বামপন্থা ও গণতন্ত্রের কথোপকথন

[রাজ্য]

[রাজ্য]

এক ছাত্র, দুই স্কুল: পথ কী?

এক ছাত্র, দুই স্কুল: পথ কী?

অম্লান বিষ্ণু

photo

শ্রমজীবী ভাষা, ১৬ মে, ২০২২— কোভিডের কারণে দু'বছর বন্ধ থাকার পরে এ বার স্কুল খুলেছে। এমনই এক কাজের দুপুরে একজন মা আধামফস্বলের একটি সরকারি প্রাথমিক স্কুলের হেডমাষ্টারের কাছে এসে পৌঁছলেন তাঁর সন্তানের ট্রান্সফার সার্টিফিকেট চাইতে। শিশুটি এই স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়ে। পাশাপাশি এলাকার একটা প্রাইভেট স্কুলেও ভর্তি হয়েছিল।
এমন দুটো স্কুলে ভর্তি হওয়ার ক্ষেত্রে এত দিন পর্যন্ত কার্যত কোনও অসুবিধা ছিল না। বরং গ্রাম ও আধামফস্বলে এ সব আকছার হয়ে থাকে শেষ কয়েক বছরে রাজ্য সরকারের শিক্ষাদপ্তরের তৈরি 'বাংলারশিক্ষা' পোর্টালে প্রতিটি শিশুর যাবতীয় তথ্য সরকারি স্কুলকে আপলোড করতে হতো ঠিকই কিন্তু বেসরকারি স্কুলের ক্ষেত্রে এই সমস্যা ছিল না। তাই, দুটি স্কুলে ভর্তি থাকার বিষয়টি নিয়ে কোথাও স্বীকার না করলে অভিভাবককে খুব একটা ঝামেলা পোহাতে হত না। কিন্তু এ বছর থেকে বেসরকারি স্কুলগুলিকেও 'বাংলার শিক্ষা' পোর্টালে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আর সেখানেই বেধেছে বিপত্তি। এত দিন বেশ কিছু গ্রামীণ ও আধামফস্বল এলাকায় 'এক শিক্ষার্থী ও দুই স্কুলের গপ্পো'-টা বেশ গা-সওয়া হয়ে গেছিল। কিন্তু এবার সেখানেই ঘোরসমস্যা।
বেসরকারি স্কুল কর্তৃপক্ষ পোর্টালে শিশুর নাম, জন্মতারিখ, আধার কার্ড নম্বর, অভিভাবকের নাম ইত্যাদি ইত্যাদি তুলতে গিয়ে দেখছেন, তাঁদের শিক্ষার্থীদের বেশ কয়েকজনের নাম ইতিমধ্যেই পোর্টালে তোলা আছে। অর্থাৎ তারা আগে থেকেই কোনও না কোনও সরকারি প্রাথমিক স্কুলে ভর্তি হয়ে আছে। ওই স্কুল যদি বাচ্চাটিকে পোর্টালের মাধ্যমে বদলি না করে দেয়, তা হলে তাকে আর নতুন স্কুলের পোর্টালে যুক্ত করা যাবে না। সেই কারণেই ভরদুপুরে রান্নাবান্না প্রায় শিকেয় তুলে ওই মায়ের ট্রান্সফার সার্টিফিকেট চাইতে সরকারি স্কুলে ছুটে আসা।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, সন্তানকে দু'টো স্কুলে ভর্তি রাখার কারণ কী? আর কেনই বা প্রাইভেটে ভর্তি করার পরেও এদের সরকারি স্কুলে ভর্তি করা হল? এর কারণ খুঁজতে গিয়ে বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য তথ্য উঠে এল। কেউ কেউ মনে করেন, জীবনের শুরুতেই বাচ্চার ভিত শক্ত করতে তাকে কড়া অনুশাসনে রাখতে হবে। ইংরেজিটা অন্তত খুব ভাল করে শিখতে হবে। নিয়মিত অনেকটা হোমওয়ার্ক দিয়ে তাকে বেশ চাপে রাখতে হবে। কঠিন কঠিন পরীক্ষায় পাশ করে পোক্ত হয়ে উঠতে হবে। আর এইসব প্রক্রিয়ায় শিশুটিকে সড়গড় করে তুলতে হলে তাকে অবশ্যই প্রাইভেট স্কুলে ভর্তি করা জরুরি! অন্তত প্রাথমিক স্তরের ক্ষেত্রে। কারণ সরকারি স্কুলে একেবারেই তা করার কথা না। প্রাথমিকের লেখাপড়া শেষ হলে বাচ্চাটিকে না হয় আবার সরকারি হাই স্কুলে ভর্তি করা যাবে। সে ক্ষেত্রে বেসরকারি স্কুলের ট্রান্সফার সার্টিফিকেট দেখে কি