বামপন্থা ও গণতন্ত্রের কথোপকথন
[রাজ্য]
শ্রমজীবী ভাষা, ১ এপ্রিল, ২০২২— জতুগৃহ বগটুই আসবেন মুখ্যমন্ত্রী। মাথা নীচু করে আসবেন, এমনই তো স্বাভাবিক। সহনাগরিকদের মৃত্যর নারকীয়তায় দমবন্ধ চাপা শোক নিয়ে আসবেন, এমনই তো স্বাভাবিক। এ তো কোনও স্বাভাবিক মৃত্যু নয়, এ যে জতুগৃহে পুড়িয়ে মারা। এ যেন বগটুই নয়, এ যেন বারণাবত। মহাভারতের বারণবতের জতুগৃহে পুড়ে মারা গিয়েছিলেন এক নিষাদ রমণী ও তাঁর পাঁচ সন্তান। এবং মন্ত্রী পুরোচন। যাকে জতুগৃহ নির্মাণ করে কুন্তী-সহ পঞ্চপাণ্ডবকে পুড়িয়ে মারার দায়িত্ব দিয়েছিলেন দুর্যোধন। বগটুইতে পুড়ে মরলেন অন্তত সাত রমণী ও এক বালিকা। মোট ন’জন। সেদিন বারণবতের পুরবাসীরা শোকে-দুঃখে দুর্যোধন ও পুরোচনকে শাপ-শাপান্ত করতে করতে জতুগৃহ ঘিরে রাত জেগেছিলেন।
কিন্তু, আমরা দেখলাম বগটুইয়ে, শোক-ভয়-আতঙ্কের গ্রামে, মুখ্যমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে তৈরি করা হল সুদৃশ্য ‘সু-স্বাগতম তোরণ’। নাকি অন্ধ ‘প্রতাপ-মত্ততা’-র বিজয় ঘোষণা! তোরণ ভরে ছিল শোকে পাথর কিংবা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ক্রদ্ধ মুখ্যমন্ত্রীর মুখচ্ছবি নয়, স্মিতহাস্য মুখচ্ছবি। আরও কারও কারও ছবি ছিল। সে ছবিতে কি দুর্যোধন ছিল? মুখ্যমন্ত্রীও কি এই তোরণ পার হতে হতে লজ্জিত হননি, মনে মনে বলে ওঠেননি—ছিঃ! এ আমরা কোথায় নেমেছি!
১১ বছর আগে গণতন্ত্রের প্রতি ‘আস্থা ও বিশ্বাস’ ফিরিয়ে আনার কথা দিয়ে রাজ্যের মসনদে বসেছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১১ বছর পর সে কথা এখন পোড়া ছাই। গণতন্ত্রের গণহত্যা ঘটে গিয়েছে। ১১ বছর আগে ‘দলতন্ত্র’ শেষ হবে বলে কথা দিয়েছিলেন তিনি। কথা দিয়েছিলেন, পরিবর্তন হবে ‘একদলীয় শাসনের সর্বগ্রাসী’ রূপের। কোথায় কী? ৩৪ বছরে গণতন্ত্রের অবক্ষয়-ভূমিতে রাজতন্ত্রের প্রাসাদ গড়ে তুললেন মুখ্যমন্ত্রী। সে তো আজকে নয়। পাঁচ বছর আগে ২০১৬ সালে ‘মমতাশাহির খতিয়ান’-এর বিবরণ দিয়ে সমাজতাত্ত্বিক পার্থ চট্টোপাধ্যায় লিখেছিলেন, “এর মূলে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস দলের ওপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একচ্ছত্র আধিপত্য, যা সংক্রমিত হয়েছে সরকার পরিচালনার ক্ষেত্রে। তিনিই সর্বেসর্বা। শুধু নেত্রী নন, সার্বভৌম ক্ষমতার একমাত্র দাবিদার। আমাদের ছাত্রজীবনে দেখা ইতিহাসের মাস্টারমশাই আজ থাকলে নির্ঘাত বলতেন, ‘দি অ্যাবসোলিউট মনার্কি অফ বেঙ্গল’। একমাত্র নির্বাচনের অনুষ্ঠানটুকু ছাড়া পশ্চিমবঙ্গে আজ প্রজাতন্ত্র নেই, আছে অবিমিশ্র রাজতন্ত্র।“ (পার্থ চট্টোপাধ্যায়, নাগরিক, অনুষ্টুপ, ২০২১)।
