বামপন্থা ও গণতন্ত্রের কথোপকথন
[রাজ্য]
পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের যে ফল পাওয়া গেল, তার চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো— যে ফল হতে পারত, হওয়ার আশঙ্কা ছিল, কিন্তু হয়নি। একক দল হিসেবে তৃণমূল কংগ্রেসের দুই-তৃতীয়াংশ আসন, নরেন্দ্র মোদি শাসিত ভারতীয় জনতা পার্টির পৌনে একশো বিধায়ক এবং রাজ্য বিধানসভা থেকে বামপন্থীদের অন্তর্ধান— এই তিনটি অভূতপূর্ব ঘটনার ত্র্যহস্পর্শ অবশ্যই বড় রকমের উদ্বেগের কারণ। কিন্তু বিজেপির বঙ্গবিজয়ের যে ঘনঘটা ক্রমশ আমাদের আতঙ্কিত করে তুলেছিল, তা সত্য হলে মানতেই হত যে— অমর্ত্য সেনের ভাষায়— আমরা একেবারে গ্র্যান্ড ক্যানিয়নের তলায় পড়ে গেছি। পরিস্থিতি যা দাঁড়িয়েছে সেটা যত চিন্তারই হোক না কেন, এখনও আমরা সেই অতলে পৌঁছইনি। খাদের ধারেই আছি, তবে পড়িনি, বরং হয়তো-বা দু’কদম পিছিয়ে আসতে পেরেছি। এবং, আর কিছু না হোক, একটু সময় পেয়েছি নিজেদের সামলে নিয়ে ও সংহত করে অন্য পথে এগোনোর। সেটা স্বর্গের পথ না হোক, অন্তত নরকের পথ নয়।
এই পরিপ্রেক্ষিতেই বামপন্থী রাজনীতির ভবিষ্যতের কথা ভাবা দরকার। নির্বাচনের পাটিগণিতকে একমাত্র মাপকাঠি করলে বামপন্থী দলগুলি নিঃসন্দেহে বিপর্যয়ের সম্মুখীন। সেই পাটিগণিতকে তুচ্ছ করা ঠিক নয়, কিন্তু বামপন্থী রাজনীতির সমস্যা ও সম্ভাবনার আলোচনাকে একমাত্র ওই অঙ্কের মাপকাঠিতে বেঁধে রাখার কোনও যৌক্তিকতা নেই। বরং এই রাজ্যে বামপন্থী রাজনীতির নতুন পর্ব এ-বার শুরু হতে পারে। কোনও নাটকীয় ‘শেষ থেকে শুরু’ অর্থে নতুন পর্ব কথাটা বলছি না, বলছি এই ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটেই যে, বামপন্থা চিরকাল সঙ্কটের মধ্যে থেকেই নিজের পথ খুঁজেছে এবং এগিয়ে গেছে। সেই সন্ধানের পক্ষে এই মুহূর্তের পশ্চিমবঙ্গ খুবই উপযুক্ত পরিসর।
গোটা দেশের মতোই, বস্তুত বৃহত্তর দুনিয়ার বহু এলাকার মতোই, এই রাজ্যেও বামপন্থী রাজনীতির লক্ষ্য এখন কী হওয়া উচিত, তা নিয়ে বিশেষ সংশয়ের অবকাশ নেই, লক্ষ্যটা সুস্পষ্ট এবং কার্যত তর্কাতীত। যদি এক বাক্যে বলতে হয় তবে সেটা হলো শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের লক্ষ্য, সেই পথে এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য। প্রশ্নটা লক্ষ্য অর্জনের পথ নিয়ে, সেই পথে এগোনোর জন্য কোন রণনীতি নেওয়া দরকার, সম্ভাব্য বাধাবিপত্তির সঙ্গে যুঝতে কী ধরনের পরিকল্পনা করা দরকার, সর্বোপরি বহু ধরনের বহু পরিচিতির বহু মতের শ্রমজীবী ও বৃহত্তর বর্গের মানুষকে— তাঁদের বিভিন্নতা, বৈচিত্র এবং এমনকি পারস্পরিক দ্বন্দ্বকে অস্বীকার না করেই— সঙ্গে আনার জন্য সংগ্রামের রূপরেখা কী ভাবে নির্ধারণ করা দরকার, সেগুলোই এখন আমাদের বামপন্থী রাজনীতির প্রধান চিন্তাভাবনা ও কাজের বিষয় হওয়া উচিত।