সরকারি হাই স্কুল তাঁদের সন্তানকে ভর্তি নেবে? এই ব্যাপারে তাঁরা দ্বিধাগ্রস্ত, তাই ঝুঁকি না নিয়ে বেসরকারির পাশাপাশি একটি সরকারি স্কুলেও বাচ্চাটিকে ভর্তি করে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া। আবার তাঁদের সন্তান ধোপদুরস্ত পোষাক ও টাই পরে কাঁধে রঙিন ব্যাগ ঝুলিয়ে স্কুলের নাম লেখা সাইকেল-ভ্যানের খাঁচায় বসে প্রতিদিন (প্রাইভেট স্কুলটির ব্যবসায় রমরমা থাকলে সাইকেল-ভ্যানের পরিবর্তে কোথাও মারুতি ভ্যান বা মিনিবাসও আছে) স্কুলে যাচ্ছ, এই দৃশ্যসুখও প্রাইভেট স্কুলে দেওয়ার একটা কারণ। কিন্তু বাচ্চা বেসরকারি স্কুলে পড়ছে জানাজানি হলে সে এবং গোটা পরিবার নানান সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত হতে পারে, তাই যা হোক করে কোনও না কোনও সরকারি স্কুলে তাকে ভর্তি করে রাখা দরকার, এমন মনগড়া ভাবনাও রয়েছে অনেকেরই। এখানে আবার আরেক পক্ষও আছেন। তাঁরা ভাবছেন, আপাতত সরকারি, বেসরকারি দুটো স্কুলেই ভর্তি করে রাখা যাক না! পরে না হয় সুযোগ-সুবিধা বুঝে কিছু একটা সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে! এঁরা খুব সাবধানী, তাই সব ধরনের বাঁধ বেঁধে রেখেছেন। আসলে বাজারি জৌলুসই যে মানুষের চিন্তা ভাবনাকে ক্রমেই গ্রাস করে ফেলছে সে কথা বলার অপেক্ষা রাখে না। এই শিক্ষার্থীরা দুটো স্কুলে কতটা মানিয়ে নিতে পারছে? বিশেষত, দুটো স্কুলে তাদের হাজিরা কী ভাবে সম্ভব হচ্ছে? প্রথম প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে, এরা দুটো স্কুলে হাবুডুবু খাচ্ছে। বেসরকারি স্কুলের চাপে এমনিতেই তাদের দিশাহারা অবস্থা, আবার উল্টোদিকে সরকারি স্কুলে এরা একেবারেই সমাজচ্যুত। শিক্ষিকা-শিক্ষকরা ততটা বুঝতে না দিলেও, সহপাঠীরা কিন্তু এদের অস্তিত্বকে খুব একটা স্বীকার করে না। এর কারণ হল, এই শিক্ষার্থীরা সাধারণত বেসরকারি স্কুলেই বেশির ভাগ দিন উপস্থিত থাকে। শুধু সপ্তাহের একটা বা দুটো দিন তারা সরকারি স্কুলে আসে। তাই সহপাঠীদের সঙ্গে এদের পরিচিতিটাও একপ্রকার হয়ে ওঠে না। ফলে প্রার্থণাক্ষেত্র, ক্লাসঘর থেকে খেলার মাঠ –সর্বত্রই এরা ব্রাত্য থেকে যায়। সুতরাং সরকারি স্কুলটার প্রতি তাদের ভালবাসাই গড়ে ওঠে না। কিন্তু এখানেও তাদের মূল্যায়নে অংশ নিতে হয় অনিচ্ছাসত্ত্বেও।
এ ভাবেই ইদুরদৌড়ে সামিল হতে হতে যে প্রতিদিনই রক্তাক্ত হচ্ছে শৈশব, তার খবর রাখার দায় ঝেড়ে ফেলার প্রতিযোগিতা চলতে থাকে যেন! এই প্রসঙ্গে আরো একটা জরুরি প্রশ্নও এসে যায়: সরকারি স্কুলের শিক্ষিকা বা শিক্ষকরা এ ব্যাপারে কি কিছুই জানেন না? হ্যাঁ, নিশ্চয়ই জানেন। অনেক স্কুল ভর্তির সময়েই এই বিষয়ে অভিভাবকদের সতর্ক করে দিয়ে থাকে। