বামপন্থা ও গণতন্ত্রের কথোপকথন

[রাজ্য]

[রাজ্য]

দুর্নীতি এবং বিজেপি–তৃণমূল

দুর্নীতি এবং বিজেপি–তৃণমূল

পর্যবেক্ষক

photo

বিজেপি ও আগামী লোকসভা ভোট


৮০ কোটিরও বেশি লোককে বিনা পয়সায় আরও এক বছর বিনামূল্যে রেশন পাওয়ার কথা ঘোষণা করে একই সঙ্গে আগামী বছরের বেশ কয়েকটি রাজ্যে বিধানসভা ও ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনের দামামা কার্যত বাজিয়ে দিল বিজেপি। নির্মলা সীতারামনও জানিয়ে রেখেছেন এবারের বাজেটে বেশ কিছু ঘোষণা থাকবে সাধারণ মানুষের দিকে তাকিয়ে। এর মানে, গত চার বছর দু'হাতে ক্রোনি পুঁজিকে লুঠপাটের সুযোগ দেওয়ার পর ভোটের আগে কিছু রিলিফ দিয়ে ভোট কেনার চেষ্টা করবে বিজেপি। এ হল দক্ষিণপন্থার অতিপরিচিত ফর্মুলা। একদিকে সংগঠিত ও আধা সংগঠিত মানুষের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অধিকার কেড়ে নিয়ে শোষণ ও নির্যাতনকে তীব্রতর করো। অন্যদিকে, কিছু রিলিফ দিয়ে সাংগঠনিক ক্ষমতাবিহীন হতদরিদ্রদের ভোট কিনে জনতার বাকি অংশ, বিশেষ করে মধ্যবিত্ত, সংগঠিত শ্রমিক ও কৃষকদের ওপর শোষণের বোঝা চাপিয়ে দাও। ট্রাম্প–বোলসোনারো–মোদি সবারই এইই ফর্মুলা সূত্রে। 'সূত্রে মণিগণাইব'–এর মতো এই মালায় ঝলমল করে বহু আঞ্চলিক শাসক দল, যার অন্যতম তৃণমূল কংগ্রেস।