চরম ফ্যাসিবাদী সর্বনাশ যে আজ রাজ্যে জাঁকিয়ে বসেছে তার অন্যতম প্রধান কারণ এই গণতন্ত্রহীনতা। জনকল্যাণ মমতার রাজতন্ত্রের এক প্রধান নীতি হয়, আর এক নীতি হল আধিপত্যবাদ। প্রথমটিকে যদি জনবাদী সরকারের লক্ষণ হিসাবে দেখি, তবে দ্বিতীয়টি অবশ্যই স্বৈরাচারিতা। সন্দেহ নেই কন্যাশ্রী, সবুজ সাথীর মতো প্রকল্প সাধারণ পরিবারের অসংখ্য ছাত্রীকে স্কুলছুট হওয়ার হাত থেকে পরিত্রাণ দিয়েছিল। এবং বড় কথা অন্যান্য মেয়েরা তো বটেই, আদিবাসী, সংখ্যালঘু মেয়েরাও শুধু স্কুলে নয়, পরীক্ষাতেও এগিয়ে গিয়েছে। এবং এই প্রকল্পগুলির সর্বজনীনতা দেশ-বিদেশে প্রশংসিত হয়েছে। আজ শিক্ষাক্ষেত্রের দিকে ফিরে তাকালে দেখব শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী নিয়োগে এক অভূতপূর্ব দুর্নীতি। হাইকোর্টে একের পর এক মামলা। হাইকোর্ট দু’দফায় ৫৯৮ জন চতুর্থ শ্রেণির কর্মীর নিয়োগ বাতিল করেছে। এসএসসি-র উচ্চ প্রাথমিক এবং নবম থেকে দ্বাদশের নিয়োগে অস্বচ্ছতার অভিযোগের মামলায় সদুত্তর না দিতে পারার জন্য চেয়ারম্যানকে আর্থিক জরিমানা করে হাই কোর্ট। পরবর্তীতে ফের হাই কোর্টের র্ভৎসনার মুখে পড়ায় তাঁকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয় শিক্ষা দপ্তর। এমনকি শিক্ষক নিয়োগে যুক্ত এক উপদেষ্টার স্থাবর-অস্থাবর সম্পতির হিসাব চেয়ে বসেছেন সংশ্লিষ্ট বিচারক। সেই উপদেষ্টা কমিটির সুপারিশে নিয়োজিত অঙ্ক, ইতিহাসের শিক্ষকদের নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে। এমনই নানা অনিয়মের ফলে গত বছর লক্ষাধিক শিক্ষক পদ শূন্য। অন্যদিকে, পড়ুয়া নেই বলে আশির কাছাকাছি স্কুলকে ‘বিলুপ্ত’ ঘোষণা করেছে শিক্ষা দফতর। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী দুই দিনাজপুরের প্রশাসনিক বৈঠকে স্টুডেনটস ক্রেডিট কার্ড সংক্রান্ত এক আলোচনায় কথা প্রসঙ্গে বলেন, “শিক্ষা দফতর অনেক বড় দফতর। কে কোথায় কী করে বেড়াচ্ছে, আর লোক ঢুকিয়ে বেড়াচ্ছে। অনেক কিছুই হচ্ছে।” (শিক্ষা-নিয়োগে অনিয়ম, ইঙ্গিত দিলেন মুখ্যমন্ত্রী, আনন্দবাজার পত্রিকা, ৮ ডিসেম্বর ২০২১)।
শিক্ষায় যেটুকু অগ্রগতি হয়েছিল করোনার প্রকোপে প্রায় দু’বছর স্কুল বন্ধ থাকায় তাও প্রায় ধসে গিয়েছে। বার বার স্কুল খোলা কিংবা বিকল্প ব্যবস্থার প্রস্তাব কানেই তোলেনি সরকার। পরবর্তীতে একের পর এক সমীক্ষায় প্রকাশ পেয়েছে সংখ্যা, বর্ণ চিনতে পারছে না প্রাথমিকের পড়ুয়ারা। স্কুল খোলার পর ‘নিখোঁজ’ ছাত্র-ছাত্রীদের খোঁজে গিয়ে দিদিমণি-মাস্টারমশাইর দেখেছেন বহু মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। ছেলেরা কাজের খোঁজে হয় দূরদেশে, না হয় চায়ের দোকান বা মাঠের কাজে নেমে পড়েছে। কন্যাশ্রী, সবুজ সাথী, শিক্ষাশ্রী প্রকল্প এই পড়ুয়াদের বাঁচাতে পারেনি। অনলাইন শিক্ষা যে বহুলাংশেই ব্যর্থ হয়েছে তা নানা সমীক্ষাতেই দেখা গিয়েছিল। তার আরও এক প্রমাণ এই যে, মাধমিক পরীক্ষার বহু পরীক্ষার্থী হয় সাদা খাতা জমা দিয়েছে, না হয় প্রশ্নপত্রটিই টুকে দিয়ে চলে এসেছে। এই ব্যর্থতার দায় কার?
