বামপন্থা ও গণতন্ত্রের কথোপকথন
[রাজ্য]
শ্রমজীবী ভাষা, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২১—
চা-বাগিচার শ্রমিকেরা আজও বাসস্থানের জমির অধিকার থেকে বঞ্চিত
১৭ জুলাই, ২০১৩ সালে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দপ্তর ওয়েস্ট বেঙ্গল এস্টেট একুইজিশন অ্যাক্ট, ১৯৫৩-এ সংশোধনী এনে নির্দেশিকা জারি করেন "নিম্নলিখিত শর্তে ব্যক্তিগত মালিকানাধীন চা বাগানগুলি চা পর্যটন চালু করতে পারে… পাহাড় ও সমতলে, চা পর্যটনের জন্য বরাদ্দ জমির পরিমাণ বাগান পিছু ৫ একরের কম হতে হবে। সমতলে ১.৫ একর এবং পাহাড়ে ১ একরের বেশি জমিতে কাঠামো নির্মাণ করা যাবে না।" ২০১৫ সালের ৪ ঠা মার্চ, এই দপ্তরের আরেকটি নির্দেশিকায় বলা হয় "সমতলে ১.৫ একর জমির মধ্যে সর্বোচ্চ ২ তলা কাঠামো নির্মাণ করা যাবে এবং পাহাড়ে ২ একর জমির মধ্যে সর্বোচ্চ ১ তলা কাঠামো নির্মাণ করা যাবে।" ২৮ নভেম্বর, ২০১৯ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ভূমি ও ভূমি রাজস্ব এবং উদ্বাস্তু সহায়তা ও পুনর্বাসন দপ্তর চা পর্যটন সংক্রান্ত আরেকটি নির্দেশিকা বের করে। এতে বলা হল "চা বাগানগুলো তাদের মোট জমির ১৫% এবং সর্বোচ্চ ১৫০ একর জমি চা পর্যটন এবং অনুসারী বাণিজ্যের জন্য ব্যবহার করতে পারে। নির্মাণ কাজের জন্য বরাদ্দ জমির সর্বোচ্চ ৪০% ব্যবহার করা যাবে"। চা বাগানে চা শিল্প বহির্ভূত কাজের জন্য বরাদ্দ জমি ৪ বছরের সরকারি নির্দেশিকায় হয়ে গেল ১০০ গুণ, আচমকা।
১ লক্ষ হেক্টরের বেশি পাহাড় জঙ্গল ঘেরা এক নিষিদ্ধ উপত্যকা। রাই, তামাং, সুব্বা, গুরুং, মগর, লোহার, মুন্ডা, খেরিয়া, মিঞ্জ, সাঁওতাল, রাজবংশী এরকম ৫০ এরও বেশি জনজাতির আকড় উত্তরবঙ্গের এই এলাকা, একটি কুঁড়ি দুটি পাতার দেশ। কারও কিপট পূর্ব নেপাল, মেচী নদীর ধারে, কারও পুর্খা ছোটনাগপুরের, রাঁচী বা হাজারিবাগের। ১৫০ বছর আগে পূর্বপুরুষের রক্তে ভিজে, প্রাণের বিনিময়ে কাঞ্চনজঙ্ঘার ঘুম ভাঙ্গিয়ে তৈরি হল চা বাগান। কালো ধোঁয়া ওঠা স্টিম ইঞ্জিনে আওয়াজ তুলে আর আড়কাঠির ইশারায় সাড়া দিয়ে হাজারে হাজারে এসেছিলেন ওরা। কেউ রানাশাহীর মুলক-ই-আইনে, কেউ চিরস্থায়ী বন্দোবস্তে জমি হারিয়ে পাড়ি দিয়েছিলেন সুদূরের দেশে, মাটি ছেড়ে পেটের দায়ে। না ফিরতে পারা নিশ্চিত করেছিলেন তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার বাহাদুর। বাগান