তৃণমূল ও বিজেপি — স্তরে স্তরে সমঝোতা


আগামী লোকসভা নির্বাচনে কেন্দ্রে ক্ষমতা ধরে রাখার লক্ষ্যে তিনটি রাজ্যে বিজেপি তাদের আসন বাড়াতে চায়, যাতে অন্য রাজ্যে আসন হাতছাড়া হলে কেন্দ্রে সরকার গঠনে প্রয়োজনীয় সংখ্যা পাওয়া যায়। এই তিনটি রাজ্যের অন্যতম পশ্চিমবঙ্গ। সেকারণে আগামী এক বছর এ রাজ্যে বিজেপি–তৃণমূলের বোঝাপড়া ও সঙ্ঘাতকে নির্দিষ্টভাবে এই পরিপ্রেক্ষিতেই বুঝতে হবে।
কেন্দ্রীয় স্তরে কংগ্রেসের সঙ্গে না গিয়ে, এবং গোয়াসহ একাধিক রাজ্যে কংগ্রেসের ভোট কাটুয়া হিসাবে নির্বাচনে দাঁড়িয়ে এবং ভোটে জেতা বিধায়কদের বিজেপিতে ফেরানোর পথ প্রশস্ত করে — আগাগোড়াই আরএসএস–বিজেপিকে সহায়তা করে আসছে তৃণমূল। কোনও ভাবে কেন্দ্রে যাতে বিজেপি–বিরোধী একটা জোট গড়ে না ওঠে, সেটাই তৃণমূলের স্ট্র্যাটেজিক লক্ষ্য। সর্বভারতীয় স্তরে এটাই বিজেপির সঙ্গে তৃণমূলের বোঝাপড়ার মূল ভিত্তি। ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচন সহ একাধিক জাতীয় ইস্যুতে তৃণমূল বারে বারে তাদের এই অবস্থান স্পষ্ট করেছে।
তৃণমূল চায়, তারা সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে বিজেপিকে যে পরিষেবা দিয়ে আসছে, তার বিপরীতে পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে যেন মাথা না ঘামায় বিজেপি। এই রাজ্যটা হোক তাদের এক্সক্লুসিভ অঞ্চল।
কিন্তু বিজেপি এই সমীকরণে খুশি নয়। একদা তৃণমূলকে কাজে লাগিয়ে এরাজ্য থেকে বামেদের উচ্ছেদ করার পরিকল্পনা সফল করেছিল আরএসএস–বিজেপি। তবে ২০১৯এর লোকসভা নির্বাচনে অনেক বেশি আসন পেয়ে এরাজ্যে প্রধান বিরোধী দল হিসাবে উঠে এসেছে বিজেপি। তাতেই মাথা ঘুরে যায় মোদি–শাহ জুটির। ২০২১ এর বিধানসভা ভোটে পশ্চিমবঙ্গ দখলে ঝাঁপিয়ে পড়ে বিজেপি–আরএসএস। কিন্তু রাজ্যের অভিজ্ঞ ভোটদাতারা তাঁদের সেই আকাঙ্ক্ষা চুরমার করে দেন। এবং তারপর থেকে এরাজ্যে বিজেপির আসর তেমন জমছে না। রাজ্যস্তরের নেতারা লাফালাফি, ঝাঁপাঝাঁপি করলেও নীচুতলায় তেমন সুবিধে করতে পারছে না এই দল। কারণ তৃণমূল স্তরে সংগঠন গড়ার ক্ষমতা এরাজ্যে বিজেপির নেই। সুতরাং, বিধানসভা ভোটের ফলের প্রেক্ষিতে বিজেপির কাছে এটাও স্পষ্ট যে ২০১৯ এ রাজ্য থেকে লোকসভার যতগুলি আসন তারা পেয়েছিল ২০২৪ এর নির্বাচনে ততগুলি আসন তারা নাও পেতে পারে। আরও একটা কথা। এরাজ্যে ১০ ফুট মাটি খুঁড়লেই মেলে জল। রয়েছে শিক্ষিত মধ্যবিত্ত বেকার বাহিনী এবং বিনিয়োগের সম্ভাবনা। বিজেপি চায়, ধীরে ধীরে এ রাজ্যে ঘাঁটি গেড়ে বসুক আদানি, আম্বানির মতো ক্রোনি পুঁজিপতিরা। তাহলেই তাদের অর্ধেক বঙ্গবিজয় সফল হবে।
পুরো পশ্চিমবঙ্গ যখন পাওয়া যাচ্ছে না, তখন বিজেপির মত হল, অর্ধং ত্যজতি পণ্ডিতাঃ। অর্থাৎ বঙ্গবিজয়ের স্বপ্ন আপাতত পিছিয়ে দিয়ে লোকসভায় যতগুলি আসন রয়েছে সেগুলির দিকে নজর দেওয়া। নীচুতলা থেকে আন্দোলন করে ভোট আদায়ে সফল হতে পারবেন না এরাজ্যের প্রচারসর্বস্ব বিজেপি নেতারা। অতএব পথ থাকে একটাই। ওপর থেকে চাপ দিয়ে তৃণমূলকে আরও বেশি বিজেপির সঙ্গে সমঝোতার পথে হাঁটতে বাধ্য করা। আপাতত বিজেপি–তৃণমূল সমীকরণের এটাই বর্শামুখ।

সীমাহীন দুর্নীতিই হল তৃণমূলের ‘অ্যাকিলিসের গোড়ালি’


বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা জানেন, এরাজ্যে তৃণমূলের অ্যাকিলিসের গোড়ালি হল সীমাহীন দুর্নীতি। এবং দুর্নীতি রয়েছে দল ও সরকারের ওপর ও নীচতলায় সমানভাবে। সুতরাং এজেন্সি লাগিয়ে দু্র্নীতি ইস্যুতে তৃণমূলের ওপর চাপ সৃষ্টি করে তাদের সমঝোতার পথে চলতে বাধ্য করা, এটাই বিজেপির আশু কৌশল।
বিজেপির প্রথম শিকার পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ২১ জুলাইয়ের সমাবেশের পর তৃণমূল নেতৃত্ব যখন তৃপ্তিতে আত্মমগ্ন, তখনই এল অতর্কিত আঘাত। ধরা পড়ল শিক্ষামন্ত্রীর নেওয়া কোটি কোটি ঘুষের টাকা। উন্মোচিত হয়ে গেল তৃণমূলের সীমাহীন দুর্নীতির উৎসমুখ। পরের টার্গেট কয়লা কেলেঙ্কারি, যার আসল লক্ষ্য ছিল অভিষেক ব্যানার্জির ভাবমূর্তি ধরে টান মারা এবং তৃণমূলের বাকি চোরদের আগাম সতর্কতা দেওয়া। তৃতীয় টার্গেট অনুব্রত মন্ডল। দুর্নীতির বিষয়টিকে জনসমক্ষে নিয়ে এসে অনুব্রতর ঘনিষ্ঠ শাগরেদদের বিপন্ন করে তোলা এবং খোদ অনুব্রতকে জেলায় ফিরতে না দিয়ে তৃণমূলের নীচুতলার সংগঠনকে এলোমেলো করে রাখা। এর নীট ফসল তোলা হবে ভোটের সময়। বিজেপির প্রয়াস হবে উত্তরবঙ্গের পাশাপাশি বীরভূমের লোকসভা আসনগুলিও দখলে আনা।
এককথায়, তৃণমূলের ওপরতলার লোকদের চরম দুর্নীতিগ্রস্ত চেহারাটিকে জনসমক্ষে তুলে ধরে দলের ভাবমূর্তিতে ক্ষয় ধরানো এবং তৃণমূল নেত্রীকে চাপে রেখে তাদের সঙ্গে সমঝোতা আরও বিস্তৃত করা— বিজেপির আশু তথা দীর্ঘকালীন লক্ষ্য এটাই।
তবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন কোনও চিত্রনাট্য অনুযায়ী তৈরি করতে পারে না কোনও রাজনৈতিক দল। একবার উৎসমুখ খুলে গেলে সমাজের নানা অংশ নানান দুর্নীতি নিয়ে সোচ্চার হতে থাকে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাটে কোটি কোটি টাকা উদ্ধারের পর পরই নতুন করে পথে নেমে পড়লেন শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ প্রার্থীরা। নিয়োগপ্রার্থীদের ধারাবাহিক আন্দোলনের জেরে হস্তক্ষেপে করল আদালত। এবং তার জেরে এখনও শিক্ষাক্ষেত্রে নিত্যনতুন দুর্নীতির তথ্য সামনে আসছে। রাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্রের মাথারা ক্রমে জেলে গেলেন। রাজপথে ঘন ঘন শিক্ষার দুর্নীতির বিরুদ্ধে মিটিং–মিছিল চলছে। পাশে এসে দাঁড়াল বামেরা। ফলে সমাজের নীচুতলায় তৃণমূলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে আরেকটি ধারা তৈরি হল।
তৃণমূলকে আপোসের পথে টেনে আনতে আরও এগোল বিজেপি। ১০০ দিনের প্রকল্পের টাকা আটকে দিল কেন্দ্র। এই খাতে সব রাজ্যের মোট বকেয়ার মধ্যে অর্ধেকই এই রাজ্যের। যতই তৃণমূল নেত্রী কেন্দ্রবিরোধিতার শ্লোগান দিন, ১০০ দিনের কাজ দিতে না পারলে ভোটও আসবে না, দলের ভোট আদায়ের পরিকাঠামোও তৈলসিক্ত হবে না। সুতরাং বিজেপির বার্তা, তৃণমূল আপসের পথে না এলে টাকা মিলবে না। ক্রমে তৃণূমল নেত্রী দিল্লি গেলেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর একান্তে কথা হল। কী কথা আমরা জানি না। তবে বলা হল, এটা নেহাৎই সৌজন্য সাক্ষাৎ। এরই মধ্যে এসে পৌঁছল প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ৮ হাজার কোটি ও ১০০ দিনের কাজের সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা।
আসলে এই ৮০০০ কোটি টাকাও একটা হাতিয়ার। শর্ত দেওয়া হল, কারা এই টাকা পাবেন তা যাচাই করে দেখতে হবে। আর এই কাজ শুরু হতেই খুলে গেল আরও একটি বৃহত্তর দুর্নীতির আড়াল। কারা পেয়েছেন আবাস যোজনার টাকা, প্রয়োজন সত্ত্বেও কারা পাননি — তা খতিয়ে দেখার শর্ত জুড়ে দিল কেন্দ্র। তাছাড়া তৃণমূল নেতারাও বুঝেছিলেন, আবাস যোজনায় ব্যাপক দুর্নীতি তাদের ভোট ব্যাঙ্কে ভাঙন ধরাতে পারে যা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার দিয়ে রোখা যাবে না। যাচাই শুরু হতেই সামনে আসতে লাগল এই প্রকল্পে সীমাহীন দুর্নীতি এবং গ্রামীণ জনতার ক্ষোভ। বিজেপি চায় নীচুতলার এই ক্ষোভকে উস্কে দিয়ে তৃণণূলকে চাপে রাখতে এবং আবাস যোজনার টাকা তাদের লোকেদেরও পাইয়ে দিয়ে লোকসভা ভোটের আগে দলের ভোটব্যাঙ্ক সংহত করতে।