গত এক বছরে, বিশেষত গত কয়েক মাসে, এক দিকে অভূতপূর্ব দুর্যোগ এবং অন্য দিকে অস্বাভাবিক এক নির্বাচন, এই দুইয়ের মধ্যে দিয়ে বামপন্থীরা এই চিন্তা ও কাজের পথে বেশ কিছু পদক্ষেপ করেছেন, কিছু সামর্থ্য অর্জন করেছেন এবং কিছু সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। এ বার সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে প্রতিস্পর্ধী রাজনীতিকে তীব্র ও বলিষ্ঠ ভাবে গড়ে তোলার দায়িত্ব তাঁদের সামনে। এই কাজ কেবল জরুরি নয়, অত্যাবশ্যক এবং অপরিহার্য। নির্বাচনী ব্যর্থতা এবং তার অন্তর্নিহিত রাজনৈতিক বাস্তব নিশ্চয়ই সেই কাজটিকে কঠিনতর করে তুলেছে, কিন্তু তার প্রয়োজন এক বিন্দুও কমেনি। শুধু তা-ই নয়, এই ব্যর্থতাই আবার— দ্বান্দ্বিকতার অমোঘ নিয়মে— কাজটি কী ভাবে করা দরকার সে বিষয়ে আমাদের ভাবতে সাহায্য করবে।
সেই ভাবনার প্রথম শর্ত হলো বাস্তব পরিস্থিতির যথার্থ পর্যালোচনা। এটা কোনও নতুন কথা নয় যে, বামপন্থী
রাজনীতির বড় কাজ তার নিজের অভিজ্ঞতাকে বারংবার যাচাই করে দেখা। সমকালীন পশ্চিমবঙ্গের পরিপ্রেক্ষিতেও সেটা অত্যন্ত জরুরি। এবং এখানে একটা কথা বিশেষ ভাবে বলা দরকার। আমরা অনেক সময় ভুলে যাই, ব্যর্থতার পাশাপাশি সাফল্যের অভিজ্ঞতাও মূল্যবান, কারণ তা আমাদের সম্ভাবনার স্বরূপটিকে বুঝতে সাহায্য করে। পশ্চিমবঙ্গে বামপন্থার এই সঙ্কটের মধ্যেও তেমন সম্ভাবনা রয়েছে। যে কথা বহু বার বলা হয়েছে, তা নিয়ে শব্দ খরচ করার আর কোনও প্রয়োজন নেই, শুধু এইটুকু উল্লেখ করলেই চলবে যে, পশ্চিমবঙ্গের বামপন্থী রাজনীতিতে একটা প্রাণের সাড়া আমরা গত কয়েক মাসে পেয়েছি, যা অনেক দিন পাওয়া যায়নি। এক দিকে তরুণ প্রজন্মের প্রার্থীদের ও তাঁদের ঘিরে বহু তরুণতরুণীর নির্বাচনী প্রচার, অন্য দিকে বিপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়াতে তরুণ প্রজন্মের এবং তাঁদের পূর্ব প্রজন্মেরও বহু মানুষের আক্ষরিক অর্থে ঝাঁপিয়ে পড়ে অক্লান্ত কাজ করে চলার দৃশ্যগুলিকে আজ আর অতি বড় নেতিবিলাসীও অন্তত মনে মনে অস্বীকার করতে পারবেন না। এ যে এক ধরনের সামাজিক জাগরণ, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। তার পরিধি হয়তো সীমিত, কিন্তু গুরুত্ব সীমিত নয়।
কিন্তু এই জাগরণ যে নির্বাচনী প্রতিযোগিতার রাজনীতিতে প্রত্যক্ষ কোনও ছাপ ফেলতে পারেনি, নির্বাচনের ফলাফলে সেটা পরিষ্কার হয়ে গেছে। কেন এমন হলো, তা নিয়ে অনেক কথাই ইতিমধ্যে হয়েছে, আরও অনেক হবে, তার পুনরাবৃত্তি নিষ্প্রয়োজন। কেবল বিস্তর বিচার-বিশ্লেষণের ভিড়ে একটা প্রাথমিক কাণ্ডজ্ঞানের কথা প্রাপ্য গুরুত্ব পাচ্ছে না বলেই সেই কথাটা সংক্ষেপে উল্লেখ করে রাখা দরকার। পশ্চিমবঙ্গের বহু ভোটদাতা যদি বামপন্থী প্রার্থীদের প্রতি অনুকূল মনোভাব পোষণ করেও ভোটটা তাঁদের না দিয়ে রাজ্যের শাসক দলকেই দিয়ে থাকেন, তাতে তাঁদের প্রতিক্রিয়াশীল সুবিধাবাদী বলে গালি দিলে বা নির্বোধ বলে বিদ্রূপ করলে বিবেচনার পরিচয় দেওয়া হবে না। তাঁদের মধ্যে প্রতিক্রিয়াশীল, সুবিধাবাদী, নির্বোধ, সব রকমের মানুষই থাকতে পারেন— যেমনটা থাকতে পারেন যে কোনও মতবাদের বা দলের