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে শিক্ষার্থী কমে যাওয়ার ঝুঁকি স্কুল কর্তৃপক্ষ নিতে চান না বলে বিষয়টিকে এড়িয়ে যান। আবার চাইলেও তো ওই বাচ্চাটিকে তাড়িয়ে দেওয়া যায় না। প্রথমত, স্কুলে নিয়মিত উপস্থিত না হওয়ার কারণে কোনও বাচ্চাকেই স্কুলে আসা বন্ধ করতে বলার আইন নেই। দ্বিতীয়ত, এখন যে কোনও সরকারি স্কুল থেকে শিক্ষার্থীকে ট্রান্সফার সার্টিফিকেট দেওয়ার আগে তাকে 'বাংলার শিক্ষা' পোর্টালে গিয়ে 'ট্রান্সফার আউট' করতে হয়। তারপর ডিজিটাল সার্টিফিকেট ডাউনলোড করে তাকে দেওয়া হয়। সেক্ষেত্রে ওই বাচ্চাটি যে স্কুলে ভর্তি হচ্ছে তারা তাকে ওই পোর্টালের মাধ্যমেই 'ট্রান্সফার ইন' করে ভর্তি নেবেন। যদি তা না করা হয় তাহলে শিক্ষার্থীর নথি পোর্টালের ড্রপবক্সে পড়ে থাকে। বেশ কিছু দিন ধরে সেটা পড়ে থাকলে, শিক্ষাদফতর বাচ্চাটির বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে খোঁজখবর শুরু করে। সংশ্লিষ্ট স্কুলকেই খোঁজ নিয়ে জানাতে হয় সেই বাচ্চাটি এখন কোথায় আছে। যেহেতু বেসরকারি স্কুলে এতদিন পোর্টালের বিষয় ছিল না ফলে সেই স্কুলগুলোতে ভর্তি থাকার কারণে কোনও বাচ্চাকে টি.সি. দেওয়াটা খুবই অসুবিধার ছিল। সুতরাং, সব কিছু জেনেও সরকারি স্কুল কর্তৃপক্ষকে তাই চুপ করেই থাকতে হতো বেশির ভাগ ক্ষেত্রে। তবুও সব সময়েই যে তাঁরা নিয়মের কথা ভেবে চুপ করে থাকেন তাও নয়। অনেকেই সব কিছু জেনেও এটাকে ভবিতব্য হিসেবে মেনে নিয়েছিলেন দিব্যি। তবে শহুরে বা অগ্রণী মফস্বলিদের বেশ বড় অংশের ক্ষেত্রে অবশ্য ব্যাপারটা সম্পূর্ণই আলাদা। তাঁরা সব কিছু বুঝে নেন নিজের মতো করে। সুতরাং এক সঙ্গে দুটো স্কুলে ভর্তির সমস্যা সেখানে প্রায় নেই বললেই চলে।
বেশ কয়েক বছর আগেও এখানকার কচিকাঁচাদের লেখাপড়ার একমাত্র ভরসার জায়গা ছিল সরকারি স্কুল। ধীরে ধীরে ভাবনার বদল আসছে প্রত্যন্ত এলাকাগুলোতেও। যদিও বা এতদিন লুকিয়ে-চুরিয়ে প্রাইভেট স্কুলে যাওয়ার রেওয়াজ ছিল।
সরকারের সাম্প্রতিক সাধারণ শিক্ষা পোর্টালের সিদ্ধান্ত বাড়তি জট তৈরি করেছে –অনেক অভিভাবকই নিজেদের বাচ্চাদের সরকারি স্কুল থেকে সরিয়ে নেবেন – পুরোপুরি প্রাইভেটের দিকে ঝুঁকবেন। প্রাথমিক শিক্ষকদের একাংশ মনে করছেন, এ বারে শিক্ষার্থীর অভাবে ভুগতে হবে গ্রামীণ এলাকার অনেক স্কুলকেও। সরকারের এই সিদ্ধান্ত নীতিগত বা রাজনৈতিক ভাবে কতখানি ঠিক বা ভুল সেটা নিয়ে নিশ্চয়ই তর্কের অবকাশ আছে।
তবে একটা প্রশ্ন, সরকারি স্কুলগুলিও কি অভিভাবকদের আস্থাভাজন থাকতে পেরেছে? সরকারি স্কুলে লেখাপড়া হয় না, এই বিশ্বাসটা অভিভাবকদের মনে গেঁথে দেওয়ার পিছনে বাজারের অবদান যতখানি তার চেয়ে বেশি দায়িত্ব শিক্ষাব্যবস্থার। পাঁচ বছর স্কুলে পড়ার পরও যখন অনেকের বা কারো কারো অক্ষর পরিচয়ও ঘটে না, তখন অনাস্থা জন্মানো স্বাভাবিক। এ নিয়ে বিভিন্ন সমীক্ষায় অনেক আলোচনা হয়েছে। সেগুলো থেকে যা বেরিয়ে আসে তা হল, সরকারি নীতির প্রণয়ণ ও রূপায়ণে অবাস্তবতার সঙ্গে যোগ হয়েছে শিক্ষকদের একাংশের নিষ্ঠাহীনতা। স্কুল যে সেই গ্রামেরই একটা অবিচ্ছেদ্য অংশ, এই আপ্তবাক্যটি কি শিক্ষিকা-শিক্ষকরা সব ক্ষেত্রে বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করেছেন? স্কুলের বাচ্চাগুলো তো তাঁদেরই, সুতরাং সরকারি ব্যর্থতার কথা ভেবে কেবল বসে থাকা চলে না, বরং