও উদাসিন।

ফিরে আসি সঞ্জয় রবিদাস, লাদন কিংবা ফতিমার গল্পে। ওদের সবার নামই কোনও না কোনও স্কুলের খাতায় নথিভুক্ত আছে। সরকারি হিসাবে প্রায় একশ শতাংশ এনরোলমেন্ট। ওটুকুই। অবশ্য তার জন্য মিড ডে মিল’টা পায়। বই-খাতা, স্কুল ড্রেস, সাইকেল কিংবা জলপানি। পেটে খেলে মগজে সয় - কথাটিকে গুরুত্ব দিয়ে লেখাপড়ার সঙ্গে পুষ্টিকে জুড়ে দেওয়া হয়েছে, পড়াশোনা চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আর্থিক অনুদানের ব্যবস্থা হয়েছে ... বিশেষ করে মেয়েদের বা সামাজিকভাবে পিছিয়ে পড়া অংশের ছাত্রছাত্রীদের, এমনকি পড়াশোনা শেষ করে মেয়েদের বিয়ের দায়িত্বও সরকার নিতে রাজি। কল্যাণকর রাষ্ট্রের সরকার সমস্ত ছাত্রছাত্রীকে একটি সবল সমর্থ নাগরিক হিসাবে গড়ে নিতে চাইবে, এতে কোনও ভুল নাই। কিন্তু যে পুষ্টি নিয়ে এতো মাথাব্যাথা, যে কারণে একটা বড় অংশের প্রান্তিক ছাত্রছাত্রী স্কুলছুট হয়, সেই প্রকল্পের ছাত্রছাত্রী পিছু বরাদ্দ দেখলে ভুবনদার মতো আজীবন শান্ত মানুষটিও রেগে উঠতে বাধ্য। প্রাথমিক স্তরে একজন পড়ুয়া পিছু দৈনিক বরাদ্দ মাত্র ৪ টাকা ৪৮ পয়সা, উচ্চ প্রাথমিকে ৬ টাকা ৭১ পয়সা। অথচ দিতে হবে ডিম, সবজি, সয়াবিন, ডাল, সঙ্গে জ্বালানির খরচ যা এখন গ্যাসের সিলিন্ডার, দু' দিনে একটা করে। শেষ দশ বছরে মিড ডে মিলের বাজেট বরাদ্দ মোট বাজেটের ৪.৪৫ শতাংশ (২০০৮-০৯) থেকে কমে ২০১৯-২০ তে বাজেটের ৩.২৯ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে। অতিমারিতে অবশ্য রান্না করা খাবার বন্ধ, যে চাল আলু সোয়াবিন পাওয়া যায় মাসে একবার, তা পরিবারের সবার মধ্যে ভাগ হয়ে যায়। শিশুর পর্যাপ্ত পুষ্টিলাভ হয় না। অবশ্য রাষ্ট্রের অর্থ বাঁচে। শিশুদের ঘিরে তৈরি হওয়া প্রকল্পগুলি, বিশেষ করে কন্যাশ্রীর মতো বহু বিজ্ঞাপিত প্রকল্পের পরেও ২০১৮-১৯ সালের ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেলথ সার্ভের রিপোর্টে পশ্চিমবঙ্গে ১৫-১৯ বছরের মেয়েদের বিবাহের হার ২৫.৯%। এবং এই রাজ্য এক নম্বরে।
তথ্য অনেক কথাই বলে। আবার বলেও না। তথ্যের বাইরেও যে বাস্তবতা, তাও বড় ভয়ানক। চিন্তাজনক। লকডাউন এবং অতিমারির দাপটে বন্ধ স্কুল, শিশুর অধিকার এবং সুরক্ষা বিপন্ন।

প্রতিকারের পথটা কঠিন, তার জন্য রাষ্ট্রকে আরোও সক্রিয় ও মানবিক হতে হবে। দায়িত্ব নিতে হবে নাগরিক সমাজকেও। শিশুদের ক্লাসরুমে ফেরানোটা এই মুহুর্তে সব চেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ৷

Copyright © 2021 - 2022 Shramajeebee Bhasha. All Rights Reserved.