থেকে কেউ বেরোলে আর কোনও বাগানে ঢুকতে না দিয়ে জঙ্গলে জন্তু-জানোয়ারের হাতে প্রাণ যাওয়া নিশ্চিত করার সাবেকি নাম ছিল ‘হাট্টা বাইরা’। এই সেদিন ১৯৫৫ সালে স্বাধীন ভারতবর্ষে এই প্রথার বিরুদ্ধে আন্দোলন করে পুলিশের গুলিতে "মার্গারেট'স হোপ" চাবাগানের এক অন্তঃসত্ত্বা সহ মারা যান ছ’জন শ্রমিক। "মার্গারেটের আশা"-র শহীদেরা আশা জাগান অধিকারের সংগ্রামে, রদ হয় ‘হাট্টা বাইরা’।
বারবার পরিচিতি খুঁজতে থাকা এই মিশ্র জনজাতিসমূহের নাগরিক পরিচিতির প্রাথমিক একক, বাসস্থানের জমির অধিকার আজও অধরা। উত্তর আধুনিকতার বিশ্বে পরিচিতি স্বত্ত্বার রাজনীতির বাস্তবতা যখন বামপন্থীদের পথ খুঁজে উঠতে নাজেহাল করে দিচ্ছে, তখন প্রকৃত অর্থেই একশ শতাংশ শ্রমজীবী মানুষ নিয়ে গড়ে ওঠা চা-বাগানের এই সমাজ, তপশিলি জাতি-জনজাতি, আর্থসামাজিক ভাবে পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠীর বিবিধ সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের দেড় শতাব্দী প্রাচীন এই সমাজ তার নাগরিক অধিকারের প্রাথমিক অর্থনৈতিক একক, তার বাসস্থানের জমির অধিকার থেকে আজও বঞ্চিত। আর তার ফলে ক্রমাগত বঞ্চিত হয়ে চলেছে আবাস যোজনা সহ একগাদা সরকারি প্রকল্প থেকে। শুধুমাত্র বাসস্থানের এক চিলতে জায়গার জন্য বাগানে কাজ করতে বাধ্য থাকে প্রতিটি পরিবার, দেশের সংগঠিত ক্ষেত্রের সবচেয়ে কম আয়ের সর্ববৃহৎ শ্রমজীবী অংশ যেন একবিংশ শতকেও বাঁধুয়া মজদুর।
শ্রমজীবীর ভাষা মানে শ্রমজীবীর মুক্তির ভাষা, আর শ্রমজীবীর মুক্তির ভাষার অক্ষর হল শ্রমজীবীর সংগঠন। সাড়ে চার লক্ষের বেশি চা শ্রমিকের প্রতিনিধিত্বকারী ট্রেড ইউনিয়নগুলো যৌথভাবে ২০১৫ সাল থেকে আন্দোলনে নেমেছে বাসস্থানের জমির আইনি অধিকারের দাবিতে। চা শিল্প ক্ষেত্রের ট্রেড ইউনিয়নগুলোর যৌথ মঞ্চ দাবি জানিয়েছে "চা বাগানে বসবাসকারী সমস্ত পরিবারকে তাদের বাসস্থানের জমির অধিকার দিতে হবে। যে যেখানে যতটা জমিতে কাঁচা বা পাকা ঘর বানিয়ে যুগের পর যুগ বাস করছে, তাকে সেখানে বাসের স্থায়ী অধিকার দিতে হবে। ওয়েস্ট বেঙ্গল এস্টেট একুইজিশন অ্যাক্ট, ১৯৫৩ অনুসারে চা মালিকদের লিজ প্রাপ্ত জমির যে অংশটা বছরের পর বছর ব্যবহার হয়নি, সেখানে বাসস্থানহীন পরিবারদের বসবাসের জায়গা দিতে হবে। যে কোনও ধরনের উচ্ছেদ প্রতিহত করতে হবে।" চা সমাজের পরিচিতির পুরুষানুক্রমিক এই অন্তরের আর্তি শুনতে না পেলেও সজাগ কানে পুঁজির নির্দেশ শুনেছে সরকার। নিয়ম এসেছে চা-বাগানের দেড়শ একর জমিতে বড়লোকদের নির্লজ্জ বিনোদনের বিচিত্র পসরা সাজানোর।