স্কুলসংলগ্ন এলাকাবাসীকে একত্রিত করে একসঙ্গে এগিয়ে চলা যেতে পারে কিনা সেটাও তো যথেষ্ট ভাববার বিষয় তাই নয় কি? দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি যে বহু প্রাথমিক শিক্ষক নিজের বাচ্চাটিকে সরকারি স্কুলে ভর্তির সততাটুকুও দেখাতে পারেন না! যদিও বেশ কিছু সরকারি শিক্ষক অত্যন্ত আন্তরিকতা ও দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে চলেছেন। তাই অনেক ব্যর্থতার মাঝেও বেশ খানিকটা সম্ভাবনা আছে।
আশার আলো আছে, যদি সরকারি নীতি গতি বদলায়। কিন্তু, তার খুব একটা আশা দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না। কোভিড কালে বাচ্চাদের লেখাপড়ার যে বিরাট ক্ষতি হয়ে গেল, তা নিয়ে, সরকারের চিন্তাভাবনা সম্পর্কে জনসাধারণ অবগত ছিলেন না। আবার যদিও বা স্কুল খুলল, আবহাওয়ার পরিবর্তনের অজুহাতে সেগুলোকে আবার বন্ধ করে দেওয়া হল। যখন নাকি স্কুলগুলো সবে গতি পাচ্ছিল, শুকনো ডালে পাতা গজাতে শুরু করেছিল, তখনই বন্ধ করে দেওয়া হল জলসিঞ্চনের ধারাটা – এমনিতেই যেটা সরু, দুর্বল। কেন্দ্র সরকারের জাতীয় শিক্ষানীতিতেই শিক্ষাকে প্রায় অস্থায়ী ব্যবস্থার দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। এমনকি আমাদের রাজ্য সরকারও সরকারি শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে ঠিক কী ভাবতে চাইছে, তা স্পষ্ট নয়। এই প্রসঙ্গে বলে রাখা দরকার, এই দেড় দশকেই কেবল শিক্ষাব্যবস্থাকে লাটে তুলে দেওয়া হচ্ছে, এমন ভাবনার কোনও কারণ নেই।শিক্ষাব্যবস্থার উন্নতিতে নিরন্তর গবেষণা চলা প্রয়োজন ঠিকই, কিন্তু আমাদের দেশ এবং রাজ্যে স্বাধীনতার পর থেকেই শিক্ষাব্যবস্থাকে গিনিপিগ হিসেবে ভাবা হয়েছে। যখন যা খুশি পরীক্ষা-নিরীক্ষার নামে চাপিয়ে দেওয়া হল। আবার তার কিছু দিন পরেই সেটা বেমালুম গায়েব হয়ে গেল— এই প্রহসন চলেই আসছে। এমনকি এই বিষয়ে শিক্ষিকা-শিক্ষকদেরও কিছুই করার থাকে না।
মসৃণভাবে স্কুল চালানোর জন্য ন্যূনতম সরকারি সদিচ্ছা থাকাটা খুবই জরুরি। কিন্তু এ বছর থেকেই প্রতিটি প্রাথমিক স্কুলের বার্ষিক অনুদানের জন্য যে অর্থ বরাদ্দ করা হয় তা প্রায় ৩০ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। যা অত্যন্ত অযৌক্তিক এবং চূড়ান্ত অবহেলারই নামান্তর! মিড ডে মিলের জন্য বরাদ্দ অর্থ, প্রয়োজনের তুলনায় প্রায় অর্ধেক। সেই অবহেলায় শেষতম সংযোজন হল অপরিকল্পিত, লম্বা গ্রীষ্মের ছুটি! প্রশ্ন হচ্ছে, সাংবিধানিক অধিকার রক্ষার দায় কি কেবল সরকার বা শিক্ষকের? নাকি অভিভাবক বা নাগরিকেরও? অধিকার-বঞ্চনাও কি আমরা মনে না নিয়ে কেবল মেনেই নেব? মুক্তমনে এই প্রশ্নগুলির উত্তর খোঁজা জরুরি। পাশাপাশি ভাবতে হবে, বাজার বা কর্পোরেট-নিয়ন্ত্রিত চোখধাঁধানো ব্যবস্থায় আলোর পথ খুঁজে পাবে তো আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম? সরকার ভুল করতে পারে, কিন্তু সেই ভুলটাকে ধরিয়ে দেবে কে? ভেবে দেখব না?

Copyright © 2021 - 2022 Shramajeebee Bhasha. All Rights Reserved.