অনুসারীদের মধ্যেই— কিন্তু সে-সবের বাইরে দাঁড়িয়েও অনেকেই যদি আত্মরক্ষার স্বাভাবিক প্রবণতা থেকেই মনে করে থাকেন, ‘প্রার্থী হিসেবে তো ওরা খুব ভাল, কিন্তু ওদের ভোট দিলে ভোটটা নষ্ট হবে, এ-বার সেই ঝুঁকি নিতে পারব না’, অবাক হওয়ার কিছুমাত্র কারণ নেই। সাধারণ ভাবেই ভোটের হিসেব আর বিশ্বাসের হিসেব অনেক সময়েই মেলে না। ২০২১ সালের মোদি-শাহি নির্বাচনে সেই হিসেব নয়ছয় হয়ে যাওয়া নিতান্ত স্বাভাবিক।
কিন্তু এখান থেকেই অনিবার্য প্রশ্ন ওঠে, কী ভাবে বামপন্থীরা ক্ষমতার রাজনীতিতে নিজেদের বিশ্বাসযোগ্য বিকল্প হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারেন? আরও নির্দিষ্ট করে বলে, তাঁদের যে সামাজিক কর্মকাণ্ড সাম্প্রতিক কালে মানুষের দৃষ্টি এবং শ্রদ্ধা আকর্ষণ করেছে, তার ভিত্তিতে প্রতিস্পর্ধী রাজনীতির সম্ভাবনা ও সামর্থ্যকে কী ভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব? কোনও বায়বীয় তত্ত্বকথার মধ্যে না গিয়ে খুব সহজ ভাবেই প্রশ্ন তোলা যায়— যে সক্রিয়তা আমরা বামপন্থীদের বিভিন্ন মহলে দেখছি, তা কী ভাবে পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে বামপন্থার পুনরুজ্জীবন ঘটাতে পারে? অর্থাৎ, এক কথায় বললে, এ-বার কী করতে হবে?
এখানে সাম্প্রতিক অভিজ্ঞতার একটা দিক বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। যে কর্মকাণ্ডের কথা আমরা বলছি তার অনেকটাই কোনও না কোনও ভাবে ত্রাণের কাজ। এক দিকে মহামারির আক্রমণে পর্যুদস্ত অসহায় রোগী ও তাঁদের পরিজনের পাশে দাঁড়ানো, অন্য দিকে এই আক্রমণের ফলে ভেঙে পড়া অর্থনীতির প্রকোপে বিপন্ন দরিদ্রের ন্যূনতম প্রয়োজন মেটাতে নানা ভাবে সহায়তা দেওয়া, এই দুই গোত্রের কর্তব্য পালনেই বহু সহৃদয় নাগরিকের শক্তি ও সামর্থ্য ব্যয় হয়ে চলেছে। তাঁদের মধ্যে একটা বিরাট অংশ, দৃশ্যত অধিকাংশই, বামপন্থী মনোভাবের মানুষ— তাঁরা অনেকেই বামপন্থী দলের সদস্য বা অনুগামী নন, তবে, আবারও, একটা বিরাট অংশ দলীয় বামপন্থার সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে জড়িত। এখন, লক্ষ করার ব্যাপার হলো, তাঁদের পরিত্রাতার ভূমিকাটাই সমাজের চোখে প্রধান হয়ে উঠেছে, হয়তো তাঁদের নিজের কাছেও। তাতে অস্বাভাবিক বা বিস্ময়কর কিছু নেই। মানুষ যখন ‘ত্রাহি মধুসূদন’ বলে আর্তনাদ করছেন, রাষ্ট্র যখন সেই আকুতি বা দাবি পূরণ করতে অক্ষম অথবা অনিচ্ছুক, তখন যাঁরা সহায় হবেন তাঁদের সমাজ পরিত্রাতা হিসেবেই দেখবে। এবং এর ফলে সমাজের কাছে, বিশেষত দরিদ্র শ্রমজীবী মানুষের কাছে তাঁদের একটা বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরি হয়েছে, মানুষ তাঁদের ‘আমাদের লোক’ হিসেবে দেখতে শুরু করেছেন, এটা কম কথা নয়। পশ্চিমবঙ্গে বামপন্থী দলগুলির, বিশেষত সিপিআইএম-এর জনসমর্থনে ধস নামার পিছনে সবচেয়ে বড় কারণ তো এটাই ছিল যে, তাঁরা গরিবের আস্থা হারিয়েছিলেন। আজ যদি সেই আস্থা কিছুটা ফেরত আসে, তার চেয়ে আশার কথা আর কীই বা হতে পারে?