২০১৯ এর ২৮ নভেম্বরের নির্দেশে সরকার বলেছিল "কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা এমন ভাবে তৈরি করতে হবে যাতে ৮০% ক্ষেত্রেই এলাকার মানুষ কাজ পান। বিশেষত যে বাগানে জমি নেওয়া হচ্ছে সে বাগানের শ্রমিক পরিবারকে অতিরিক্ত সুযোগ দিতে হবে।… যদি প্রকল্পের প্রয়োজনে শ্রমিকদের বাসস্থান থেকে উচ্ছেদ হতে হয়, তবে তাঁদের জন্য আধুনিক কাঠামোর গৃহ নির্মাণ করে দিতে হবে।" গৃহনির্মাণ তো দূরস্ত, বাড়িঘর ভেঙ্গে চা গাছ উখড়ে রাতারাতি গড়ে ওঠা ৫ তলা পাঁচতারা হোটেলে "হামার ঘরকর খালি গোর অউর সুন্দর ছোড়িমনকে ঘর সাফ করনে কাম মিলি।" "আমাদের বাড়ির ফর্সা, সুন্দর দেখতে কম বয়সী মেয়েরা শুধু ওইখানে কাজ পেতে পারে, বাবুদের ঘর পরিষ্কার করার।"। ... "আমাদের বলা হয়েছে ওই হোটেলের সামনের রাস্তা দিয়ে না হাঁটতে। আমরা বুঝি, আমাদের দেখতে ওরা পছন্দ করে না।"

চা পর্যটন সংক্রান্ত পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পরিকল্পনার প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে "চা পর্যটন শব্দটির ব্যাপকতর অর্থ হল একটি চা বাগান বা এস্টেটের মধ্যে পর্যটকদের সামগ্রিক অভিজ্ঞতা সঞ্চয়ের সুযোগ, একটি হেরিটেজ বাংলোতে থাকা, একটি চা-গ্রামে বা একটি আধুনিক রিসর্টে হোম-স্টে অনুভূতি উপভোগ করা। একটি চা-বাগানের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ট্রেকিং, চা-পরীক্ষার অধিবেশন, একটি আধুনিক চা কারখানা পরিদর্শন করা এবং এমনকি নিজের হাতে চা পাতা তোলার জন্য চেষ্টা করা - সবই "চা পর্যটন" এর ধারণার মধ্যে রয়েছে। অন্যান্য ক্রিয়াকলাপের মধ্যে থাকতে পারে প্রকৃতির পথ ধরে ট্রেকিং, স্থানীয় সংস্কৃতির সাক্ষী হওয়া এবং স্থানীয় কারিগরদের পৃষ্ঠপোষকতা করা।"
বীরপাড়া চা বাগান, ২০১৫ সালে মারা গেছেন ৩২ জন যাদের গড় বয়স ছিল ৪৭ বছর, গঙ্গারাম চা বাগান ২৩ জন যাদের গড় বয়স ছিল ৪৮ বছর, ডিমডিমা চা বাগান ৩৩ জন, গড় বয়স ৫১ বছর, মধু বাগানে ৩৪ জন, গড় বয়স ৫০ বছর, রেড ব্যাঙ্ক বাগানে ৩০ জন, গড় বয়স ৫২ বছর। এই বছরে ভারতীয়দের গড় আয়ু ছিল ৬৮.