কিন্তু এবারও ঘটনার গতিপ্রকৃতি চিত্রনাট্যের বাইরে চলে যাচ্ছে। বাংলার গ্রামকে বামেরা চেয়ে ভালই চেনে। আবাস যোজনা ও অন্যান্য ইস্যুতে মানুষের ক্ষোভ সংগঠিত করতে মাঠে নেমে পড়ল বামেরা। এবং গ্রামাঞ্চলে তাদের জমায়েতে ভিড় বাড়তে লাগল। শহরাঞ্চলে শিক্ষা আন্দোলনের পাশপাশি ডিএ নিয়ে রাস্তায় নেমে পড়ল বামেরা। একে একে খুলতে শুরু করেছে সরকার বিরোধী আন্দোলনের বর্শামুখ।
বিষয়টার বিপদ বুঝতে পারলেন অমিত শাহ। দলের নেতাদের কাছে জানতে চাইলেন কেন বামদের মিছিলে লোক বাড়ছে। অর্থাৎ তৃণমূলের লুঠের রাজনীতি ও সীমাহীন দুর্নীতির বিরুদ্ধে জেগে উঠছে দক্ষিণপন্থার বিকল্প হিসাবে বামপন্থা এবং মানুষের চেতনায় ফের জায়গা করে নিচ্ছে বামেরা। এই বিপদ বুঝেছে তৃণমূলও। তাই মানুষের ক্ষোভ চাপা দিতে চলছে হয় লোক দেখানো পদত্যাগ, কিংবা তৃণমূল নেত্রী বা অভিষেক ব্যানার্জির নেতৃত্বে প্রধানদের রাতারাতি অপসারণ। যেন কিছু পচা আলু বাদ দিলেই তৃণমূল দলটা শুদ্ধ হয়ে উঠবে। আসলে যে দুর্নীতি দল ও প্রশাসনের রন্ধ্রে রন্ধ্রে সেটা সুকৌশলে আড়াল করার আপ্রাণ চেষ্টা চলছে।
এই অবস্থায় বিজেপি কি কখনই চাইবে এরাজ্য থেকে তৃণমূল হঠে যাক? ততক্ষণই চায় না যতক্ষণ না তারা নিজেরা ক্ষমতায় না আসছে। কিন্তু যদি ফের বামেরা শক্তি সঞ্চয় শুরু করে, তাহলে? তাহলে ফের সংঘাত কমিয়ে সমঝোতায় আসতে হবে।
অতএব অমিত শাহ এলেন। এবং নবান্নে ১৬ মিনিট একান্তে কথা হল মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে। কী কথা এবারেও জানা গেল না। শুধু শুভেন্দু অধিকারী বললেন, রাজভবন থেকে আগের মতো সাহায্য পাচ্ছে না। শুভেন্দু যা বলতে চাইলেন তাও স্পষ্ট। ৩০ ডিসেম্বর মোদি রাজ্যে এলে একান্তে ফের কথা হতে পারে প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর। ইতিমধ্যে গঙ্গা আরতি চালুর উদ্যোগ নিয়ে আরএসএসকে বার্তা দিয়েছে তৃণমূল। ক্রমশ বৃত্ত, পরিধি, জ্যা, স্পর্শক সব কাছাকাছি চলে আসছে।
তার মানে গত বিধানসভা ভোটের চিত্রনাট্য আর কাজে লাগবে না। দুর্নীতির বিরুদ্ধে জনমত উস্কে দেওয়ার কাজে তা দিয়ে যাবেন মোদি–শাহ জুটি। অন্যদিকে, বিকল্প চিত্রনাট্য রচনা করতে বাম-গণতান্ত্রিক শক্তি জনতার পাশে। অতএব এই পরিস্থিতিতে বাঁচতে হলে বিজেপির হাত আরও শক্ত করে ধরতে হবে তৃণমূলকে। দুই দক্ষিণপন্থী শক্তি আসবে আরও কাছাকাছি। এই সমঝোতার ভিত্তিতেই হবে পঞ্চায়েত নির্বাচন, হবে ২০২৪এর লোকসভা নির্বাচন। এখানে তৃণমূল কৌশলে জমি ছাড়বে বিজেপিকে। ওদিকে কেন্দ্রে কংগ্রেস বিরোধী জোট ভেস্তে দিয়ে চলবে বিজেপি পরিষেবা।
নাকি আপাতত অগ্ন্যুৎপাতের ভয়ে পিছিয়ে দেওয়া হবে পঞ্চায়েত ভোট? একেবারে ২০২৪এ কেন্দ্রে বিজেপির জয় নিশ্চিত করে তারপর এরাজ্যে অবাধে লুঠতরাজের পঞ্চায়েত ভোট করা হবে?
সীমাহীন দুর্নীতিই এখন তৃণমূলের সামনে আসল সঙ্কট। এই সঙ্কট সামাল দেওয়ার রাস্তা তৈরি হয়নি। সুতরাং বাম-গণতান্ত্রিক শক্তি যদি আবাস যোজনার বিরুদ্ধে গ্রামীণ জনসমাজের ক্ষোভকে বুঝতে পারে এবং তাকে সাংগঠনিক আধারে নিয়ে আসতে পারে— তাহলে তা বিজেপি ও তৃণমূল উভয়েরই শঙ্কার কারণ। অ্যাকিলিসের গোড়ালি কোথায় তা জানা গেছে। এবার দরকার ধৈর্য সহকারে সেই খানে তীর গেঁথে দেওয়া।

Copyright © 2021 - 2022 Shramajeebee Bhasha. All Rights Reserved.