একের পর এক স্পেশালিটি হাসপাতাল গড়ে তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তারও আগে হাসপাতালে হাসপাতালে ‘ন্যায্য দাম’-এর ওষুধের দোকান খুলে দিয়েছেন। অত্যন্ত সাধু উদ্যোগ সন্দেহ নেই। কিন্তু, হাসপাতাল তো কেবলই একটি নীল-সাদা অট্টালিকা নয়, শয্যা বাড়ালেই সুচিকিৎসা হয় না। স্পেশালিটি হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎকের প্রয়োজন, প্রয়োজন বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, প্রতিটি শয্যার জন্য প্রয়োজন নির্দিষ্ট সংখ্যক সেবিকা, কর্মী, চিকিৎসক। সেই পরিকাঠামোই নেই। ফলত বিশেষ চিকিৎসার প্রয়োজনে আজও জেলার মানুষ কলকাতা কিংবা চেন্নাইমুখী। কিংবা ঘটিবাটি বন্ধক দিয়ে বেসরকারি স্বাস্থ্য ব্যবসায়ীদের দ্বারস্থ হছেন। আর এই স্পেশালিটির ঢক্কানিনাদে মার খেয়েছে প্রাথমিক চিকিৎসা। অবহেলিত হয়েছে শিশু ও মায়ের যত্ন। নীতি আয়োগের তথ্য অনু্যায়ী চতুর্থ স্বাস্থ্য সমীক্ষায় দেখা গিয়েছিল, পশ্চিমবঙ্গে পাঁচ বছরের কম বয়সিদের মধ্যে ৩২.৫% শিশুর বয়সের তুলনায় আশানুরূপ বৃদ্ধি ঘটেনি। ২০১৯-২০ পরবর্তী পঞ্চম দফার স্বাস্থ্য সমীক্ষায় দেখা যায়, বাংলায় স্টান্টিংয়ের শিকার শিশুর হার গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৩৩.৮ শতাংশে। অপুষ্টির কারণেই শিশুদের বয়স অনুযায়ী শিশুদের উচ্চতা বাড়ে না বা তারা স্টান্টিংয়ের শিকার হয়। রাজ্যের ১০টি জেলায় এই হার রাজ্যের গড় হারের চেয়ে আতঙ্কজনক ভাবে বেশি। (শিশুদের বৃদ্ধির সমস্যা রাজ্যের দশটি জেলায়, আনন্দবাজার পত্রিকা, ২৭ মার্চ ২০২২)। এই পরিস্থিতির জন্য কেন্দ্রের দায় রয়েছে, কিন্তু রাজ্যও তার দায় এড়াতে পারে না। কেন্দ্রীয় অঙ্গনওয়ারি বা পোষণ প্রকল্পের দেখভালের মস্ত দায়িত্ব রয়েছে রাজ্যগুলির। অতিমারির কারণে দীর্ঘ দু’বছর অঙ্গনওয়ারি বন্ধ, মিড ডে মিল ছিটেফোঁটা— ভাবলে শিউরে উঠতে হয় অতিমারি সময়কালে দরিদ্র পরিবারের শিশুদের অপুষ্টি কোথায় গিয়ে দাঁড়াতে পারে! স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প যখন দারিদ্রসীমার নীচে বসবাসকারী মানুষের জন্য ছিল তখনই নানা দুর্নীতির শিকার হয়েছে। রাতারাতি গজিয়ে ওঠা নার্সিং হোম, একশ্রেণির চিকিৎসক, মাতব্বর, মালিকের অশুভ আঁতাতে অপ্রয়োজনীয় চিকিৎসা, অপারেশনে কত টাকা যে সরকারের কোষাগার থেকে গচ্চা গিয়েছে তার হিসাব কেউ রাখেনি। করোনা-কালে নির্বাচনের মুখে স্বাস্থ্যসাথী সর্বজনীন হওয়ার পর বহু মধ্যবিত্ত, যাঁদের স্বাস্থ্যবিমা রয়েছে এবং পারতপক্ষে সরকারি হাসপাতালের গা ঘেঁষেন না তাঁরাও, বিমার প্রিমিয়ামের উচ্চহার এবং নানা তাড়নায় প্রকল্পে নাম লিখিয়েছেন। আজ সংবাদমাধ্যমের হিসাব মতো, এই প্রকল্পে বেসরকারি হাসপাতাল, নার্সিং হোমগুলির কাছে রাজ্যের ১২০ কোটি থেকে ২০০ কোটি টাকা বকেয়া হয়ে গিয়েছে। স্বাস্থ্যবিমায় কোটি কোটি টাকা জলে ঢেলে কিছুদিনের জন্য জনপ্রিয় হয়ে ওঠা যায় বটে কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে কোনও লাভ হয় না। তার জন্য ঢের বেশি প্রয়োজন ছিল প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র, পুর ও গ্রামীণ হাসপাতাল, পুষ্টি প্রকল্পের উপর জোর দেওয়া।