৩৫ বছর। একটি ছিন্নমূল, বিপন্ন, শ্রমজীবী জনগোষ্ঠীর প্রাথমিক নাগরিক অধিকারের প্রতি অবহেলাকারী রাষ্ট্র কী নিপুণতার সাথে বড়লোকের বিনোদনের গৃহপট এঁকেছে! পুঁজির এই অশ্লীল দম্ভের মাথায় হাতুড়ির বাড়ি মারার, আগ্রাসী আধিপত্যকারী পুঁজির দর্শনের বিরুদ্ধে চা শ্রমিকদের ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধের আধিপত্য প্রতিষ্ঠার, জমির পাট্টা না পেলে এই অসামাজিক বেআইনি রিসোর্টগুলি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া নিয়ে আমাদের মনে কোনও প্রশ্ন থাকতে পারে না।
পুঁজি তার নিজের নিয়মেই বেশি মুনাফার ক্ষেত্রে নিয়োজিত হবে। চা শিল্পের চেয়ে ঢের বেশি পুঁজিনিবিড় পর্যটন শিল্পে ঝুঁকে পড়বে, তার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যেই। প্রশ্ন হল, শ্রমজীবীর অবস্থান নিয়ে, শ্রমজীবীর সংগঠনের অবস্থান নিয়ে, তার রাজনৈতিক অগ্রণী অংশের অবস্থান নিয়ে, কী অবস্থানে থাকবে তারা?
পুঁজি বনাম শ্রমের দ্বন্দ্বে যখন দুনিয়াজুড়ে পুঁজির আধিপত্য অভূতপূর্ব আকার ধারণ করেছে, যখন দেড় বছরের লকডাউনে রাষ্ট্র স্কুলের বাচ্চাটিকেও বুঝিয়ে দিয়েছে শিক্ষা মানে ট্যাব কেনার ক্ষমতা, যখন পুঁজি তার সামাজিক সাংস্কৃতিক মোহময়তা নিয়ে ঢুকে পড়েছে শ্রমজীবীর ঘরের কোণায় কোণায়, যখন সম্মান ও জীবনের পূর্ণতার মানে হিসাবে শ্রমজীবী মানুষের মননেও প্রতিষ্ঠা করতে চেষ্টা করছে ওই রিসোর্টে ঢোকার ক্ষমতাকে, তখন শ্রমজীবীর নিজের সামর্থ্যের প্রতি, শ্রমের দর্শনের প্রতি আশাবাদ বজায় রাখতে প্রয়োজন শ্রমজীবীর আধিপত্যের সর্ববিধ প্রতিষ্ঠা ও প্রদর্শন। শ্রমজীবীর সম্মানকে, সমাজ ও সংস্কৃতিকে পণ্যায়ণকারী ও অবমাননাকারী রিসোর্ট-সংস্কৃতি ভেঙে পড়ুক।
শ্রমজীবীর সংগঠনের নৈতিকতার প্রশ্নে বলা যায়, দেড়শ বছর ধরে উত্তরবঙ্গের প্রায় ১৫ লক্ষ চা সমাজের মানুষদের বাসস্থানের অধিকার না দেওয়া রাষ্ট্র যখন তড়িঘড়ি করে পুঁজির অতিরিক্ত মুনাফা নিশ্চিত করতে চা বাগানের শত শত একর জমি লিজ হস্তান্তর করার জন্য নির্দেশিকা জারি করতে পারে, তখন সেই রাষ্ট্রকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতে, ন্যায্য অধিকারের জমির পাট্টা আদায় করতে, চা শ্রমিকদের চা শিল্পের বন্দীদশা থেকে মুক্ত করতে শ্রমজীবীর সংগঠনকে নীতিগতভাবে অবস্থান নিতে হবে যে, জমির পাট্টা হাতে না পাওয়া পর্যন্ত চলবে না চা পর্যটন। আগে চা শ্রমিকদের বাসস্থান, তারপর বহিরাগতর বিনোদন।