কিন্তু তার পর? এই আস্থার ভিত্তিতে দাঁড়িয়ে রাজনৈতিক সামর্থ্য গড়ে তোলার কাজটা অনেক বড় এবং অনেক বেশি কঠিন। তার একটা প্রাথমিক শর্ত হলো রাষ্ট্রশক্তির অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ এবং তাকে তার কর্তব্য পালনে বাধ্য করার জন্য চাপ সৃষ্টি। পশ্চিমবঙ্গের ইতিহাসে বামপন্থী রাজনীতি এই দুটি শর্ত পূরণ করেই নিজের ভিত তৈরি করেছিল, যে ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে এক দিন সরকারি ক্ষমতা তার হাতে আসে। দীর্ঘদিন সেই ক্ষমতার ধারাবাহিকতা কী ভাবে বামপন্থীদের গণ-আন্দোলনের পথ থেকে সরিয়ে আনে ও স্থিতাবস্থার পৃষ্ঠপোষকে পরিণত করে, সেই কাহিনি আমাদের জানা। আজ, রাজ্যপাট চলে যাওয়ার এক দশক পরেও, তাঁরা স্বধর্মের পথে ফিরতে পারেননি। সাম্প্রতিক কালে, বিশেষত মহামারির আক্রমণের আগে, ইতস্তত জনস্বার্থে কিছু আন্দোলন বামপন্থীরা করেছেন, তবে সেটা নিতান্ত স্থানীয় স্তরে। এবং সেই আন্দোলনগুলি প্রধানত স্থানীয় দুর্নীতির প্রতিবাদেই সীমিত থেকেছে। তাঁদের নির্বাচনী প্রচারেও এই স্থানীয় দুর্নীতির প্রশ্নই প্রধান হয়ে উঠেছে, যে কারণে সেই প্রচারকে অনেক ক্ষেত্রেই বিজেপির প্রচার থেকে
মানুষ আলাদা করতে পারেননি।
কী ভাবে বৃহত্তর ও গভীরতর প্রতিবাদ এবং প্রতিরোধ গড়ে তোলা যায়, সেটাই এখন বামপন্থী রাজনীতির পুনরুজ্জীবনের প্রধান লক্ষ্য হওয়া দরকার। বিভিন্ন বিষয়ে বিভিন্ন ধরনের সামাজিক আন্দোলনের সঙ্গে সংযোগ সৃষ্টির কাজও এরই অঙ্গ। এ ক্ষেত্রেও অনেক কাজের সুযোগ আছে। সেই কাজের কোনও পূর্বনির্ধারিত নকশা থাকতে পারে না, সমাজের বিভিন্ন স্তরের শ্রমজীবী মানুষের জীবন ও জীবিকার সংগ্রামের মধ্যে থেকেই তার পথনির্দেশ মিলতে পারে, চিরকাল যে ভাবে মিলেছে। এ ক্ষেত্রে যথার্থ জনসংযোগের কোনও বিকল্প নেই। আপাতত এইটুকুই।
তবে শেষ করার আগে সেই জনসংযোগের একটা বিশেষ দিককে আলাদা ভাবে চিহ্নিত করা দরকার। আমাদের বামপন্থীরা জনসংযোগ বলতে বরাবর বুঝে এসেছেন প্রধানত মানুষকে ‘বুঝিয়ে বলা’র কথা। তত্ত্ব, আদর্শ, কর্মসূচি, বিভিন্ন বিষয়ে তাঁরা তাঁদের মত ও পথ ব্যাখ্যা করবেন, মানুষ তা শুনবেন এবং তাঁদের মতাদর্শ অনুসরণ করবেন— এটাই পরিচিত ও অভ্যস্ত রীতি। এর প্রয়োজন আছে, সেটা অনস্বীকার্য। কিন্তু মানুষের কথা যে শোনাও দরকার, কেবল শোনা নয়, মন দিয়ে শোনা দরকার, এবং তার ভিত্তিতে নিজেদের মত ও পথের নিরন্তর পর্যালোচনা দরকার, এই সত্যটিকে তাঁরা যথেষ্ট গুরুত্ব দেননি। তাতে বড় ক্ষতি হয়েছে। বামপন্থীরা জনসংযোগ হারিয়েছেন। গত এক দশকের বিভিন্ন নির্বাচনের মতোই এই নির্বাচনের পরেও তাঁদের অনেকের প্রতিক্রিয়ায় ভোটদাতাদের প্রতি যে আহত ক্ষোভ এবং অভিমানের প্রকাশ দেখা যাচ্ছে, তার পিছনে এই না-শোনার একটা বড় অবদান আছে বলেই মনে হয়। আজ যখন কেবল বেঁচে থাকার জন্যই নতুন করেই পথ খুঁজতে হবে, অন্য কোনও উপায় আর নেই, তখন শুশ্রূষার স্বাস্থ্যকর অভ্যাসটিকে অনুশীলন করলে সমাজের উপকার হবে, উপকার হবে বামপন্থী রাজনীতিরও।