‘অবিমিশ্র রাজতন্ত্র’-র মুশকিল হল সুপরামর্শকে সন্দেহ করে। সমালোচককে ভাবে শত্রু। বাকস্বাধীনতাকে অসহ্য মনে হয়। প্রতিবাদীদের জন্য মজুত থাকে সরকারি কিংবা সরকারি মদতপুষ্ট লেঠেল বাহিনী, মিথ্যা মামলা, কড়া আইন ও ফাটক। মসনদে বসতে না বসতে বিরোধীদের মুখে কুলুপ আঁটার হুকুম জারি করা হয়। জোহুজুর পুলিশ ও আমলাদেরকেই করে তোলা হয় সর্বেসর্বা। শত গুণ বলা পারিষদদল ‘ল্যাম্পপোস্ট’ মন্ত্রী হয়ে ওঠে। রাজ্যে বিপুল ভোটে জয়ী হওয়ার পরও বিরোধী শূন্য পুরসভা ও পঞ্চায়েত দখলের বাসনায় লুঠ হয়ে নির্বাচনী গণতন্ত্র। এই শূন্যতায় সৃষ্টি হয় অনুব্রত মণ্ডল, ভাদু শেখরা। আমরা পাথর-বালি সিন্ডিকেট, আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়ে যাওয়া দিনমজুর, গাড়ির ড্রাইভারদের গল্প পড়ি। বখরার হিসাবে গরমিল হলে তারা নিজেদের মধ্যে খুনোখুনি করে মরে। আর যারা ‘কোথায় কী করে বেড়াচ্ছে, আর লোক ঢুকিয়ে বেড়াচ্ছে’, সেই সব ‘শিক্ষামাফিয়া’-দের নাম মুখেও আনি না। পঞ্চায়েতের কাটমানির কথা প্রচারিত হয়। আর যারা অতি সুসজ্জিত দপ্তরেরও ভোল বদলাতে কোটি কোটি টাকা ফুঁকে দেয়, তাদের কথা ক্ষমতার অলিন্দে চাপা স্বরে উচ্চারিত হয় ঠিকই, প্রকাশ্যে আসে না। গ্রামীণ নেতাদের প্রাসাদোপম অট্টালিকার ছবি মেলে সমাজ মাধ্যমে। কিন্তু, মন্ত্রী-আমলাদের এক-দেড় কোটি টাকার ফ্ল্যাট, একটিই বাড়িতে চার-চারটি লিফটের গল্পগুলি রূপকথা হয়েই রয়ে যায়। রাজ্যের কোষাগারের হাঁড়ির হাল তো শুধু ‘জনবাদী’ সরকারের দু’টাকার চাল কিংবা বিনা পয়সার রেশন দেওয়ার মতো জনকল্যাণমূলক প্রকল্পে জন্য হয়নি। এই বল্গাহীন লূঠের জন্যও হয়েছে। বৃহৎশিল্পে দীর্ঘ খরাও তার অন্যতম কারণ। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প যে সে খরা কাটিয়ে তুলতে পারত সে দিকেও যথেষ্ট মনোযোগ পড়েনি। সার্বিক লুটের রাজত্বে মনোযোগ দেবেই-বা কে? শিল্প তাই বেআইনি খাদান, কৃষি ও বনের জমি দখল করে মাছের ভেড়ি। পুকুর-জলাজমি হাপিস করে দেওয়া, নির্মাণ সিন্ডিকেট, বনের কাঠ পাচার সিন্ডিকেট। চাকরি মানে সিভিক ভলান্টিয়ার, ভিলেজ পুলিশ, হোমগার্ড। এবার নাকি ‘সিভিক শিক্ষক’ নিয়োগের তোড়জোড়ও চলছে। সরকারি, আধা সরকারি দপ্তর শিক্ষিত, যোগ্য ঠিকাকর্মীতে ছয়লাপ। সরকারি কর্মচারীরা ন্যায্য ডিএ চাইলে ‘অনেক দিয়েছি’ বলে দেওয়া যায়। বগটুইয়ে অবশ্য নিয়ম অন্য। যা ছোট আঙারিয়া, নন্দীগ্রামের পর ফের আমাদের শিহরিত করেছে।
এরপর আমরা কি ফের রবি ঠাকুরের ভাষায় বলতে পারব:
…শিশুঘাতী নারীঘাতী / কুৎসিত বীভৎসা-‘পরে ধিক্কার হানিতে পারি যেন / নিত্যকাল রবে যা স্পন্দিত লজ্জাতুর ঐতিহ্যের / হৃদস্পন্দনে, রুদ্ধ কণ্ঠ ভয়ার্ত এ শৃঙ্খলিত যুগ যবে / নিঃশব্দে প্রচ্ছন্ন হবে আপন চিতার ভস্মতলে।