শেষ প্রশ্ন, শ্রমজীবীর রাজনৈতিক অগ্রণী অংশের অবস্থান নিয়ে। প্রশ্ন উঠবে, বেশি পুঁজিনির্ভর ক্ষেত্রে পুঁজির স্থানান্তর কি সমাজের অগ্রগতির ধারা? এই ধারা কি অবধ্য, অপ্রতিহত? পুঁজি নিবিড় আধুনিক ক্ষেত্র মানেই কি উৎপাদন শক্তির বিকাশ? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে সাহায্য নেব মার্কসের দর্শনের দৈন্য গ্রন্থের, যেখানে মার্ক্স বলছেন "সমস্ত উৎপাদনের উপকরণের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উৎপাদিকা শক্তি হল স্বয়ং বিপ্লবী শ্রেণীটি। বিপ্লবী উপাদানসমূহের শ্রেণী হিসেবে সংগঠিত হওয়ার অর্থই হল আগের সমাজের বুকে যত ধরনের উৎপাদিকা শক্তির উদ্ভব হওয়া সম্ভব ছিল তার আগমন ঘটে গেছে।"
অর্থনীতিবীদ প্রভাত পট্টনায়ক বলছেন "...পুঁজির যুক্তির কাছে আত্মসমর্পণের বিরোধিতা না করে বিপ্লবী উপাদানসমূহের শ্রেণী হিসেবে সংগঠিত হওয়ার কোন সম্ভাবনা থাকতে পারে না...পুঁজিবাদের অধীনে উৎপাদিকা শক্তির বিকাশের সামগ্রিক প্রক্রিয়ার একটি অংশ হল এটিও (পুঁজির যুক্তির কাছে আত্মসমর্পণের বিরোধিতা করা)।" সামাজিকভাবে সংগঠিত শ্রমজীবী শ্রেণীর এক বিস্তৃত সংগ্রামী জনগোষ্ঠীর অধিকার ও সম্মান বনাম নির্লজ্জ বিনোদন ও পুঁজির অতিরিক্ত মুনাফার স্বার্থরক্ষাকারী রাষ্ট্র; বিশ্বায়িত পুঁজির অশ্লীলতম কেন্দ্রগুলোতে আঘাত হানা, নাকি পুঁজির যুক্তির কাছে আত্মসমর্পণ, এই দ্বন্দ্বে শ্রমজীবীর রাজনৈতিক অগ্রণী বাহিনী অবস্থান নেবে তার শ্রেণীর সংস্কৃতি অনুযায়ী। যে সর্বহারার সংস্কৃতি সম্পর্কে বলতে গিয়ে কমরেড লেনিন বলেছেন "শ্রমিক ও কৃষকদের সকল রাজনৈতিক শিক্ষা ও সংস্কৃতি সর্বহারা শ্রেণীর সংগ্রামের মর্মবস্তুতে মগ্ন হয়ে উঠুক, যার লক্ষ্য হবে সফলভাবে সর্বহারার একানায়কত্ব প্রতিষ্ঠা করা অর্থাৎ পুঁজিপতি শ্রেণীকে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া, শ্রেণীর বিলোপসাধন এবং মানুষ কর্তৃক মানুষের সকল ধরনের শোষনের অবসান ঘটানো।"
শ্রমজীবীর অগ্রণী বাহিনীর দায়িত্ব, উপনিবেশ পরবর্তী ভারতে পুঁজিবাদের বিকাশের বাঁকমোড়ে নিজের রণকৌশল নির্ধারণ করা, যে রণকৌশলের ভিত্তি হবে পুঁজিবাদ থেকে সমাজতন্ত্রে উত্তরণ আর উপরিকাঠামোয় থাকবে শ্রমজীবীর সংগ্রামের সংস্কৃতির আধিপত্য প্রতিষ্ঠা। পথ খোঁজা চলুক।
— লেখক সিআইটিইউ অনুমোদিত দার্জিলিং জেলা চিয়া কামান মজদুর ইউনিয়নের সংগঠক